ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জোরপূর্বক নতুন সড়ক তৈরি জন্য তিন ফসলির প্রায় ৪০ বিঘা জমি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেনের বিরুদ্ধে।
সরকারি অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও চেয়ারম্যান তার পেশিশক্তি দেখিয়ে এসব জমি কেটে ফেলেছে বলে জমির মালিকদের অভিযোগ। এর আগে ৯ মে জমির মালিকরা বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
এ ছাড়া ২৮ এপ্রিল জমির মালিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও রাতের আঁধারে জমি কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানান জমির মালিকরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের রসুল্লাবাদ বাজারের পূর্ব পাশের বিলে চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন কোনো প্রকার নোটিশ ও জমি অধিগ্রহণ এবং জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রায় ৪০ বিঘা ফসলি জমি রাস্তার জন্য কেটে ফেলেছে।
জমির মালিকরা দাবি করে বলেন, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত স্বার্থে কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ জন কৃষকের তিন ফসলি জমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করেছেন।
জানতে চাইলে রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ দাখিলের আগেই রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। বেশি ভাগ পরিবার ফসলি জমির মাটি দিয়ে রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন। বাকি চারটি পরিবার রাস্তা তৈরিতে অসহযোগিতা করেছে। আমি জনগণের সার্বিক সুবিধার জন্য রাস্তাটি তৈরি করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন