শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
নানা আয়োজনে গজারিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
১ ঘণ্টা আগে
১১ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী, পালালেন তারিকুল
২ ঘণ্টা আগে
চেয়ারম্যানের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা আহত
২ ঘণ্টা আগে
পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
সন্তান জন্ম দিলেই পাবেন কোটি টাকা
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। বিপরীতে ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে ৮,৫০,০০০। ১৯৫৯-১৯৬১ সালের দুর্ভিক্ষের পর এই প্রথম জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে চীনের। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়ে বিপদে পড়েছে অনেক দেশ। সেসব দেশ আবার বিভিন্নভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ যেমন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের কাছাকাছি। কারও ক্ষেত্রে আবার জনসংখ্যার হার ঋণাত্মক। এই অবস্থায় দেশগুলো দম্পতিদের সন্তান গ্রহণে উৎসাহিত করতে নিচ্ছে নানা উদ্যোগ। সর্বশেষ দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার পরিকল্পনা করেছে, তারা দেশটির দম্পতিগুলোকে সন্তান লালন-পালনের ভর্তুকি হিসেবে ১০ কোটি ওন দেবে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার সমান। দেশটির বর্তমান জন্মহার ০.৭৮, যা সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সিভিল রাইটস কমিশন গত এপ্রিল মাসে একটি জরিপ চালিয়েছে—কেন দম্পতিরা সন্তান নিচ্ছেন না। সেই জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তারা এই ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া জরিপটিতে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ নাগরিকদের মতামতও নেওয়া হয়েছে। সেই জরিপের ভিত্তিতে সিভিল রাইটস কমিশন বার্ষিক ২৩ লাখ কোটি ওন বা ২৬ মিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে। এই অর্থ দেশটির নিম্ন জন্মহার রোধের জন্য বরাদ্দ বাজেটের প্রায় অর্ধেক এবং এর পুরোটাই দেওয়া হবে প্রণোদনা বা ভর্তুকি হিসেবে। কমিশনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জরিপের মাধ্যমে আমরা (জন্মহার বৃদ্ধিতে) সরাসরি আর্থিক ভর্তুকি কার্যকর সমাধান হতে পারে কি না, তা নির্ধারণ করতে দেশের জন্ম প্রচার নীতিগুলো পুনর্মূল্যায়নের পরিকল্পনা করেছি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘নিম্ন জন্মহার এখন আর কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য একচেটিয়া সমস্যা নয়। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাধানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে থাকা ০.৭৮ শতাংশ জন্মহার ২০২৩ সালে আরও কমে ০.৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে জন্মহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
০৬ মে, ২০২৪
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি বেঁচে নেই
গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত জন্ম নেওয়া সেই মেয়ে শিশুটি আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এবং তাকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে রাফাহর একটি হাসপাতালে শিশুটি মারা গেছে বলে জানানো হয়। গত রোববার মধ্যরাতের পরপরই রাফাহ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু সাবরিন আল-সাকানির জন্ম হয়। সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চরম লড়াই করেন। হাত পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস পৌঁছানোর চেষ্টা করেন তারা।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
গাজায় অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটি মারা গেছে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মায়ের মৃত্যুর পরও গর্ভ থেকে জীবিত উদ্ধার করা শিশুটিকে শেষমেশ বাঁচানো গেল না। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির নাম রাখা হয় সাবরিন আল-সাকানি। তাকে উদ্ধার করে রাফার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালটিতে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে শিশুটির ফুসফুসে বিশেষ পদ্ধতিতে বাতাস সরবরাহ করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সে মারা গেছে। শিশুটিকে বৃহস্পতিবারই তার মায়ের পাশে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে রাফায় ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। ওই হামলায় ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এদের মধ্যে শিশুটির মাও ছিলেন। তার মা মৃত্যুর সময় ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরে ওই মায়ের সিজারিয়ান অপারেশন করে চিকিৎসকরা মেয়ে শিশুটিকে জীবিত বের করেন। জন্মের সময় তার ওজন ছিল ১ দশমিক ৪ কেজি। তাকে মোহাম্মদ সালামা নামের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। মৃত মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটির বাবা ও বোনও এই হামলায় নিহত হয়েছে। ফলে এতিম অবস্থাতেই জন্ম হয়েছে তার। শিশুটির চাচা জানিয়েছেন, হামলায় নিহত হওয়া তার বোন মালাক শিশুটির নাম রাখতে চেয়েছিল রুহ। যার বাংলা অর্থ আত্মা। তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীতে বোন আসছে, এজন্য খুবই খুশি ছিল মালাক।’ এত শিশু ও নারীর প্রাণহানির ব্যাপারে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা দাবি করেছে, রাফায় সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে। তবে রয়টার্স জানায়, মূলত বেসামরিকদের ভবনের ওপর হামলা হয়েছিল।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪
গাজায় অলৌকিকভাবে জন্ম হলো শিশুর
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনি মায়ের পেট থেকে জীবিত অবস্থায় এক মেয়েশিশুকে বের করা হয়েছে। শনিবার রাতে রাফায় ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। ওই হামলায় ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি বাড়িতে চালানো হামলায় ওই ১৯ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ জনই শিশু। ভূমিষ্ঠ হওয়া ওই নবজাতকটি মোহাম্মদ সালামা নামের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর ১ দশমিক ৪ কেজি ওজনের শিশুটিকে জরুরিভাবে সিজারের মাধ্যমে তার মায়ের পেট থেকে বের করা হয়। তার মা মৃত্যুর সময় ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বর্তমানে শিশুটিকে রাফার একটি হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। শিশুটির কোমরে বাধা একটি টেপে তার নাম হিসেবে লেখা রয়েছে ‘শহীদ সাবরিন আল-সাকানির সন্তান।’ মৃত মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটির বাবা ও বোনও এই হামলায় নিহত হয়েছে। ফলে এতিম অবস্থাতেই জন্ম হয়েছে তার। শিশুটির চাচা জানিয়েছেন, হামলায় নিহত হওয়া তার বোন মালাক শিশুটির নাম রাখতে চেয়েছিল রুহ। যার বাংলা অর্থ আত্মা। তিনি বলেছেন, “পৃথিবীতে বোন আসছে, এজন্য খুবই খুশি ছিল মালাক।” চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালে তিন থেকে চার সপ্তাহ থাকবে শিশুটি। এরপর কোন আত্মীয়র কাছে সে যাবে সেটি দেখা হবে। যদিও এই শিশুটি বেঁচে গেছে, কিন্তু সময়ের আগে জন্ম হওয়ায় তার বেশকিছু সমস্যাও রয়েছে। এত শিশু ও নারীর প্রাণহানির ব্যাপারে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা দাবি করেছে, রাফায় সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে। তবে রয়টার্স জানায়, মূলত হামলা হয়েছিল বেসামরিকদের ভবনের ওপর। এতে ১৩টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম
যশোরের মনিরামপুরে জন্ম নিয়েছে বিরল এক বাছুর। যার মাথা দুটি, মুখও দুটি আর চোখ চারটি। অদ্ভুত এই বাছুরটি দেখতে ভিড় করছেন শতশত মানুষ। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামে বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে দেশি জাতের একটি গাভী এই বাছুরটি জন্ম দিয়েছে। বাছুরটির মালিক বাচ্চু মিয়া জানান, রোববার বিকেলে স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চা হয়েছে। তবে, দুটি মাথা থাকায় জন্মের পর থেকে স্তন্যপান করতে অসুবিধা হচ্ছে বাছুরটির। স্থানীয় বাসিন্দা সাজু আহম্মেদ বলেন, বাছুরটি জন্ম নেওয়ার পর দেখা যায় এর দুটি মাথা। এরমধ্যে চারটি চোখ ও দুটি কান থাকলেও মুখ দুটি আলাদা। বিরল এই বাছুরটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাচ্চুর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে। মনিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. পার্থ প্রতিম রায় বলেন, কনজেনিটাল এনোমালিসের কারণে এ ধরনের বাচ্চা জন্ম নেয়। তবে, জন্ম নেওয়া বাছুর বেশি দিন বেঁচে থাকে না।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই বিএনপির জন্ম : সালাম
পাকিস্তানের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগের আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের অন্যতম অঙ্গ-সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। আব্দুস সালাম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় শুধু পাকিস্তান খোঁজেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলব- আপনারা পাকিস্তান পাকিস্তান করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, পাকিস্তানের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্যই আপনাদের জন্ম হয়েছে আর বিএনপির জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জন্ম হয়েছিল ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে ধারাবাহিকতা সেটা বিএনপির মধ্যেই বেশি থাকে। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশবাসীকে দ্বিধান্বিত করার জন্যই পাকিস্তান পাকিস্তান বলে ধুয়ো তোলে আওয়ামী লীগ। দেশবাসীর জিজ্ঞাসা- যুদ্ধের পরে শহীদদের রক্ত শুকানোর আগেই ইয়াহিয়ার অনুচরদের বাংলাদেশে কারা এনেছিলেন, কারা শহীদদের রক্তে ভেজা লাল গালিচায় তাদের হাঁটিয়েছিলেন। তারা বারবার যে পাকিস্তানের কথা বলেন- সেই পাকিস্তানে প্রথম বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য কারা উড়ে গিয়েছিলেন? সালাম বলেন, তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলেন, কিন্তু সংবিধানে কী আছে? সংবিধান অনুযায়ী এখনো আমরা বাংলাদেশি। পাসপোর্টেও লেখা হয় বাংলাদেশি। কিন্তু তারা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বলে- আমরা বাঙালি আর বিএনপি হলো বাংলাদেশি। এ সমস্ত মিথ্যাচার একমাত্র আওয়ামী লীগই করতে পারে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এই আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে- আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি, আমার ঐতিহ্য, আমার গণতন্ত্র, আমার স্বাধীনতা কোনোটাই নিরাপদ নয়। আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি আজ কাদের আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে? আজকে আকাশপথে আমার সংস্কৃতির ওপর, আমার ভাষার ওপর যে আগ্রাসন- সেটাকে কিন্তু আমরা রোধ করতে পারছি না। আবদুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে সবকিছু বিকিয়ে দিচ্ছে। তাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। জাসাসের যুগ্ম আহবায়ক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার পর জাসাসের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
জন্ম থেকেই অন্ধ ৩ ভাইবোনের মানবেতর জীবন
ঈদে নতুন জামা তো দূরের কথা অনেকদিন একবেলা খাবারও জোটে না তাদের। দ্বারে দ্বারে ঘুরে মানুষের সাহায্যে কোনো রকমে দিন কাটে তাদের। বয়সের ভারে এখন বাড়িতেই থাকতে হয় তিন ভাইবোনকে। ঝুপড়ি ঘরে অনাহারে দিন কাটে ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা দক্ষিণ কলাকোপা গ্রামের ফজলুর রহমান, জরিনা ও সকিনার। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংকট থেকে পরিবারটি বের হতে পারছে না। মাঝেমধ্যে খাবার সহায়তা পেলেও চিকিৎসা সহায়তা পান না তারা। বাবা ও মা মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনজনই জন্মান্ধ। বয়সের ভারে ভিক্ষাবৃত্তিও করতে পারেন না তারা। এলাকাসী জানান, আগে অন্যের সহযোগিতায় চলাফেরা করতে পারলেও এখন আর চলতে পারেন না। অন্ধ হওয়ায় মেয়েদেরও বিয়েও হয়নি। সরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে তাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান অমি চৌধুরী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মোহাম্মদ সাঈদুজ্জামান জানান, তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারি কোনো সহযোগিতা আসলে দেয়া হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তিন ভাই বোনের চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এলাকাবাসী।
১১ এপ্রিল, ২০২৪
টাঙ্গাইলে একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই মায়ের গর্ভে ৬ সন্তানের জন্ম হয়েছে। বুধবার (১১ এপ্রিল) জেলার সখীপুর উপজেলায় কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের এমন ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বহুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন। জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলার কড়ইচালা গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী সুমনার প্রচণ্ড পেট ব্যথা অনুভব করে। এ সময় তাকে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সুমনার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে গৃহবধূ পেটে ৬টি বাচ্চার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে নরমাল ডেলিভারিতে ৪ মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তান প্রসব করানো হয়। তবে প্রবাসীর স্ত্রী সুমনার গর্ভে থাকাবস্থায়ই ৬ শিশু সন্তানের মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকরা জানান। প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়া জানান, আমার ভাগনের স্ত্রী সুমনা আক্তার (২৬) প্রায় ৫ মাস ধরে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হঠাৎ ব্যথা হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু ৬ সন্তানের জন্ম হয়। তবে সুমনার শারীরিক অবস্থা এখনো ভালো না বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, এই দম্পতির আগে কোনো সন্তান ছিল না। একসঙ্গে ৬ শিশু গর্ভে থাকাবস্থায় মৃত্য সন্তান প্রসব করেছে। এমন ঘটনায় পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১১ এপ্রিল, ২০২৪
সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তান রেখে পালালেন মা
কুমিল্লার লাকসামে একটি ক্লিনিকে সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তান রেখে পালিয়েছেন মা। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌর শহরের আমেনা মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। শিশুটির সুরক্ষা এবং তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আমেনা মেডিকেল সেন্টারের মালিক সেলিম মাহমুদ বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় এক নারী প্রসবব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে আসেন। কিছুক্ষণ পরে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। সন্তান জন্মের ১০/১২ মিনিটের মধ্যে নবজাতককে ফেলে মা ও সঙ্গে থাকা তিনজন নারী পালিয়ে যায়। পরে সিসি ক্যামেরা দেখে আমাদের লোকজন তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ধরার চেষ্টা করলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ইমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ায় রোগীর নাম-ঠিকানা লেখা যায়নি। তবে নবজাতক কন্যা শিশুটি সুস্থ আছে। লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, নবজাতক শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দেখাশোনা করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১
এক পা নিয়ে জন্ম নিল শিশু, চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তা
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে যমজ সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী। এর মধ্যে এক নবজাতকের একটি পা রয়েছে, যাতে সাতটি আঙুল। শিশুটির মলদ্বার-যৌনাঙ্গও নেই। গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পৌর শহরের মডার্ন হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। প্রসূতি তাসলিমা বেগমের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামে। তাসলিমার স্বামী মাহফুজুল ইসলাম পেশায় ভ্যানচালক। শিশুটির চিকিৎসা করানো নিয়ে চিন্তার পড়েছেন তিনি। দানশীল মানুষের কাছে চেয়েছেন সাহায্য-সহযোগিতা। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্রপাল কালবেলাকে বলেন, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাসলিমা বেগমকে তার পরিবারের লোকজন অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে নিয়ে আসে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিকেল ৪টার দিকে ক্লিনিকের চিকিৎসক ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (মা ও শিশু স্বাস্থ্য) ডা. তাহেরা খাতুন অস্ত্রোপচার করেন। প্রথমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তার ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম, পরে দ্বিতীয় যে সন্তানের জন্ম হয়, তার একটি পা, মলদ্বার ও যৌনাঙ্গ নেই। এখন পর্যন্ত দুটি সন্তানই সুস্থ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মা ও শিশুবিষয়ক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাহেরা খাতুন কালবেলাকে বলেন, এ ধরনের শিশুর জন্ম সাধারণত জেনেটিক্যাল (জিনগত) সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তারা সাধারণত বাঁচে না। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য মা-বাবাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবা ভ্যানচালক মাহফুজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমার বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামে। ভ্যানের চাকা ঘুরলে আমার সংসারের মানুষগুলার মুখে দুমুঠো ভাত জোটে, এখন এ শিশুকে নিয়ে কী করব সেটি বুঝতে পারছি না। দানশীল মানুষ সাহায্য-সহযোগিতা করলে হয়তো আমার শিশুকে ভালো চিকিৎসা করে বাঁচানো যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত নাসনিম আওন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পেরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহম্মেদের নির্দেশে ওই বিকলাঙ্গ শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য তার বাবাকে আর্থিক সহায়তা করা হয়।
২৯ মার্চ, ২০২৪
আরও
X