দেশের অথনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে : খেলাফত মজলিস
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে খেলাফত মজলিস। দলটি বলছে- এবার বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন ঘটেছে। এর প্রভাবে আমদানি ব্যয় ও দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বাড়বে। ব্যাংকিংখাতে একের পর এক কেলেংকারির ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে। এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের আবার টাকা ভর্তি খাম উৎকোচ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে যা নৈতিক সাংবাদিকতার জন্য চরম অপমানজনক। জনগণের আমানত লুটপাট হয়ে যাচ্ছে অথচ সরকার নির্বিকার। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলটির নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। সভায় গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, অদক্ষ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে দ্বিগুণ ব্যয়ে উৎপাদিত হলেও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে এই বিদ্যুৎ মফস্বলের মানুষের কাজে লাগছে না। উপরন্তু এই উচ্চব্যয়ের ঘাটতি মেটাতে বছরে ৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। শুধু আদানি পাওয়ার কোম্পানি ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ গত এক বছরে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছে। এভাবে অর্থপাচার আর লুটপাট করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অবস্থা থেকে দেশবাসী আজ মুক্তি চায়। যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, শায়খুল ইসলাম, নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
০৯ মে, ২০২৪

দেশে অর্থনৈতিক সংকট ঘণীভূত হচ্ছে: খেলাফত মজলিস
দেশের চলমান আর্থ-সামাজিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন ঘণীভূত হচ্ছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লুটপাট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এই লুটপাটের অর্থ বিদেশে পাচারের কারণে জনগণের আমানত ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় টাকার অবমূল্যায়ন বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য এখনো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তীব্র গরমের মধ্যেও লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের এই সংকট মেনে নেওয়া যায় না। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ সভাপতিত্ব করেন। পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বোরকা-নেকাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি)’র কর্তৃপক্ষ। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এই অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক খুরশিদ আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ডা. আবদুর রাজ্জাক, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, ডা. বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, মাওলানা আফতাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মুফতি সাইয়েদুর রহমান, হাজী নুর হোসেন, মাওলানা নুরুল হক, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ চায় খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, দীর্ঘ সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে মুসলিম সহোদরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারে টালবাহানা বরদাশত করা হবে না। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে শুরু হওয়া খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং পঞ্চপল্লীতে সহোদর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় দিয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকারের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ চায় খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, ফিলিস্তিনের ওপর দীর্ঘ ৭ মাস ধরে চলমান ইসরাইলী বর্বরতা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।  তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে শুরু হওয়া খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও ফরিদপুরের পঞ্চপল্লীতে মুসলিম শ্রমিক সহোদর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল।  এসময় কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ডা. আবদুর রাজ্জাক, জহিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, হাজী নুর হোসেন, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ ভুঁইয়া, এনামুল হক হাসান, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, শ্রমিক মজলিসের আমির আলী হাওলাদার, আবুল কালাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেএম ইমরান হোসাইন, যুব মজলিসের হাফেজ মুহাম্মদ সালমান প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় দিয়ে বিজয়নগরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি : খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রম হলেও আজও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা এই তিন মৌলিক চেতনাকে সামনে রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর তারা দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। দেশে বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে আজও লড়াই করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিকতা, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন নেতৃত্বের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পারিবারিক ও সামাজিক অনাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ছাত্রদের উন্মুক্ত কোরআন শিক্ষা আসর বন্ধ করে দিয়ে কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ইফতারি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এই মাস থেকে বিদ্যুতের মূল্য খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে জাতি আজ মুক্তি চায়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা ও তা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই জাতির সামগ্রিক মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। মাহে রমজান আমাদের একমাস ধরে কঠোর সংযম, আত্মত্যাগ ও আল্লাহভীতির প্রশিক্ষণ দেয়। তাই আমাদের এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। কোরআন নাজিলের এই মাসে মহাগ্রন্থ আল-কোরআনকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। কোরআনের সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ডা. আবদুল্লাহ খান, যুগ্ম-মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি মহাসচি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সহ-সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ, গণ-অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, ডেইলি নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সেক্রেটারি জেনারেল রায়হান আলী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবদুল হক আমিনী, ঢাকা মহানগরী সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল হক, শ্রমিক মজলিসের সহসভাপতি আমির আলী হাওলাদার, কাজী আরিফুর রহমান, হুমায়ুন কবির আজাদ প্রমুখ।
২৬ মার্চ, ২০২৪

ইফতার অনুষ্ঠানে বিধি নিষেধ বরদাস্ত করা যায় না : খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইফতার অনুষ্ঠানে বিধি নিষেধ, রোজাদার ছাত্রদের উপর হামলা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। দেশের অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। শিক্ষা-সংস্কৃতি হুমকির মুখে। এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মীয় বিষয়ের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রমজানের ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ফেনী সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদেরকে যেভাবে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে রোজাদারের উপর কোনো মুসলমানের সন্তান তা করতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ছাত্রদের উন্মুক্ত কুরআন শিক্ষা আসর বন্ধ করে দিয়ে কুরআন নাযিলের মাস হিসেবে মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইফতার মাহফিল নিয়ন্ত্রণ করছে। রমজানের পবিত্রতা বিনষ্টকারী সকল অপতৎপরতা সরকারকে বন্ধ করতে হবে। ইফতার ও কুরআন তিলাওয়াতের অনুষ্ঠান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র বাতিল করতে হবে। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে আরও অংশ নেন- মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, উপদেষ্টা মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, ডা. আবদুল্লাহ খান, মাওলানা আবদুল কাইউম সোবহানী, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নায়েবে আমীর মাওলানা ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন- এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা রুহুল আমিন, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাগপার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, সাবেক মহাসচিব নূরুল আমীন রোকন, ডেইলী নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক জনাব মোস্তফা কামাল মজুমদার, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, বিএফইউজে সহকারি মহাসচিব বাছির জামাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, এআরএম আবদুল মতিন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আবু সালেহীন, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত মালিক, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী, শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রভাষক আবদুল করিম, ইসলামী যুব মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদ, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
২২ মার্চ, ২০২৪

