মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজ কমিয়ে স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ তুলে দিয়ে ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থবিরোধী বলে মনে করছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এমন সিদ্ধান্তে গ্রাহকের প্যাকেজ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাকেও ক্ষুণ্ন করবে বলেও মনে করে সংগঠনটি।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক গ্রাহক সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল অপারেটরদের ব্যবসা বাড়ানোর হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকার, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো একজোট হয়ে কাজ করছে। বর্তমান যুগের বাস্তবতায় মােবাইল ইন্টারনেট এখন কোনো বিলাসী পণ্য-সেবা নয়, বরং খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের মতো এটিও একটি মৌলিক পরিষেবা হয়ে উঠেছে। অথচ নানা সময় বিভিন্ন ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে সরকার অথবা সেবাদাতা মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়িয়েছে। যেখানে অপারেটরদের এ হেন অশুভ তৎপরতা রুখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এগিয়ে আসার কথা সেখানে উল্টো মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়াতে তারা যেন অপারেটরের সহযােগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফজলুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু, গ্রিন পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, এনডিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য শাজাহান খান, ডা. আমিনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর জারি করা এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটরদের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন