কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে : জাতিসংঘ

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস গাজার বসতি। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস গাজার বসতি। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ অভিযানে গাজা এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় থাকা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এ ভবিষ্যৎবাণীতে বলেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটিতে পড়ে রয়েছে। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে ২৩ লাখ মানুষের সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে ইসরায়েল মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে উপত্যকার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

পেহর লোধাম্মার বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সংখ্যা গণনা করা অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা জানি, সাধারণত স্থলবাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল থেকে পায়। গাজার পরিস্থিতি অপসারণে দৈনিক ১০০ ট্রাক ব্যবহার করলেও ১৪ বছর সময় লাগতে পারে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। রমজানের আগে এই চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি হলেও এখন দুপক্ষের মতবিরোধের কারণে তা স্থবির হয়ে পড়ে আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেএনএফের আস্তানা থেকে উদ্ধার যেসব অস্ত্র

বৃষ্টিতে পুরোপুরি নিভেছে সুন্দরবনের আগুন

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রাতে মুখোমুখি পিএসজি-ডর্টমুন্ড

৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

ম্যানেজার নেবে আকিজ গ্রুপ, বয়স ৫০ হলেও আবেদন

টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় জাহিদ মালেক

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্বাভাস

সাকিবকে দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে স্কুলছাত্র আহত

যে কারণে পুলিৎজার জিতল রয়টার্স

স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে : নানক

১০

কষ্টার্জিত জয়ে ‍সিরিজ টাইগারদের

১১

সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে আকিজ বেকারসে নিয়োগ, বয়সসীমা অনির্ধারিত

১২

তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রামে

১৩

আর কতদিন রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন!

১৪

পলিসি এক্সচেঞ্জের বাজেট আলোচনা / টেকসই রাজস্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজন নীতিগত ধারাবাহিকতা 

১৫

ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর কেউ যেন না হারায় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৬

পাথরের ট্রাকে পাচার হচ্ছিল পাঁচ কোটি টাকার হেরোইন

১৭

অভিজ্ঞদের নিয়েই এবার বিশ্বকাপে আসছে স্কটিশরা

১৮

তিন হাজার টাকার জন্য কুকুরের সঙ্গে শিকলে বেঁধে নির্যাতন

১৯

অর্থনৈতিক-নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী

২০
X