ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৪ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি নৃসংসতা ও বর্বরতা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নেতারা বলেন, অর্ধশতাব্দীরও বেশি কাল ধরে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন, গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৮ অক্টোবর ২০২৩ এর পর থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় এই পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের দুই তৃতীয়াংশ হচ্ছে নারী ও শিশু। ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করা হয়েছে। গাজার ৭০ ভাগ অর্থাৎ ৪ লক্ষাধিক বিল্ডিং আজ বিধ্বস্ত। ৮৫ ভাগ লোক আজ বাস্তুচ্যুত। খাদ্য, পানীয় ও চিকিৎসার অভাবে বিপর্যস্ত আজ গাজাবাসী। এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা বন্ধ রাখেনি। প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে শরণার্থী শিবিরেও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতিকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কিছু শক্তি অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে অব্যাহত মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধবিরতির এক প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা অবিলম্বে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের জন্য আরব লিগ, ওআইসি, জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক মহলকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নির্বাহী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুববিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, হাজি নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন