ফার্নিচার কারখানায় লুকানো ছিল ৬০০ বস্তা চিনি
চট্টগ্রামে অবৈধভাবে মজুত করা ৬০০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মো. আবদুর রব্বানি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নগরের বহদ্দারহাটের এক কিলোমিটার এলাকার নাফিজ গলিতে অবস্থিত একটি ফার্নিচার কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে এসব চিনি জব্দ করা হয়।  অভিযানে নেতৃত্ব দেন নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। আটক মো. আবদুর রব্বানি (৪৫) চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কুচুখাইন এলাকার মৃত ফজল আহমেদের ছেলে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, অবৈধভাবে মজুদ করা প্রায় ৬০০ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করা হয়েছে। মজুদ করা চিনি ভারতীয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা। এ সময় কারখানার মালিক চিনি কেনার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। কারখানার মালিককে আটক করে চান্দগাঁও থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়।  অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের এবং চান্দগাঁও থানার এসআই রিয়াদ উছ সালেহীন ও পুলিশের একটি দল।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

আব্দুল মোনেম গ্রুপের চিনি কারসাজি, ব্যাংক হিসাব জব্দ
দেশে ভোগ্যপণ্য নিয়ে কারসাজি নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এবার চিনি নিয়ে কারসাজি করতে গিয়ে ফেঁসে গেছে দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ আব্দুল মোনেমের মেসার্স আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি দুই ধাপে বন্ড সুবিধায় আনা প্রায় ৫ লাখ টন চিনি অবৈধভাবে অপসারণ করেছে। এতে সরকারের হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তার পরও সরকারের পাওনা দিতে গড়িমসি করছে তারা। কিস্তিতে দেওয়ার কথা থাকলেও ৬৭৪ কোটি টাকা কোনোভাবে আদায় করতে পারছে না ঢাকা দক্ষিণ বন্ড কমিশনারেট। সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। বন্ড কমিশনারেট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি খাত। এই খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বন্ডেড সুবিধায় চিনি এনে অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে, যা বন্ডেড সুবিধার অপব্যবহার। প্রথম ধাপে ঢাকা দক্ষিণ বন্ড কমিশনারেটের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯১৯ টন চিনি ওয়্যারহাউস থেকে অবৈধভাবে অপসারণ করে, যার প্রমাণ পেয়েছে বন্ড কমিশনারেট। এতে প্রাথমিকভাবে মামলা করা হয়। রায়ে অর্থদণ্ডসহ প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাওনা দাঁড়ায় ৬১২ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৪ টাকা। পাওনা আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ব্যাংক হিসাব জব্দের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেমের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দেওয়া হয়; কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে বন্ডের অপব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, প্রথম ধাপের অনিয়ম করে পার পেয়ে ফের অনিয়মে জড়িয়ে যায় নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারি। প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ধাপে অবৈধভাবে আরও ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩০ টন চিনি অপসারণ করে। এ ঘটনায়ও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে বন্ড কমিশনারেট। এই মামলার রায়ে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে জরিমানাসহ রাজস্ব পাওনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৮২ কোটি ৪৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা। দুই ধাপে প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়মের দায়ে অর্থদণ্ড এবং শুল্ক-করাদিসহ ১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা পরিশোধের রায় দেয় ঢাকা দক্ষিণ বন্ড কমিশনারেট, যা সুদসহ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ আদেশ জারির পর প্রতিষ্ঠানটিকে ৬ কিস্তিতে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধেরও সুযোগ দেয়া হয়; কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ৫৩৩ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও বাকি ৬৭৪ কোটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব জব্দ ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কাস্টম আইন-১৯৬৯ এর ধারা ২০২ (১)(এ)(বি)(সি)(ডি)(ই) এবং (এফ) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ব্যাংক ও কাস্টম হাউসগুলোতে চিঠি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ বন্ড কমিশনারেট। আইনের এসব ধারায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা থেকে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য কোনো কাস্টম হাউস বা ওয়্যারহাউসে থাকলে, তা বিক্রয় করে সরকারের পাওনা আদায়ের বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে বন্ড কমিশনারেটের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা আদায়ে সব কাস্টম হাউস এবং ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ পণ্য খালাস স্থগিত করা হয়েছে। পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের এসব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

৮ হাজার টন মসুর ডাল ও ১০ হাজার টন চিনি কিনবে সরকার
সরকার ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ৮ হাজার টন মসুর ডাল এবং ১৬০ কোটি টাকার ১০ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মসুর ডাল কিনতে খরচ হবে ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং চিনি কিনতে খরচ হবে ১৬০ কোটি টাকা। জানা গেছে, ভারতের চেন্নাইয়ের এগ্রিগো ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০০ টাকা ৮০ পয়সা দরে প্রতি কেজি মসুর ডাল কেনা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কাছ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে ১০ হাজার টন চিনি কেনার আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এসব পণ্য কেনা হবে।
২০ মার্চ, ২০২৪

খেজুর ও চিনি নিয়ে সুখবর শীঘ্রই : ভোক্তার ডিজি
রমজানের আগে খেজুর ও চিনির দাম নিয়ে ভোক্তাপর্যায়ে চরম অস্থিরতরার মধ্যে সুখবর দিতে চান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। রোববার (১০ মার্চ) সকালে রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ জনগণের মাঝে ভোগ্যপণ্যসামগ্রী বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, আজকালকের মধ্যেই জিহাদি খেজুরসহ অন্যান্য খেজুরের দাম মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে সমন্বয় করা হবে। এ ছাড়াও শিগগিরই চিনির দামও সমন্বয় করা হবে বলেও জানান তিনি।  রমজান মাসে বিত্তবানদের যে কোম্পানিগুলো আছে তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।  সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সফিকুজ্জামান বলেন, রমজান উপলক্ষে সব বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অনেক পণ্যের দাম কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিনির দামটা এখনো কমেনি তবে সেটি নিয়েও কাজ চলছে। উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রমজানে খেজুরের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সুযোগে প্রতি বছরই বাড়িয়ে দেওয়া হয় পণ্যটির দাম। খুচরায় এক কেজি খেজুরের সর্বনিম্ন দাম ২০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকা। গত বছরের রমজানে এ দাম ছিল ১২০ ও ১ হাজার ২০০ টাকা। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় দাবাস, জাহিদি, বরই ও গলা খেজুর। গত রমজানের তুলনায় এগুলোর দাম বেড়েছে প্রায় ৪০-৬০ শতাংশ। 
১০ মার্চ, ২০২৪

এস আলমের চিনি কারখানা উৎপাদনে যাচ্ছে কাল
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এস আলম গ্রুপের চিনি পরিশোধন কারখানা আগামীকাল সোমবার উৎপাদনে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার ট্রায়াল রানে যায় প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল এস আলম গ্রুপের হেড অব এস্টেট মোস্তান বিল্লাহ আদিল কালবেলাকে বলেন, এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল ট্রায়াল রানে গেছে। সব যন্ত্রাংশ চেকআপ চলছে। আশা করছি সোমবার থেকে এ সুগার মিলে উৎপাদিত নতুন চিনি বাজারে সরবরাহ করতে পারব। এ ছাড়া স্টক থাকা চিনি বাজারে সরবরাহ চলছেই। সুতরাং অগ্নিকাণ্ডকে পুঁজি করে কোনো পক্ষের বাজারে চিনি দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) আকতার হাসান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মেশিনারিজ চালিয়ে ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কারখানার গুদামে আগে থেকে সংরক্ষণে থাকা প্রায় ১৫ হাজার টন তৈরি চিনি বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে। মিলের ডিজিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে সুগার মিলের বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো চেকআপ করে স্থাপন করতে হচ্ছে।
১০ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুন পুড়ল এক লাখ টন চিনি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের ভয়াবহ আগুনে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত পৌনে ৮টায় বাইরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনী কাজ করেছে। তবে কারখানার ভেতরে আগুন এখনো নেভানো সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস জানায়, বাইরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে গুদামের ভেতরে এখনো ধোঁয়াসহ আগুন জ্বলছে। এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল ছিল, যা পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে ইছানগর এলাকায় অবস্থিত ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

