কাভার্ডভ্যান চালকের নেতৃত্বে ৯ মাসে শতাধিক অটোরিকশা ছিনতাই
রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে চালককে অজ্ঞান করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক নিহতের ঘটনায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত শনিবার রাজধানীর মুগদা মানিক নগর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলো ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মো. শরীফুল ইসলাম (৩২), তার অন্যতম সহযোগী চান্দু (৪০), চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া (৫৯) ও মো. আল আমিন (৩৮)। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে আপডাউনের কথা বলে চালক শাহ আলম মিয়ার অটোরিকশা ঠিক করে আসামিরা। এরপর মাঝপথে কৌশলে চালককে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় ছিনতাই চক্রের মূলহোতা শরীফুল ইসলাম। সে পেশায় কাভার্ডভ্যান চালক। ৯ মাস আগে শরীফুল যে কাভার্ডভ্যান চালাত, সেটি মালিক বিক্রি করে দেওয়ায় বেকার হয়ে যায় সে। এরপর একজনের মাধ্যমে অটোরিকশা চুরির কৌশল শেখে শরীফুল। শরীফুলের চক্র তিনজনের। তারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারটি অটোরিকশা ছিনতাই করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকা থেকে শাহ আলমের অটোরিকশায় উঠে চক্রের দুজন। কৌশলে ছিনতাই করে তার রিকশা। শাহ আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ এপ্রিল তিনি মারা যান। ডিসি হায়াতুল বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শরীফুল ইসলাম, তার সহযোগী চান্দু ও শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। শনিবার রাতে মুগদা থানার মানিক নগর এলাকা থেকে শরীফুল ও চান্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি চেতনানাশক ট্যাবলেট ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া ও আল আমিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার শরীফুল প্রাথমিকভাবে শতাধিক অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করেছে। তারা শাহ আলমের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরও অন্তত ৯টি অটোরিকশা ছিনতাই করেছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৬ মে, ২০২৪

ধাক্কা দিয়ে ৭০ লাখ টাকা ছিনতাই
মালিকের ব্যবসার টাকা নিয়ে রাজধানীর বাদামতলী থেকে তাঁতীবাজার যাচ্ছিলেন কর্মচারী মহিউদ্দীন। তার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে ছিল ব্যবসার ৭০ লাখ টাকা। ইসলামপুর রোডের নবরায়ন গলির মুখে পৌঁছালে মহিউদ্দীনকে ধাক্কা দেয় একজন। উল্টো কেন তাকে ধাক্কা দেওয়া হলো—এ নিয়ে মহিউদ্দীনকে জিজ্ঞেস করে ওই ব্যক্তি। দুঃখিত বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মহিউদ্দীন। কিন্তু ততক্ষণে ছয়-সাতজন ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে; ছিনিয়ে নেয় কাঁধে থাকা টাকাভর্তি ব্যাগ। এরপর গলি ধরে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওইদিনই ব্যবসায়ী আকিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর ছিনতাইকারীরা কেউ গ্রেপ্তার না হলেও তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাহবুব-উজ-জামান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কালবেলাকে বলেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই এতগুলো টাকা এক জায়গা থেকে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছিল। পথে কর্মচারী মহিউদ্দীনকে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছয়-সাতজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তার ও ছিনতাই হওয়া টাকাগুলো উদ্ধারে একাধিক টিম কাজ করছে। ব্যবসায়ী আকিদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁতীবাজারে ‘মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলভার হাউস জুয়েলার্সে’র মালিক তিনি। বাদামতলীতে পার্টনারশিপে তার ফলের ব্যবসা রয়েছে। তার পার্টনাররা হলেন জিয়া ও রাকিব। আকিদুলের অনুপস্থিতিতে ম্যানেজার দিদারুল ইসলাম ব্যবসা পরিচালনা করেন। আকিদুল দোকানে আসেন, হিসাবনিকাশ করে আবার চলে যান। ম্যানেজারের নির্দেশে ব্যবসার টাকা আনা-নেওয়া করেন কর্মচারী মহিউদ্দীন। ঘটনার দিনও বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আকিদুলের ব্যবসায়িক পার্টনার জিয়ার অফিসে টাকা আনার জন্য যান মহিউদ্দীন। বাদামতলী ঢাকা ব্যাংকের পাশে খেজুর গলি মতলা এন্টারপ্রাইজের দ্বিতীয় তলায় জিয়ার অফিস। মহিউদ্দীনকে ৭০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেন জিয়া। এরপর সঙ্গে থাকা স্কুল ব্যাগে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে হেঁটে রওনা হন মহিউদ্দীন। আকিদুল জানান, ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে ইসলামপুর রোডের নবরায়ন গলির মুখে পৌঁছালে অজ্ঞাতপরিচয় এক দুষ্কৃতকারী প্রথমে মহিউদ্দীনকে ধাক্কা দিয়ে উল্টো সেই ব্যক্তি তাকে বলে যে ভাই ধাক্কা দিলেন কেন? তখন মহিউদ্দীনের সন্দেহ হয় এখানে কিছু একটা হতে পারে। এজন্য তিনি নিজে থেকে দুঃখিত বলে পাশ কেটে চলে আসার চেষ্টা করেন। ঠিক ওই মুহূর্তে আরও ছয়-সাতজন অতর্কিতভাবে তাকে মারধর করে তার ডান চোখের ওপর গুরুতর জখম করে। তার কাছে থাকা ব্যাগভর্তি ৭০ লাখ টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীরা নবরায়ন গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মহিউদ্দীন স্থানীয়দের সহায়তা চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানান আকিদুল। তিনি জানান, কারও কোনো সহায়তা না পেয়ে মহিউদ্দীন দৌঁড়ে বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান এবং পুলিশকে বিস্তারিত জানান। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বিভিন্ন জায়গার সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে। দোকান কর্মচারী মহিউদ্দীনের বরাতে আকিদুল জানান, দুষ্কৃতকারীদের বয়স অনুমান ২০-৫০ বছর। তারা পুরান ঢাকার ভাষাসহ বিভিন্ন এলাকার আঞ্চলিক ভাষায় গালাগালসহ কথাবার্তা বলছিল। তাদের দুই-তিনজনের মুখে দাড়ি ছিল। আবার কারও মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। টাকার ব্যাগ নিয়ে যে পালিয়ে যায়, তার মাথা টাক। দুজনের বয়স ৪০-৫০ বছর, অন্যদের বয়স ২০-৩০ বছর।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণ, বাইক ছিনতাই
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইকবাল (৪০) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এ সময় তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় তাকে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইকবাল মাতুয়াইলের পশ্চিমপাড়া এলাকায় থাকতেন। তার ভাই ইকরাম বলেন, ভাই সকালে মোটরসাইকেলে নিজের স্বর্ণের দোকানে যাচ্ছিলেন। পথে পাঁচ-ছয় ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। তারা তার কাছে থাকা টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও তার মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে ইকবাল নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

রামপুরায় বারে ভাঙচুর ,পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই
রাজধানীর রামপুরায় ক্যান্টন রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বারে ভাঙচুর চালিয়েছেন একদল যুবক। পুলিশ এসে একজনকে আটক করলে তাদের ওপরও চড়াও হন ভাঙচুরকারীরা। হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেন তারা। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাতিরঝিল ও রামপুরা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের মামলায় আটক তিনজন ছাড়াও আরও ১১ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে। হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. রফিক, মেহেদী হাসান ও ফয়েজ আহম্মেদ বাবু। অন্য আসামিরা হলেন সাজ্জাদ চৌধুরী, বায়োজিদ, জাহিদ, জনি, নোহা রনি, রহমান, বাবু অরফে কালা বাবু, রমজান, কাদের, বাবু ও রোমান ওরফে নোমান। থানা পুলিশ ও বার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ক্যান্টন বারে মদ খেতে যান সাজ্জাদ, বায়োজিদ ও তার দুই বন্ধু। বারে তাদের বিল আসে চার হাজার টাকা। তবে বিল না দিয়েই তারা বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন কর্মচারী নুরুল ইসলাম। বাধা দেওয়ায় গালাগাল শুরু করেন সাজ্জাদ ও তার সঙ্গীরা। এক পর্যায়ে সাজ্জাদ চেয়ার দিয়ে নুরুল ইসলামের মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে যায় তার। মুহূর্তেই উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার এসআই জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম বারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একজনকে আটক করে। বাকি তিনজন পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজন পালিয়ে যাওয়ার পরপরই সাজ্জাদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন এসে দেশি অস্ত্র, রড, হকিস্টিক নিয়ে বারে হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেন। একই সঙ্গে ভাঙচুর চালায় বারটিতে। এ সময় পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন তারা। হাতিরঝিল থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, এ হামলায় তিনিসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হাতিরঝিল থানারও ওসি আওলাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

গরু ছিনতাই মামলায় কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় গরু ছিনতাই মামলার আসামি জাহিদ হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।  শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ হাসান উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভোটমারী এলাকার আবু বক্করের ছেলে। জানা গেছে, কিছুদিন আগে হাতীবান্ধার এক গরু ব্যবসায়ী লালমনিরহাটে বিক্রির জন্য একটি পিকআপভ্যানে ৪টি গরু নিয়ে যাচ্ছিল। ওই গরুর গাড়ি ভোটমারী এলাকায় পৌঁছলে জাহিদসহ কয়েকজন যুবক পথরোধ করে গাড়িটি আটকে গরুগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গরুর মালিক মন্টু মিয়া বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে গরু ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে আমার ৪টি গরু বিক্রির জন্য লালমনিরহাট নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে ভোটমারী এলাকায় জাহিদসহ কয়েকজন গরুগুলো ছিনতাই করে করে নিয়ে যায়। হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি গরু ছিনতাই মামলায় জাহিদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

অটোভ্যান ছিনতাই করে চালককে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
প্রতিদিন ২০০ টাকার ভাড়ায়চালিত উপার্জনের অটোভ্যান দিয়ে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে চলত অভাবের সংসার। সেই একমাত্র ভাড়ার অটোভ্যান রক্ষা করতে গিয়ে ছিনতাইকারীর হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন হতদরিদ্র ভ্যানচালক। হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর জড়িত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে চরভদ্রাসন উপজেলার রমেশ বালার ডাঙ্গী গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাইদুল শেখকে (১৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যানুসারে ঘটনার সঙ্গে জড়িত একই এলাকার আসামি লিটন মণ্ডল ওরফে রুবেল (২৪) ও রুমান মণ্ডলকে (১৭) গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সাইদুল শেখের বাড়ি থেকে মোবাইল ও রোমানের বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি লোহার পাতের চাকু উদ্ধার করা হয়। এম মোর্শেদ আলম জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গজারিয়া বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে সাইনবোর্ড যাওয়ার কথা বলে ১৫০ টাকা ভাড়া ঠিক করে হারুন অর রশিদের ভ্যানে ওঠে সাইদুল, লিটন ও রুমান। এরপর সাইনবোর্ড এলাকার পদ্মা নদীসংলগ্ন একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ভ্যানচালক হারুনকে ধারালো চাকু দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে আসামিরা। তখন হারুন ভ্যানের জন্য অনুনয়-বিনয় করেন। তখন আসামিরা বলে, ‘বেঁচে থাকলে ভ্যান কিনতে পারবেন, এখান থেকে চলে যান।’ তিনি আরও জানান, আবারও তিনি ভ্যানের মায়ায় আসামিদের অনুনয়-বিনয় করে। এ সময় আসামি রুবেলের হাতে থাকা চাকু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আসামিরা তার মাথায় বারংবার আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে আসামিরা ভ্যান নিয়ে চলে যায়। পরে ছিনতাই করা ভ্যান মাত্র ১০০০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, আসামি রুবেল একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। এর আগে তিনি ঢাকার সাভার এলাকায় একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনতাই করে। এ সময় ওই রিকশাচালককে নির্মমভাবে মারধর করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে রিকশা নিয়ে চলে যায় কিন্তু ভাগ্যক্রমে ওই রিকশা চালক বেঁচে যান। এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি ছিনতাই মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং গত জানুয়ারিতে ওই মামলায় জামিন পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসে। এরপর আবারও ছিনতাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলার সদর উপজেলার আলিয়াবাদের চর গজারিয়ার পদ্মা নদী সংলগ্ন মেহগনি বাগানের অজ্ঞাতপরিচয় লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ শনাক্তের চেষ্টা করে। পরে রহিমন বেগম শনাক্ত করেন যে লাশটি তার স্বামী হারুন অর রশিদের। এ ঘটনায় ভ্যানচালক হারুন অর রশিদের স্ত্রী রহিমন বেগম অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি ছিনতাইসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত হারুন অর রশিদ (৩৫) নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের দুলারডাঙ্গী গ্রামে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। স্ত্রী রহিমন বেগম ও আট বছর বয়সী নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে বসবাস করতেন। রহিমন বেগম জানান, ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হন তার স্বামী। সন্ধ্যার মধ্যেই স্বামী প্রতিদিন ফিরে আসেন। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেননি। রাত ১০ টা থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন সকালে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন সাইনবোর্ড এলাকায় মেহগনি বাগানের মধ্যে একটি লাশ পড়ে আছে।  তিনি বলেন, ‘আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করি। নিজেদের কোনো ভ্যান ছিল না। আমার স্বামী ভ্যান ভাড়া নিয়ে চালাতেন। প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাড়া দিতে হতো। আমার সব শেষ হয়েছে। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চলব কীভাবে। আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার দাবি করছি।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

গভীর রাতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন শিয়া মসজিদ এলাকা। মসজিদের ঢালে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে গভীর রাতে অটোরিকশা ছিনতাই করত। তারা যাত্রীবেশে প্রথমে সংকেত দিয়ে রিকশার চালককে থামতে বলত। চালক থামলেই তার গলায় ধরা হতো চাপাতি। এরপর চালকের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সাসহ তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যেত। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি এই কাজ করলেও তারা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে গত সোমবার টহলরত মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো মো. শামীম, জুয়েল শিকদার ও মো. রায়হান। পরে এক ভুক্তভোগীর মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়। মামলায় বাদী অটোরিকশা চালক মনির হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ৪টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে তিনি শিয়া মসজিদ সংলগ্ন গ্রিন উডস স্কুলের সামনে রাস্তা যান। সেখানে ছিনতাইকারীরা তার অটোরিকশাটি থামায়। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা চাপাতি বের করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। এরপর তারা নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, রিকশাটি ছিনতাই হওয়ার ৪-৫ মিনিটের মধ্যেই ভুক্তভোগী আমাদের কাছে চলে আসে। এরপর আমরা গাড়ি নিয়ে সামনে এগোতেই ছিনতাইকারীদের দেখতে পাই। আমরা রিকশার পেছনে গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে তাদের আটক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশা ছিনতাই করত বলে জানিয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভুঞা বলেন, ভুক্তভোগী মামলা করলে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বেড়াতে আসা নবদম্পতির থেকে ছাত্রদল নেতার স্বর্ণালংকার ছিনতাই
বগুড়ার ধুনটে যমুনার তীরে বেড়ানোর সময় আশিক-শিলা নামে এক নবদম্পতিকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রদলের কর্মীসহ ৫ যুবকের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় নববধূ শিলা খাতুন বাদী হয়ে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী নবদম্পতি উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের বাসিন্দা।   অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার (বাঁধ) এলাকা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে অসংখ্য দর্শনার্থী ওই বাঁধ এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। অনেকে আবার যমুনা নদীর বুকে নৌকা ভ্রমণে মেতে ওঠেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে নবদম্পতি আশিক ও শিলা আত্মীয়স্বজন নিয়ে বানিয়াজান স্পার এলাকায় বাঁধে বেড়াতে যান। এ সময় একই এলাকার শিমুলবাড়ি গ্রামের মোন্নাত আলীর ছেলে ছাত্রদলের কর্মী আব্দুল হালিম ও তার চার সহযোগী আশিক-শিলা দম্পতিকে উত্যক্ত করতে থাকে। তখন আশিক তাদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল হালিম ও তার সহযোগীরা আশিক ও শিলা দম্পতিকে মারধরে করে তাদের কাছ থেকে প্রায় এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় নববধূ শিলা খাতুন বাদী হয়ে বুধবার রাতে আব্দুল হালিম ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে আব্দুল আলিম ও তার সহযোগীরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম এর আগেও কয়েকবার ছিনতাই করেছে। সে স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বানিয়াজান স্পারে ঘুরতে আসা মানুষকে বিপদে ফেলে ছিনতাই করে সে। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, এক দম্পতির কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক পুলিশ কর্মকর্তাকে (এসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

থানায় হামলা, ৮ সহযোগীসহ রিমান্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হামলার ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরু ও তার ৮ সহযোগীকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সঞ্চিতা ইসলাম তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।  বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শাজাহানপুর থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং পরে গ্রেপ্তারদের হেফাজত থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড আবেদন শুনানির দিন ধার্য ছিল। ডিবি পরিদর্শক মোস্তাফিজ হাসান জানান, দুটি মামলায় আদালতে সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় তিন দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিকালে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হয়।   আদালত যে ৯ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তারা হলেন, শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু, তার সহযোগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মিতুল ও ওহাবুজ্জামান। পুলিশ জানায়, গত ৬ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ চাকুসহ আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে নুরুজ্জামান নুরুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা শাজাহানপুর থানায় হামলা করে পুলিশ সদস্যদের মারধর করে আটক মিঠুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আসামি ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। সেখান থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। থানায় হামলা এবং মহাসড়কে ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের ৮ সদস্য আহত হন। ওই রাতেই পুলিশ নুরুজ্জামান নুরুসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের হেফাজত থেকে ১৫ রাউন্ড গুলিসহ দুটি বিদেশি পিস্তল, এক কেজি গাঁজা ও তিন বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, থানায় হামলার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান নুরুকে ৭ এপ্রিল রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের সিন্টাজুরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইজিবাইক চালক দুলাল মিয়া (৪০) উপজেলার রামপুরা গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, দুলাল মিয়া প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরে সিন্টাজুরি এলাকায় সোমবার সকালে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশের ধারণা, দুলালকে গলাকেটে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ্ জানান, স্থানীয়দের খবরের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধারসহ দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪
X