দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে খেলাফত মজলিস।
দলটি বলছে- এবার বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন ঘটেছে। এর প্রভাবে আমদানি ব্যয় ও দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বাড়বে। ব্যাংকিংখাতে একের পর এক কেলেংকারির ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে। এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের আবার টাকা ভর্তি খাম উৎকোচ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে যা নৈতিক সাংবাদিকতার জন্য চরম অপমানজনক। জনগণের আমানত লুটপাট হয়ে যাচ্ছে অথচ সরকার নির্বিকার।
বৃহস্পতিবার (০৯ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলটির নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
সভায় গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অদক্ষ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে দ্বিগুণ ব্যয়ে উৎপাদিত হলেও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে এই বিদ্যুৎ মফস্বলের মানুষের কাজে লাগছে না। উপরন্তু এই উচ্চব্যয়ের ঘাটতি মেটাতে বছরে ৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। শুধু আদানি পাওয়ার কোম্পানি ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ গত এক বছরে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছে। এভাবে অর্থপাচার আর লুটপাট করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অবস্থা থেকে দেশবাসী আজ মুক্তি চায়।
যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, শায়খুল ইসলাম, নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন