৩৩ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার খুশিতে থানায় মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছেন খুনের শিকার হওয়া আব্দুস সালামের ছোট ভাই আবুল কালাম।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় আসামি গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে মিষ্টি কিনে গোলাপগঞ্জ থানায় হাজির হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাসুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ১৩ এপ্রিল খুন হন গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামে হাছন আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (১৯)। এ খুনের মামলায় একই গ্রামের চরন মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়ার (৪৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়; কিন্তু হত্যাকাণ্ডে পর থেকে মাসুক মিয়া পলাতক ছিল। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর।
এলাকাবাসী জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়েছিলেন তিনি। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৩৩ বছর। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তার। সম্প্রতি বোনের মৃত্যুর পর কুলখানিতে অংশ নিতে বাড়ি এসেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে বোরকা পরে চলাচল করছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাসুক মিয়া (৪৯)।
পুলিশ জানায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাসুক মিয়াকে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে আসামি মাসুক মিয়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আত্মগোপনে গিয়েছিল। একপর্যায়ে সৌদি আরবেও অবস্থান করে; কিন্তু কিছুদিন পূর্বে বোনের কুলখানিতে অংশ নিতে দেশে এলে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় তিনি।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইস ও অবস্) শেখ সেলিম কালবেলাকে বলেন, সিলেটের পুলিশ সুপার স্যারের নেতৃত্বে পুলিশ যে আপামর জনসাধারণের উপকারে কাজ করছে ৩৩ বছর পর মাসুক মিয়া গ্রেপ্তার তারই বহিঃপ্রকাশ। পুলিশ সবসময় স্বাধীনতার পক্ষে ও জনসাধারণের সেবায় কাজ করছে এবং করে যাবে।
এদিকে, বড় ভাই আব্দুস সালামের খুনি গ্রেপ্তারে স্বস্তি প্রকাশ করেন নিহতের ছোট ভাই আবুল কালাম মিষ্টি নিয়ে হাজির হন গোলাপগঞ্জ থানায়। গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় থানায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন