খতনা করতে গিয়ে সংকটাপন্ন আরেক শিশু
আয়ান-আহনাফের পর এবার খতনা করাতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির ৮ বছরের শিশু আলভী ফারাভী। গত ৩০ মার্চ মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকায় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক শিশুর লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটে।   এদিকে ওই শিশুর লিঙ্গ কর্তনের ঘটনায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাফুজুর হক। তিনি জানান, ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন। সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ উপজেলার মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকায় আব্দুল কাদেরের পুত্র আলভী ফারাভীকে (৮) ওই গ্রামের পল্লীচিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ খতনা করতে গিয়ে লিঙ্গ কর্তন করেন। পরে শিশুটির রক্ত পড়া বন্ধ না হলে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটি অদ্যাবদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হলে দৃষ্টি গোচর হয় স্বাস্থ্য বিভাগের। অবশেষে এ ঘটনায় মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডাক্তার আব্দুল মান্নানকে প্রধান করে মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ) ডাক্তার ফাহিম শাহারিয়া শাওন ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রূপম কান্তি পালকে নিয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটির প্রধান মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডাক্তার আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ওই বিষয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর পুলিশের সহযোগিতার বিষয়টি তদন্ত করেছি। যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে জেএস হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটরে খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিদের (১০)। এর আগে গত মাসে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে গত মঙ্গলবার নতুন করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

খতনা করাতে গিয়ে জননাঙ্গ কাটলেন হাজাম
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খতনা করার সময় জননাঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম (খতনাকারী)। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর-নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জাহিদ হাসান নির্জন ওই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে কেউ নেই, সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুন চর-আলগী গ্রামের কথিত খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লিঙ্গের নির্ধারিত অংশের থেকে বেশি কেটে ফেলেন। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত হাজাম আকবর আলীর মোবাইলে কল দিলে তার ছেলে হাতেম আলী ফোন ধরে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখন কিছু বলতে চাই না। রোগী বাড়িতে এলে কথা বলব।’ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

খতনা করাতে গিয়ে...
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জাহিদ হাসান নির্জন নামে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খতনা করার সময় বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেছেন এক হাজাম (খতনাকারী)।  রেববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর-নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত শিশু জাহিদ হাসান নির্জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত জাহিদ হাসান নির্জন উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর-নওপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। সরেজমিনে দেখা গেছে, আহত নির্জনের বাড়িতে কেউ নেই, সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন। এ সময় কথা হয় আহত নির্জনের চাচাতো বোন নাদিরা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। আমরা কথিত খতনাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুন চর-আলগী গ্রামের কথিত খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লিঙ্গের নির্ধারিত অংশের থেকে বেশি কেটে ফেলেন। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন নির্জনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।  এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত হাজাম আকবর আলীর মোবাইলে কল দিলে তার ছেলে হাতেম আলী কল রিসিভ করে বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখন কিছু বলতে চাই না, রোগী বাড়িতে আসলে কথা বলব। এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

সিলগালা ক্লিনিকে খতনা আরেকটি প্রাণ ঝুঁকিতে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারিভাবে সিলগালা করা একটি ক্লিনিকে খতনা করাতে গিয়ে আরেক শিশুর জীবন সংকটাপন্ন। অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এ সময় রক্তক্ষরণ হতে থাকলে শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। জানা যায়, নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক। গত বুধবার সন্ধ্যায় ১৩ বছর বয়সী ছেলে তামিম মিয়াকে খতনা করাতে সেখানে যান ওই উপজেলার উত্তর ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের স্ত্রী পারভীন বেগম। ৫ হাজার টাকা চুক্তিতে তামিমের খতনা করেন ডা. জহিরুল ইসলাম জয়। তবে খতনার সময় পুরুষাঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলায় রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তামিমকে সিলেট পাঠানো হয়। এ সময় তামিমের স্বজনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রাতেই নবীগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল মালিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তামিমের চাচা হারুন মিয়া। হাসপাতাল মালিক সোহুল আমিন জানান, রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রুত রোগীকে সিলেট পাঠানো হয়েছে। দুর্ব্যবহার নয়, মোবাইল ফোনে ভিডিওধারণকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তামিমের মা পারভীন বেগম জানান, আমার ছেলেকে ডাক্তাররা তাদের জিম্মায় সিলেট আল হারামাইন হসপিটালে ভর্তি করেছেন। তারা বলছেন, আমার ছেলে ভালো হয়ে যাবে, চিন্তা না করতে। চিকিৎসার সব খরচ তারা দেবেন। আমি আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই। নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কেন খোলা হলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করার পর মৃত্যু হয় শিশু আয়ানের। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়নের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে খতনার সময় চিকিৎসকদের ভুল করার বিষয় উঠে আসছে। এর মধ্যে ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে মারা যায় আয়হাম নামে আরেক শিশু।
০৮ মার্চ, ২০২৪