সীমান্তে চোরাই পথে ভারত থেকে আসছে চিনি
সীমান্ত এলাকায় দিন-রাত হাজার হাজার বস্তা ভারতীয় চিনি বাইসাইকেল-মোটরবাইকে পারাপারকালে ধরা পড়ে মাত্র কয়েকশ বস্তা। তবে হঠাৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিকআপ ভ্যানে বড় চালান ধরা পড়েছে। সীমান্তের চোরাইপথে আনা ভারতীয় চিনিতে সয়লাব দুই উপজেলায় দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা। দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে চোরাকারবারিদের নতুন রুট। ফলে দেশীয় চিনির ধস নেমেছে সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় বাজারগুলোতে। একদিকে বিভিন্ন স্পটে টহল দিচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), পুলিশ টহল দিচ্ছে স্থানীয় বাজার আর সড়কের মেইন পয়েন্টগুলোতে। কিন্তু চোরাইপথে আসা চিনির চালান ধরা পড়ে কম। সচেতন মহলের প্রশ্ন, সীমান্ত বা সড়কে কী কাজ করছে দায়িত্বরত বিভিন্ন বাহিনী? এলাকাবাসীর মতে, চোরাকারবারিদের সাথে সখ্য, নয়তো ভাগবাটোয়ারা। যদি তাই না হয়, তাহলে চিনিসহ চোরাই পণ্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার অভ্যন্তরে ভারতীয় পণ্যে বাজার সয়লাব হতো না। স্থানীয়দের দাবি, আগের তুলনায় আরও দ্বিগুণ গতিতে চোরাকারবারিরা দুর্গাপুরের ভরতপুরের গাজীকোণা, বারোমারির লক্ষ্মীপুর, বিজয়পুরের চণ্ডীগড়ের ফেচিয়া আর কলমাকান্দার লেংগুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি, জগন্নাথপুর, চেংগ্নী, সাত শহীদের মাজার, কালাপানি, তকলেটবাড়ি; খারনৈ ইউনিয়নের বৌ-বাজার, বলমাঠ, কচুগড়া,  রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন, পাঁচগাঁও, সন্ন্যাসীপাড়া, বেতগড়া, জাকিরপাড়া, নক্লাই, রামনাথপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য আনা হচ্ছে। এদিকে, সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন দিন-রাত চোরাইকারবারিরা চিনি নিয়ে আসে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা বাজারে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এসব চিনি কেনেন স্থানীয় কতিপয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে তারা গুদামে হাজার হাজার বস্তা চিনি মজুত করার পর এগুলো ছোট ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ভর্তি করে বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সীমান্তে ওপেন সিক্রেট চিনিসহ নানা পণ্যের ব্যবসা। তাই চোরাই চিনির পথ বন্ধের ক্ষমতা নেই কারও। নেপথ্যে নিরবচ্ছিন্ন ম্যানেজ সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের দাপটে ভাগবাটোয়ারায় নীরব সংশ্লিষ্টরা। রাজনৈতিক দলের নেতারা চিনিকাণ্ডে প্রকাশ্যে দৃশ্যপটে থাকলেও তাদের মাথার ওপর রয়েছে প্রশাসন। এমনকি কতিপয় কার্ডধারী সাংবাদিক সোর্স হিসেবে চোরাকারবারিদের সহায়তা দিয়ে কাজ করছে। তাদের দিতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসোহারা। যদিও চোরাকারবারি চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে জানান দুই উপজেলার সচেতন মহল। গত বছর  চোরাকারবারিদের চিনির গাড়ি পিছন নিলে এক ফটো সাংবাদিক নিহত হন। সীমান্তবর্তী দুই উপজেলাতে বিজিবি ক্যাম্প থাকার পরও ভারতীয় চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য দেদার আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবি এক কর্মকর্তা জানান, জনবল সংকটের কারণে সীমান্ত টহল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, প্রতি মাসে চোরাইপথে মালামাল জব্দ করা এবং মামলা রুজু করা হচ্ছে। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। নেত্রকোনা ৩১ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুর রহমান জানান, গত বছর চোরাইপথে আসা ৪৫ কোটি অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেত্রকোনা।
০৩ মার্চ, ২০২৪

ছোলা চিনি ও আলুর দাম আরও বেড়েছে
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও বাজারদর ঠিক রাখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ উপলক্ষে সভা সেমিনারেও আলোচনা চলছে। ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অসাধু বা কারসাজি চক্রের দায় তারা নেবে না। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধ মজুতদার ও কারসাজি চক্র দমনে দফায় দফায় আসছে কঠোর বার্তা। পাশাপাশি রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে চিনি, খেজুরের দাম কমেনি, বরং বেড়েছে। প্রতি কেজি খোলা চিনি এলাকাভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। গত বছর ১৫০ টাকার খেজুরের কেজি এখন ২৫০ টাকা। এ ছাড়া গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সভায় ১ মার্চ থেকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও এখন পর্যন্ত নতুন দামের তেল বাজারে আসেনি। ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমার ঘোষণা বাস্তবায়নে সময় লাগে। তবে দাম বাড়াতে সময় লাগে না। জানা গেছে, নতুন দামে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৪৯ টাকা এবং বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৮০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে রমজানের আগেই মোটা ডালের কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। দেড় মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি বুটের ডাল (পেঁয়াজুর ডাল) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকার ছোলা কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা বা তারও বেশি দামে। এ ছাড়া ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩৫ টাকায়। পাশাপাশি বেড়েছে গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। তবে শীত শেষে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ১০০ টাকার লাউ এখন ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। টমেটো, শিমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজরের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ও শালগমের কেজি ৩০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। শসার কেজি ৬০ টাকা, খিরার কেজি ৫০ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৫০ টাকা, লতির কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের কেজি ১০০ টাকা। তবে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে করলার। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। অন্যদিকে রাজধানীতে আবারও অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে মাংসের বাজার। শবেবরাতের আগে ও পরে প্রতি কেজি গরুর মাংস এলাকাভেদে হাড়সহ ৭০০ থেকে ৭৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। হাড়ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০ হাজার টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, গৃহস্থ ও খামারিরা কোরবানি কেন্দ্রিক গবাদি পশু সংরক্ষণ শুরু করায় সরবরাহ কম। যেজন্য দাম বেড়েছে। তবে দামের প্রভাবে মাংসের বিক্রি কমেছে বলেও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। দাম নির্ধারিত না থাকায় তদারকিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অনীহা রয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাংসের দাম নির্ধারণ হলে, তা বাস্তবায়নে মাঠে নামবে অধিদপ্তর। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা। সোনালির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। দেশি মুরগির কেজি ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা। মাসখানেক আগে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কমে পাওয়া যেত। ফার্মের ডিমের হালি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। ডিম-মুরগির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পরিবহন ও অন্যান্য খরচের কারণে দাম বাড়ছে। সম্প্রীতি এফবিসিসিআইয়ের বাজার নিয়ে মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা ব্যবসা করি লাভ করার জন্য, তবে সেই লাভ হতে হবে ন্যায্য। সামনে রমজান। এ মাসে পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জ। কোথাও যেন কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য সব বাণিজ্য সংগঠন ও বাজার কমিটিকে দায়িত্ব নিতে হবে। বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) কালবেলাকে বলেছেন, আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কিছু সুবিধা দিয়েছি। এরই মধ্যে রমজানের বেশিরভাগ পণ্য চলে এসেছে। ফলে এবারের রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না। এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সরবরাহ নিশ্চিত করা। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তারা আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে পণ্য সরবরাহে সমস্যা থাকবে না।
০১ মার্চ, ২০২৪

চিনি পেঁয়াজ ছাড়াই শুরু হচ্ছে টিসিবির কার্যক্রম
বাজারে চিনি ও পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলেও এ দুই পণ্য ছাড়াই রমজান মাসপূর্ব কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার থেকে এবারের কার্যক্রম শুরু হবে। কার্যক্রমে চিনি, পেঁয়াজ না থাকলেও ৫৫ টাকা কেজি দরে ছোলা যোগ হয়েছে। এ ছাড়া পাওয়া যাবে ১০০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল বা রাইসব্রান অয়েল; ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল এবং ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল। টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ চট্টগ্রাম নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মাদারবাড়ী দারোগা হার্ট রোডের হাসিনা অয়েল মিল সংলগ্ন মাঠে কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, এমপি এম আবদুল লতিফ। এ ছাড়া টিসিবি, ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এদিকে রোজার প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও বাজারে এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এ ছাড়া চিনির দাম অনেকদিন থেকেই ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান হুমায়ুন কবির জানান, এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। রমজান উপলক্ষে প্রথম পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে শুরু হবে। কার্যক্রম ডিলার দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে স্থানীয় প্রশাসনের নির্ধারিত সময় পরিকল্পনায় পরিচালিত হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রোজার আগেই পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানির অনুমতি দেবে ভারত : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ভারত রোজার আগেই পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানির অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান তিনি।   বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারত রোজার আগেই পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানির অনুমতি দেবে বলে কথা দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরেও এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে দিল্লি।  তিনি বলেন, ভোক্তারা যাতে ন্যায্যমূল্যে সব ধরনের ভোগ্যপণ্য কিনতে পারেন সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দ্রুত পণ্যসামগ্রী আমদানি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করছি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্রুত এসব পণ্যের শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের সময় বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকবে এবং মানুষ কমদামে পণ্য কিনতে পারবেন। এর আগে, সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের নিষেধাজ্ঞা ছিল যে, চিনি ও পেঁয়াজ কোনো পার্শ্ববর্তী দেশকে দেবে না, সেখানে তারা একটু শিথিল করেছে। তারা আমাদের আবেদনটা সহানুভূতি নিয়ে দেখছে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, রমজানের আগেই আমরা একটা ইতিবাচক সাড়া পাব। সেই চিনি ও পেঁয়াজ সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে।  আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার  টন চিনি ভারত দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের আরেকটু চাহিদা বেশি। আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। সামনে তাদের নির্বাচন, তাদের ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে তো আমাদের দেবে না। যতটুকু সহনীয়, ততটুকু তারা দেবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে এই মুহূর্তে মুড়িকাটা পেঁয়াজগুলো আছে। মূল পেঁয়াজটা উঠতে মাসখানেক সময় লাগবে। পুরোপুরি ফসল তোলা শেষ হবে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে। আমরাও উদ্যোগ নিয়েছি, টিসিবির মাধ্যমে আমরা যেন বাইরে থেকে পেঁয়াজ এনে বিক্রি করতে পারি। গত ২২ জানুয়ারি এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে রমজান উপলক্ষে চিনির যে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আছে, সেটা কমানোর প্রস্তাব করা হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X