জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার হাতে ভাতিজি খুন
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তিন শতক জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পাপিয়া বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার চাচা দুলা মিয়ার (৫০) বিরুদ্ধে। শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিরামেরভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পাপিয়া ওই গ্রামের নুরুল হক মাস্টারের মেয়ে। তিনি মনোহরপুর গ্রামের রিজু মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত দুলাল মিয়া বিরামেরভিটা গ্রামের মৃত চান্দু খলিফার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আজ সকালে দুলা মিয়া ও তার ছেলে রাব্বি লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক গাছ রোপণ করতে যান। এতে পাপিয়াসহ পরিবারের লোকজন বাধা দিলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে চাচা দুলা মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পাপিয়ার গলায় আঘাত করেন। এতে পাপিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাপিয়ার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার বলেন, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৮ মে, ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণে ৫ হাজার কোটির ৫৮ একর জমি দখলমুক্ত
গত চার বছরে বেদখল হয়ে যাওয়া প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এসব জমি যুগের পর যুগ দখলদাররা ভোগ করে আসছিলেন। কিছু কিছু জমির ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত থেকে উচ্ছেদ নিষেধাজ্ঞা এনে প্রভাবশালীরা কবজায় রেখেছিলেন। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকা এসব জমির পরিমাণ প্রায় ৫৮ একর। ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মান্ডা, নন্দীপাড়া, লালবাগ, গোড়ান, মেরাদিয়া, হাজারীবাগ, মতিঝিল, রমনা, সূত্রাপুর, মাতুয়াইল, ধানমন্ডি, রাজারবাগ, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, ধলপুর, কামরাঙ্গীরচর, ওয়ারি, দনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা এবং দখলদারদের বিতাড়িত করে এসব জমি কবজায় নেয় করপোরেশন। সেখানে খাল, সড়ক ও মাঠ সম্প্রসারণ, কাঁচাবাজার, কমিউনিটি সেন্টার, এসটিএস, মার্কেট, নর্দমা, পাবলিক টয়লেট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজও শুরু করেছে সংস্থাটি। অন্যদিকে ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেও শুধু হোল্ডিং ট্যাক্স বা গৃহকর আদায় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হতো। কর বাড়ালে রাজধানীর ১ কোটি ৩০ লাখ নাগরিককে সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে নগরবাসীর নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। তাই কর না বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ের নতুন খাত বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মোবাইল টাওয়ার, ফ্লাইওভার, বাজার নিবন্ধন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নিয়োগ থেকে আয়, ভাগাড় থেকে আয়, পশুর ওপর কর ধার্য করার মতো নতুন ১৪টি রাজস্ব খাত সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫২৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও তিন বছর পর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা দ্বিগুণ হয়ে ১ হাজার ৩২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। পরের অর্থবছরে ৮৭৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করে এই নগর সংস্থা। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য সংস্থাকেও নিজস্ব আয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আপনি একটি পরিকল্পনা করলেন; কিন্তু টাকার জন্য অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। টাকা আপনি পেতেও পারেন, আবার নাও পেতে পারেন। এতে কাজ বাধাগ্রস্ত হবে। এখন দক্ষিণ সিটির নিজেদের কাজের জন্য কারও দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। নিজেদের কাজ নিজেরাই করতে পারবে।’ তিনি বলেন, উন্নয়নের ভাগ যাতে সব ওয়ার্ড সমানভাবে পায় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে নাগরিকরা কর দিতে আরও আগ্রহী হবে। এতে সিটির আয় আরও বাড়বে।’ ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছরে করপোরেশনে জনবলের সংকট দূর করতে ৮৭৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। গত চার বছরে ডিএসসিসি নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র, খাল-নর্দমা-বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ, সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কারসহ অনেক কার্যক্রম নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্যকে পূর্ণরূপে ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছিল। সংস্কার শেষে পুরোনো জৌলুশে ফিরিয়ে মোগল নিদর্শনটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী লালকুঠির সংস্কারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারের কবলে থাকা নলগোলা ভাওয়াল রাজবাড়ী দখলমুক্ত করা হয়েছে। গেজেটভুক্ত ৬৬টি স্থাপনাসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থাপনা নিয়ে সাতটি ঐতিহ্য বলয় সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলাধুলায় ঢাকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ধুপখোলা আন্তর্জাতিক খেলার মাঠ ও গোলাপবাগ খেলার মাঠসহ ১১টি খেলার মাঠ সংস্কার ও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৯টি উদ্যান প্রতিষ্ঠা করে তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। তিনটি সামাজিক অনুষ্ঠানকেন্দ্রের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ১৫টি ওয়ার্ডে নতুন সামাজিক অনুষ্ঠানকেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে নতুন সামাজিক অনুষ্ঠানকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি নতুন কাঁচাবাজার নির্মাণ কাজ চলমান এবং চারটি ওয়ার্ডে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মজীবী মানুষ বিশেষত নারীদের সুবিধার্থে গত চার বছরে ৩৬টি গণশৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস কালবেলাকে বলেন, নির্বাচনী রূপরেখার মূল প্রতিপাদ্য সুশাসিত ঢাকা গড়তে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকে কঠোর হস্তে দুর্নীতি দমন করেছি। গণতান্ত্রিক ধারায় স্থায়ী কমিটিগুলো গঠন ও প্যানেল মেয়র নিয়োগ দিয়েছি। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের নীতি অবলম্বন করে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি করপোরেশনের জন্য নিবেদিত ও সততার সঙ্গে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের পুরস্কৃত করেছি। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমাদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওপর ঢাকাবাসীর আস্থা বেড়েছে। এই আস্থার ওপর ভিত্তি করে সুশাসন নিশ্চিত করে উন্নত ঢাকা গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
১৮ মে, ২০২৪

ফসলি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জোরপূর্বক নতুন সড়ক তৈরি জন্য তিন ফসলির প্রায় ৪০ বিঘা জমি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেনের বিরুদ্ধে।  সরকারি অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও চেয়ারম্যান তার পেশিশক্তি দেখিয়ে এসব জমি কেটে ফেলেছে বলে জমির মালিকদের অভিযোগ। এর আগে ৯ মে জমির মালিকরা বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এ ছাড়া ২৮ এপ্রিল জমির মালিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও রাতের আঁধারে জমি কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানান জমির মালিকরা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের রসুল্লাবাদ বাজারের পূর্ব পাশের বিলে চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন কোনো প্রকার নোটিশ ও জমি অধিগ্রহণ এবং জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রায় ৪০ বিঘা ফসলি জমি রাস্তার জন্য কেটে ফেলেছে।  জমির মালিকরা দাবি করে বলেন, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত স্বার্থে কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ জন কৃষকের তিন ফসলি জমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করেছেন। জানতে চাইলে রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ দাখিলের আগেই রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। বেশি ভাগ পরিবার ফসলি জমির মাটি দিয়ে রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। বাকি চারটি পরিবার রাস্তা তৈরিতে অসহযোগিতা করেছে। আমি জনগণের সার্বিক সুবিধার জন্য রাস্তাটি তৈরি করে দিয়েছি।
১৬ মে, ২০২৪

ক্ষমতার দাপট, খাল বন্ধ করে বহুতল ভবন নির্মাণ
ক্ষমতার দাপটে খাল দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। খালের পাশে এক শতক জমি কিনে, দখল করে নিয়েছেন সরকারি খাসজমি। এমনভাবে বহুতল ভবন করা হচ্ছে, যার ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানিপ্রবাহ। স্থানীয়ভাবে নিষেধ করা হলেও কারও কোনো কথা শোনেননি তিনি। একরকম গায়ের জোরে ভবন নির্মাণ করছেন। এদিকে ভূমি অফিসের নাকের ডগায় খাল বন্ধ করে স্থাপনা করা হলেও যেন কোনো দায় নেই তাদের। পরে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলে টনক নড়ে ভূমি অফিসের। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়ন ভূমি অফিসসংলগ্ন মির্জাপুর রোড সরকার বাজার এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।  সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রবাহিত খালের ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আইয়ুব আলী। সরকারি খাস এবং খাল দখল করে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করলেও শোনেননি তিনি। পরে স্থানীয়রা ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেন। তবে এখনও নীরব উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম আহমেদ কামাল জানান, গায়ের জোরে খাল বন্ধ করে ভবন করা হচ্ছে। নিষেধ করার সত্ত্বেও শুনেননি তিনি। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ছইদুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খাল বন্ধ করে সরকারি খাসজমিতে ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব জানান, তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ পাননি। তবে সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। কেউ ভবন নির্মাণ করলে অবশ্যই সেটি উচ্ছেদ করা হবে। স্থানীয়রা বলছেন, পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করার কোনো মানে হয় না। ক্ষমতার দাপটে যা ইচ্ছে তা করতে দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এসব পানির ছড়া।
১৬ মে, ২০২৪

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আছকির মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটছে। নিহত আছকির মিয়া হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহতের নাম আছকন মিয়া। স্থানীয়রা জানান, রজনপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে আছকির মিয়াদের সঙ্গে মিছির উল্ল্যাহদের বিরোধ চলছিল। বুধবার দুপুরে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে কাজ করতে যান মিছির উল্ল্যাহ। এ সময় আছকির মিয়া বাধা দেন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  এ সময় মিছির উল্ল্যাহ পক্ষের লোকজনের লাঠির আঘাতে আছকির মিয়া ও আছকন মিয়া গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আছকির মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। কুলাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মে, ২০২৪

ব্যাংক ১ টাকা দিয়ে ১০ টাকার জমি নিতে চায় : রাফসান
ব্যাংক ১ টাকা দিয়ে ১০ টাকার জমি নিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান (রাফসান দ্য ছোট ভাই)।  মঙ্গলবার (১৪ মে) নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিওতে এ অভিযোগ করেন তিনি।  ভিডিও শুরুতে তিনি বলেন, আমি গতকাল ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখলাম আমি নাকি ২ কোটি টাকার একটা গাড়ি কিনেছি, আর আমার বাবার নাকি ৩ কোটি টাকার লোন। এখানে কিছু ভুল তথ্য আছে। আমার এই গাড়ির দাম ২ কোটি টাকার আশপাশেও না। এটা একটু চেক করে দেখেন, এটা অনেকেই জানে। ইফতেখার রাফসান বলেন, হ্যাঁ আমার বাবার একটা কোম্পানি ছিল। ব্যাংকের সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছে। ব্যাংক তো আর চেহারা দেখে লোন দেয় না। মর্ডগেজ রেখে লোন দেয়। যেখানে আমরা একটা জমি দিছি। মনে করেন, জমির দাম দশ টাকা, লোন নিয়েছি এক টাকা। এখন ওই পার্টিটা চায় এক টাকা দিয়ে ১০ টাকার জমি নিতে। এ সময় তিনি ব্যাংকের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা কত টাকা ফেরত দেব সেটা তো আমাদের জানাবে। না জানালে কীভাবে টাকা ফেরত দেব? কেউ তো আমাকে বলতে পারবেন না এটা আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। আপনি তো ভাই কোর্ট না!  রাফসান বলেন, আমরা কি দেশ থেকে পালিয়ে গেছি? আমরা কি হাজার কোটি টাকা নিছি? না! আমরা দেশে আছি। যখন কোর্ট রায় দিবে এই পরিমাণ টাকা দিতে হবে, তখন আমরা দিয়ে দেব। তার আগে কারও অধিকার নেই এটা বলার।  এ সময় তিনি মামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের নামে আপনারা যেই পরিমাণ ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন এর কারণে আমরা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।
১৪ মে, ২০২৪

সোনাইডাঙ্গা বিলের জমি ভূমিহীনদের বরাদ্দের দাবি
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সোনাইডাঙ্গা বিলের জমি ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ ও তাদের চাষ করা ধান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভূমিহীন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদল। রোববার (১২ মে) দুপুরে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের গ্রামসোনাই এলাকায় সোনাইডাঙ্গা বিল পরিদর্শন ও ভূমিহীনদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এমন দাবি এসোসিয়েশন ল্যান্ড ফর রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের জেনারেল মেম্বর আলতাফ হোসেনের। তিনি বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে খাস জমি নিয়ে ভূমিহীনরা আন্দোলন করে আসছে। একটি চক্র ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জালিয়াতি করেছে। ২০০৫ সালে এসেও আমরা এমন তথ্য জেনেছিলাম। তারপরও এতদিন পর্যন্ত ভূমিহীনরা জমিগুলো দখলে রয়েছে। এটা তাদের একটি বড় সাফল্য। তারা চেয়েছিল সরকারের এ খাসজমি উদ্ধার হোক। কিন্তু এবারে এসে যেটা দেখা গেল ভূমিহীনরা ধান উৎপাদন করলেও স্থানীয় কিছু জালিয়াতি চক্র এই ধান কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। এটা নিয়ে মারামারি হয়। ভূমিহীনদের ৭/৮ জনকে জখমও করা হয়। এ খবরটা পেয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম। এ খাস জমি ২৮ একরের বেশি। কিন্তু জোতদাররা ৯ দশমিক ৪৩ একরের কথা স্বীকার করেছে। জমিটা চিহ্নিত করা দরকার। এ জমি ভূমিহনীরা পাবে কোনোভাবেই জাল-জালিয়াতরা পাবে না। আমরা দাবি করব বিলের খাস জমি চিহ্নিত করে, সেটা ভূমিহীনদের মাঝে যেন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আগে গ্রামসোনাই এলাকার প্রায় ৪০ জন ভূমিহীনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলে ‘নিজেরা করি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক রেজানুর রহমান রোজ, এএলআরডির কর্মসূচি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, লাস্টার নাটোরের নির্বাহী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, বেলা রাজশাহীর ফিল্ড অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের হিউম্যান রাইটস অফিসার মোছা. তানিয়া খাতুন, সাথা নাটোরের নির্বাহী পরিচালক মো. শিবলি সাদিক, শাপলা নাটোরের নির্বাহী পরিচালক এ জেড এম আশরাফুজ্জামান, আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নাটোরের নির্বাহী পরিচালক নরেশ চন্দ্র উরাঁও, কসমস’র-এর নির্বাহী প্রধান মেহনাজ মালা, এমএমইউএসের নির্বাহী পরিচালক শিরিন ফেরদৌস, নিডা’র নির্বাহী পরিচালক জাহানারা বিউটি ও সিরাজগঞ্জ পিডব্লিউডির সমন্বয়ক মোস্তাক আহম্মেদ নওশাদ প্রমুখ। মতবিনিময়কালে স্থানীয় ভূমিহীন সমিতির সভাপতি রহমত আলী বলেন, সোনাইডাঙ্গা বিলের ২৮ দশমিক ৩৪ একর জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। একই গ্রামের জোতদাররা জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের দাবি করে ১৮ দশমিক ৯১ একর বিভিন্ন নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। বাকি ৯ দশমিক ৪৩ একর জমি আমরা ২০০৮ সাল থেকেই খাস জমি হিসেবে আমরা ভূমিহীনরা চাষাবাদ করে আসছি। ওই সময় এই জোতদারদের সঙ্গে আন্দোলন করেছি। মামলা হয়েছে, আমরা মামলায় ডিক্রিও পেয়েছি। ২০১১ সালের পর থেকে আমাদের কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ২০২৪ সালে হঠাৎ করেই জোতদাররা উদয় হয়। তারা ৫টি মামলা দায়ের করে। আমরা কষ্ট করে জমিতে ধান লাগিয়েছি। গত ২২ এপ্রিল জোতদাররা ২৫ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ২ বিঘা জমির কাঁচা ধান জোর করে কেটে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ছয়জন নারী-পুরুষকে আহত হয়। আমরা আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক ওই জমির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। তারপরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়িন পরিষদ চেয়ারম্যান আমাদের আবাদ করা ৫০০ মণ ধান কেটে তাদের জিম্মায় রেখে দিয়েছেন। এ বিষয়ে এএলআরডি’র কর্মসূচি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ভূমিহীনদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের সুপারিশ ছিল ভূমিহীনরা সেখানে চাষাবাদ করছে, সেই ফসলটা ফিরিয়ে দেওয়া ও খাস জমিগুলো সরকারি নামেই হোক, নীতিমালা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেওয়া হোক। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
১৩ মে, ২০২৪

সরকারি জমি দখলে বাধা দেওয়ায় বেধড়ক পিটুনি
ঝালকাঠির রাজাপুরে সরকারি জমি দখল করার সময় বাধা দিলে মো. আল আমিন খান নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আল আমিন রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জনসাধারণের চলাচলের সরকারি রাস্তার মধ্যে জোরপূর্বক বেড়া দিয়ে আটকে দিচ্ছিলেন একই এলাকার মো. সুলতান তালকুদার (৫২), মো. ইমন তালুকদার (২৮), মো. মীর আজাদ (৫০), মো. রুস্তুম আলী (৫৮)। এ সময় তাদের কাজে বাধা দিলে আল আমিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা লোহার রড, শাবল, দা ও লাঠিশোটা দিয়া এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে।  তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গালুয়া বাজারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। আহত আল আমিন খান বলেন, সরকারি জমি দখল করে বেড়া দেওয়ার কাজে বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা আমাকে পিটিয়ে আহত করে।  সুলতান তালকুদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমাদের। আমরা আমাদের জমিতেই বেড়া দিচ্ছিলাম। ওটা কোনো সরকারি জমি না। আল আমিনকে মারধর করা হয়নি। সে উল্টো আমাকে মারধর করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজাপুর থানার এএসআই মনজুর আলম জানায়, শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। উভয় পক্ষকে শনিবার বিকেলে থানায় ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মে, ২০২৪

৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের ৩২ শতাংশ খাস জায়গা উদ্ধার করেছে ঢাকার জেলা প্রশাসন।  মঙ্গলবার (৭ মে) মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেলের আওতাধীন বড়সায়েক মৌজায় সরকারি খাস জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এ অভিযান পরিচালনা করেন মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেল এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুবকর সিদ্দিক।  জানা গেছে, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সরকারি খাস জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এ অভিযানের সময় মেসার্স রহমান সার্ভিস স্টেশনের দখলে থাকা বড় সায়েক মৌজার আর.এস ও সিটি ১ নং খতিয়ানের আর.এস ২৮  নং দাগ এবং সিটি ৮০৪ নং দাগের ৩২ শতক ভূমি উদ্ধার করা হয়।  উদ্ধারকৃত সরকারি এ সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
০৭ মে, ২০২৪
X