নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডার বেসরকারি খাতে দেওয়ার প্রতিবাদ
নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডার বেসরকারি খাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নাগরিকদের তথ্য বেসরকারি খাতে তুলে দেওয়া আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে ঐ সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়। এ সময় সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিটিআরসি এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যেখানে নাগরিকদের তথ্য ও সুরক্ষার জন্য আলাদা বিধিবিধান আইনের প্রয়োজন সেখানে নতুন করে তথ্য সুরক্ষার বদলে বেসরকারি খাতে নাগরিকদের তথ্য তুলে দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর জোহা বলেন, এর মাধ্যমে নাগরিকদের অর্থের নিরাপত্তার সাথে সাথে ভূমি এবং তার সম্পদের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করবে। বিশ্বের কোনো দেশেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য বেসরকারি খাতে দেওয়ার নজির নেই। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধানের ৪৩ এর (খ) ধারায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার কথা বলা রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৯ কোটি ২৬ লাখ সক্রিয় সিমের তথ্য মোবাইল অপারেটরগুলো নির্বাচন কমিশনের থেকে কেবল ৫ টাকা চার্জে যাচাই করতে পারছেন। কিন্তু গণমাধ্যম এবং অপারেটর সূত্রে জানতে পারছি, এই তথ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে তাদের গুনতে হবে ১০ টাকা। দিনশেষে এই অতিরিক্ত অর্থ গ্রাহকদের থেকেই আদায় করা হবে।   সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুবক্কর সিদ্দিক, সহসভাপতি লায়ন সাব্বির আহমেদ হাজরা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিলাসহ অন্যান্যরা।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

মোবাইল গ্রাহকের স্বার্থে বাজারে প্রতিযোগিতা আইন জরুরি
মোবাইল গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিযোগিতা আইন ও এসএমপি প্রবিধানমালার যথাযথ প্রয়োগের তাগিদ দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন তাগিদ দেন বক্তারা।  সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘টেলিযোগাযোগ খাতে বাজার প্রতিযোগিতা, মুঠোফোন গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, মার্কেটে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির জন্য কমিশন কাজ করবে। গ্রাহকদের অভিযোগ ও করণীয়বিষয়ক সুপারিশ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করার জন্য মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আগামী মাসে আমরা গণশুনানি অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছি। যা হবে ৮টি বিভাগে। এছাড়াও অনলাইনে শুনানি অনুষ্ঠিত করা হবে।  সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক সময় সিটিসেল বাজারে মনোপলি করত। এরপর গ্রামীণ টেলিকম ইনকামিং এবং আউটগোয়িং উভয়কলে ১০ টাকা করে চার্জ নিত। আবারও সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একটি অপারেটর ৫২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে আর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ৩.৫ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এই বৈষম্যের কারণেই নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ বা দেশি বিনিয়োগ আসতে চাচ্ছে না টেলিকম খাতে।  এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্স সেন্টার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সাবেক সচিব) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, গ্রামীণফোন লি: এর সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত, রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. ফজলে হুদা, বাংলালিংক লি: এর চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান, ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ রেগুলেটরি অফিসার আব্বাস ফারুক। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাছের।
১১ মার্চ, ২০২৪

ইতালির মিলানে জনতা এক্সচেঞ্জের গ্রাহক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিটারদের মাঝে গ্রাহক ও সুধী সমাবেশ করেছে ইতালিতে সফররত জনতা ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ইতালির মিলানোস্থ জনতা এক্সচেঞ্জের হল রুমে গ্রাহক সুধী সমাবেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ফরেন রেমিট্যান্স ডিপার্টমেন্টের ডিজিএম মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনতা এক্সচেঞ্জ এস আর এল মিলান ইতালি শাখা ব্যবস্থাপক মো. কামরুল হাসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনতা এক্সচেঞ্জ এস আর এল ইতালির এমডি ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন, মিলান লোম্বার্দিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল কবির জামান, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আকরাম হোসেন, মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কাওছার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত দলই, আশিফ শাহরিয়ার রাজিব, হারুন হাওলাদার, জুলহাস উদ্দিন আহমদ আহমেদ, কামরুল হাসান, মনিরুজ্জামান মিঠু প্রমুখ।  এ সময়ে ৭ ও ৮ মার্চ এবং আগামী পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনতা এক্সচেঞ্জ থেকে বিনামূল্যে রেমিট্যান্স প্রেরণের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়াত্ব একমাত্র ব্যাংক জনতার এজেন্ট চালু, ঋণ সহায়তা ও ইতালিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দাবি জানান প্রবাসীরা।
