কারেন্ট জাল ব্যবহারের অভিযোগে ৫ জেলে আটক
অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনা নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে ৫ জেলেকে নৌকাসহ আটক করেছে নৌপুলিশ। শুক্রবার (১০ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। নৌপুলিশের তথ্যমতে, আটককৃতরা হলেন- আল আমিন ব্যাপারি (৩৮), স্বপন ব্যাপারি (৩২), জাকির হোসেন (৩৫), শাহীন দাড়িয়া (৪০) এবং ওলি উল্ল্যাহ (২৩)। এরা সবাই শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নোয়াপাড়া ইউপির বাসিন্দা। চাঁদপুর নৌথানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাজরাজেশ্বর ইউপিস্থ শিলারচর নামক স্থানের মেঘনা নদী হতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ৮শ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ১টি ইঞ্জিনচালিত পুরোনো কাঠের তৈরি জেলে নৌকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেছি। আটক ৫ জন অসাধু জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে কারাগারে ২১ জেলে
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে অবৈধ পিটানো জাল ব্যবহার করায় ২১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মৎস্য আইনে মামলার পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুহুল আমিন মাঝি, মো. শরীফ, বজলুর রহমান, মো. ইব্রাহিম, বাবুল হোসেন, মো. রাকিব, মো. ইস্রাফিল, মো. জুয়েল, হুমায়ুন কবীর, জুয়েল হোসেন, আক্তার হোসেন, মো. জামাল, আলী হোসেন, মো. জাহিদ, রুহুল আমিন, জাকির হোসেন, হেলাল উদ্দিন, মো. হাসান, নুরনবী ও আবুল খায়েরসহ ২১ জন। তারা ভোলার দৌলতখান এলাকার বাসিন্দা।  বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, পিটানো জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার আইনত নিষিদ্ধ। নদীতে পিটানো জাল ব্যবহারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নষ্ট হয়ে যায়। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহর পশ্চিমে মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে রোববার সকালে ফের অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জেলেদের আটক করা হয়। পরে বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফেরদৌস আহম্মদ বাদী হয়ে ১৯৫০ সালের মৎস্য আইনের ৫/(১) ধারায় আটক জেলেদের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।  বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করায় ২১ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
০৬ মে, ২০২৪

হঠাৎ উত্তাল বঙ্গোপসাগর, জেলে নিখোঁজ
হঠাৎ উত্তাল হয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগর। প্রতিকূল এ পরিস্থিতিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলার থেকে পড়ে মো. হাসান (৪৫) নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের রামনাবাদ চ্যানেলের দক্ষিণে বয়া এলাকা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্ঘটনার শিকার ট্রলারের মালিক মো. বেল্লাল হোসেন কাজী। নিখোঁজ জেলে ভোলা জেলার চরভ্যাশন উপজেলার চর আফজাল এলাকার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি মাছ ধরার পাশাপাশি পটুয়াখালীর মৎস্য বন্দর আলীপুরের এফবি তিমুল ফারজানা ট্রলারের মিস্ত্রি (ইঞ্জিনচালক) হিসেবেও কাজ করতেন। জানা যায়, গত ৫ দিন আগে মৎস্য বন্দর আলীপুর থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশ্য বঙ্গোপসাগরে ১৪ জন জেলে নিয়ে বের হয় এফবি তিমুল ফারজানা নামক ট্রলারটি। পরে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্নস্থানে মাছ শিকার করে তারা। মঙ্গলবার কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সাগরে পৌঁছালে হঠাৎ সমুদ্র উত্তাল হলে ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারের কিনারে বসে থাকা ওই জেলে সমুদ্রে পড়ে তলিয়ে যায়। ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে মাঝি মো. সিদ্দিক গাজী ট্রলার মালিককে ফোন দিয়ে ঘটনা জানায় এবং তাকে উদ্ধারে খোঁজখুজি শুরু হয়। এফবি তিমুল ফারজানার মালিক মো. বেল্লাল হোসেন কাজী বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা চার-পাঁচটা অতিরিক্ত ট্রলার ওখানে খোঁজার কাজে পাঠাই। সারারাত খোঁজখুঁজি করা হয়েছে। সকালে আরও একটি ট্রলার পাঠিয়েছি কিন্তু এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই জেলের স্বজনরা এসেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, জেলে নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সহায়তায় নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোঁজার চেষ্টা করছি।
০১ মে, ২০২৪

ঢাকা জেলার সাবেক রেজিস্ট্রার অহিদুল জেলে
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা জেলার সাবেক রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। দুদকের আদালত পরিদর্শক আমিনুল এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল আসামি অহিদুল আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। দুদক জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে অহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে অন্য আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, অহিদুল ইসলাম ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ঢাকার শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে সমাজকল্যাণ বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি ২০০৪ সালের ৩ মার্চ বোরহান উদ্দিন কলেজের চাকরি থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন পরিদপ্তরে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর পদোন্নতির মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন।
০১ মে, ২০২৪

মেঘনায় জাটকা ধরায় ২০ জেলে আটক
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরার অপরাধে ২০ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও তিনজনকে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজরাজেশ্বরের শিলারচর, মিনি কক্সবাজার ও চিরারচর নামক স্থানের মেঘনা নদী থেকে তাদের আটক করে বলে বিকেলে সদর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটককৃতরা হলেন মো. খোকন খাঁ (৩৫), মো. মাইনুদ্দিন ছৈয়াল (২৭), মাসুদ তালুকদার (২৮), রবিউল হোসেন বেপারি (২১), আবুল কালাম হোসেন তাঁতি (১৯), ফারুক গাজী (২৬), আবু তাহের তফাদ্দার (৩৪), মো. নিরব বেপারি (১৯), মোমিন বেপারি (১৯), সবুজ হাওলাদার (১৯), মো. ভাসানী (২৬), শরীফ ঢালী (২১), মো. কালু বকাউল (১৯), শরিফুল ইসলাম বেপারি প্রকাশ তাহের (৩২), মহসীন মাঝি (২০), মো. রিফাত শেখ (২২), শাকিল বেপারি (২০), মো. শাহীন বেপারি (১৩), রাকিব হোসেন মাল (১৪), মো. শিপন গাজী (১২)। তাদের বাড়ি চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে। চাঁদপুর সদর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মেঘনা নদীতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় জাটকা ধরা অবস্থায় ২০ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাদের থেকে ১০০ মিটার সুতার তৈরি লাসা জাল, ২ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং ৫টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়। জানা যায়, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ ৬টি উপকূলীয় এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

১১ হাজার টাকার জন্য জেলে যাওয়া খালেদা জামিনে মুক্ত
মাত্র ১১ হাজার ২শ টাকা ঋণের দায়ে ঈদের আগের দিন ৩ বছরের শিশু সন্তানকে রেখে জেলহাজতে যাওয়া সেই খালেদা পারভীন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কামারখন্দ আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জামিন দেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। মুক্তি পেয়েই তার তিন বছরের শিশু কন্যা ফাতেমাকে বুকে জড়িয়ে নেন তিনি।  খালেদা পারভীন বলেন, ঈদের একটা দিন মেয়েকে ছাড়া আমি জেলখানায় কাটিয়েছে। আমি বুঝেছি আর আমার মেয়ে বুঝেছে আমাদের কেমন লেগেছে। এ সময় চাপাকান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এর আগে বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপণের দায়ের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) উল্লাপাড়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় খালেদাকে।   ঈদের আগের দিনে শিশু সন্তানকে রেখে খালেদা পারভীনের জেলহাজতে যাওয়ার সংবাদটি কালবেলাসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এক ব্যক্তি ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। অপর একটি সংস্থা ওই পরিবারকে অটোভ্যান তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। অপরদিকে বেলকুচির তামাইয়ের এক ব্যক্তি সেলাই মেশিন কিনে দেওয়ার আশ্বাস দেন। খালেদা মুক্তি পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের এক ব্যক্তি তাকে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন।  এদিকে খালেদার স্বামী ইব্রাহিম বলেন, আমরা হতদরিদ্র। দুটি মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আরও ৫০-৬০ হাজার টাকা ঋণ আছে। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই আমাদের সহায়তা করেছেন। এ জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দেন তিনি।   প্রসঙ্গত, বেসরকারি সংস্থা উদ্দীপণ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন খালেদা পারভীন (৪২)। ঋণের বেশকিছু টাকা পরিশোধ করলেও অভাবের তাড়নায় ১১ হাজার ২শ টাকা বাকি ছিল। এদিকে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পেতে ৬ মাস আগে স্বামীসহ ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি নেন তিনি। আর ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় উদ্দীপণ এনজিও তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও বিষয়টি জানতেন না খালেদা। ঈদের আগের দিন ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদপুরের নদী থেকে জাল ও নৌকাসহ ১৩ জেলে আটক
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞার সময়ে রাজরাজেশ্বরের মেঘনা নদী থেকে অবৈধ জাল ও নৌকাসহ ১৩ জেলেকে আটক করেছে নৌ থানা পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। আটকরা হলেন, বিল্লাল চৌকিদার (৩২), জাকির মাঝি (৪২), রাসেল প্রধানিয়া (২৮), তাজল চৌকিদার (১৯), মো. ইব্রাহিম (১০), মো. জহির গাজী (২৪), আবুল কালাম (২৫), হাকিম আলী (৮), শয়ন আহমেদ (১৯), সুজন (২১), ফারুক বেপারী (৩২), খলিল দর্জি (২২) ও রনি বেপারী (১২)। এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাজরাজেশ্বর ইউপিস্থ শিলারচরের মেঘনা নদী হতে ১৩ জেলেকে আটক করেছি। তাদের থেকে ২৬০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং ৪টি ইঞ্জিনচালিত পুরাতন কাঠের তৈরি জেলে নৌকা জব্দ করেছি। তিনি আরও বলেন, আটক ১৩ জন অসাধু জেলের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে দুটি নিয়মিত মামলা এবং তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও একজন বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। মামলার জব্দকৃত আলামত নৌ থানা হেফাজতে আছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

ওদের ঘরে নেই ঈদের আনন্দ / ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী জেলে কান্না থামছে না স্ত্রীর
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর এলাকায় গত বুধবার মাদকাসক্ত ছেলে কাউসার বাগমারকে (২৩) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বাবা রশিদ বাগমার। ঘটনার দিনই রশিদ বাগমারকে আটক করে পুলিশ। বতর্মানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। একদিকে ছেলের নির্মম মৃত্যু, অন্যদিকে স্বামী কারাগারে—এমন অবস্থায় পরিবারের ১২ সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রশিদ বাগমারের স্ত্রী মোছলেমা। তিনি অনবরত কেঁদেই চলেছেন। শনিবার সকালে সরেজমিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জ্ঞান হারিয়ে চৌকি থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন মোছলেমা। তার বড় মেয়ে রুশিয়া ও বড় ছেলের স্ত্রী তাকে চৌকিতে তুলে মাথায় পানি ঢালছেন। পাশেই নাতি-নাতনিরা দাদিকে ডাকছে। ২০ মিনিট পর সুস্থ হয়ে কান্নাজড়ি কণ্ঠে মোছলেমা বলেন, ‘রোজা রেখে কাউছারের বাবা মসজিদের মোয়াজ্জেমের বাড়িতে কুড়াল দিয়ে খড়ি কেটে ৩০০ টাকা পেয়েছে। সেই টাকা ছেলে কাউছারকে এনে দেয়। আমি রোজা রেখেছি পানি পান করে। আমার ছেলে কাউছারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে গোপনে স্বর্ণের দুল বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা দিই। সেই টাকা নেশা করে শেষ করেছে। আবার বলে আমার বাড়ি থেকে দুই কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা দিতে। এটা কী সম্ভব। বাড়িতে মোট জমিই মাত্র আড়াই কাঠা।’ মোছলেমা বলেন, ‘দুদিন আগে আমার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে এক বাটি ভাত নিয়ে আসে। সেখান থেকে একটু খেয়েছি। কীভাবে চলব। আমার একমাত্র উপার্জনের মানুষ জেলে। টাকার অভাবে তাকে দেখতে যাইতে পারছি না। কীভাবে ছাড়াব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’ এ বিষয়ে বাহদুশাদী ইউপি চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, তিনি অসহায় পরিবারটিকে কিছু টাকা ও ২০ কেজি চাল দিয়েছেন। তবে বাগমারের বাড়ি জামালপুর ইউনিয়ন এলাকায় হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম পরিবারটিকে কোনো সহায়তায় এগিয়ে আসেননি।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের আমেজ নেই চাঁদপুরের ৫০ হাজার জেলে পরিবারে
কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু আনন্দের রেশমাত্র নেই চাঁদপুরের প্রায় ৫০ হাজার জেলে পরিবারে। জাটকা রক্ষায় দুই মাস (মার্চ-এপ্রিল) নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। তাই সন্তানদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে পারছেন না তারা। এমনকি ঈদের দিন চিনি-সেমাই কেনারও সামর্থ্য নেই অনেকের। কেউ কেউ আশা করছেন, ঈদের আগে দু’একদিন ইলিশ ধরতে পারলে বিক্রি করে খরচটা চালানো যেত। কিন্তু সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক জেলেকে সহযোগিতা করা আপাতত সম্ভব না হলেও কয়েকশ অতি দরিদ্র জেলেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। নদীর পাড় ঘুরে দেখা গেছে, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার সময় পার করছেন অধিকাংশ জেলে। আগামী ১ মে থেকে মাছ ধরা শুরু হবে। তাই অনেকে আবার জাল সেলাই এবং নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত। মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর এলাকার জেলে মফিজল সরকার বলেন, ‘গত বছরগুলোতে মাছ ধরেই যে উপার্জন করেছি, তা দিয়ে কোনোরকম সংসার চলেছে। ঈদে ছেলে-মেয়ে, বাবা-মাকে নতুন কাপড় দিয়েছি। তবে এবারের ঈদে সমস্যার মধ্যে আছি। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন আছে, এখনো জামা-কাপড় কিনতে পারিনি। ঘরে বাচ্চারা কান্নাকাটি করে। আমরা তো গরিব মানুষ। ৫-১০ হাজার টাকা খরচ করে ঈদের বাজার করার সামর্থ্য নেই। সেমাই-চিনি কিনতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নদীতে মাছ ধরতে পারলেই কেবল সেমাই-চিনি, সন্তান ও নিজেদের জন্য কাপড় নিতে পারতাম। একই এলাকার জেলে সুমন সরদার বলেন, সরকার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিছে, আমরা তা পালন করছি। সরকার যে সহযোগিতা দেয় তা আমি পাই না। আমরা খাইয়া, না খাইয়া খুব কষ্টে দিন কাটাইতাছি। গত এক সপ্তাহের বেশি আমাগো সংসার চলে না। বউ-পোলাপাইন নিয়া খাইয়া-না খাইয়া আছি। আমাগো কোনো কামকাজ নাই। এমন একটা ঈদ আইতাছে, কিন্তু কিছু করার আমাগো পক্ষে সম্ভব না। তিন-চারটা বাচ্চা স্কুল-মাদ্রাসায় পড়াই, তাদের পড়ালেখাও বন্ধ। বেতন দিতে পারি না। আমরা খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে আছি। সরকার কিছু সাহায্য দিলে উপকার হইতো। বৃদ্ধ জেলে সাহেব আলী বলেন, ৫০ বছর ধরে নদীতে জাল বাই। কিন্তু এই বছরের মতো এমন অবস্থা দেখি নাই। আমার চার মেয়ে এক ছেলে। মেয়েগো স্কুল বন্ধ, ছেলের মাদ্রাসা বন্ধ। রুজি নাই, পড়ামু কি দিয়া? মাস্টারতো আগে চাইবো বেতন। বেতনের টাকা না দিতে পারলে পিডায়। আর কিস্তির টাকা তো দিতেই হয়। সেদিন কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য ঘরের ছয় খান টিন বেইচ্চা দিছি। এখন ভাত যে খামু হেই টাকাও নাই। তাই ঈদে আমাগো কোনো উপায় নাই। একটা গেঞ্জি কেনার মতো অবস্থা নাই। এমন আরও অনেক জাউল্লা আছে, বেকের (সবার) একই অবস্থা। জেলে বশির হোসেন বলেন, আমরা নদীর ওপর নির্ভরশীল। পোলাপাইনের লেখাপড়ার খরচ, সংসার খরচ দিয়াই আমরা কুলাইতে পারি না। পোশাক, টাকা-পয়সা এসব পোলাইপাইনকে আমরা দিতে পারি না। তারপরও বাচ্চাদের মুখে দিকে তাকিয়ে ঋণ করে লুঙ্গি-জামা দিছি। হয়তো চিনি-সেমাই মিলবে। কিন্তু ঈদের দিনের জন্য এক কেজি মাংস কিনতে পারব না। কারণ, এক কেজি মাংস কিনতে ৭৫০ টাকা লাগবে। জেলে সোহেল বলেন, ঈদ আইয়া পড়ছে। কিন্তু এখনো বাচ্চাদের জামা-কাপড় দিতে পারি না। নদীতে নামতে পারলে হয়তো কিছু দিতে পারতাম। এবারের ঈদে নিজেও কিছু নিতে পারমু না, তাগও কিছু দিতে পারমু না। চলতেই তো কষ্ট হইতাছে। আমাদের কাছে টেকা-পইসা নাই, চিনি-সেমাই এগুলো মনে হয় এবার আমাগ কপালে জুটব না। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘চাঁদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এটা বড় সংখ্যক কমিউনিটি। এখানে তো এক-দুইশ লোক না। তবে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। জেলেদের বিকল্প আয়বর্ধকমূলক উপকরণ হিসেবে সেলাই মেশিন, ছাগল, গরু ও পরিবেশবান্ধব জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এগুলো করা হচ্ছে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক জেলেকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চার মাসে ১৬০ কেজি চাল দেওয়া হয়। চালের অর্ধেক ইতোমধ্যে মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাকি দুই মাসের চাল সহযোগিতা ঈদের আগেই দেওয়া হবে। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, বর্তমান সরকার জেলেদের চাল, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করছে। ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জেলেদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে যারা খুব দরিদ্র তাদের ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধিত সব জেলেকে ঈদের আগেই সরকারি চাল সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের সহায়তা বাড়ানোর বিষয়টি সরকারিভাবে চিন্তা করতে হবে। 
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

জেলে গিয়ে সাড়ে ৪ কেজি ওজন কমেছে কেজরিওয়ালের
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দুই সপ্তাহ ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আরও সপ্তাহ দুয়েক তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। তবে জেলের ভেতরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি (আপ)। এমনকি জেলে গিয়ে তার ওজন সাড়ে চার কেজি কমে গেছে বলেও দাবি করেছে দলটি। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কেজরিওয়াল ঠিক আছেন। তার ওজন কমেনি। খবর এনডিটিভির। আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) আপের নেত্রী ও মন্ত্রী অতীশি এক এক্সবার্তায় বলেছেন, কেজরিওয়াল গুরুতর ডায়াবেটিক রোগী। স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও তিনি দেশবাসীর সেবায় দিন-রাত কাজ করেন। গ্রেপ্তারের পর কেজরিওয়ালের ওজন সাড়ে চার কেজি কমেছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক। বিজেপি তার স্বাস্থ্যকে বিপদে ফেলছে। তার কিছু হলে, শুধু দেশবাসী নয়, ঈশ্বরও ক্ষমা করবেন না। তবে কারা সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, তিহার জেলে আনার সময় কেজরিওয়ালের ওজন ৬৫ কেজি ছিল। তার ওজন এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তার রক্তে শর্করার মাত্রাও এখন স্বাভাবিক। আজ সকালেও তিনি যোগ ব্যায়াম করেছেন। সেলের ভেতরে হাঁটা-চলা করেছেন। গত ২১ মার্চ রাতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারের আগে তাকে ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। তবে কোনো সমনেই তিনি হাজিরা দেননি। এমনকি বারবার সমন পাঠিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করছে ইডি, এই অভিযোগ তুলে আগাম জামিন পেতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। গত সোমবার ইডির রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই এদিন সকালে তাকে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করে ইডি। এদিন ইডির তরফ থেকে কেজরিওয়ালকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। বরং তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে সংস্থাটি। তাই তাকে তিহার জেলে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই কারাগারে থাকবেন। তবে আদালতে আগাম জামিন আবেদন করেছেন কেজরিওয়াল। তার আবেদনের ওপর আজ বুধবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪
X