দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে সর্বত্র। একদিকে জনমতকে উপেক্ষা করে শরীফ থেকে শরীফার গল্প কারিকুলামে বহাল রাখার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে। অপরদিকে চট্টগ্রামে চক্ষু হাসপাতালে বোরকা নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন রেজাউল করীম। তিনি বলেন, বৃষ্টির জন্য আল্লাহর রহম কামনা করে সালাতুল ইসতিসকার আয়োজন করতে দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসব কীসের আলামত? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দান করেছেন মুসলমান স্যার সলিমুল্লাহ। মুসলমানের ভূমিতে নামাজ হবে, ইফতার হবে, কুরআনের ক্লাস হবে, ইসলাম চর্চা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কী হচ্ছে? মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করে ঢাবিতে হোলি খেলা হয়, তাতে তো কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি ঢাবি কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও বলেন, ইসলাম ও ইসলামি মূল্যবোধ নিয়ে চক্রান্ত করলে ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে জীবন ও রক্ত দিয়ে হলেও দেশ ও ইসলামবিরোধী চক্রান্ত রুখে দাঁড়াবে। এদিকে ফরিদপুরের মধুখালীতে শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল সফলের আহ্বান জানান চরমোনাই পীর।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু কার ইঙ্গিতে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাঁদাবাজি ও মাস্তানির কারখানা বানিয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনীতি নিষিদ্ধ। হঠাৎ করে তা আদালতের মাধ্যমে চালু করে উত্তপ্ত করে তুলছে কার ইঙ্গিতে? মেধাবী ছাত্ররা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে চায়। তারা জ্ঞানের চর্চায় বিশ্বাসী, তারা ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে চায়। ছাত্ররা রাজনীতি না চাইলে তাদেরকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে এসে শিক্ষাঙ্গনকে উত্তপ্ত করার মানে হয় না। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, দেশ ক্রমেই ভয়াবহতার দিকে এগুচ্ছে। আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে গিলে খাওয়ার চক্রান্ত করছে। শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় দিক্ষা না থাকলে মানুষ দুর্নীতি মুক্ত হতে পারে না। সরকারে শিক্ষিত মানুষের অভাব নাই, কিন্তু ইসলামে দিক্ষিত মানুষের বড়ই অভাব। তাই দেশ আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এজন্য শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকলে দেশের এমন পরিস্থিতি হতো না। ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, আমাদের পেছনে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে, যারা দেশ পরিচালনা করে, তাদের দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম ও জ্ঞানের অভাব। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আর যেন আবরারদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে  দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি ও মস্তানির কারখানায় পরিণত করে শিক্ষার মাজা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলো। দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমীর আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, শওকত আলী হাওলাদার, আব্দুর রহমান, মাওলানা ফজলুল করীম মারূফ, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আবুল কাশেম, শরিফুল ইসলাম তালুকদার, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এম হাছিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা খলিলুর রহমান, নূরুল ইসলাম আলআমিন, আবুল কালাম আজাদ, বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, ডা. দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের অসংখ্য মানুষ খাবারের কষ্ট পাচ্ছে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, শাসক গোষ্ঠীর উন্নয়নের বুলি মিথ্যায় পর্যবসিত হয়েছে। উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসলেও সারাদেশে অসংখ্য মানুষ খাবারের কষ্ট পাচ্ছে। শ্রমিকরা খাবারের কষ্ট পাচ্ছে। উন্নয়নের যে সব কথা শোনা যায় তা নির্দিষ্ট লোকজনের উপকারে কাজে আসছে। সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে না। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পুষ্পদাম রেস্টুরেন্টে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ইসলামী শ্রমনীতি কল্যাণমুখি অর্থনীতি ও শ্রমিক বান্ধব রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় মাহে রমজানের ভুমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশে দুর্নীতি এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, যদি দুর্নীতি বন্ধ হয় তাহলে এক বছরেই কয়েকটা পদ্মা সেতু তৈরি করা সম্ভব। মুফতি রেজাউল করিম বলেন, বিরোধী দল ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। এতে ভারত যতটুক না ক্ষিপ্ত, তার চেয়ে সরকার দলীয় লোকজন বেশি ক্ষিপ্ত। এটা ভাল লক্ষণ নয়। তিনি বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন না থাকায় শ্রমিকরা লাঞ্ছিত-বঞ্চিত ও অবহেলিত। বিভিন্ন মিল-কারখানায় সামান্য অজুহাতে শ্রমিক হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া ও বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এএএম ফয়েজ হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিন্টু, নির্মাণ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গণী, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি প্রভাষক আব্দুল করীম, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া, গণঅধিকার শ্রমিক পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, গণমুক্তি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মোমেন, সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ওয়ায়েজ হোসেন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, আলহাজ্ব শাহাদাত হোসাইন কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতারা।
২৯ মার্চ, ২০২৪

রমজানের সম্মান রক্ষায় সরকার ব্যর্থ: চরমোনাই পীর
মাহে রমজানের সম্মান রক্ষায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।  শনিবার (২৩ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ১২তম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।  আলোচনায় দলের নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিম, মাদ্রাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন। জিয়াউল করীম বলেন, একদিকে নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের আহাজারি চলছে। মানুষের আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো মিল নেই। এ জন্য দেশে আশঙ্কাজনকহারে ভিক্ষাবৃত্তি বাড়ছে। সর্বত্র গরিব ও অসহায় মানুষের আহাজারি চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, রোজাদার মানুষের সম্মানে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম। সবাই সিন্ডিকেট করে রোজাদারদের কষ্ট দেয়।  চরমোনাই পীর দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার হঠাৎ করে কেন কোরআন ও ইফতারের বিরুদ্ধে অবস্থা নিল, তা ভেবে দেখতে হবে। ভিনদেশিদের খুশি করতে দেশের মানুষের ঈমান ও আমলের উপর ছুরি চালাবেন তা হবে না।  তিনি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনার রোজাদারদের পক্ষে, কোরআনের পক্ষে থাকবেন না ভিনদেশি সংস্কৃতির পক্ষে থাকবেন এটা স্পষ্ট হওয়া উচিত। কেননা আমরা দেখছি, স্বরস্বতি পূজায় কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ৭২টি পূজামণ্ডপ করা হয়। আর ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন তিলাওয়াত এবং ইফতারে নিষেধাজ্ঞা করে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে।
২৩ মার্চ, ২০২৪

ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত চলছে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, রমজান, ইফতার, কোরআন, হিজাব মুসলমানদের কাছে প্রিয় বস্তু। এ নিয়ে চক্রান্ত করলে তাদের আখের ভালো হয় না। কতিপয় ইসলামবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরার চক্রান্ত করছে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইসলাম ও মহানবী (সা.) এর ওপর কোনো আঘাত সহ্য করা হবে না’ তাহলে ইসলাম, হিজাব, নামাজ ইত্যাদি নিয়ে কেনো বার বার আঘাত করা হচ্ছে? মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৮ম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশও সে ষড়যন্ত্রের বাইরে নেই। সরকারের ভিতর ও বাইরে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় নাস্তিক-বেঈমান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিষোদগার করে যাচ্ছে। নাস্তিক-বেঈমানরা কেনো বার বার ইসলাম ও মুসলমানদেরকে তাদের লক্ষ্যস্থলে পরিণত করছে? চরমোনাই পীর আরও বলেন, ইসলামের আবশ্যক পালনীয় বিধান হিজাব পরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর মহিলাদের নামাজ পড়া নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছিল। এবার ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা করে, কোরআনের ক্লাসের কারণে শোকজ করে এবং ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারী রোজাদার ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলা ও রক্তাক্তকরণ আমাদেরকে ভিন্ন ম্যাসেজ দিচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিতদের এই এলার্জি সরকারের করুণ পরিণত বয়ে আনবে। ইসলাম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা অতীতেও রেহাই পায়নি, বর্তমানেও পাবে না।
১৯ মার্চ, ২০২৪

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিষবাষ্প ছড়িয়ে গোলযোগ বাধানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। হিজাবধারী শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করা এবং ভাইভাতে হিজাব না খুললে ভাইভা না নেওয়া, ঢাবিতে কোরআন শিক্ষা ক্লাস নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং ইফতার মাহফিলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, রোজাদার শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা এ সবই ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সোমবার (১৮ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৭ম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ছাড়াও দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীমসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে দেশময় সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার চলছে। যা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। কালজয়ী আদর্শ ইসলাম নিয়ে বিগত দিনেও গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু তাদের মূল টার্গেট ইসলাম কেনো? ইসলাম ধর্ম, পর্দা, হিজাব, নামাজ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।  তিনি বলেন, কারা এভাবে সম্প্রীতি বিনষ্টে মাঠে নেমেছে, এগুলো পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। মাহে রমজানে কারা দেশকে উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে। সরকারকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ইসলামের বিধান হিজাব নিয়ে, ইসলাম নিয়ে অবমাননা করলে তাদেরও বিচার হবে না কেনো? চরমোনাই পীর আরও বলেন, রমজান মাস ইবাদত বন্দেগী করে নিজেকে গড়ে তোলার মাস। কাজেই সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ ছেড়ে নিজেকে গড়ে তুলতে না পারলে মাহে রমজান আমাদের জীবনে কোনো উপকার আসবে না। তিনি রোজার মাসের সম্মানে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখা এবং ভয়াবহ গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান ও জনদুর্ভোগ নিরসনে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৮ মার্চ, ২০২৪

শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে: চরমোনাই পীর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মানুষ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষকরা। আজ শিক্ষকদের চরিত্র যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে? শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, দেশের সব পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বিচার চেয়ে দিনের পর দিন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। এটা কোনোভাবেই আত্মহত্যা নয়, এটি একটি খুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মানসপটে যদি অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে নারীরা দেশের কোথাও নিরাপদ নয়।
১৮ মার্চ, ২০২৪

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে দরকার আল্লাহভীরু নেতৃত্ব : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, রমজান মাসের সম্মানে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়, ব্যতিক্রম বাংলাদেশে। বাংলাদেশে রমজানের প্রতি ন্যূনতম সম্মানবোধ তো নেই-ই, উল্টো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়। রমজান মাসের মূল শিক্ষা হলো- আল্লাহভীতি অর্জন করা। মানুষের জীবনের সকলক্ষেত্রে আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারলে এধরণের মানুষ দ্বারাই কেবল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। শনিবার (১৬ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে বিশেষ তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় চরমোনাই পীর ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় না থাকায় দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকে সে কখনো রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারে না। ব্যাংক লুটের মতো কাজে সম্পৃক্ত হতে পারে না। কাজ না করেই বিল উত্তোলন করতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহভীরু শাসক প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষ মানুষকে খুন, হত্যা করছে। এমতাবস্থায় রমজানের শিক্ষাগ্রহণ করে আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুফতী রেজাউল করীম বলেন, সরকার দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ না নিলেও ইফতার বন্ধ করতে কাজ করে। অতীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইফতারের বরাদ্দ বাতিল করে দিয়ে রমজানের প্রতি অসম্মান করছে। সরকার বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যাংক, শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে সবকিছু লুট করছে। তিনি বলেন, আমদানিসহ বাজারব্যবস্থাও চলছে সরকারের সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। রমজানে অসহায় মানুষের আহাজারি আল্লাহর আরশ কাপিয়ে তুলছে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

নুরানি ও কওমি মাদ্রাসা বন্ধের চক্রান্ত রুখে দিতে হবে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর (চরমোনাই পীর) মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, নুরানি ও কওমি মাদ্রাসা বন্ধের চক্রান্ত করলে দেশের ঈমানদার জনতা তা রুখে দিবে।  ‘সারা দেশে যত্রতত্র কওমি-নুরানি মাদ্রাসা বাড়ছে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে’ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের এমন মন্তব্যে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। চরমোনাই পীর বলেন, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমার কারণ মাদ্রাসা নয় বরং শিক্ষা কারিকুলাম। শিক্ষা কারিকুলামে ভিনদেশি শিক্ষার অনুপ্রবেশের কারণে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমছে। এর দায়ভার কোনোভাবেই নুরানি মাদ্রাসা বা কওমি মাদ্রাসা নয়। এর দায়ভার শিক্ষামন্ত্রীকেই নিতে হবে। শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধনের দাবিকে পাশ কাটিয়ে মাদ্রাসার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা সরকার ও শিক্ষামন্ত্রীর জন্য সুখকর হবে না। প্রাথমিক শিক্ষার্থী কমার অজুহাতে কওমি ও নুরানি মাদ্রাসার ওপর হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। নুরানি ও কওমি মাদ্রাসা নিয়ে নতুন চক্রান্ত ঈমানদার জনতা রুখে দাঁড়াবে। রেজাউল করীম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আরও ঢেলে সাজানোসহ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং কোরআন শিক্ষার জন্য নুরানি মুয়াল্লিম নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে অধিকাংশ মানুষের চিন্তা চেতনার আলোকে শিক্ষা কারিকুলাম ঢেলে সাজাতে হবে। সেইসঙ্গে শিক্ষার সকল অসঙ্গতি দূর করতে হবে। এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের চিন্তা চেতনাকে পাশ কাটিয়ে চলমান শিক্ষা কারিকুলাম বহাল কখনো দেশপ্রেমিক ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। চরমোনাই পীর বলেন, শিক্ষায় পূর্বের ন্যায় নবী-রাসূল, সাহাবায়ে কেরামসহ মুসলিম মনীষীদের জীবন চরিত সংযোজন করতে হবে। আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে।
০৪ মার্চ, ২০২৪

বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা সুখকর হবে না : চরমোনাই পীর
জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ধরনের নির্দেশে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, সরকার দেশে বাকশাল কায়েমের চক্রান্ত করছে। সরকার দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের জন্যই খোড়া অজুহাতে ব্য়াতুল মোকাররম এলাকায় মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে। বায়তুল মোকারম মসজিদ গেটে যে সকল ইসলামী দল মিছিল মিটিং করেন, তারা মূলত মসজিদের সম্মান রক্ষা করে এবং মুসল্লিদের যেন কোন সমস্যা না হওয়া সেদিকে সুদৃষ্টি রেখেই মিছিল মিটিং করে থাকেন। কাজেই নামাজে আসা মুসল্লিরা আতঙ্কিত হওয়ার অজুহাতে জাতীয় মসজিদ এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করলে তা সরকারের জন্য সুখকর হবে না। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার পর সরকার বিরোধী দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরকার জনরোষের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বিরোধী দলসহ ইসলামী দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে সরকার। ঐতিহাসিক প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা সফল হবে না। রাজনীতি, মিছিল মিটিং নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ৪১ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনও ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; (খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ- সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাজেই মুসল্লিরা ভয় পান, আতঙ্কিত হন এই অজুহাতে মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের এখতিয়ার কারো নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণরোষ সৃষ্টি হবে। কাজেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে বিরত থাকতে হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X