ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।  মঙ্গলবার (০৭ মে) বিকেলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।  হিরুর স্ত্রী ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতার অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে সাদা পোশাকে ঢাকা মেট্রো-চ (৫২-১৪৫০) নাম্বারের সিলভার কালারের একটি মাইক্রোবাসে করে মহিদুল হাসান হিরুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছেন না। নিশিতার বরাত দিয়ে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।  
০৭ মে, ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় / ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকির অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে।  এ সময় ওই ছাত্রদল নেতার বন্ধুকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতারা।  সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখশ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান। এদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে ওই দলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল ও তার বন্ধু ইউনুস খান ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। ক্যাম্পাস ঘুরে একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে দাঁড়ালে ছাত্রদল নেতা বুঝতে পারেন ছাত্রলীগের তিনজন নেতা তাদের অনুসরণ করছেন। পরিস্থিতি বুঝে মোটরসাইকেলে করে রোকেয়া হলের পেছনের ফ্লাইওভার সংলগ্ন গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের পথরোধ করেন এবং জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর সেই কক্ষে যান গালিব ও অভিযুক্ত অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা। কক্ষে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন বলে স্বীকার করেন নাফিউল ইসলাম। এরপরই তাকেসহ তার বন্ধু ইউনুস খানকে মারধর শুরু করেন গালিব। একপর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে নাফিউলকে নানারকম হুমকি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রাত ১টার দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম বলেন, আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব আমাকে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। গালিবের কাছে থাকা একটি পিস্তলে বুলেট লোড-আনলোড করে আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি নানারকম হুমকিও দিয়েছেন। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ইউনুস খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব বলেন, ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা।
০৭ মে, ২০২৪

কমিটি গঠনের দুই মাসেও ক্যাম্পাসমুখী হতে পারেনি ঢাবি ছাত্রদল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণার দুই মাস পার হতে চলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংগঠনটি ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেনি, এমনকি ক্যাম্পাসে প্রবেশই করতে পারছে না। কোনো কর্মসূচিতে না গিয়ে ক্যাম্পাসভিত্তিক কয়েকটি ঘটনায় শুধু প্রেস রিলিজ দিয়ে নিজেদের দায়মুক্ত রাখতে চাইলেও বিষয়টিকে কর্মীরা নতুন কমিটির দুর্বলতা হিসেবেই দেখছেন। তবে কমিটি বলছে, ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের দখলদারি ও আগ্রাসী মনোভাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসহযোগিতা, ঈদের ছুটি এবং তাপদাহের কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নেতাকর্মীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে গঠিত এই কমিটি ক্যাম্পাসমুখী না হয়ে দলের পার্টি অফিসমুখী হয়েছে। দুই মাস পার হতে চললেও কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কোনো দৃশ্যমান ও কার্যকরী কর্মসূচিই এখন পর্যন্ত হাতে নিতে পারেনি, এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎই করতে পারেনি।  এর আগে, গত ১ মার্চ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণেশ চন্দ্র রায় সাহসকে সভাপতি ও নাহিদুজ্জামান শিপনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত শাখাটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাবি ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক মাত্র দুটি ঘটনায় শুধু প্রেস রিলিজ দিয়েছে সংগঠনটি।  সেগুলো হলো- রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনসমূহে খাবারের মূল্যবৃদ্ধি ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের প্রতিবাদ এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান। এছাড়া, গত ২৯ মার্চ ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছিলো সংগঠনটি।  এর বাইরে, বিভিন্ন সময়ে দলীয় পার্টি অফিসে দৌড়াদৌড়ির পাশাপাশি রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত এক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নতুন কমিটি উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান, সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুতে ৪টি শোক বিজ্ঞপ্তি এবং বিভিন্ন সময়ে বিএনপির কয়েকজন নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নিন্দা ও প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করতে দেখা গেছে এই শাখার নতুন কমিটিকে। যেগুলো ঢাবি ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট কোন কর্মসূচি ছিল না। অভিযোগ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক কর্মী কালবেলাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কাজ না হওয়াটা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুর্বলতা এবং আমাদের জন্য অবশ্যই হতাশাজনক বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ে না যেতে পারাটা আমাদের মতো কর্মীদের মনোবলকে দুর্বল করে তুলছে বারবার।  তিনি বলেন, সংগঠন চালাতে হলে সেটার মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং ক্ষেত্র সব কিছুর প্রতি দৃষ্টি দিতে হয়। আমাদের মূল ক্ষেত্র হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেই যদি আমরা নিষ্ক্রিয় থাকি, তাহলে সংগঠন এগোবে না, এটাই বাস্তবতা। এ নিয়ে আমরা হতাশ। নতুন কমিটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা বাড়ানো উচিত। এই মুহূর্তে পার্টি অফিসে গিয়ে পড়ে থাকলে শাখা সংগঠন বাঁচবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে বসে বসে প্রেস দিলে সংগঠনের কার্যকারিতা থাকেনা। সংগঠনের নতুন কমিটিতে যারা দায়িত্বশীল আছেন এই ব্যাপারে তারা একটি কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে অতি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশা করছি। এক্ষেত্রে সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ, এমনকি অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পরামর্শ নিয়েও কাজ করা যেতে পারে।  