বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা আদায়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
রেভিনিউ শেয়ারিং, এস ও ফান্ডের টাকা, বিলম্ব ফি, লাইসেন্স ফিসহ কয়েক হাজার কোটি টাকা আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইএসপি অপারেটর, আইসি এক্স, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক, বিটিসিএলসহ বেসরকারি খাতের মোবাইল অপারেটর ও অন্যান্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে। এ সকল বকেয়া আদায়ে বিটিআরসিকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি যে, বিটিআরসি বিশেষ করে আইআইজি এবং আইজিডব্লিউ অপারেটরদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে নমনীয় আচরণ করতে যাচ্ছেন। নিয়ন্ত্রক কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাতে পারছি না। কারণ তাদের (বিটিআরসি) যদিও ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কিন্তু গত ২৪ নভেম্বর থেকে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি দেশের ৩৪টি লাইসেন্সধারী আইআইজির কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা আদায় করতে, বিশেষ করে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৮০ কোটি টাকা পাওনা উদ্ধার করতে প্রায় ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ে। যে ভোগান্তির ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, তাদের বকেয়ার কারণে দেশের জনগণের ভোগান্তি এবং বিভিন্ন জরুরি গুরুত্বপূর্ণ সেবায় বিঘ্ন ঘটার ফলে তাদের যেখানে শাস্তির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ কমিশনের, সেখানে লক্ষ্য করছি নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি উল্টো পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে নমনীয় হচ্ছে। কমিশনকে বকেয়া আদায় কঠোর হবার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রাহকদের ভোগান্তি সৃষ্টির জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন