কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বললেন জাতিসংঘ প্রধান

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে যে কোনো সময় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল। তবে সম্ভাব্য এই অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি রাফাহতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, ইসরায়েল যদি রাফাহতে হামলা চালায় তাহলে হাজার হাজার বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটবে এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে।

সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে বলেন, একটি সামরিক হামলা শুধুমাত্র গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে তা নয়, বরং এটা পুরো অঞ্চলজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি করবে।

৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতির উল্লেখ করে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই মুহুর্তে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি খুবই জরুরি। তিনি সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে গাজায় ব্যাপক ভাবে মানবিক সহায়তায় বৃদ্ধির কথা বলেন তিনি।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি জিম্মি ও তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল সর্বোপরি বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েল সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানাই।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওইদিন থেকেই গোষ্ঠীটিকে নির্মূলের নামে গাজায় গণহত্যা শুরু করে তেল আবিব।

প্রায় ৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এত প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জোরালো হলেও তা বন্ধের কোনো দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১

জাবিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে গণসমাবেশ ও র‌্যালি

ইরানি জনগণের মাঝে প্রেসিডেন্ট রাইসি কেন জনপ্রিয় ছিলেন?

জুলুম-নির্যাতনে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে সরকার : মোস্তফা জামাল

ছাদে ধান শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

অব্যাহতভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া আতঙ্কজনক : টিআইবি

মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় নামতে পারে ‘খড়গ’

খুলনায় তিন কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে গণসিল

জায়েদের আঙুলে নতুন রত্ন, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন জ্যোতিষী 

‘বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল পাঠানো হবে’ 

১০

নিয়োগ দিচ্ছে মদিনা গ্রুপ, কর্মস্থল ঢাকা

১১

সুনামগঞ্জে প্রবাসী ভাইয়ের ভোট দিতে গিয়ে আটক যুবক

১২

বিশ্ব চা দিবসে চা শিল্পে বাংলাদেশের সংকট-সম্ভাবনা

১৩

ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে পুতিনের চিঠি

১৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১৫

মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার

১৬

রাজস্ব কর্মকর্তা স্বামীর ‘ঘুষের’ টাকায় কোটিপতি স্ত্রী!

১৭

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসির মর্যাদা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

১৮

ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

১৯

খাদ্য কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল 

২০
X