শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ইউরোপকে যেভাবে দুই ভাগ করছে চীন
পশ্চিমা আধিপত্যের জাল ছিঁড়তে বিশ্বজুড়ে ফাঁদ পাতছে চীন। গেল কয়েক দশকে বেইজিংয়ের উত্থান রীতিমতো ঘুম হারাম করে দিয়েছে আমেরিকাসহ ইউরোপের মার্কিন মিত্রদের। এর মধ্যেই গোটা ইউরোপকে দুই ভাগে ভাগ করার নীলনকশা আঁকছে শি জিনপিং সরকার। সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্টের ইউরোপ সফর যেন সেই নীলনকশাকে আরও প্রকট করে তুলেছে। তারই কিছু চিত্র উঠে এসেছে জার্মাস সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে। পরমাণু শক্তিধর ফ্রান্স দিয়ে সম্প্রতি নিজের ইউরোপ সফর শুরু করেন শি জিনপিং। এরপর গিয়েছিলেন সার্বিয়া ও হাঙ্গেরীয় সফরে। ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও চীনা পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ ব্যারট্রাম লাঙ বলেন, ইউরোপের ওই তিন দেশের সঙ্গে বেইজিংয়ের বিশেষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এ বিশ্লেষক মনে করেন, চীনা নেতৃত্ব ইউরোপকে ক্রমেই দুই ভাগে বিভক্ত করেছে।  চীনা প্রেসিডেন্টের এবারের সফরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন লাঙ। এ দিকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে চীনের সমর্থন দেয়া এবং কমদামি চীনা বৈদ্যুতিক গাড়িতে ইউরোপের বাজার ছেয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ। ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি ইউরোপে রপ্তানি করা চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি ও সৌরপ্যানেল তৈরিতে ভর্তুকি দেওয়া হয় কি না, তা তদন্ত করে দেখার ঘোষণা দিয়েছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি হিসেবে এসব পণ্যের ওপর শুল্কও বসানো হতে পারে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে চীন সফর শেষে মাঁখো তাইওয়ান সংকটে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনায় ইউরোপের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হওয়া মানে ওয়াশিংটনের ‘বাহন’ হওয়া নয়। ইউরোপীয় সংসদের সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা সুজা আনা ফ্যারেন্সি মনে করেন, সার্বিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হলেও বেলগ্রেড সফর করে জিনপিং দেখাতে চেয়েছেন তিনি ইইউর প্রতিবেশীদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অন্যদিকে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই মস্কোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে ইইউ সদস্য হাঙ্গেরি। এ ছাড়া চীনের বিরোধিতা করে ইইউর করা বিভিন্ন প্রস্তাবেও কয়েকবার ভেটো দিয়েছে দেশটি। হাঙ্গেরিতে গড়ে তোলা হচ্ছে চীনা গাড়ি তৈরির কারখানাও। এই অবস্থায় পহেলা জুলাই থেকে ইইউর সভাপতি দেশ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছে হাঙ্গেরি। জিনপিং আশা করছেন, দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। এ ছাড়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় সার্বিয়াকে বিপুল ঋণ দিচ্ছে বেইজিং। এসব ঋণের অর্থে হাঙ্গেরি ও সার্বিয়ার মধ্যে একটি দ্রুতগতির রেললাইন নির্মিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফ্যারেন্সি জানান, চীনের সামগ্রিক কৌশল হলো ইউরোপের ঐক্যকে ভেঙে ফেলা এবং ইইউর বিভিন্ন সদস্যরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাদাভাবে সম্পর্ক বাড়ানো।
১৫ মে, ২০২৪

চীন সফরে গেলেন ৯ বাম নেতা
চীন সফরে গেলেন তিন বাম রাজনৈতিক দলের ৯ নেতা। গতকাল সোমবার চায়না ইস্টার্নের বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে রওনা হন তারা। প্রতিনিধিদলে আছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারীনেত্রী লুৎফুন্নেছা খান ও পলিট ব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া, মোশায়হিদ প্রমুখ। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিনিধিদলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জাসদ জানিয়েছে, সফরকালে বাম নেতারা কুংমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সায়েন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হবেন।
১৪ মে, ২০২৪

চীন সফরে গেলেন তিন দলের ৯ বাম নেতা 
চীন সফরে গেলেন তিন রাজনৈতিক দলের নয়জন বাম নেতা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। প্রতিনিধি দলে আছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপিক তৃপ্তি বড়ুয়া ও মোশায়হিদ। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন হযরত শাহাজালাল বিমানবন্দরে প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। জাসদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, সফরকালে বাম নেতৃবৃন্দ কুংমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এ্যাগরিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিটিউক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতৃবৃন্দ, রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হবেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যান্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিবেন। আগামী ১৮ মে দেশে ফিরবেন এই বাম নেতারা।
১৩ মে, ২০২৪

ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর ইরানকে সাহায্য করেছে চীন
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান এপ্রিল মাসে ৩০০-এর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। এর পর পরই ইরানের তেল রপ্তানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায় আসে। যে তেলের ওপর নির্ভর করছে দেশটির অর্থনীতি।  ইরান তাদের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পেরেছে একটি কৌশলে। এ ক্ষেত্রে তেহরানের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন তাদের সাহায্য করেছে। ইরানের মোট তেল রপ্তানির ৮০ ভাগই যায় চীনে, ইউএস হাউস ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কমিটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন ইরান প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে রপ্তানি করে থাকে। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করতে হয়।কিন্তু তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন কেন ইরান থেকে তেল কিনে? কারণটা খুবই সহজ, ইরানের তেল মানে ভালো এবং দামে সস্তা। নানা আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের কারণে বিশ্বে তেলের দাম বেড়েই চলেছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান যেহেতু তাদের তেল বিক্রিতে মরিয়া, তারা অন্যদের চেয়ে কম দাম অফার করে থাকে। ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে চীন অন্তত ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বাঁচিয়েছে ইরানের। অপরিশোধিত তেলের যে বৈশ্বিক মানদণ্ড তা পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণ প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের নিচে থাকে। এ বিষয়ে ডেটা ও অ্যানালেটিক্স ফার্ম কেপিএলআরের সিনিয়র অ্যানালিস্ট হুমায়ুন ফালাকশাহি বলেন, ইরান তাদের ক্রুড তেল ব্যারেল প্রতি ৫ ডলার কমে বিক্রি করে। গত বছর ব্যারেলপ্রতি যেটার দাম সর্বোচ্চ ১৩ ইউএস ডলার পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টির ভূরাজনৈতিক দিক আছে বলে মনে করেন ফালাকশাহি। কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বিরাট খেলা চলছে ইরান তার একটা অংশ। ইরানের অর্থনীতিকে সহায়তার মাধ্যমে চীন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একটা ভূরাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা চলমান। বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, ইরান ও চীন কয়েক বছর ধরে একটা সূক্ষ্ণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে তেহরানের নিষিদ্ধ তেল আমদানি-রপ্তানির জন্য। এই বাণিজ্য কৌশলের প্রধান উপকরণ হলো চাইনিজ চায়ের পাত্র অর্থাৎ ছোট স্বাধীন রিফাইনারিজ। এই ছোট রিফাইনারিগুলোতে চীনের জন্য কম ঝুঁকি থাকে, কারণ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং এতে ইউএস ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমের প্রবেশাধিকার থাকে। ছোট প্রাইভেট রিফাইনারিগুলো দেশের বাইরে চালিত হয় না, ডলারেও লেনদেন করে না এবং বিদেশি ফান্ডিংয়ের দরকার পড়ে না। তেলের ট্যাংকারগুলো বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে ট্র্যাক করা হয়, বিভিন্ন সফটওয়্যার তাদের অবস্থান, গতি ও রুট পর্যবেক্ষণ করে। এই ট্র্যাকিং এড়ানোর জন্য ইরান ও চীন একটা অস্পষ্ট মালিকানা ধরনের ট্যাংকার্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, যেটা সঠিক অবস্থান দেখায় না। তারা খুব সহজেই পশ্চিমা ট্যাংকার্স, নানা শিপিং সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে পারে। ফলে তাদের পশ্চিমা নীতি, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে হয় না।
০৫ মে, ২০২৪

এবার স্কুলেও সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করবে চীন
জাতীয় প্রতিরক্ষা শিক্ষা আইনের সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পরমাণু শক্তিধর চীন। মূলত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবার জন্য সার্বিকভাবে প্রতিরক্ষাবিষয়ক শিক্ষার উন্নয়ন করাই এ সংস্কারের অন্যতম উদ্দেশ্য। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, এমনকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও সামরিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে বেইজিং প্রশাসন। চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস গেল সপ্তাহে জাতীয় প্রতিরক্ষা শিক্ষা আইনের সংস্কারগুলো পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে। মে মাসের শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত সংস্কার বিষয়ে দেশের সাধারণ জনগণ তাদের মতামত জানাতে পারবে। তবে বৃহত্তর পরিসরে এটি নিয়ে বিতর্ক আয়োজনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বলা হচ্ছে, এই আইনের আগের সংস্করণটি অতটা কঠোর বা স্পষ্ট ছিল না। তবে প্রস্তাবিত সংস্কারে বলা হয়েছে, হাইস্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই আইনের আওতায় জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরাও সামরিক প্রশিক্ষণ পেতে পারেন। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, এই সংস্কারগুলো সমাজের সকল স্তরে “জাতীয় নিরাপত্তা সচেতনতা” বাড়াতে ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে “বিভিন্ন নতুন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবর্তনের” সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতীয় নিরাপত্তা সচেতনতার ওপর বাড়তি জোর দেওয়ার বিষয়টিকে চীনের ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী অনুভূতিকে আরও উসকে দিতে পারে এবং বহির্বিশ্বের বিরুদ্ধে বিরূপ বা আক্রমণাত্মক মনোভাব তৈরি করতে পারে। তবে এই আইনের ফলে আরও বেশি সংখ্যক চীনা তরুণ সামরিক বাহিনীতে যোগদানে করতে উৎসাহিত হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। চীনের জাতীয় নিরাপত্তা শিক্ষা আইন ২০০১ সালে পাস হয় এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে এর সংস্কার হয়। গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন কর্মকর্তারা বারবার বলে আসছেন যে- ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান আক্রমণ করার ক্ষমতা অর্জন করতে চায় চীন। দেশটির দাবি গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান দ্বীপপুঞ্জ মূলত চীনের মূল ভূখণ্ডেরই একটি অংশ। বেইজিং বলছে, প্রায় আড়াই কোটি জনসংখ্যার দ্বীপের জন্য চীনের সঙ্গে একীকরণই একমাত্র বিকল্প এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে তা ঘটানো হবে।
০৩ মে, ২০২৪

আমেরিকাকে ঠেকাতে ভয়ংকর রণতরী নামিয়েছে চীন
প্রথমবারের মতো সমুদ্রযাত্রায় নেমেছে চীনের সবচেয়ে আধুনিক ও বৃহৎ বিমানবাহী রণতরী ‘দ্য ফুজিয়ান’। এই রণতরীটি চীনের নৌশক্তি বৃদ্ধির সর্বশেষ উদাহরণ। বুধবার সাংহাই থেকে পূর্ব চীন সাগরের উদ্দেশে পরীক্ষামূলক অভিযান শুরু করেছে এটি। চীনের উচ্চভিলাসী সামরিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করেছে দেশটি।  ‘দ্য ফুজিয়ান’ চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী। এটি নির্মাণ করতে ছয় বছর সময় লেগেছে দেশটির। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনা নৌ বাহিনীর পরিসর বাড়ানোর চেষ্টার মধ্যেই নতুন এই রণতরী সাগরে ভাসালো বেইজিং।  চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শিনহুয়া বুধবার জানিয়েছে, সমুদ্রে মহড়ার সময় রণতরীর প্রোপালশন ও ইলেকট্রিক সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা ও স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করা হবে। ২০২২ সালে এই রণতরীর উদ্বোধন হলেও এবারই প্রথম সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে ফুজিয়ানকে।  বিমানবাহী রণতরীটির সমুদ্রযাত্রার পর এর শক্তি ও সক্ষমতা জানতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে নানা মহলে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই ফুজিয়ানের চেয়ে বড় রণতরী রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীগুলোর সঙ্গে এটি কতটা পাল্লা দেবে তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।  