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না : খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, সরকার যত উন্নয়নের কথা বলে ততই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না। সরকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইফতার মাহফিল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে। সরকারকে এসব বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর চত্ত্বরে ঢাকা মহানগরী খেলাফত মজলিস আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশের পর এক বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাকিংর সামনে এসে শেষ হয়। তিনি বলেন, সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইফতার মাহফিল বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। রোজাদারদের যারা কষ্ট দেয় তারা আল্লাহর মেহমানদেরকেই কষ্ট দেয়। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগর দক্ষিণ-উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন ও মুফতি আজিজুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম। আরও বক্তব্য দেন- সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, ইসলামী যুব মজলিসের সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, নূর হোসেন, মাওলানা নূরুল হক, এনামুল হক হাসান, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, মুহাম্মদ সালমান, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান প্রমুখ।
১৫ মার্চ, ২০২৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার : খেলাফত মজলিস
সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না অভিযোগ করেছে খেলাফত মজলিস। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এক বিবৃবিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছর রমজান কাছাকাছি আসলে এদেশে সিন্ডিকেট চক্র যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে তাতে মনে হয় দেশে প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। দলীয় পরিচয়ে বেড়ে উঠা এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা সর্বদা সরকারি আনুকূল্য পেয়ে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠে। একদিকে এই চক্র মানুষকে জিম্মি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে অন্যদিকে ভ্যাট/ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়ে সরকার তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে।  নেতারা বলেন, খেজুরের মত ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ ও পুষ্টিকর ফলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে এর দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পমন্ত্রী সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে খেজুরের বিকল্প হিসেবে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা মূলত খেটে খাওয়া রোজাদার মানুষদের সঙ্গে উপহাসের শামিল।  নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে। সরকার না পারছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে। কোনো অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার জাতি এখনও দেখতে পায়নি। ক্ষতিগ্রস্তরাও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায়নি। অবিলম্বে মাহে রমজানের পূর্বেই দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন অপতৎপরতা সরকারকে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ’র সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ ফরিদ, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম, আবু সালেহীন, আবদুল হাফিজ খসরু, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মাওলানা আজিজুল হক, হাজী নুর হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ। 
০৭ মার্চ, ২০২৪

মাদ্রাসা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বিদ্বেষমূলক : খেলাফত মজলিস
‘সারা দেশে যত্রতত্র কওমি ও নুরানী মাদ্রাসা বাড়ছে’ সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। সংগঠনটির নেতারা অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর এ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) খেলাফত মজলিসের প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে দলটির আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, কোনো রকম সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই যুগ যুগ ধরে এ দেশে কওমি মাদ্রাসা ও নুরানী মাদ্রাসাগুলো মুসলমান শিশু-কিশোরদের ইসলামের প্রয়োজনীয় মৌলিক শিক্ষা দিয়ে আসছে। বর্তমান ইসলামবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের কারণে সচেতন অভিভাবকমণ্ডলী আরও বেশি পরিমাণ তাদের সন্তানদেরকে মাদ্রাসামুখী করতে বাধ্য হচ্ছেন। সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে তারা স্বেচ্ছায় ও জেনেবুঝে নুরানী মাদ্রাসায় ভর্তি করাচ্ছেন। তারা বলেন, সরকার নিজেদের প্রণীত নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ব্যর্থতা ঢাকতে এখন কওমি ও নুরানী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তার বিদ্বেষ ফুটে উঠেছে। এসব দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের নামে বন্ধ করে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হলে তৌহিদি জনতা তা মানবে না। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তার এই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে : খেলাফত মজলিস
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৪ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি নৃসংসতা ও বর্বরতা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।  খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নেতারা বলেন, অর্ধশতাব্দীরও বেশি কাল ধরে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন, গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৮ অক্টোবর ২০২৩ এর পর থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় এই পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের দুই তৃতীয়াংশ হচ্ছে নারী ও শিশু। ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করা হয়েছে। গাজার ৭০ ভাগ অর্থাৎ ৪ লক্ষাধিক বিল্ডিং আজ বিধ্বস্ত। ৮৫ ভাগ লোক আজ বাস্তুচ্যুত। খাদ্য, পানীয় ও চিকিৎসার অভাবে বিপর্যস্ত আজ গাজাবাসী। এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা বন্ধ রাখেনি। প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে শরণার্থী শিবিরেও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতিকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কিছু শক্তি অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে অব্যাহত মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে।  তারা বলেন, গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধবিরতির এক প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা অবিলম্বে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের জন্য আরব লিগ, ওআইসি, জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক মহলকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।  গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নির্বাহী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুববিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, হাজি নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ। 
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X