স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাজ করায় গৃহবন্দি হয়েছি : শ্রমিক লীগ নেতা
এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকায় প্রতিহিংসার শিকার ও গৃহবন্দি হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন লালমনিরহাট পাটগ্রামের এক শ্রমিক লীগ নেতা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের খিরা আজার বাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ বুড়িমারী স্থলবন্দর শাখার সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন। লিখিত বক্তব্যে সাজ্জাদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আতাউর রহমান। ভোটে তিনি হেরে গেছেন। তার পক্ষে কাজ করায় ভোটের পরদিন থেকে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনের অনুসারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছি। তারা বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের কার্যালয় দখল ও আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে। নানা অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে যারা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত করেছে, সেই সরদাররাই নির্বাচনী সহিংসতাকে হাতিয়ার করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। আমাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ায় রাস্তায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পাহারায় থাকে। বের হলেই আমাকে খুন করা হতে পারে। প্রশাসনের সহায়তা চেয়েও হতাশ হয়েছি। এ অবস্থায় যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে পারে বুড়িমারী স্থলবন্দরের লোড-আনলোড কার্যক্রম। বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবদুল মান্নান বলেন, সাজ্জাদের সঙ্গে সরদারদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই বরং শ্রমিক লীগে পদ দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এ পদ বাণিজ্যের কারণে সাধারণ শ্রমিকরা সাজ্জাদের কার্যালয়ে যান, উচ্চবাচ্য করেন। এটি ভবন মালিকের পছন্দ না হওয়ায় তিনি সেখানে তালা দিয়েছেন। এখানে রাজনীতির কিছু নেই।  এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি তবে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সমিতির টাকা আত্মসাদের অভিযোগে শ্রমিকদের পক্ষে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

দুর্নীতি মামলায় গৃহবন্দি আলবেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
আলবেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী সালি বেরিশাকে গৃহবন্দির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (৩০ ডিসিম্বর) দুর্নীতি মামলায় তাকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেন।  প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, বেরিশা ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি নিজের মেয়ের জামাইকে রাষ্ট্রীয় জমির সুবিধা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন।  অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বেরিশা বর্তমানে আলবেনিয়ার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান। বেরিশার আইনজীবী জেনস গোজোকুতাজ আদালতের এ নির্দেশনার পর বলেন, আদালত প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে আগের অবস্থা থেকে সরে এসছেন। তাকে দেশত্যাগের সম্ভাবনা ছাড়াই গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।  আইনজীবী জানিয়েছেন, বেরিশা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এদি রামা রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলকে নীরব রাখতে এমন কাজ করছেন।  বেরিশা উপনিবেশ থেকে মুক্তির পর বলকান অঞ্চলের দক্ষিণ পশ্চিমের এ দেশটির ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট এবং ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। 
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

নয়বার গৃহবন্দি ছিলেন রেবন্ত রেড্ডি
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আনামুলা রেবন্ত রেড্ডি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী হায়দরাবাদের একটি স্টেডিয়ামে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে তিনি শপথ নেন। খবর এনডিটিভির। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আগে ৫৪ বছর বয়সী রেড্ডি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একটি খোলা জিপে অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছান। অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ দলের ঊর্ধ্বতন নেতা ও ইন্ডিয়া জোটের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যে যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে শুধু তেলেঙ্গানাতেই সরকার গঠন করতে পারছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে বিজেপি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। আর মিজোরামে স্থানীয় একটি দল বিজয়ী হয়েছে। তেলেঙ্গানার নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত কংগ্রেসে যোগ দেন ২০১৭ সালে। তেলেগু দেশম থেকে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। সংঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির হাত ধরে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ তার। ২০১৮ সালের পর থেকে তাকে ৯ বার গৃহবন্দি করে রেখেছিল কেসিআরের সরকার। গত কয়েক বছরে রেবন্ত বারবার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামেন। অনেকবার তাকে গৃহবন্দি করে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু গত এক বছর তিনি তার আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়েছিলেন, যার জেরে কংগ্রেস এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পেরেছে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