খতনা করাতে গিয়ে আবার দুর্ঘটনা, হাজম গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সাত বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খতনা করার সময় লিঙ্গের সামনের অংশ কেটে মাটিতে ফেলে দেওয়ায় হাজমকে (খতনাকারী) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বুরপিট গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ মামুন (৩৫) সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের মো. হানিফের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু সাহাদাত হোসেনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে, একই দিন বিকেলের দিকে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত হাজম (খতনাকারী) মামুনকে আটক করে। আহত শাহাদাত হোসেন উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে।   স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে শাহাদাতের খতনা করতে হাজম মামুন উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বুরপিট গ্রামের বুরপিট দক্ষিণ সরকার বাড়িতে আসেন। এরপর খতনা করতে গিয়ে খুর চালিয়ে শিশু শাহাদাতের লিঙ্গের মাথা কেটে মাটিতে ফেলে দেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় লিঙ্গের কাটা অংশসহ শাহাদাতকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।   ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তানভীর হায়দার ইমন বলেন, হাজম দ্বারা খতনা করতে গিয়ে ওই শিশুর লিঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলে দেয়। পরে রোগীর স্বজনেরা লিঙ্গের কাটা অংশসহ তাকে এ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে লিঙ্গের কাটা অংশ ফ্রিজআপ করে রোগীর স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।   সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগে খতনাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শাহাদাত হোসেনের নানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
০১ মার্চ, ২০২৪

খতনা করতে গিয়ে অতিরিক্ত জখম, অতঃপর
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খতনা করতে গিয়ে এক শিশুর পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের কিছু ঘটেনি। অসাবধানতায় পুরুষাঙ্গের বাড়তি ত্বক কাটতে গিয়ে, প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি কাটা পড়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে সেখানেই ভর্তি আছে। ভুক্তভোগী শিশুটি চরকাঁকড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালে শিশুটির খতনা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। পরে সৌরভ হোসেন নামের এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট শিশুটির খতনা করে। এ সময় তিনি শিশুটির পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেললে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় শিশুর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।  শিশুটির চাচার অভিযোগ, চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এসব কাজে আরও সতর্ক থাকা উচিত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম বলেন, যেহেতু রক্তক্ষরণ হয়েছে, তাই শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্বাভাবিক।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে ফের শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ কাটকে না কাটতেই আরও এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে (জে এস হাসপাতাল) এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুর নাম আহনাফ তাহমিদ (১০)। বাবার নাম ফখরুল আলম, বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলেখারচর গ্রামে। শিশুটি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন মোক্তাদির হোসেন ও মাহবুব হোসেন। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা দিয়ে সিলগালা করেছে। স্বজনদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফখরুল ও তার স্ত্রী খায়রুন নাহার বড় সন্তান তাহমিদকে খতনা করাতে জে এস হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা শিশুটিকে রাত ৮টার দিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে অবেদন (অ্যানেসথেসিয়া) করে তার খতনা করেন। তবে শিশুটির আর জ্ঞান ফেরেনি। রাত ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে আর্তনাদ করছিলেন তাহমিদের বাবা ফখরুল আলম। তিনি বলেন, ‘১১ হাজার টাকা চুক্তিতে সুন্নতে খতনা করার জন্য ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমি চিকিৎসককে আগেই বলেছিলাম, আপনাদের এখানে কোনো সমস্যা আছে কি না। তারা বলেছিলেন কোনো সমস্যা নেই। আপনার দুই সন্তানকেই নিয়ে আসেন, একসঙ্গে করে দিই। চিকিৎসকের কথামতো যদি দুই ছেলেকে নিয়ে আসতাম, তাহলে হয়তো দুজনকেই হারাতাম।’ ফখরুল কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সুস্থ সন্তানকে মেরে ফেলা হলো। আমি চিকিৎসক মোক্তাদির ও ইশতিয়াককে বলেছি, ছেলেকে পূর্ণ অ্যানেসথেসিয়া দিয়েন না। তবে তারা আমার কথা শোনেননি। আমার সোনার টুকরা ছেলেটাকে তারা শেষ করে দিল। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’ গতকাল সকালে হাতিরঝিল থানার ওসি আওলাদ হোসেন বলেন, শিশুটির বাবা মঙ্গলবার রাতে মামলা করেছেন। এ মামলায় হাসপাতালটির মালিক মোক্তাদির, অবেদনবিদ মাহবুব ও অস্ত্রোপচারবিশেষজ্ঞ ইশতিয়াক আজাদকে আসামি করা হয়েছে। মোক্তাদির ও মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার মোক্তাদির জে এস হাসপাতালের মালিক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক সার্জন। মাহবুব একই হাসপাতালের অবেদনবিদ্যা (অ্যানেসথেসিওলজি) বিভাগের চিকিৎসক। ঘটনার পর অন্য আসামি ইশতিয়াক পালিয়ে গেছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক বলে জানা গেছে। দুই চিকিৎসককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ: গ্রেপ্তার চিকিৎসক মুক্তাদির ও মাহাবুবকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমিন তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত। জেএস হাসপাতাল সিলগালা: শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় মেডিকেল সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিলগালা নোটিশে বলা হয়েছে, শিশু আহনাফের মৃত্যু সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান। অধিদপ্তর জানিয়েছে, অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তবে এ হাসপাতালের শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে, যে কারণে তাদের অ্যানেসথসিয়া প্রয়োগের সুযোগ নেই। তবে এ ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা তিন আসামির কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এজাহারে যা বলা হয়েছে: ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহনাফকে খতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম জেএস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি ওইসময় কিছু টেস্ট দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। খতনা করতে সমস্যা নেই। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলের খতনার জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এক ঘণ্টা পর আহনাফের বাবা ফখরুল ওটিতে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে নিষেধ করে আরও অপেক্ষা করতে বলা হয়। তবে সন্দেহ হলে তিনি জোর করে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান, ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করা হচ্ছে এবং নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি। তিনি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও তারা কর্ণপাত না করে তাকে ওটি থেকে বের করে দেন। দুই ঘণ্টা পর জোর করে ওটিতে ঢুকে ফখরুল জানতে পারেন যে, আহনাফ মারা গেছে। জানা গেছে, শিশু তাহমিদের বাবা ফখরুল আবাসন নির্মাণ ব্যবসায়ী। তিনি পরিবার নিয়ে খিলগাঁও রেলগেট-সংলগ্ন একটি বাড়িতে থাকেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আহনাফ বড় ছিল। এর আগে গত মাসে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে গত মঙ্গলবার নতুন করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

খতনা করাতে এসে শিশু আহনাফের মৃত্যু, মেডিকেল সেন্টার সিলগালা
সুন্নতে খতনা করাতে এসে মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে মৃত্যু হয়েছে আহনাফ তাহমিদ আয়হাম (১০) নামে এক শিশুর। এই ঘটনায় সেই মেডিকেল সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  অধিদপ্তর জানিয়েছে, অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়, কিন্তু এই হাসপাতালের শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে। যে কারণে তাদের অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান। এদিকে আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করেছে বাবা ফখরুল আলম। মামলায় কর্তব্য অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।  এ ঘটনায় এরইমধ্যে হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. এস এম মুক্তাদির ও ডা. মাহবুব নামে দুজনকে আটক করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। নিহত শিশুর বাবা ফখরুল কালবেলাকে জানান, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক রাত ৯টায় মালিবাগের জেএস হাসপাতালে দশ বছর বয়সী ছেলে আহনাফ তাহমিনকে সুন্নতে খতনা করতে নিয়ে আসেন। আসার পরই হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদিরদের নেতৃত্বে তাহমিনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় হাসপাতালে দায়িত্বরত ডা. মাহাবুব এবং ডা. ইশতিয়াক আজাদ। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরই ছেলের নিথর মরদেহ দেখতে পান। স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া না দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়াতেই শিশুটির মারা গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

খতনা করাতে এসে মারা গেলো লাইফ সাপোর্টে থাকা আয়ান
রাজধানী বাড্ডার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা আয়ান মারা গেছে। টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান। সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শামীম আহমেদ জানান, এখনো কোনো কিছু ঠিকভাবে জানায়নি হাসপাতাল থেকে। শুধু জানিয়েে সে মারা গেছে। এর আগে ৫ জানুয়ারি শামীম আহমেদ জানিয়েছিলেন, আয়ান তাদের পরিবারের বড় ছেলে। তার ৬ মাসের ছোট একটা বোন আছে। আয়ানের মা কান্নাকাটি করতে করতে নিজেও অসুস্থপ্রায়। এই ঘটনায় পুরো পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে। উল্লেখ, গত ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খাতনা করাতে শিশু আয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা শামীম আহমেদ। সেখানে তাকে অস্ত্রোপচার আগে চেতনা নাশক ওষুধ (এ্যানেসথেসিয়া) দেয়া হয় এবং এরপর তার জ্ঞান ফেরেনি। এতদিন সে হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে ছিলো।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X