সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টান্টবাজি করে অতিরিক্ত পপুলার হতে নাই : হিল্লোল
দেশের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল। অভিনয় বাদ দিয়ে তিনি এখন ফুল টাইম ফুড ব্লগিং করেন। ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশে। খেয়ে দেখান বিভিন্ন দেশের ঐতিহাসিক সব খাবার। এবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত জনপ্রিয়তা পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন।    বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টান্টবাজি করে অতিরিক্ত পপুলার হতে নাই, আমি খেয়াল করে দেখছি, তাতে করে পরবর্তীতে গজব নাজিল হয়! এমন উদাহরণ বাংলাদেশে অনেকগুলো আছে।’ তবে উপদেশটি কাউকে উল্লেখ করে দেননি এই অভিনেতা। তবে অনেকেই মনে করছেন কথাগুলো তিনি আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান রাফসানকে নিয়ে দিয়েছেন। কারণ কিছুদিন আগেই এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার বাবা মো. জাকারিয়া এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলিকে একটি দামি গাড়ি উপহার দেন। যার ভিডিও সামাজিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শেয়ার করেন তিনি। এরপরই শুরু হয় আলোচনা। বেরিয়ে আসে তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ। এরপরই সমালোচনার মুখে পরেন রাফসান।
১৪ মে, ২০২৪

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে তার এই থেকে যাওয়া সুষ্ঠু বা প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। তাদের আশা, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন তিনি। নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।  নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।  চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মন্ত্রীর ভাই যদি উপজেলা নির্বাচন করেন, তবে খামোখা আমাদের নির্বাচন করে লাভ কী? তিনি ভোটারদের বলে বেড়াচ্ছেন, ভোট দিলেও আমি, না দিলেও আমিই উপজেলা চেয়ারম্যান। ভোট চাইতে গেলে ভোটাররা বলেন, ‘কেরে ঘুরেন, কষ্ট করেন? ভোট তো কেটেই নেবে। তা দিতে পারব এমন গ্যারান্টি দিতে পারবেন?’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করার সাহস দলীয় কোনো নেতার আছে বলে আমি মনে করি না। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ তারিখের মধ্যেই শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। এরই মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার আশায় আছি।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন। এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি। এ ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন জানান, এ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কোনো চিঠি এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়েই পরবর্তী করণীয় নির্ধারিত হবে। যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ওই অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বসতবাড়ির এক ফুট সীমানার বিরোধে ছোট ভাই ‘খুন’
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের পরিবারের হামলায় ছোট ভাই নিহত হয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিঙ্গাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম। নিহতের নাম কোহেল উদ্দিন (৬৫)। তিনি উপজেলার জামিত্তা ইউনিয়নের মধুর চর গ্রামের মৃত ইন্তাজ উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে নিহত কোহেল উদ্দিন ও তার বড় ভাই মো. ইসলাম মুন্সির পরিবারের মধ্যে বসতবাড়ির সীমানার এক ফুট জায়গা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইসলাম মুন্সিসহ তার সন্তানরা কোহেল উদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় কোহেল উদ্দিন ও তার ছেলে শাহিনুর গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সিঙ্গাইর থানার অফিসার ইনচর্জ (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১১ মার্চ, ২০২৪

সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ‘গোপন কথা ফাঁস’ করলেন ছোট ভাই
প্রচার-প্রচারণার প্রথম দিনেই সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আপন ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমাবেশে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।  সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ছোট ভাই লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুজ্জামান আহমেদ  মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সেখানে লালমনিরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হকের (ঈগল মার্কা) ভোট চান তিনি। মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্যে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গত মাসে দুইটা রিকশা দিয়েছেন। যার একটা দিয়েছেন আপনার (মন্ত্রী) বাড়ির পাহারাদার জমিরকে আর একটি দিলেন আপনার ছেলের পাকোয়ানি (বাবুর্চি) ইদ্রিসকে। আর গরিব লোক ছিল না?।  মাহাবুবুজ্জামান বলেন, গরিব মানুষের বাড়ি পোড়া গেলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে টিন দেওয়া হয়। সেই টিন পায় আমার আপনার (মন্ত্রী) ভাই নজরুল মাস্টার আর কেচু মাস্টার। এরা গরিব অসহায়?  কালীগঞ্জের রুদ্বেশ্বরে দক্ষতা উন্নয়নের অফিস হবে। তার জন্য ওনি (মন্ত্রী) জমি কিনলেন ৪/৫ লাখ টাকায় গরিব কৃষকদের কাছ থেকে। সেই জমি রেজিস্ট্রি হলো ওনার (মন্ত্রী) ভাতিজা, ফুফাত ভাই হেলাল, মোস্তফা ফারুকদের নামে। কিনল ৫ লাখে লিখে নিল ৩০ লাখ টাকায়। সবাই মিলে ৩০ লাখ করে ভাগ করে নিলেন। সরকারের টাকা গরিব কৃষকরা পেলে দুঃখ ছিল না।  মাহবুবুজামান আহমেদ আরও বলেন, গোপন ফাঁস করে দেই। আপনি (মন্ত্রী) নৌকা নিয়েছেন, নৌকায় ভিড়তে পারবেন না। কারণ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আপনি (মন্ত্রী) নৌকা পুড়িয়েছেন। নৌকা আপনাকে সম্মান করবে না। আমার ছেলের বিয়েতে দাওয়াত করেছি। তিনি (মন্ত্রী) সোজা বলেছেন, আমি যাব না, কাউকে যেতেও দিব না। ছেলের বিয়েতে কাউকে আসতে দেননি। উল্টো বিয়ের দিন বিদ্যুৎও বন্ধ করে দিয়েছেন।  নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মাহবুবুজামান আহমেদ বলেন, ভোটমারি থেকে মহিষখোচা পর্যন্ত তিস্তা নদীতে বাঁধ দিতে চেয়ে মন্ত্রী দেননি। তার একটাই জবাব, আপনি বাঁধ দেননি, আমরা আপনাকে বাদ (বয়কট) দিলাম। পরে মঞ্চে থাকা আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হককে দেখিয়ে তার ঈগল প্রতীকে ভোট ও ভোটে কর্মী হিসেবে কাজ করার আহবান জানান মাহবুবুজামান আহমেদ। কর্মিসভায় লালমনিরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক, আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, ভাদাই ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত রায় বিদুর, কমলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি ও সারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয় কালীগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, তালিকা কমিটি করেছে। কমিটি যাদের তালিকা করে দিয়েছেন আমরা বিতরণ করেছি। এর থেকে বেশি কিছু আমার জানা নেই। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, কমিটি করে রিকশা দরিদ্র ব্যক্তিদের দেওয়া হয়। দুই রিকশার বিষয় যেটি বলা হচ্ছে সেটি আমার সময় নয়। তবে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে আমি জানাতে পারব।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ছোট ভাই হত্যা মামলায় বড় ভাই গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় লাঠির আঘাতে ছোট ভাইকে হত্যার মামলায় মজনু মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ র‍্যাব-১২ এ তথ্য জানিয়েছে।  বগুড়া জেলা সদরের তিনমাথা মোড়ে এক ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃত আব্দুস সাত্তার মজনু মিয়ার ছোট ভাই। তারা উল্লাপাড়া উপজেলার সড়াতৈল গ্রামের আব্দুল মজিদ আকন্দের ছেলে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়া নিহত আব্দুস সাত্তারের আপন বড় ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমি ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত রোববার দুপুরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বড় ভাই মজনু ও ছোট ভাই আব্দুস সাত্তার মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এবং মজনু তার লাঠি দিয়ে আব্দুস সাত্তারের মাথায় আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।  গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়াকে উল্লাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

বান্দরবানে ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
বান্দরবানের লামার রাঙ্গাঝিরি এলাকায় ছোট ভাইকে খুন করে মরদেহ জঙ্গলে লুকিয়ে রাখে বড় ভাই। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে লামা থানা পুলিশ ফাইতং রাঙ্গাঝিরি জঙ্গল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন। জানা গেছে, নিহত আব্দুর রহিম উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙ্গাঝিরি এলাকার আবুল কালামের ছেলে এবং মো. ইউনুস নিহতের আপন বড় ভাই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই লাখ টাকার বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই আব্দুর রহিমকে (৩৫) খুন করেছে বড় ভাই। এদিকে খুনের পর ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ছোট ভাইয়ের লাশ রাতের আঁধারে জঙ্গলে ফেলে আসে বড় ভাই মো. ইউনুছ। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিদেশে থাকা তাদের আরেক ভাইয়ের পাঠানো ২ লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মো. ইউনুস ও আব্দুর রহিমের মধ্যে বিরোধ হয়। বিরোধের একপর্যায়ে ইউনুস ছোট ভাইকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে ছোট ভাই আব্দুর রহিমের মৃত্যু করে। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ইউনুস। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ওসি শামীম শেখ বলেন, বড় ভাই ছোট ভাইকে খুন করে মরদেহ জঙ্গলের লুকিয়ে রেখে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন আটক বড় ভাই মো. ইউনুস। এই ঘটনা নিহতের পরিবার ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তদন্তে পাঁচ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে খুনের মূল রহস্য উদঘাটন করে আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ইউনুসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বড় ভাইয়ের কামড়ে ছোট ভাই নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বড় ভাই মঞ্জুর আলীর কামড়ে ছোট ভাই গোলাপ মিয়া (৩৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।  সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিখাতা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।   জানা গেছে, গোলাপ খাঁটিখাতা বাজারের নৈশ প্রহরী ছিলেন। ঘটনার পর বড় ভাই মঞ্জুর পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোলাপ প্রায়ই নেশা করতেন। স্থানীয়রা তাকে নেশা করতে নিষেধ করলে তিনি তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা গোলাপের বড় ভাই মঞ্জুরের কাছে বিচার দেয়। পরে মঞ্জুর সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার ছোট ভাইকে নেশা না করার বিষয়টি বুঝাতে গেলে তার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন গোলাপ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বড় ভাই  মঞ্জুর গোলাপকে মারধর করেন। পরে মাটিতে পড়ে যান গোলাপ। এ সময় মঞ্জুর গোলাপের কানে কামড় দিয়ে ধরে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় গোলাপকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তার কানে প্রায় ১৫টি সেলাই করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। তবে স্বজনরা গোলাপকে ঢাকায় না নিয়ে জেলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন গোলাপ মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে বড় ভাই মঞ্জুর আলী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
২২ আগস্ট, ২০২৩

ঝালকাঠির রাজাপুর / বড় ভাইয়ের পায়ের রগ ও কান কাটল ছোট ভাই
ঝালকাঠির রাজাপুরে বড় ভাইয়ের বাম কান ও ডান পায়ের গোড়ালির রগ কাটার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাতে উপজেলার পশ্চিম বাদুড়তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাঁসের বাচ্চার ধানের বীজতলা খাওয়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাই মজিবুর রহমান হাওলাদারের (৬০) ওপর এ হামলা করেন ছোট ভাই হাবিবুর রহমান হাওলাদার। এ ঘটনার সময় মজিবুর রহমানকে রক্ষা করতে গিয়ে তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে লাইলী আক্তার (২৩) আহত হয়েছেন। আহত মজিবুরকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। মজিবুরের বড় মেয়ে হ্যাপি বেগম জানান, তাদের হাঁসের বাচ্চা বীজতলা খেয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে গালমন্দ করেন চাচা হাবিব। এ সময় মজিবুর প্রতিবাদ করলে হাবিবুরসহ প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার বাবার বাম কান ও ডান পায়ের রগ কেটে ফেলে। এ ছাড়া মেয়ে লাইলী আক্তারকেও মারধর করে এবং সোনার গহনা লুটে নেয় প্রতিপক্ষ। রাজাপুর থানার এসআই আল হেলাল সিকদার ও এসআই পলাশ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২ জুলাই, ২০২৩

বড় ভাইয়ের দায়ের কোপে ছোট ভাই খুন
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের দায়ের কোপে নিহত হয়েছেন ছোট ভাই। গত রোববার রাতে উপজেলার সনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন আরও দুই ভাই। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের মৃত হারেসুর রহমান চৌধুরীর বড় ছেলে জাকির আলম ও মেজো ছেলে কামরুজ্জামান পালানুর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। রোববার রাতে এ নিয়ে পারিবারিক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে তার চার ছেলে জাকির আলম (৫০), কামরুজ্জামান পালানু (৪৫), আলমগীর হোসেন (৩২) ও লুৎফর রহমান যোগ দেন। সালিশের একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে বড় ছেলে জাকির আলম ঘর থেকে দা নিয়ে এসে কামরুজ্জামান পালানুর মাথায় কোপ দেন। বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে কামরুজ্জামানের ছেলে সরোয়ার হোসেন (২৩) অন্য চাচাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় চাচা আলমগীর ও লুৎফরকে পিটিয়ে আহত করেন সরোয়ার। এ সময় প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে পালানুর অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল সোমবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুজ্জামান মারা যান। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেলে মামলা হবে।
১১ জুলাই, ২০২৩
X