ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিষবাষ্প ছড়িয়ে গোলযোগ বাধানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
হিজাবধারী শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করা এবং ভাইভাতে হিজাব না খুললে ভাইভা না নেওয়া, ঢাবিতে কোরআন শিক্ষা ক্লাস নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং ইফতার মাহফিলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, রোজাদার শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা এ সবই ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।
সোমবার (১৮ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৭ম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ছাড়াও দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীমসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে দেশময় সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার চলছে। যা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। কালজয়ী আদর্শ ইসলাম নিয়ে বিগত দিনেও গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু তাদের মূল টার্গেট ইসলাম কেনো? ইসলাম ধর্ম, পর্দা, হিজাব, নামাজ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, কারা এভাবে সম্প্রীতি বিনষ্টে মাঠে নেমেছে, এগুলো পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। মাহে রমজানে কারা দেশকে উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে। সরকারকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ইসলামের বিধান হিজাব নিয়ে, ইসলাম নিয়ে অবমাননা করলে তাদেরও বিচার হবে না কেনো?
চরমোনাই পীর আরও বলেন, রমজান মাস ইবাদত বন্দেগী করে নিজেকে গড়ে তোলার মাস। কাজেই সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ ছেড়ে নিজেকে গড়ে তুলতে না পারলে মাহে রমজান আমাদের জীবনে কোনো উপকার আসবে না।
তিনি রোজার মাসের সম্মানে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখা এবং ভয়াবহ গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান ও জনদুর্ভোগ নিরসনে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন