মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গত সোমবার (২৪ জুলাই) থেকে রাজধানী নাইপিডোর একটি সরকারি বাসভবনে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মিয়ানমারের কারাগারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
২০২১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর তাকে কারাগারে এক বছরের বেশি সময় আটক করে রাখা হয়। বিভিন্ন মামলায় ৭৮ বছর বয়সী সু চিকে ৩৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব রায়েই বর্তমানে তিনি জেলে আছেন।
কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় সু চির অসুস্থতার বিষয়ে বেশ কয়েকবার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে গত দুই বছর ধরে তার শারীরিক অবস্থার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের জান্তা সরকারও এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।
আরও পড়ুন : মায়ের মুক্তি চাইলেন সু চির ছেলে
২০২১ সালে সেনাবাহনীর হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরুতে সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। পরে গত বছর মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিডোতে তাকে কারাবাসে পাঠানো হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি প্রায় ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পান। সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট মিয়ানমারে বন্দি সু চি বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছিলেন। মিয়ানমার ও বিশ্বজুড়ে তার মুক্তি উদ্যাপন করা হয়েছিল।
তবে পরবর্তীকালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে চুপ থেকে তিনি সমালোচিত হন। সেসব নিপীড়িত রোহিঙ্গারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন