জিয়াউর রহমান ছিলেন ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না। গ্রিসের একটি হোটেলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে স্থানীয় সময় বুধবার বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। নবম ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগ দিতে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবস্থান করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সে ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে, তা প্রমাণ হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না। স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে নবম ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগদানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় একটি হোটেলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সে ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়। মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদের পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

রেজোয়ান হকের নিবন্ধ / জিয়াউর রহমান ভারতের কাছে গ্যাস বেচতে চেয়েছিলেন?
সাম্প্রতিককালের অন্যতম আলোচিত বিষয় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ ইস্যুতে বিএনপি ভারতের ব্যাপারে তার বরাবরের অনুসরণ করা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো ওভার স্মার্ট টাইপের অবস্থানেই থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। এটি বেশ সুবিধাজনক। আছি বা নেই—দুটিই বলা যায়। ইউটিউবারদের রাজনীতিবিদ বা দলকে অনুসরণ করার কথা, কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান বা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চেয়েও বড় বিএনপির মতো কিছু ইউটিউবারের ‘আমেরিকা সব ব্যবস্থা করছে—সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র’—এ ধরনের অবাস্তব কথাবার্তায় বিএনপি নেতারা পর্যন্ত বিভ্রান্ত হয়ে আন্দোলনের চেয়ে আমেরিকামুখী হয়ে পড়েছিলেন বেশি। সেই ইউটিউবারদের পাল্লায় ফের পড়েছে দলটি। তাদের কারও কারও ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’-এর ডাকে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া না দিলেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নেতা বলে পরিচিত রিজভী আহমেদ এরই মধ্যে প্রকাশ্যে তার ভারতীয় শাল বিসর্জন দিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত সোমবার নয়াপল্টনে দলের অফিসের সামনে এক সমাবেশে মঞ্চের পেছনের ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বড় করে লেখা ছিল। কিন্তু নেতারা বলছেন, দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মানে সেই একই—আছি আবার নেই-ও। অথচ ভারত বিরোধিতাই বিএনপির রাজনীতির সবচেয়ে বড় অস্ত্র, মূলত এর সূচনা হয়েছিল খালেদা জিয়া দলটির নেতৃত্বে আসার পর। আমরা স্মরণ করতে পারি, ১৯৯১ সালের নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতারা বলতেন, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল, তারা ক্ষমতায় এলে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ তুলে দেবে, মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি শোনা যাবে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করতে গেলে বিএনপি বলেছিল, এ চুক্তি হলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশে এলে আগে থেকে নির্ধারিত সৌজন্য সাক্ষাতে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারতীয়রা যাকে তাদের রাষ্ট্রের অপমান বলে এখনো মনে করে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমান কিন্তু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দুবার ভারত সফর করেন। ১৯৭৭ সালে প্রথম সফরের আগেই তিনি দুদেশের মধ্যে গঙ্গার পানি বণ্টনের অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি করতে সমর্থ হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই বলেন, ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির আমেরিকান প্রস্তাব মানেননি বলে ২০০১ সালের নির্বাচনে তাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে জিয়াউর রহমান কিন্তু ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হয়েছিলেন ১৯৮০ সালে দ্বিতীয়বার দিল্লি সফরের পরপরই। সে সময় বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার মুচকুন্দ দুবে পরে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘গ্যাস বিক্রির সব কথাবার্তা পাকা হয়ে গিয়েছিল, শুধু দামটা ছাড়া। কী পরিমাণ গ্যাস রপ্তানি হবে, কোথায় কারা পাইপলাইন বসাবে—সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল। দাম নিয়ে আলোচনা চলছিল। জিয়া চাইছিলেন বাজারদরে গ্যাস বেচতে, আমরা বলছিলাম কস্ট প্লাস ফর্মুলায় দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে দাম ঠিক হোক। তাকে হত্যার পর সব ভেস্তে যায়।’ (বিবিসি নিউজ বাংলা অনলাইন, ৩০ মে ২০২১) ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির ভারত নীতি দাঁড়িয়েছে অনেকটা ‘মুখে মধু অন্তরে বিষ’-এর মতো। কিন্তু ক্ষমতার স্বার্থে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক দরকার—বিএনপি তা বুঝে বলেই ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ভারত সফরে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর। সেই সফরে কবীর ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পেছনে না তাকিয়ে আমাদের সামনের দিকে তাকানো উচিত। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে খারাপ সম্পর্ক ছিল, তা ‘ভুল ও বোকামিপূর্ণ’ নীতির ফসল। তারেক রহমান চান, আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলি।’ এ সফর সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ ও সেখানকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। একটি ভালো নির্বাচনের জন্য কী প্রয়োজন, সে সম্পর্কে বিএনপির চাওয়াগুলো তাদের জানানো হয়েছে।’ (প্রথম আলো, ১২ জুন ২০১৮) অর্থাৎ আমাদের দেশের ভালো নির্বাচনের জন্য বিএনপি কী চায়, তা নিয়ে তারা আলোচনা করেছে ভারতের সঙ্গে। ভালো নির্বাচন বলতে আমাদের দলগুলো বোঝে বিজয়ী হওয়া। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়। কিন্তু যে দলই হেরেছে তারাই কারচুপির অভিযোগ করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের সফরে কিংবা এবারের নির্বাচনে ভারতের কাছে বিএনপির যা প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ না হওয়াই বিএনপির ক্ষোভের মূল কারণ। পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকার কারণে বিএনপি এবার ধরেই নিয়েছিল সরকারের পতন অনিবার্য, সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেসব ইউটিউবারের কথা শুরুতে বলেছি, তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একজন এমনও বলেছিলেন, ‘বিএনপিকে কিছুই করতে হবে না, যা করার আমেরিকাই করে দেবে।’ বিএনপির ধারণা, আমেরিকাকে ভারত মাঝপথে থামিয়ে দিয়েছে। ‘বাড়া ভাতে ছাই দেওয়া’র মতো ব্যাপার। সেই রাগ-ক্ষোভের আগুনেই নিজের ভারতীয় শাল পুড়িয়েছেন রিজভী আহমেদ, প্রকাশ্যে কিছু বলার সামর্থ্য না থাকলেও একই যন্ত্রণা থেকে অন্যদের মৌন সমর্থনও পাচ্ছেন রিজভী। এই রাজনীতি বিএনপিকে কোনো সুবিধা দেবে কি না, তা সময়ই বলবে। এতে যদি তাদের ক্ষোভ কিছুটা কমে, সেটাও খারাপ নয়। তবে ইতিবাচক দিক হলো, দল এবং আন্দোলনের আসল দুর্বলতা বিএনপি বুঝতে পারছে। গত দুই থেকে তিন দিনে দুটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দল হিসেবে যতটা আন্দোলন করা সম্ভব, বিএনপি তার চেয়ে বেশিই করেছে, এখন দরকার মানুষের সঙ্গে ঐক্য।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘পাকিস্তানে ইমরান খানের দল নির্বাচনে-আন্দোলনে যেভাবে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে পেরেছে—বিএনপি তা পারেনি, সেটা করতে হবে।’ এর অর্থ, মির্জা ফখরুল স্বীকার করলেন যে, বিএনপির আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। ভবিষ্যতে এটা অর্জন করতে পারলে অন্য কোনো কিছু বর্জন করতে হবে না বলেই ধারণা করি। লেখক: প্রধান সম্পাদক, মাছরাঙা টেলিভিশন
৩১ মার্চ, ২০২৪

শজিমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে ফিরেছেন
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত থেকে কাজে যোগদান করেছেন। ঈদের আগে বকেয়া ভাতা পরিশোধ ও ভাতা বাড়ানোর আশ্বাসে একমাসের জন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঈদের পর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো এবং ঈদের আগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনিদের বকেয়া ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।   মাসিক ভাতা ৩০ হাজার টাকা করাসহ চারদফা দাবিতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালসহ দেশের সবগুলো সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। দ্বিতীয় দফায় ৬২ ঘণ্টার কর্মবিরতি বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার পর থেকে দ্বিতীয় দফা এ কর্মবিরতি শুরু হয়। এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৮টা থেকে চিকিৎসকরা প্রথম দফার ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।  তাদের দাবিগুলো হলো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে।  বিএসএমএমইউয়ের অধীন ১২টি প্রাইভেট ইন্সটিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে এবং অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। বৃহস্পতিবার বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল চত্বরে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রায় ১২টা পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে একমাসের জন্য আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি। ঈদের পর যদি আমাদের ভাতা বাড়ানো না হয় তারপর আবারও আমরা আন্দোলনে যাব। ইলিয়াস হোসেন আরও বলেন, বগুড়া শজিমেক হাসাপাতালে ১৫০ ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। সকাল-বিকেল ও রাতের তিন শিফটে প্রায় ১৮ ঘণ্টা তারা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে দুপুর ২টার পর থেকে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ও রেজিস্ট্রার চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করে চলে যান। এরপর থেকে ইন্টার্ন চিকিসকরাই হাসপাতালে আসা সেবা প্রার্থীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।  ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. তৌফিক হাসান নিশাত বলেন, এই সময়ে এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করার পর ১৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া একরকম তামাশা। আপাতত আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করে বৃহস্পতিবার রাত থেকে কাজে যোগদান করেছি। তবে দাবি মানা না হলে এক মাস পর আবারও আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি দেব। এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, শজিমেক হাসপাতালে প্রতিদিন ১৮শ থেকে ১৯শ রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নেন। কর্মবিরতিতে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে রমজান মাসের কারণে রোগী অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। তাই সমস্যাটা প্রকট হয়নি।
৩০ মার্চ, ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ও দোসর হয়ে কাজ করেছেন। এই সত্য উন্মোচন হওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবে সাহায্য করেছে এমনকি একবেলা খাইয়েছে বা এক গ্লাস পানি খাইয়েছে জানলেও সেইসব পরিবারের ওপর নেমে আসত অকথ্য নির্যাতন। আর জিয়াউর রহমান যুদ্ধক্ষেত্রে থাকে তার পরিবার বেগম খালেদা জিয়া দুই সন্তান নিয়ে পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে- এ থেকেই তো পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে, গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। এর তো আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। আর জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চিঠিই লিখেছিলেন যে- তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট, তোমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করো না। সেই চিঠির কপি আমার কাছেও আছে।' হাছান মাহমুদ বলেন, 'আজ বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে- আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল, অথচ  স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ -এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও কোনো সম্মুখসমরে কখনো যান নাই।' বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বিফল হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, '১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে ২১ বছর ধরে তারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে মানুষের কাছে আড়াল করেছে, বিকৃত করেছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে মানুষ আবার সঠিক ইতিহাস জেনেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণাটি পরদিন ২৬ তারিখ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান কয়েকবার পাঠ করেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন।'  মন্ত্রী সে সময়ের বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধরত মেজর রফিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, এমবুশ নিয়ে আছেন, নড়লে যুদ্ধের ক্ষতি হবে। তখন এ দেশের মানুষের ওপর হামলার জন্য আসা পাকিস্তানি অস্ত্র সোয়াত জাহাজ থেকে খালাস করতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যাওয়ার পথে জনগণের বাধার মুখে পড়া মেজর জিয়াউর রহমানকে ডেকে এনে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করানো হয়। প্রথম কয়েকবার তিনি ভুল পড়েন, আওয়ামী লীগ নেতারা ঠিক করে দিলে আবার পাঠ করেন।'  'স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজায় যে দপ্তরি, সে ছুটির সিদ্ধান্ত নেয় না, টিভি-রেডিওতে যে উপস্থাপক সংবাদ পাঠ করে, সে ওই সংবাদ সৃজনকর্তা নয়’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে।' এ সময় সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনে, তরুণ সমাজকে বিপথে যাওয়া, জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত রাখতে পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায়, সারা দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে হবে -আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। হাছান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে এ দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছিল, স্বাধীনতার পরেও তা চলেছিল। ১৯৭৫ সালের পর তা ব্যাহত হয়। এই সভার আয়োজক বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংস্কৃতিমনা মানুষকে সারা দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর আহ্বান জানাই। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, কবি রবীন্দ্র গোপ, জোটের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এমপি, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
২৯ মার্চ, ২০২৪

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বিজ্ঞান মেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত ‘ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানীর খোঁজে’ শীর্ষক ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার ‘ক’ গ্রুপের বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের ল্যাপটপ দেওয়া হয়। বিজ্ঞান মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দারের সভাপতিত্বে ও জেডআরএফ’র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় বিজয়ীদের মধ্যে সম্প্রতি এসব পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি। ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেডআরএফ’র প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডাক্তার জুবাইদা রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্য, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ। জেডআরএফ’র ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার এবং অর্থপেডিক সার্জন ডা. শাহ মুহাম্মাদ আমান উল্লাহ। এবারের ভার্চুয়াল বিজ্ঞানমেলায় ‘ক’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন জায়ান মোহাম্মদ হামজা (১ম), ইয়াকসির হোসেন (২য়), ফাইযুল ইসলাম সৌদ (৩য়)। এ ছাড়া অন্য বিজয়ীরা হলেন ইমাম হাসান চৌধুরী, শাহ সাফির যায়ান, সারাহ মেহজাবিন রিদা ও মানহা হাসান নাওয়াফ। জেডআরএফ’র ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলায় ‘খ’ গ্রুপের বিজয়ীদের মধ্যে শিগগির পুরস্কার বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।  / জিয়াউর রহমান প্রাইম ব্যাংকের নতুন ডিএমডি
পদোন্নতি পেয়ে সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হয়েছেন জিয়াউর রহমান। এর আগে তিনি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেসের দায়িত্ব পালন করেন। ৩১ বছরের পেশাজীবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, এবি ব্যাংক, সিটিব্যাংক এন এ, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, বিকাশসহ শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ করেছেন। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসএস এবং বিএসএস ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি তার কর্মময় জীবনে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিলেন, খুনি ছিলেন : সজীব ওয়াজেদ
‘জিয়াউর রহমানের আমল আমাদের দেশের বিরাট একটা কালো দাগ ছিল। আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা এটা বলে না জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি তখন কত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বিচার ছাড়া। তাদের লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায় না আজ পর্যন্ত। এই হলো বিএনপি। এটা কী গণতান্ত্রিক দল? না, এটা একটা সন্ত্রাসী দল। এটা একটি খুনিদের দল। জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিলেন, জিয়াউর রহমান খুনি ছিলেন।’- বেশ দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক এ কথাগুলো বলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে বিনা বিচারে হত্যার শিকার এক তরুণ বিচারের দাবি করলে এ কথাগুলো বলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ। তার মা ও খালা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান এই হত্যাযজ্ঞ থেকে। এরপর দীর্ঘদিন দেশের বাইরে নির্বাসিত থাকতে হয়েছে তাকে পুরো পরিবার নিয়ে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে যেই হত্যার রাজনীতির সূচনা হয় তা বহুগুণে বেড়ে যায় জিয়াউর রহমানের শাসনামলে। প্রায় ১ হাজারের বেশি সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন তিনি প্রহসনের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে। অনেক সেনা কর্মকর্তা সামরিক অভ্যুত্থানের সময় নিজ বাড়িতে থাকার পরও তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়।  লেটস টকে উপস্থিত জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার পরিবারের এক তরুণ কাঁপা গলায় জানতে চান, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিনা বিচারে গণ ফাঁসি দিয়ে তার চাচা এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এর বিচার কি কখনো পাওয়া যাবে না? বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমরা বিচার করার চেষ্টা করছি। এটা একটা কঠিন বিষয়। কারণ, তখন থেকে অনেক রেকর্ডস নাই, তথ্য নেই। তারা তো সব মুছে ফেলেছে। যেভাবেই হোক, তাদের আমরা বিচার করার চেষ্টা করেই যাচ্ছি। এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতির বিচার করতে গেলেও এখন বিদেশিরা বলছে মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাদের বাঁচাতে ব্যস্ত বিদেশিরা। আমি তরুণদের বলব, যারা বিএনপি-জামায়াতকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে, তাদের কথা যখনই শুনবেন প্রতিবাদ করবেন। বলবেন, জিয়াউর রহমান খুনি ও বিএনপি জঙ্গিদল, তাদের পক্ষে কেন কথা বলছ তোমরা? তোমরা বিদেশিরা মানবাধিকারের কথা বলছ, তোমরা বিদেশিরা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আগে করো। তখন তোমাদের কথায় বিশ্বাস করব। দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তরুণদের সেতুবন্ধন গড়ে দিতে ২০১৪ সাল থেকে ইয়াং বাংলা ‘লেটস টক’ শিরোনামে এ আয়োজন করছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও আয়োজন করা হয় লেটস টক যেখানে দেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তরুণদের নিয়ে তার ভাবনার কথাও জানান এই অনুষ্ঠানে। লেটস টক অনুষ্ঠানের ৫১তম পর্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ তরুণদের দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন সজীব ওয়াজেদ।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

দিনমজুর জিয়াউর রহমান এখন শিক্ষা ক্যাডার
অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর কঠোর পরিশ্রম করে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন কুড়িগ্রাম উলিপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান। ফরম পূরণের টাকা ছিল না। দিনমজুরের কাজ করতে হতো টাকার জন্য। অভাব ছিল তার নিত্যসঙ্গী। অভাবের কারণে জরাজীর্ণ ঘরে এক পাশে গবাদি পশু (গরু-ছাগল) অপর পাশে রাত কাটাতে হতো তাকে। সেই জিয়াউর এখন বিসিএস ক্যাডার।  কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের বাকারায় মধুপুর দালালীপাড়া গ্রামের ছকিয়ত আলী ও জোলেখা বেগম দম্পতির ছেলে তিনি। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, জিয়াউরের বাবা ছকিয়ত আলী ধনুষ্টঙ্কার রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি কর্মহীন । ৩ শতক জমিতে বসতভিটা। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। শত প্রতিকুলতার মধ্যে ২০১২ সালে উপজেলার নতুন অনন্তপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান জিয়াউর রহমান। আলিমে ভর্তি হয়ে অর্থ কষ্টে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না তার। পরে বই কেনার টাকা জোগাড় করতে ঢাকায় যান। সেখানে একটি দোকানে কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু বই কেনা হয়ে ওঠে না তার। ছোট বোনের বিয়ের জন্য সব টাকা শেষ হয়ে যায়। এরপর অর্থের জন্য মুন্সীগঞ্জের আকিজ ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে গিয়ে কিছুদিন কাজ করে পুনরায় বাড়িতে এসে পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। প্রতিকুলতার মধ্যে ধরনীবাড়ী লতিফ রাজিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে ২০১৪ সালে আলিম পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। সরেজমিন বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গেলে কথা হয় তার সঙ্গে।  তিনি বলেন, স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির কোচিং করার অর্থ ছিল না। তাই ঢাকায় গিয়ে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি শুরু করি। সেখানে কাজের চাপে পড়াশোনার তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। ২০১৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারিনি। ওই বছরই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মিরপুর বাঙলা কলেজে সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, ইচ্ছা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার, সেভাবে প্রস্তুতিও নেই। কিন্তু ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই। পরে ২০১৫ সালে ভর্তি হই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে। কিন্তু কীভাবে পড়াশোনার খরচ জুটবে সেই নিশ্চয়তা ছিল না। থাকা, খাওয়া ও সামান্য কিছু হাতখরচের টাকার জন্য খণ্ডকালীন কাজ করি। এ ছাড়া টিউশনি, কোচিংয়ে ক্লাস নিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করে ২০১৯ সালে অনার্সে সিজিপিএ ৩.৪১ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। পরে করোনা মহামারি শুরু হলে আবার আর্থিক সংকটে পড়ি। এরমধ্যেই ২০২০ সালে মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৪৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। শেষে অনেকের সহযোগিতায় ও টাইলস মিস্ত্রির কাজ করে বিসিএসের প্রস্তুতি নেই। অবশেষে কপালে জুটে যায় শিক্ষা ক্যাডার। বিসিএসের রেজাল্ট যেদিন প্রকাশ হয় সেদিন শিক্ষা ক্যাডারে নিজের রোলটি দেখে চোখে পানি চলে এসেছিল। তবে ইচ্ছা ছিল প্রশাসনে চাকরি করার। কিন্তু যা হয়েছে তাই নিয়ে অনেক খুশি এখন।  জিয়াউর রহমানের মা জোলেখা বেগম বলেন, ছেলে সংসার চালিয়ে খুব দুঃখ কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। আমরা তাকে কিছুই দিতে পারি নাই। আজ ছেলের ভালো খবরে আমরা সবাই খুশি।  তিনি বলেন, ছেলে যখন ফোন করে জানালো ‘মা আমি বিসিএস ক্যাডার হয়েছি, তখন বুঝতে পারিনি বিসিএস ক্যাডার কী জিনিস’। পরে বুঝিয়ে বলার পর আনন্দে চোখে পানি চলে আসে। আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন। সে যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারে। জিয়াউর রহমানের শিক্ষাগুরু অনন্তপুর দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপারি মাওলানা আকবর আলি বলেন, জিয়া ছোট থেকেই খুব মেধাবী ছিল। এ কারণে তার শিক্ষা উপকরণ, মাদ্রাসায় রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণসহ যাবতীয় ব্যয় বহন করার জন্য আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা করতাম। সে শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।  এলাকাবাসী আবুল কাশেম (৮০), সহিদুল ইসলাম (৪৮), ফারুক মিয়া (৩৫)সহ অনেকে বলেন, ছোট থেকেই জিয়া খুবই কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। সে কৃষি কাজের পাশাপাশি প্রাইভেট পড়িয়ে সংসার চালিয়েছে। আজ তার সাফল্যে আমরা গ্রামবাসী খুব খুশি।  ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান খুবই কষ্ট করে লেখাপড়া করেছেন। কখনো দিনমজুর, কখনো টাইলস মিস্ত্রির কাজ করে পড়াশোনা করে বিসিএস পাস করেছে। তিনি আমাদের ইউনিয়নের জন্য গর্ব।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের নায়ক জিয়াউর রহমান : ড. হারুন-অর-রশিদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নজির মানব জাতির ইতিহাসে আর নেই। এই হত্যাকাণ্ড সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সেনা সদস্যের অংশগ্রহণে নিছক একটি হত্যাকাণ্ড ছিল না। এই হত্যাকাণ্ড ছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের গভীর নীলনকশার অংশ। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মূল নায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান।’  মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে জাতীয় বিশবিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড : খুনি কারা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড. হারুন-অর-রশিদ।   জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল, যে আদর্শের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল সেই আদর্শ থেকে সরে গিয়ে পাকিস্তানের আদলে সেনা-আমলানির্ভর সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করা। খুনি ডালিমের লেখা বই ও অপর খুনি ফারুকের আদালতে দেওয়া জবানবন্দি থেকে এটা সুস্পষ্ট এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান নেপথ্য নায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান। খুনিরা তার সঙ্গে অনেক আগে থেকেই যোগাযোগ রক্ষা করত। জিয়াউর রহমান ছিলেন উচ্চাভিলাষী এবং অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রকৃতির। তিনি শুরু থেকেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘রশিদ-ফারুকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিষয়ে যখন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করল তখন তিনি তাদের এ বিষয়ে সম্মতি জানান এবং এগিয়ে যেতে বললেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিপ অব স্টাফ হিসেবে এবং সেনাবাহিনীর একজন অফিসার হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তথা সেনাপ্রধান এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই ষড়যন্ত্রের কথা জানানো। সেটা না করে তিনি বরং তাদের গো অ্যাহেড বলেছেন। এটার মাধ্যমে তিনি যে ক্রাইম করেছেন সে জন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া থেকে পরিত্রাণের অবকাশ নেই। তিনি যদি ওইদিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাদের ষড়যন্ত্রের কথা জানাতেন, তাহলে হয়তো ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতো না।’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকে যদি ফাঁসি দেওয়া হয় তাহলে জিয়াউর রহমান যে কাজ করেছেন তার শাস্তি কী হওয়া উচিত? তিনি শুরু থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন না তা শুধু অমার্জনীয় অপরাধই নয়, তিনি সর্বোচ্চ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তাতে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের যে বিচার হয়েছে সেটির আসামির তালিকায় তার নাম আসা স্বাভাবিক ছিল। সে কারণে ১৫ আগস্টের নেপথ্যের নায়ক ও কুশীলবদের চিহ্নিত করতে সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে। সেখানে আমি মনে করি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত ছিল এবং ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে মানবতার স্বার্থে, আইনের শাসনের স্বার্থে তাদের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত।’   ড. হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি দল গঠন করেছেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পরিপন্থি। আজকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকট বিরাজ করছে তার মূলে রয়েছে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং পাকিস্তানের ভাবাদর্শে একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি। পাকিস্তানের পক্ষের শক্তিকে রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসন করা। বর্তমানে রাজনীতিতে যে দুটি মতাদর্শিক ধারা সৃষ্টি হয়েছে এর মূলে রয়েছে জিয়াউর রহমান এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড।’  আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিস্টিংগুইশড্ প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসাইন ও ড. মো. মাহবুবর রহমান, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, অ্যাকাডেমিক কমিটির চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক, কর্মকর্তা ও সুধীজন।  
৩০ আগস্ট, ২০২৩
X