গৃহবন্দি আফগান নারীরা!
আফগানিস্তানে দুই বছর আগে তালেবান ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির নারীদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে তারা আফগান নারীদের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তাদের ক্রমেই গৃহবন্দি করা হচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পরই মেয়েদের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় নারীদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ওপর। এবার দেশের বাইরে আফগান নারীদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া শুরু করেছে তালেবান। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। নারীদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্য দিয়ে তাদের যেন জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার পণ করেছে তালেবান। নারীর তৃতীয় শ্রেণির বেশি পড়াশোনা নিষিদ্ধ, পার্কে ঢোকা বন্ধ, চাকরি করা বন্ধ, পার্লার বন্ধ—ক্ষমতা দখলের পর থেকেই এমন একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এবার আফগান নারীদের বিদেশে পড়তে যেতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। তালেবানের এমন বিতর্কিত পদক্ষেপে ভুক্তভোগীদের একজন হলেন ২০ বছর বয়সী নাতকাই (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, নিজ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি ঘরে পড়াশোনা অব্যাহত রেখেছিলেন। একপর্যায়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ পড়াশোনার সুযোগ পান। গত ২৩ জুলাই পরিবারকে বিদায় জানিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছান নাতকাই। কিন্তু খুব শিগগির তার স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায়। কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে এ তরুণী বলেন, তালেবান কর্মকর্তারা আমাদের টিকিট ও স্টুডেন্ট ভিসা দেখে বলেন, এ ভিসায় আফগানিস্তান ছাড়ার অনুমতি নেই। নাতকাইসহ অন্তত ৬০ ছাত্রীকে এভাবে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তালেবান মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করার পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আফগান ছাত্রীদের জন্য এই বৃত্তি চালু করেন আমিরাতি বিলিয়নিয়ার শেখ খালাফ আহমদ আল হাবতুর। এ পর্যন্ত মোট ১০০ জন আফগান নারী এই বৃত্তি পেয়েছেন। তাদের কেউ কেউ আগে থেকেই বিদেশে ছিলেন, তারা এরই মধ্যে দুবাই চলে গেছেন। ক্ষমতায় আসার পর সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নারীদের একা বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। শুধু মাহরাম (স্বামী, ভাই, বাবা, চাচা অথবা নিকটাত্মীয় কোনো পুরুষ সঙ্গী) সঙ্গে থাকলেই তাদের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশগামীরা সেই সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না। নাতকাই বলেন, মাহরাম সঙ্গে থাকা তিন নারী বিমানে উঠেছিল। কিন্তু নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের নামিয়ে আনেন। ভুক্তভোগী বাকি শিক্ষার্থীরা ভয়ে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে দুবাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং আল হাবতুর আফগান ছাত্রীদের আটকা পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ভিডিওবার্তায় শেখ খালাফ তালেবানের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ সবাই সমান। তার ওই ভিডিওতে ভুক্তভোগী এক আফগান ছাত্রীর অডিওবার্তাও ছিল। ওই ছাত্রী বলছিলেন, আমরা এই মুহূর্তে বিমানবন্দরে রয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দুবাই যেতে দিচ্ছে না। এমনকি মাহরাম থাকারাও অনুমতি পাচ্ছে না। আমি জানি না কী করব। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। এদিকে আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের বন্দ-ই-আমির জাতীয় পার্কে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। দেশটির নীতি ও নৈতিকতাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ হানাফি বলেন, দেখা গেছে পার্কে আসা নারীদের অনেকেই হিজাব পরছেন না। তাই এ বিষয়ে একটি সমাধান না আসা পর্যন্ত নারীরা ওই পার্কে প্রবেশ করতে পারবে না। এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে ধর্মীয় নেতা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বন্দ-ই-আমির আফগানিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। ২০০৯ সালে দেশটির প্রথম জাতীয় পার্ক হিসেবে এটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ঘুরে বেড়ানোর জন্য আফগান পরিবারগুলোর কাছে এই পার্কটি জনপ্রিয় স্থান। কিন্তু নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে তারা এখন সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং অবকাঠামোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক এবং অনন্য সৌন্দর্যমণ্ডিত বেশ কয়েক প্রাকৃতিক হ্রদ নিয়ে এই পার্কটি গড়ে উঠেছে।
২৯ আগস্ট, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের ৫ নাগরিককে গৃহবন্দি করল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের ৫ নাগরিককে গৃহবন্দি করেছে ইরান। তাদের কারাগার থেকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে বন্দিদের কারাগার থেকে মুক্তি দিল ইরান। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।  সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে জানিয়েছে, ইরান ও ওয়াশিংটন বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের দ্বৈত নাগরিক ৫ ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন সিয়ামাক নামাজি, ইমাদ সারঘি ও মোরাদ তাহবাজ। এ ছাড়া বাকি দুজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।  জারিদ গেনসার নামের এক আইনজীবী জানান, পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে চারজন ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দি ছিলেন। বুধবার (৯ আগস্ট) তাদের সেখান থেকে মুক্তি দিয়ে তেহরানের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি একজনকেও দ্রুতই মুক্তি দেওয়া হবে।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চুক্তির আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ হওয়া ৬০০ কোটি ডলার ফেরত চায় ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন জানান, এর মাধ্যমে বন্দিরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসার সুযোগ পাবেন।  আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুই ব্যক্তি দেশ দুটির মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আটকের ফলে দুটি দেশের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। আটককৃতদের পরিবারও বাইডেন প্রশাসনের কাছে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।  আটক ব্যক্তিদের একজন নামাজির ভাই বাবাক বলেন, ইরানে আটক ব্যক্তিরা কুখ্যাত এভিন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন এটা আনন্দের। এটা একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখাচ্ছে। এখন থেকে আমরা তাদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত দিন গুনতে থাকব।  চলতি বছরের মার্চে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ওয়াশিংটনের সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের সব প্রক্রিয়া বন্ধ বলে জানান। তবে তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র।  হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র আদ্রিনি ওয়াটসন পাঁচ ব্যক্তিকে গৃহবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  
১১ আগস্ট, ২০২৩

কারাগার থেকে গৃহবন্দি সু চি
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গত সোমবার (২৪ জুলাই) থেকে রাজধানী নাইপিডোর একটি সরকারি বাসভবনে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মিয়ানমারের কারাগারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ‍ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ২০২১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর তাকে কারাগারে এক বছরের বেশি সময় আটক করে রাখা হয়। বিভিন্ন মামলায় ৭৮ বছর বয়সী সু চিকে ৩৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব রায়েই বর্তমানে তিনি জেলে আছেন। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় সু চির অসুস্থতার বিষয়ে বেশ কয়েকবার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে গত দুই বছর ধরে তার শারীরিক অবস্থার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের জান্তা সরকারও এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি। আরও পড়ুন : মায়ের মুক্তি চাইলেন সু চির ছেলে ২০২১ সালে সেনাবাহনীর হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরুতে সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। পরে গত বছর মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিডোতে তাকে কারাবাসে পাঠানো হয়। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি প্রায় ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পান। সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট মিয়ানমারে বন্দি সু চি বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছিলেন। মিয়ানমার ও বিশ্বজুড়ে তার মুক্তি উদ্‌যাপন করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে চুপ থেকে তিনি সমালোচিত হন। সেসব নিপীড়িত রোহিঙ্গারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন।
২৮ জুলাই, ২০২৩

কারাগার থেকে এবার গৃহবন্দি সু চি
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। তবে কারাগার থেকে এবার তাকে গৃহবন্দি হিসেবে থাকতে হবে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সামরিক জান্তা। খবর বিবিসির। স্থানীয় সময় সোমবার রাজধানী নেপিদোর একটি সরকারি ভবনে সু চিকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে কারাগারের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তিনি প্রায় এক বছর ধরে নির্জন কারাবাসে শাস্তি ভোগ করছেন। ৭৮ বছর বয়সী এ নেত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩ বছরের সাজা হয়েছে। তখন থেকেই দেশটি গৃহযুদ্ধের দিকে চলে গেছে। সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারায় হাজার হাজার মানুষ। সেনা আদালতে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যেই তার সাজা ঘোষণা করা হয়। প্রায় দুই বছর ধরে সু চির অবস্থা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কারাগার থেকে তার স্থানান্তরের বিষয়টি সামরিক জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
২৮ জুলাই, ২০২৩
X