ফুজিয়ান ছাড়াও আরও দুটি রণতরী রয়েছে চীনের। তবে সেগুলোর সক্ষমতা নতুন এই রণতরীর মতো এত বিশাল নয়। ফুজিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার হলো এর তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্যাটাপাল্ট সিস্টেম, যার মাধ্যমে অপর দুই রণতরীর তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভারী যুদ্ধবিমান এই রণতরী থেকে উড়ে যেতে পারবে। পুরোনো দুই রণতরীতে ব্যবহৃত হয় স্কি-জাম্প প্রক্রিয়া।  বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ফিচারের কারণে চীন আরও বড় বড় যুদ্ধবিমানকে আরও বেশি দূরত্বে পাঠাতে পারবে এবং একইসঙ্গে এই বিমানগুলো আগের তুলনায় আরও বেশি গোলাবারুদ বহন করতে পারবে। সার্বিকভাবে, এই রণতরী চীনের নৌযুদ্ধ সক্ষমতাকে অনেকাংশ বাড়িয়ে তুলবে বলেও মনে করছেন তারা।  চীনের নতুন এই রণতরী সর্বাধুনিক হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও নতুন রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।  ফুজিয়ানে ব্যবহৃত তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্যাটাপাল্ট ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের একটিমাত্র রণতরীতে ব্যবহার হয়েছে, আর সেটি হলো ইউএএস জেরাল্ড আর ফোর্ড। মার্কিন নৌবাহিনীর বাকি ১০টি পুরোনো রণতরীতেই বাষ্প-চালিত ক্যাটাপাল্ট ব্যবহার করে যুদ্ধবিমান উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে মার্কিন রণতরীগুলোর বিশেষ একটি সুবিধা রয়েছে, যা চীনের তিন রণতরীর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলো পারমাণবিক শক্তিতে পরিচালিত। যার ফলে এগুলো দীর্ঘসময় সমুদ্রে থাকতে পারে। অপরদিকে, ফুজিয়ানে প্রথাগত জ্বালানি ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে, এই রণতরীকে নিয়মিত বিরতিতে কোনো বন্দর থেকে অথবা অন্য তেলের ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর ফোর্ড রণতরীর বহন ক্ষমতা প্রায় এক লাখ টন। অপর ১০টি মিনিৎজ ক্লাস রণতরী ৮৭ হাজার টন ভার বইতে পারে। এই বড় আকারের মার্কিন জাহাজগুলো অন্তত ৭৫টি যুদ্ধবিমান বহন করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে চীনের সর্বাধুনিক রণতরী ফুজিয়ান ৬০টি যুদ্ধবিমান বহন করবে।  
০২ মে, ২০২৪

শত্রু নয়, অংশীদার হওয়া উচিত চীন যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অংশীদার হওয়া উচিত, শত্রু নয়। তবে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি স্বাভাবিক করতে হলে অনেক বিষয় ঠিকঠাক করতে হবে। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফরের দ্বিতীয় দিনে শি ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ মন্তব্য করেন তিনি। ওই বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের সঙ্গে রাশিয়া, তাইওয়ান ও বাণিজ্য নিয়ে নানা পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। খবর বিবিসির বেইজিংয়ের গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জিনপিং বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রচেষ্টা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমরা আশা করছি, চীনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাবে। যখন এই মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, তখন সম্পর্ক আরও টেকসই, উন্নত ও অগ্রগামী হবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল চীন
চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন তার সীমা মেনে চলে। কোনোভাবেই যেন চীনের স্বার্থের গণ্ডিতে পা না দেয়।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেইজিংয়ে দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে এভাবেই হুঁশিয়ার করেন। খবর বিবিসির। ওয়াং যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সীমারেখা টেনে দেন। একে তিনি ‘লাল রেখা’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন এ লাল রেখায় পা না দেয়। অর্থাৎ চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রকে তিনি বুঝিয়েছেন। যাতে এসবে যেন যুক্তরাষ্ট্র নাক না গলায়। বৈঠকের শুরু থেকেই তীক্ষ্ণ ভাষায় কথা বলছিলেন। তার কথায় ছিল হুমকির সুর। তিনি প্রথমেই বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কী করা উচিত? আমাদের কি স্থিতিশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া ঠিক হবে নাকি নিয়ন্ত্রণহীন খারাপ সম্পর্কে ফিরে আসা উচিত?  তিনি বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো নেতিবাচক ইস্যুগুলো দিয়ে তা যাচাই করা হচ্ছে। উভয় দেশই সহযোগিতা বা সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে। এমনকি সরসরি সংঘাতের দিকেও ধাবিত হতে পারে।  চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএস-চীন সম্পর্কে নেতিবাচক বিষয়গুলো এখনো ক্রমবর্ধমান এবং তা বাড়ছে। সম্পর্কটি সব ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি বলেন, চীনের বৈধ উন্নয়ন অধিকারগুলো অযৌক্তিকভাবে দমন করা হয়েছে এবং আমাদের মূল স্বার্থগুলো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।। ওয়াং এই চ্যালেঞ্জগুলো নির্দিষ্ট করেননি। তবে এর মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের অবস্থান, তাইওয়ানে সরকারের প্রতি মার্কিন সমর্থন, তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ দুটি পরাশক্তির মধ্যে বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল পয়েন্ট রয়েছে। চীন স্বশাসিত তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দাবি করে। চীন চায় তা বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। তবে দ্বীপটির বাসিন্দারা তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্র মনে করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন পদক্ষেপেও অসন্তুষ্ট চীন। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরেও চীন-মার্কিন বিভক্তি স্পষ্ট হয়। এর মধ্যেই এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চীনে ব্লিঙ্কেন দ্বিতীয়বার সফরে এলেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে মতপার্থক্যের অবসানে অগ্রগতির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।  ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠকের সূচনাতে ব্লিঙ্কেন বলেন, তিনি ‘খুব স্পষ্ট, খুব সরাসরি কথা বলবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্টরা যেসব বিষয়ে সম্মত হয়েছেন সেসব বিষয় আমরা কিছুটা এগিয়ে নেব বলে আমি আশা করছি।’
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ফিলিস্তিন ইস্যুর স্থায়ী সমাধান চায় চীন
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন ফিলিস্তিন ইস্যুর দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেইজিংয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই কথা জানান। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধানে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন। তিন দিনের সফরে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চীন যান মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চীন সফরকালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে বেইজিংয়ের অবস্থানের অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

চীন সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আলোচনায় নানান ইস্যু
তিন দিনের সফরে চীনে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য প্রায় শত বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা বিল পাসের পরই চীনে অবতরণ করলেন তিনি। খবর আলজাজিরার। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাংহাইয়ে অবতরণ করেন ব্লিঙ্কেন। এই শহরে তিনি চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে বেইজিং যাবেন তিনি। বেইজিং ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, বিশ্বের দুই পরাশক্তির মধ্যে সংলাপ জোরদার এবং দ্বিপক্ষীয় তিক্ত সম্পর্কে স্থিতিশীল করতেই এই সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে অনুমোদন করে সিনেট। বিলটি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার তিনি এতে সই করলে সেটি আইনে পরিণত হবে। ফলে এই তিন দেশকে সামরিক সহায়তা দিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। এই বিলে তাইওয়ান ও বৃহত্তর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবেলায় আট বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকটক বেচে দিতে চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে ৯ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। এ ছাড়া ওয়াশিংটনের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি ইস্যু সমাধান করতে চাইছে বেইজিং। আমেরিকায় ফেন্টানাইল ওপিওড সংকটে চীন ইন্ধন দিচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়টিও এবারের সফরে আলোচনা হবে। এ ছাড়া ব্লিঙ্কেনের এবারের চীন সফরে ইউক্রেন যুদ্ধ মূল ইস্যু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
X