বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু কার ইঙ্গিতে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাঁদাবাজি ও মাস্তানির কারখানা বানিয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনীতি নিষিদ্ধ। হঠাৎ করে তা আদালতের মাধ্যমে চালু করে উত্তপ্ত করে তুলছে কার ইঙ্গিতে? মেধাবী ছাত্ররা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে চায়। তারা জ্ঞানের চর্চায় বিশ্বাসী, তারা ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে চায়। ছাত্ররা রাজনীতি না চাইলে তাদেরকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে এসে শিক্ষাঙ্গনকে উত্তপ্ত করার মানে হয় না।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, দেশ ক্রমেই ভয়াবহতার দিকে এগুচ্ছে। আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে গিলে খাওয়ার চক্রান্ত করছে। শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় দিক্ষা না থাকলে মানুষ দুর্নীতি মুক্ত হতে পারে না। সরকারে শিক্ষিত মানুষের অভাব নাই, কিন্তু ইসলামে দিক্ষিত মানুষের বড়ই অভাব। তাই দেশ আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এজন্য শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকলে দেশের এমন পরিস্থিতি হতো না।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, আমাদের পেছনে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে, যারা দেশ পরিচালনা করে, তাদের দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম ও জ্ঞানের অভাব। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আর যেন আবরারদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি ও মস্তানির কারখানায় পরিণত করে শিক্ষার মাজা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলো।
দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমীর আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, শওকত আলী হাওলাদার, আব্দুর রহমান, মাওলানা ফজলুল করীম মারূফ, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আবুল কাশেম, শরিফুল ইসলাম তালুকদার, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এম হাছিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা খলিলুর রহমান, নূরুল ইসলাম আলআমিন, আবুল কালাম আজাদ, বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, ডা. দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
০২ এপ্রিল, ২০২৪