বগুড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপরে চটলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সফিক
বগুড়ায় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদের ওপর ভীষণ চটেছেন সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক। সোমবার দুপুরে প্রতীক বরাদ্দ নিতে গিয়ে তিনি ওই কর্মকর্তার (রিটার্নিং) ওপরে  চটেছেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করবেন বলেও হুমকি দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার-ব্যানার লাগানো হলেও সেসব অপসারণ করা হয়নি। বারবার বলার পরও নির্বাচন কর্মকর্তা এবিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন।’  তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ জানিয়েছেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর বসে তাকে কথা বলতে বললেও তিনি সেটি না করে প্রতীক বরাদ্দের মাঝখানেই কথা বলতে শুরু করেন। অথচ ইতিপূর্বে তিনি মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পোস্টার-ব্যানার অপসরণে মাঠে কাজ করছেন।’ সোমবার দুপুরে বগুড়া জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। কর্মসূচির শুরুতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাগত বক্তব্য দিয়ে প্রতীক বরাদ্দের কথা বলতে গেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান সফিক তার মাঝেই কথা বলতে শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, রিটার্নিং কর্মকর্তা আইন মানছেন না।  তিনি বলেন, ‘আপনারা আইন না মানলে পরে আমরা কোন আইন ভঙ্গ করলে কিছু বলতে পারবেন না।’ এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা কোন বিষয়ে আইন মানা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বার বার বলার পরও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আগে থেকেই লাগানো পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করা হয়নি। তাদের পোস্টার ব্যানারের পাশাপাশি বিলবোর্ড পর্যন্ত রয়েছে।’  এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ করছি, আপনারা আইনের মধ্যেই থাকেন।’ এ সময় সফিক ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আপনি আমাকে চেনেন না। আমি আপনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে কমপ্লেন (অভিযোগ) করবো। আপনি আমার কথার সঙ্গে আবার ডিফার করছেন। নিজেরা আইন মানছেন না, পক্ষপাতিত্ব করছেন।’  এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন প্রতীক বরাদ্দ চলছে। এই পর্ব শেষ হলে আপনার সঙ্গে বসে কথা শুনবো।’ তখন সফিক আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বসার তো কোন প্রশ্নই উঠেনা। আমি বলেছি কমপ্লেন করবো, অবশ্যই সেটা করবো। যেন আপনাকে পরিবর্তন করা হয়।’ পরে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে বাইরে এসে আবু সুফিয়ান সফিক সাংবাদিকদের বলেন, কয়েক দফা বৈঠকে নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আগে থেকেই লাগানো পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড আপসারণ করতে বলা হলেও তারা কোন কর্ণপাত করছেন না। এতে করে মনে হচ্ছে তারা প্রতিপক্ষের প্রতি পক্ষপাত করছেন। এ কারণে আমি বিষয়টি কমপ্লেন আকারে নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’ বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ বলেন, ‘তিনি তার অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে লিখিত কিছু জানাননি। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠকে তিনি মৌখিকভাবে পোস্টার ব্যানার ও বিলবোর্ড থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তখন থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেসব অপসারণে কাজ করছেন। তারপরও তিনি একই অভিযোগ করছেন। তাঁকে বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন।’ বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবু সুফিয়ান সফিক ঘোড়া প্রতীক, সুলতান মাহমুদ খাঁন রনি মোটরসাইকেল এবং শুভাশীষ পোদ্দার লিটন আনারস প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে

‘এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।  সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এনবিআর ও কাস্টমসের যত সমস্যা আছে, তার মধ্যে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বড় একটি বিষয়। সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো তোলা হবে। তিনি বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর এবং কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া সাংবাদিকরা অনেক কথা বলেছেন, যেগুলো আমি বলতে পারব না। সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে। আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি। সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসেছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে। তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিট্যান্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ও এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব, এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাকশিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে, বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে। এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোনো বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই। এ সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি। 
১৩ মে, ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ায় ইসিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করার পরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হেলিকাপ্টার প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সোবহান।  রোববার (১২ মে) দুপুর ২টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় হেলিকাপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুস সোবহান তার লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে জানান, রোববার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নে তার প্রতীকের প্রচারণা করতে গেলে ফকিরের পোলের কাছাকাছি গেলে সেখানে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থক স্থানীয় ইউসুফ আলী শরীফের ছেলে জাফর শরীফ, আজিম শরীফ, জয়নাল মেম্বারের ছেলে সোহেল, নাজেম আলীর ছেলে ইদ্রিসুর রহমান এবং কলমদার খা’র ছেলে ইসমাইল, লাল মিয়ার ছেলে নান্না, মন্নানের ছেলে আল আমিনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে সোবহানের প্রচারে বাধা সৃষ্টি করে। সোবাহান তার লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের উল্লিখিত সমর্থকরা হেলিকপ্টার প্রতীকের মহিলা কর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এবং এলাকা থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার বিষয়ে কথা বলার জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল হাই আল হাদী কালবেলাকে বলেন, কিছু আগে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করব এবং অভিযুক্ত ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১৩ মে, ২০২৪

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে তানভীর ইসলামের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তানভীর ইসলামের সমর্থকদের মারধর করে কামালের সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে কামালের লোকজন। আজকে আমার সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে কামালের সমর্থকরা হামলা করেছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই। জানতে চাইলে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কামাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ মিথ্যা ও কাল্পনিক। দেবোত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে আমার এক বৃদ্ধ ও নারী সমর্থক আহত হয়েছেন। আটঘরিয়া থানার ওসি হাদিউল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১৩ মে, ২০২৪

টানা দ্বিতীয়বার ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন মিরাজুল ইসলাম। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায় স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও যাচাই-বাছাইয়ে মাহিবুল হোসেন মাহিম নামে একজনের মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে তিনি মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেননি। আর গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এহসাম হাওলাদার ও সালাহউদ্দিন হাওলাদার নামে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সশরীরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এতে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মিরাজুলকে ফের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালীন, বিশেষ করে করোনাকালে ও বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসিত হন মিরাজুল। তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হন। মিরাজুল ভাণ্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
১৩ মে, ২০২৪

জি এম কাদেরই থাকছেন জাপার চেয়ারম্যান
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের কার্যক্রম চালাতে বাধা রইল না। আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অজি উল্লাহ ও শেখ সিরাজুল ইসলাম। অন্যপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জিয়াউল হক মৃধা জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাটি করেন। এ আবেদনে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। এর বিরুদ্ধে জি এম কাদের জেলা জজ আদালতে বিবিধ আপিল দায়ের করেন। জেলা জজ আদালত তা খারিজ করলে তিনি হাইকোর্টে যান।
১৩ মে, ২০২৪

টানা দ্বিতীয়বার ভাণ্ডারিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন মিরাজুল ইসলাম। রোববার (১২ মে) ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায় স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোট চারজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও যাচাইবাছাইকালে মাহিবুল হোসেন মাহিম নামে একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে তিনি মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও করেননি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার এহসাম হাওলাদার ও সালাহউদ্দিন হাওলাদার নামে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বশরীরে জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এতে করে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মিরাজুল ইসলামকে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় বিশেষ করে করোনাকালীন বিভিন্ন উৎসব পার্বণে উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সময় প্রশংসা কুড়ান মিরাজুল ইসলাম। তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হন। টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম ভাণ্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।নির্বাচিত
১২ মে, ২০২৪

পুলিশ-সাংবাদিক পেটানোর মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুই মামলার প্রধান আসামি হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) রাত ৮টার দিকে ঢাকার শাহজাহানপুরের একটি বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) আসলাম খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ। ঢাকা থেকে তাকে মুন্সীগঞ্জে আনা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর কাল মিঠুকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে বুধবার (৮ মে) গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দৈনিক মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ গোলজার হোসেনের ওপর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিঠুর নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভুক্তভোগী সাংবাদিক চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে গজারিয়া থানায় মামলা করেন।  একইদিন হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০/২০০ জনকে আসামি করে গজারিয়া থানার উপপুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হাসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন গজারিয়া থানায়। এদিকে মনিরুল হক মিঠুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা। এ সময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিকরা।
১১ মে, ২০২৪

কিশোরকে বেধড়ক পেটালেন চেয়ারম্যান
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, বাঁধে লাগানো সরকারি গাছ গরু দিয়ে নষ্ট করার সময় বাঁধা দেওয়ায় কিশোর উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তাকে শাসন করা হয়েছে। মারধরের শিকার কিশোর বিক্রম দাস (১৩) বদলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কালীকৃষ্ণ দাসের ছেলে ও সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।   শুক্রবার (১০ মে) সকালে বদলপুর ইউনিয়নের বদলপুর-পাহাড়পুর সড়কসংলগ্ন বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘঠে। ভুক্তভোগী কিশোরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হাঁস ও গরু নিয়ে বাঁধ সংলগ্ন পতিত জমিতে যায় বিক্রম। এরপর গরুগুলোকে জমির পাশে ঘাস খাওয়াতে দেয়। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীসহ কিছু লোক সেখানে আসে। এ সময় চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরী গরুগুলোকে সেখান থেকে সরাতে বলে। বিক্রম গরু পরে সরাবে বললে চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বিক্রমকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।  বিক্রম বলে, সকালে হাঁস ও গরু নিয়ে বাঁধসংলগ্ন জমিতে খাওয়াতে যাই। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যানের সঙ্গের লোকজন এসে আমাকে গরু সরাতে বলে। গরু পরে সরাব বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মারধর করে। আমার মা এসে বাধা দিলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ।  এ বিষয়ে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরী বলেন, বেড়িবাঁধে আমি প্রয়ি আড়াই হাজার গাছ লাগিয়েছি। প্রতিদিন গরুগুলো গাছ নষ্ট করে। শুক্রবার সকালে বাঁধে গিয়ে গরু সরাতে বললে বিক্রম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। আমি তখন শাসন করার জন্য হাতে থাকা কঞ্চি দিয়ে একটি আঘাত করি।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজাউল করিম জানান, কিশোর বিক্রমের হাটুর ওপরে সামনে ও পেছনে ঊরুতে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিশোর বিক্রমের পরিবার এসেছিল। আমরা তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত তারা কোনো লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেননি। তারপরও বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।
১১ মে, ২০২৪

চেয়ারম্যান প্রার্থীর লিফলেটে প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা নির্বাচনের লিফলেটে প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।  আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমালোচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন লিফলেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিও ব্যবহার করেছেন। লিফলেটে তিনি লিখেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ লালন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের রূপকার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। টানা ১০ বছর আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পরে ৮ বছর আহ্বায়ক ছিলেন। নির্বাচনী বিধিতে উল্লেখ আছে, নির্বাচনী প্রচারে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারো নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তার দলের বর্তমান দলীয়প্রধানের ছবি পোস্টার ও লিফলেটে ছাপাতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অতিউৎসাহী কিছু লোক হয়তো এটা করে থাকতে পারে। আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি খেয়াল রাখব এমন যেন আর না হয়। উপজেলা নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। 
১১ মে, ২০২৪
X