০৮ মার্চ, ২০২৪

গ্রাহক পর্যায়ে কমবে জ্বালানি তেলের দাম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চলতি মাসে দেশে গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমবে। রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।  চলতি মাসেই দাম কমবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, নতুন ফর্মুলায় শিগগিরই দেশে প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসেই গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রস্তাবিত নতুন দামের অনুমোদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।     এর আগে গত ১ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার। প্রাথমিকভাবে চলতি মার্চ থেকেই এ পদ্ধতি কার্যকর হবে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

পাওনা ফেরত পেলেন ইভ্যালির ১৫০ গ্রাহক
অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ১৫০ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল রোববার ঢাকায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে গ্রাহকদের পাওনা ফেরত দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভোক্তার মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান। এ সময় আরও ছিলেন কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, প্রশিক্ষণ ও প্রচার বিভাগের উপপরিচালক আতিয়া সুলতানা, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল প্রমুখ। অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিন জানান, ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রায় সাত হাজার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তাদের ব্যবসা কার্যক্রম চালু করলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে শোকজ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫০ অভিযোগ নিষ্পত্তি করে তাদের পাওনা ফেরত দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করা হবে। ভোক্তার ডিজি বলেন, সম্প্রতি ফের ব্যবসায় ফিরে আসার শর্তে জামিন পেয়ে ইভ্যালির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল বিগ ব্যাং অফার ঘোষণা করেন। তাদের শোকজ করা হলে ইভ্যালি অধিদপ্তরে একটি পরিকল্পনা জমা দেয়। ফের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে বলে অধিদপ্তর। এর ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহকের পাওনা ফেরতের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইভ্যালি ব্যবসা করতে পারলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পাওনা ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে ইভ্যালিকে অবশ্যই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি আইন ও বিধি-বিধান মেনে ব্যবসা করলে ইভ্যালি ব্যবসায়িক সুরক্ষা পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় হলে অধিদপ্তর ভোক্তার স্বার্থে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, যারা পাওনা ফেরত পেলেন তারা সৌভাগ্যবান। পর্যায়ক্রমে বাকিদের টাকাও ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিটিআরসিকে কঠোর হওয়ার আহ্বান মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা আদায়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।  রেভিনিউ শেয়ারিং, এস ও ফান্ডের টাকা, বিলম্ব ফি, লাইসেন্স ফিসহ কয়েক হাজার কোটি টাকা আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইএসপি অপারেটর, আইসি এক্স, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক, বিটিসিএলসহ বেসরকারি খাতের মোবাইল অপারেটর ও অন্যান্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে। এ সকল বকেয়া আদায়ে বিটিআরসিকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।  তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি যে, বিটিআরসি বিশেষ করে আইআইজি এবং আইজিডব্লিউ অপারেটরদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে নমনীয় আচরণ করতে যাচ্ছেন। নিয়ন্ত্রক কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাতে পারছি না। কারণ তাদের (বিটিআরসি) যদিও ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কিন্তু গত ২৪ নভেম্বর থেকে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি দেশের ৩৪টি লাইসেন্সধারী আইআইজির কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা আদায় করতে, বিশেষ করে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৮০ কোটি টাকা পাওনা উদ্ধার করতে প্রায় ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ে। যে ভোগান্তির ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, তাদের বকেয়ার কারণে দেশের জনগণের ভোগান্তি এবং বিভিন্ন জরুরি গুরুত্বপূর্ণ সেবায় বিঘ্ন ঘটার ফলে তাদের যেখানে শাস্তির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ কমিশনের, সেখানে লক্ষ্য করছি নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি উল্টো পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে নমনীয় হচ্ছে। কমিশনকে বকেয়া আদায় কঠোর হবার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রাহকদের ভোগান্তি সৃষ্টির জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক / এক বছরেই গ্রাহক বাড়ল ৪ লাখ
দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হচ্ছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)। জন্মলগ্ন থেকেই সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে দ্বিতীয় প্রজন্মের এই ব্যাংকটি। পণ্য ও সেবার অনন্য সব উদ্ভাবন নিয়ে গ্রাহকের দোরগোড়ায় হাজির সবসময়। ফলে প্রতিনিয়ত গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুধু ২০২৩ সালেই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৪ লাখ গ্রাহক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে, গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের বন্ধনকে দৃঢ় করে তার পণ্য ও সেবা। সে লক্ষ্যেই তারা পণ্য ও সেবার প্রসারে বছরব্যাপী ব্যাংকটির নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজনকে বিবেচনায় রেখে জনবান্ধব নতুন নতুন সেবা পণ্যের প্রবর্তন করা হয়েছে। যে কারণে জনসম্পৃক্ততাও পর্যায়ক্রমে বেড়েছে। সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়াহ পরিপালন করা এই ব্যাংক ক্রমান্বয়ে সব ধর্মের মানুষের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে বলেও দাবি কর্তৃপক্ষের। ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ব্যাংকের ডিপোজিট গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর বিদায়ী বছরে নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন ৪ লাখ। এর ফলে ব্যাংকের ডিপোজিটে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩-এ বৈদেশিক বাণিজ্য বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। নতুন গ্রাহক ও নতুন হিসাবের স্থিতির ফলে ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে কাজ করে। আর সেই কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করার মাধ্যমে গ্রাহকের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে মানব কল্যাণ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। তিনি আরও জানান, গত এক বছরে আমরা হকার, ড্রাইভার, রিটায়ার্ড সিটিজেন, প্রবাসী গ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সঞ্চয় স্কিম দিয়েছি, যা গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে সেবা-পণ্য চালু করছি। তা ছাড়া গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা দেওয়া আমরা নিজেদের দায়িত্ব বলেই মনে করে থাকি।
০১ জানুয়ারি, ২০২৪

সক্রিয় গ্রাহক লেনদেন কমেছে
বাড়তি টাকা ছাড়াই ঘরে বসে খোলা যায় হিসাব। শহর বা গ্রাম—নিমেষেই পাঠানো যায় টাকা। কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, ঋণ গ্রহণসহ যুক্ত হচ্ছে নানা ধরনের নতুন সেবা। ফলে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় (এমএফএস) আগ্রহের পাশাপাশি বাড়ছে নির্ভরশীলতা। বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যাও। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট গ্রাহক বেড়েছে। কিন্তু কমেছে সক্রিয় গ্রাহক এবং লেনদেন। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার, যা আগস্টে ছিল ৫০ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৪৭৬ জন। তবে গত এপ্রিলে গ্রাহকসংখ্যা ২০ কোটির ঘর অতিক্রম করে। ওই সময় গ্রাহক ছিল ২০ কোটি ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২১০। এরপর মে মাসে গ্রাহক বেড়ে হয় ২০ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ১৮৬ জন। জুনে ২০ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৬ এবং জুলাইয়ে ছিল ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৩৪ জন। গ্রাহকসংখ্যা বাড়লেও সেপ্টেম্বরে লেনদেন কিছুটা কম হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সেপ্টেম্বরে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগস্টের চেয়ে ১ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা কম। ওই মাসে লেনদেন হয় ১ লাখ ৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। সার্বিক লেনদেন কিছুটা কমলেও দৈনিক গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এ সময় গড়ে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা, যা আগের মাসে ছিল ৩ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ডাক বিভাগের সেবা নগদ একই ধরনের সেবা দিচ্ছে। এখন গ্রাহক ঘরে বসেই ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহক সম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে ঝামেলা ছাড়াই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে হিসাব খোলার সুযোগ পাচ্ছেন। সেপ্টেম্বরে নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার ৭ ও নারী ৯ কোটি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭১। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬-এ। নিয়ম অনুযায়ী, টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি—এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় গণ্য করে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই হিসাবে সেপ্টেম্বর শেষে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৬ হাজার, যা আগস্টে ছিল ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার। সেই হিসাবে চলতি মাসে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা কিছুটা কমেছে। সেপ্টেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ঢুকেছে ৩৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আর উত্তোলন হয়েছে ২৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। এ সময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩০ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। রেমিট্যান্স এসেছে ৫২০ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবার দুই হাজার ৯১৬ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয়। কেনাকাটায় ৪ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং বাজারের বেশিরভাগই বিকাশের দখলে।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলে বিটিআরসির দেওয়া বক্তব্য সাংঘর্ষিক
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তিনদিনের বা স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের ঘোষণা এবং জরিপ প্রতিবেদন সাংঘর্ষিক বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।  আজ রোববার বিটিআরসির তিনদিনের প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়া জানায় অ্যাসোসিয়েশন।  এতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এক হাজার ৬০০ গ্রাহকের তথ্য এবং  তাদের বক্তব্য অনুযায়ী। ১৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৬০০ গ্রাহকের চাহিদা তিনদিনের ইন্টারনেট না থাকা। কিন্তু এই সকল গ্রাহকের আচরণ কী, তারা কী ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নাই। আবার ওনারাই বলছেন ৬৯ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হচ্ছে তিনদিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারকারী। আবার তারা বলছে তিনদিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করার ফলে গ্রাহকরা প্রতারিত হয়েছেন অপারেটরদের অনৈতিক কার্যক্রমের কারণে।  মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন অপারেটররা যদি অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করল না কেন? আবার অনৈতিক অর্থের লভ্যাংশ বিটিআরসি গ্রহণ করল কেন? সর্বশেষ ক্ষুদ্র প্যাকেজের মূল্য কী হবে তার ঘোষণা নয় কেন? প্যাকেজের গায়ে মেয়াদ থাকবে কেন? বা মেয়াদ তুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলো না কেন? বিটিআরসির তথ্য উপস্থাপন এবং বক্তব্য ক্ষুদ্র প্যাকেজ তুলে দেওয়ার সঙ্গে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক। আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সমাধান না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। 
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ তুলে দিয়ে ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধি গ্রাহক স্বার্থবিরোধী
মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজ কমিয়ে স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ তুলে দিয়ে ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থবিরোধী বলে মনে করছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এমন সিদ্ধান্তে গ্রাহকের প্যাকেজ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাকেও ক্ষুণ্ন করবে বলেও মনে করে সংগঠনটি।  আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক গ্রাহক সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।  মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল অপারেটরদের ব্যবসা বাড়ানোর হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকার, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো একজোট হয়ে কাজ করছে। বর্তমান যুগের বাস্তবতায় মােবাইল ইন্টারনেট এখন কোনো বিলাসী পণ্য-সেবা নয়, বরং খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের মতো এটিও একটি মৌলিক পরিষেবা হয়ে উঠেছে। অথচ নানা সময় বিভিন্ন ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে সরকার অথবা সেবাদাতা মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়িয়েছে। যেখানে অপারেটরদের এ হেন অশুভ তৎপরতা রুখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এগিয়ে আসার কথা সেখানে উল্টো মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়াতে তারা যেন অপারেটরের সহযােগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফজলুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু, গ্রিন পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, এনডিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য শাজাহান খান, ডা. আমিনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদসহ প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর জারি করা এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটরদের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X