খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রম হলেও আজও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা এই তিন মৌলিক চেতনাকে সামনে রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর তারা দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। দেশে বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে আজও লড়াই করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিকতা, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন নেতৃত্বের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পারিবারিক ও সামাজিক অনাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ছাত্রদের উন্মুক্ত কোরআন শিক্ষা আসর বন্ধ করে দিয়ে কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ইফতারি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এই মাস থেকে বিদ্যুতের মূল্য খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে জাতি আজ মুক্তি চায়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা ও তা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই জাতির সামগ্রিক মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। মাহে রমজান আমাদের একমাস ধরে কঠোর সংযম, আত্মত্যাগ ও আল্লাহভীতির প্রশিক্ষণ দেয়। তাই আমাদের এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। কোরআন নাজিলের এই মাসে মহাগ্রন্থ আল-কোরআনকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। কোরআনের সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ডা. আবদুল্লাহ খান, যুগ্ম-মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি মহাসচি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সহ-সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ, গণ-অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, ডেইলি নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সেক্রেটারি জেনারেল রায়হান আলী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবদুল হক আমিনী, ঢাকা মহানগরী সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল হক, শ্রমিক মজলিসের সহসভাপতি আমির আলী হাওলাদার, কাজী আরিফুর রহমান, হুমায়ুন কবির আজাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন