গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির হামলা থেকে গাজার হাসপাতাল মসজিদ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে ত্রাণকর্মীদেরও। ফলে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন কেউ নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান বলেন, ত্রাণকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা নয়। কখনো তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত হবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি জানান, গাজায় ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে অনেক ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কেবল ইউএনআরডব্লিউএর ১৮৮ জন নিহত হয়েছেন। গাজায় ত্রাণকর্মীসহ কেউ এখন আর নিরাপদ নয়।
এর আগে রোববার দক্ষিণ গাজার ইউরোপিয়ান হাসপাতালে যাওয়ার সময় জাতিসংঘের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি আগুন দেয় ইসরায়েলিরা। ওই সময় গাড়িতে দুজন ত্রাণকর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ হামলায় প্রথম কোনো বিদেশি স্টাফ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনো দায় স্বীকার করেনি।
এর আগে বিবিসি জানায়, গাজার উদ্দেশে যাওয়া ট্রাকভর্তি ত্রাণ ফেলে দিচ্ছে ইসরায়েল। সোমবার পশ্চিম তীরে গাজার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক অবরোধ করে তারা। এ সময় ট্রাক থেকে ত্রাণের প্যাকেজগুলো রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় এবং শস্যের প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলা হয়।
ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়া এ ত্রাণগুলো হেবরনের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে জর্ডান থেকে এসেছিল। এগুলো গাজা খাদ্য ও ত্রাণ সংকটে থাকা উপত্যকার হাজার হাজার মানুষের জন্য পাঠানো হচ্ছিল।
ইসরায়েলিদের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তারা এ ত্রাণের ট্রাক লুটের ঘটনাকে ইসরায়েলিদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে।
মন্তব্য করুন