ফিলিস্তিন ইস্যুতে চবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্টে’ সংহতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’ বলে স্লোগান দিতে দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ফিলিস্তিনের চলমান স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু মুসলিমদের ইস্যু নয়, এটা গোটা মানবজাতির মানবতার ইস্যু। আজকের এই মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। সবচেয়ে বড় মূল্যবান বিষয় হলো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়ানো। ফ্যাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইশতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক বিষয় হলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষত স্বয়ং ইসলরায়েলের সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ও ইসলরায়েলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আন্দোলন করছে। অথচ আরবরা জাতি ভাই হয়েও আজ নির্বিকার, আরব শাসকগোষ্ঠীসহ জনগণ পর্যন্ত ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে আছে। তাদের এই ভণ্ডমী একদিন তাদের পতনের কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ। যে জাতি স্পেন বিজয় করতে পারে, সে জাতি আজ নিজের বোনের আর্তনাদ শুনতে পায় না। আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়ামত উল্লাহ ফারাবী বলেন, আমেরিকা গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজে আমাদের মানবাধিকার শেখাতে আসে, অথচ খোদ তাদের ঘরেই প্রতিনিয়ত মানবতা লঙ্ঘন হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, অথচ মার্কিন প্রশাসন সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে পায় না। গত ৮ মাসের জুলুমের করাল গ্রাসে আমাদের ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ভাই শহীদ হয়েছেন, শহীদদের কাতার আরও লম্বা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব বিবেক এখনও আইসিইউতে রয়ে গেছে। আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে ইসরাইল ও তাদের দোসরদের সকল পণ্য বয়কট ঘোষণা করছি।
০৬ মে, ২০২৪

চবির অধিভুক্ত হলো আরও ৪ কলেজ 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত হয়েছে আরও ৪টি কলেজ। এর আগে চট্টগ্রামের আরও ৫টি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। সবমিলিয়ে এখন মোট ৯টি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে।  রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগমের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত ৯টি (পুরাতন ৫টিসহ) কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য এ বিভাগ হতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নতুন চারটি কলেজ হলো, সরকারি সিটি কলেজ, চন্দনাইশ গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ও পটিয়া সরকারি কলেজ। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, এমতাবস্থায় উক্ত অনুশাসন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ যেমন, বিদ্যমান বিধি-বিধান সংশোধন (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) ও অপরাপর করণীয় বিষয় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ এপ্রিল নিম্নোক্ত ৫টি কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কলেজগুলো হলো, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, বোয়ালখালী, সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
‘মহান স্বাধীনতা দিবস’ ও জাতীয় দিবস উদযাপন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা-২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে মোট ৩১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা এবং ১৭ মার্চ ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলায়তনে আলোচনা সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।  অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে। দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ২৫শে মার্চ রাতে যে গুলিবর্ষণ হয়েছিল তা আজও আমাদের নাড়া দেয়। সেই রাতে মায়েরা তাদের সন্তান নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রাত্রিযাপন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্ব আর দিকনির্দেশনায় আমরা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করেছি। উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. আবু তাহের বলেন, অতীতে কী হয়েছে সেগুলো আমি ভাবতে চাই না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিধি আইনের শাসন ন্যায়বিচার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসন শোষণে জর্জরিত ২৩ বছর পাকিস্তান শাসন শোষণ থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দেশের স্বাধীনতা মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনের দীর্ষ সময় অতিবাহিত হয়েছে কারাগারে। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে দেশের মুক্তির জন্য। ১৭৫৭ সালে এদেশে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ গড়ে ওঠে। ইতিহাসের শুরু থেকেই সবাই এদেশকে শোষণ করে গেছে, কেউ স্বাধীনতা দেয়নি। ১৯৭১ সালে বিশ্ব মোড়লরা রাশিয়া আর ইন্ডিয়া বাদে সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। বর্তমানে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা চলছে।  উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীত বাঙালি জাতির অহংকার। এর অবমাননা করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু শোষিত মানুষের জন্য সংবিধানে সমাজতন্ত্র অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ভাবে গড়ে তুলতে তাদের অনুপ্রেরণা দিতে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছি।  আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো জিনিস আমাকে আন্দোলিত করে আর খারাপ কাজগুলো ব্যথিত করে। আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়ে উপাচার্য প্রমাণ করলেন তিনিই এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তি।  এর আগে সাবেক ভিসি ৭৩ এর আইন লঙ্ঘন করে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি করে গিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমাদের নৈতিক দায়িত্বের জায়গা থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছি। রাষ্ট্রপতি আমাদের প্রতিবাদকে সম্মান জানিয়েছেন। নতুন আরেকজন যোগ্য উপাচার্য আমাদের উপহার দিয়েছেন। এছাড়া দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, চবি অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সুধীবৃন্দ।
২৬ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩১তম ব্যাচের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ঢাকায় বসবাসরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩১তম ব্যাচের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানী উত্তরায় অভিজাত এক রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ঢাকায় বসবাসরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম ব্যাচের সব বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। ইফতার মাহফিলে ৩১তম ব্যাচের আইন বিভাগের ছাত্র, সিটি ব্যাংকের হেড অব লিগ্যাল ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভোকেট শওকত হাসানের অকাল মৃ্ত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুদের পেয়ে আড্ডা-আলোচনায় ইফতার মাহফিল প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা / চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত প্রায় ১০ শতাংশ পরীক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা, আইন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এই অনুষদে চবি কেন্দ্রে মোট আবেদন করে ৮ হাজার ১৯২ শিক্ষার্থী। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৭ হাজার ৪৪৭ পরীক্ষার্থী। উপস্তিতির হার ৯০.৯১%। অনুপস্থিতির হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন বি ইউনিটের চবি কেন্দ্রের সমন্বয়ক আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় ভর্তিপরীক্ষা শুরু হয়। অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকক বলেন, 'খ' ইউনিটে চবি কেন্দ্রে সর্বমোট ৮ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ হাজার ৪৪৭ জন উপস্থিত ছিলেন। শতকরা উপস্থিতির হার ৯০ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ ছাড়া অনুপস্থিত ছিলেন ৭৪৫ জন। তিনি আরও বলেন, আজকের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  এবারের ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট বরাদ্দ। এমসিকিউ-তে প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ মার্ক কাটা যাবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের (জিপিএ) ওপর ২০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ভোগান্তি এড়াতে আট জোড়া শাটল ট্রেনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং বিভিন্ন জেলা স্টুডেন্ট'স অ্যাসোসিয়েশন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছে। পাহাড়তলী কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা জুলিয়ান ফার্নান্ডেজ কালবেলাকে জানান, গতবারের তুলনায় একটু সহজ হয়েছে পরীক্ষা। কিন্তু বাংলার রিটেন অংশ আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে। এদিকে গতবারের মতো এ বছরও বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তিপরীক্ষা হওয়ায় খুশি অভিভাবকরা। চকরিয়া থেকে বোনকে নিয়ে এসেছেন পেশায় শিক্ষক ফরহাদ উদ্দীন । তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পরীক্ষা হওয়ায় কোনো অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। সময় নষ্ট হয়নি। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নিতে পারে। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আজ ঢাবির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা সুন্দরভাবেই হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যেন কোনো ভোগান্তি না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ নজরদারি ছিল।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ধর্ষণচেষ্টা ইস্যুতে ফের উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার ইস্যুতে ফের উতপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। অভিযোগ দেওয়ার ১১ দিন পরও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। চলে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। এ সময়  নিরাপদ ক্যাম্পাস ও অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য, সহউপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেয়। রসায়ন বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী কালবেলাকে জানিয়েছেন, তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ দুই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছে চবি কর্তৃপক্ষ। এর আগে স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী। রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং থিসিসের সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র দেন ওই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তদন্তপূর্বক ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ধর্ষণচেষ্টার এ ঘটনা এখনো অভিযোগ কমিটি তদন্ত করছে। অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পরিচালক জরিন আখতার জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দু-এক দিন সময় লাগতে পারে। এখন প্রতিবেদন লেখা ও সম্পাদনার কাজ করছেন। এটি সম্পন্ন হলে জমা দেওয়া হবে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্তে  বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়িন সেল তদন্তে নেমেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে  মো. মাহবুবুল মতিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমেদ স্বাক্ষরিত  রোববারের (৫ ফেব্রুয়ারি) একটি চিঠির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গঠিত তদন্ত কমিটির স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী তিনি জীবিকা ভাতাদি পাবেন।’
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X