আরেক কর্মী বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের জন্য যা করা প্রয়োজন, সংগঠন বা নতুন কমিটিকে তাই করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চটা দিয়ে দাবী জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছেন তাদেরকে পরিবেশ সংসদের মিটিং আহবান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মিছিল আয়োজন, একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করার জন্য সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে, সেটা হোক ঘোষিত বা অঘোষিত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন কালবেলাকে বলেন, ঢাবি ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার পরেই রমজান মাস শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রমজান মাসে রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম থাকে না। রোজার ঈদের পর তাপদাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে গিয়েছে। সুতরাং কমিটি পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার সুযোগ আমাদের এখনো তৈরি হয়নি। তারপরও আমরা রমজানে ক্যাম্পাসে খাবারের দাম কমানো ও মান বৃদ্ধি করার দাবি জানানো, ইফতার মাহফিল আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা, এবং শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা কথা বলেছি।  তিনি বলেন, রমজানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে আমরা ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম এবং তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে সহাবস্থানমূলক ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে সেহেতু উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আমরা আবার যোগাযোগ করব, যেন আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হয়।  ঢাবি শাখার সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নানা ঘটনায় আমরা সশরীরে ও বিবৃতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দায়িত্বটা পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে রমজান মাস চলে আসায় সে মাসের আলাদা পরিবেশ ও ভাবগাম্ভীর্য অনুযায়ীই আমাদের কার্যক্রম কিছুটা ধীরস্থিরভাবে চালাতে হয়েছে। আবার ঈদের ছুটির পর ক্যাম্পাস খুলতে না খুলতেই হিটওয়েভের কারণে ক্যাম্পাস ছুটি দিয়ে অনলাইন ক্লাসে চলে যাওয়ায় ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টাও খানিক ব্যহত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে- সেটা এখন সকলেরই জানা। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে সে ত্রাসকে গণতান্ত্রিক উপায়ে মোকাবেলা করে ক্যাম্পাসে নিজেদের স্বাভাবিক উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য, যাতে করে গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তভাবে রাজনৈতিক চর্চার পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরে পেতে পারে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কালবেলাকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্রদলের যে পথচলা সেটিকে আমরা ত্বরান্বিত করার পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছি। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাংগঠনিক অনেক কাজ করেছে, ক্যাম্পাসে না যাওয়ার কারণে হয়তো সেটি দৃশ্যমান হয়নি। ক্যাম্পাসে যাওয়াসহ যাবতীয় সাংগঠনিক কাজ দৃশ্যমান করার জন্য আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি।   কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং তাদের ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক কার্যক্রম কেমন হতে পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর আমরা শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবো এবং উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করবো। তারপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা যেভাবে প্রয়োজন, সেভাবেই কাজ করবে।
০১ মে, ২০২৪

কারামুক্ত হলেন ছাত্রদল নেতা কাজী বাসিত
দীর্ঘ ৭ মাস কারান্তরীণে থাকা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়া উদ্দিন বাসিত কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে মুক্তির পর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন এবং স্বাগত জানান। এসময় বাসিত অভিযোগ করে বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণে তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা হয়েছিল। ৭ মাস পর কারামুক্ত হওয়ায় তিনি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করেন। ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সমাবেশে এবং ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে সামনে রেখে অভিযান চালায় পুলিশ। ছাত্রদল নেতা বাসিতকে গ্রেপ্তারের পর নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে হোটেল মেরিনা থেকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বর্ষায় দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ করবে ছাত্রদল
প্রাণ, প্রকৃতি রক্ষা ও তীব্র তাপের থেকে মুক্তি মিলতে আষাঢ় থেকে বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বৃক্ষরোপণের প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গাছ লাগিয়ে ফটোবাজি নয়, গাছের যত্ন নিতেও আমরা কাজ করব। ছাত্রদলের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৃষ্টিহীন এই তীব্র রোদের সময় গাছ রোপণ করা হলেও সেগুলো বাঁচবে না। এই খরার মাঝে কৃত্রিমভাবে পানি সরবরাহ করেও গাছ বাঁচানো অসম্ভব কাজ। দেশের গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা যখন ৩০-৩২ ডিগ্রি ছিল, তখনই নতুন গাছ বাঁচত না। এখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি। তাই দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আসন্ন বর্ষায় সারা দেশে বৃক্ষরোপণ করবে ছাত্রদল। নাছির বলেন, ছাত্রদল বিশ্ব পরিবেশ দিবস, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীসহ নানা উপলক্ষে অতীতেও সফলভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে । এ বছর আরও বড় পরিসরে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করব।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন 
কুমিল্লার আদর্শ সদরে ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর থানার ধনুয়াখালী এলাকার বাসিন্দা ও কালিবাজারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী, একই গ্রামের মো. শাহীন, সৈয়দপুর গ্রামের মো. সাদ্দাম হোসেন, কমলাপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম, মো. কায়সার, মো. রিয়াজ, কামাল হোসেন, যশপুর গ্রামের মফিজ ভান্ডারী, মনশাসন গ্রামের মো. বিল্লাল, কালির বাজার ইউনিয়নের মো. ইব্রাহীম খলিল, রায়চোঁ গ্রামের মেহেদী হাসান, সৈয়দপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের আব্দুল কাদের, নারায়নসার গ্রামের আনোয়ার। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলা চলাকালে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ও তিনজন পলাতক আছেন।  এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১০ জুন কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের কমলাপুর বাজারের পাশে একটি বাগানে ছাত্রদল নেতা পারভেজকে হত্যা করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী এবং তার বাহিনী। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন। পরে তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসলে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। রায়ের অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে নিহত পারভেজের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, আসামি সবার ফাঁসি চেয়েছি। আমার স্বামীকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

বেড়াতে আসা নবদম্পতির থেকে ছাত্রদল নেতার স্বর্ণালংকার ছিনতাই
বগুড়ার ধুনটে যমুনার তীরে বেড়ানোর সময় আশিক-শিলা নামে এক নবদম্পতিকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রদলের কর্মীসহ ৫ যুবকের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় নববধূ শিলা খাতুন বাদী হয়ে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী নবদম্পতি উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের বাসিন্দা।   অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার (বাঁধ) এলাকা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে অসংখ্য দর্শনার্থী ওই বাঁধ এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। অনেকে আবার যমুনা নদীর বুকে নৌকা ভ্রমণে মেতে ওঠেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে নবদম্পতি আশিক ও শিলা আত্মীয়স্বজন নিয়ে বানিয়াজান স্পার এলাকায় বাঁধে বেড়াতে যান। এ সময় একই এলাকার শিমুলবাড়ি গ্রামের মোন্নাত আলীর ছেলে ছাত্রদলের কর্মী আব্দুল হালিম ও তার চার সহযোগী আশিক-শিলা দম্পতিকে উত্যক্ত করতে থাকে। তখন আশিক তাদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল হালিম ও তার সহযোগীরা আশিক ও শিলা দম্পতিকে মারধরে করে তাদের কাছ থেকে প্রায় এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় নববধূ শিলা খাতুন বাদী হয়ে বুধবার রাতে আব্দুল হালিম ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে আব্দুল আলিম ও তার সহযোগীরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম এর আগেও কয়েকবার ছিনতাই করেছে। সে স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বানিয়াজান স্পারে ঘুরতে আসা মানুষকে বিপদে ফেলে ছিনতাই করে সে। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, এক দম্পতির কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক পুলিশ কর্মকর্তাকে (এসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানাল ছাত্রদল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও সহাবস্থানের দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল। একই সঙ্গে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিবিরোধী চলমান আন্দোলনের সঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করেছে বিএনপির এই ছাত্র সংগঠনটি। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বুয়েট পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও নাছির উদ্দিন ছাত্রদলের অবস্থান তুলে ধরেন। এ সময় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার সম্পাদক শরিফ প্রধান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মহানগর ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, আমরা বুয়েটসহ দেশের সব ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও সহাবস্থান দাবি করছি। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদল সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি চর্চা এবং ক্যাম্পাসগুলোতে সহাবস্থানে বিশ্বাসী। এটাই আমরা চাই। একই সঙ্গে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে তাদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির বলেন, ছাত্রলীগ প্রগতিশীলতার নামে নব্য মৌলবাদী চিন্তাধারায় বিশ্বাস করে ক্যাম্পাসে খুনের রাজত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে আদালতকে ব্যবহার করে একটি রায় নিয়ে ছাত্রলীগ বুয়েটে আবারও ছাত্ররাজনীতি করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, ছাত্রদল মনে করছে এটি বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আদালত বুয়েটের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। বুয়েটে রাজনীতি থাকবে কি না—এই সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের যে সন্ত্রাসী রাজনীতি চলছে, সেটা যদি শিক্ষার্থীরা পরাভূত করতে চায়, ১৯৭৩ সালের মহসিন হলের সেভেন মার্ডারের মতো ঘটনা দেখতে না চায়, তারা যদি আবু বকরের মতো হত্যাকাণ্ড দেখতে না চায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তা সমূলে অবসান হতে হবে। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এই অপরাজনীতির অবসান চায়। আমাদের রাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের জন্য। বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, ছাত্রলীগ ১৫ বছর ধরে এককভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বুয়েটে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাওয়া একটি প্রহসন। এর পেছনে কোনো রাজনীতি চর্চার উদ্দেশ্য নেই। বরং বুয়েটের ক্যান্টিন, মেস, দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে টেন্ডারবাজি করতে না পারার হতাশা থেকে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতারা নগণ্যসংখ্যক বিপৎগামী বুয়েট শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ক্যাম্পাসে ফের লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করার ষড়যন্ত্র করছে। বুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালু করার পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। বুয়েটে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই জানিয়ে রাকিব বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পাঁচ-ছয় মাস আগে পাঁচজনের একটি কমিটি ছিল। ওই কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুললে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল তাদের কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান তিনি।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগের নির্যাতন থেকে নিস্তার পেতে বুয়েটে শিক্ষার্থীরা রাজনীতির বিরুদ্ধে : ছাত্রদল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উদ্ভূত পরিস্থিতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনে করে, ছাত্রলীগের প্রাণঘাতী নির্যাতন থেকে নিস্তার পেতেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) ডিআরইউ সাগর-রুনির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব লিখিত বক্তব্য এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে খুন করার পরে মুষ্টিমেয় দুই একজন বাদে বুয়েটের সব শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যদিও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে নিরাপত্তার অভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে। ছাত্রদল মনে করে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আপাত দৃষ্টিতে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে যে অবস্থান তার একক দায়ভার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। তিনি আরও বলেন- ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে খুনি, ধর্ষক, নারী নির্যাতনকারী, প্রশ্নফাঁসকারী, মাদকব্যবসায়ী এবং টেন্ডারবাজদের অভয়ারণ্য। দেশপ্রেমিক মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদকে হত্যা করে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সব সীমা অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে দেশের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পরে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা স্বস্তি এবং নিরাপত্তা লাভ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বুয়েটসহ সারা দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ টর্চার সেল গড়ে তুলেছে। শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পরে বুয়েটের টর্চার সেলগুলো বন্ধ হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি কলেজগুলোর হলে ছাত্রলীগের টর্চার সেলে নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুমে ছাত্রদের মারধর করার শতাধিক ঘটনা বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, বুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালু করার পদক্ষেপ বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এখন শঙ্কিত এই কারণে, ছাত্রলীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হলে তাদের পড়াশোনা এবং ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিং, গেস্টরুমে হাজিরা দিতে হবে। তাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে। রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্ররাজনীতি চালু করতে  হলে সব রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা আবশ্যক। ক্যাম্পাসে এবং হলে সব রাজনৈতিক সংগঠনকে অবাধে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দিতে হবে। সব শিক্ষার্থীকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু এসবের কোনো কিছু না করে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে রাতের আঁধারে মিটিং করে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছে। ভবিষ্যতে বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হলে তার দায়দায়িত্ব ছাত্রলীগকে এবং বুয়েটের প্রশাসনকে বহন করতে হবে। এ সময়  তিনি বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন- দেশ এখন গভীর সংকটে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিকৃষ্টতম হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগ আবারও আদালতের রায় নিয়ে ছাত্ররাজনীতি করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা ছাত্ররাজনীতির জন্য কলংকজনক ঘটনা। আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আদালত বুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি) জাহাঙ্গীর প্রধান, প্রচার সম্পাদক শরীফ প্রধান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ
ফেনীতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে সোনাগাজীর বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদল নেতার নাম সাখাওয়াত হোসেন শাকিল মিয়াজী। তিনি বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি।  সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় কালবেলাকে বলেন, হামলার ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত ছাত্রদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন শাকিল মিয়াজী বলেন, সোমবার বিকালে বগাদানা ইউনিয়নের বড় হালিয়া গ্রাম থেকে জানাজার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মান্দারী গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ৮-৯ জন ছাত্রলীগ কর্মী আমার গতিরোধ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে কেন লেখালেখি করি তা জানতে চেয়ে গালিগালাজ ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।  তিনি বলেন, পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। গলায় ছুরি ধরে সরকারের বিরুদ্ধে যেন কোনো কথা না বলি এবং বললে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। আমাকে আহত করে যাওয়ার সময় ব্যাগে থাকা পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ছাত্রদল নেতা আরও বলেন, কিছুদিন আগেও ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমার পরিবারকে গালিগালাজ করেছে।  উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহাগ নুর নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। জানতে চাইলে বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়াইব তানিম বলেন, বগাদানা ইউনিয়নে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নাই। ছাত্রদল নিজেরা অন্য কোথাও মারামারি করে ছাত্রলীগের উপর দোষ দিচ্ছে।  উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান রাসেল বলেন, ছাত্রদলের দুগ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে এ হামলা হয়েছে। নিজেরা মারামারি করে ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
২৬ মার্চ, ২০২৪
X