জবি হলে আগুন, আতঙ্কে জ্ঞান হারালেন ছাত্রী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজের কারণে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে হলটিতে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের চেষ্টায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শুক্রবার (৩ মে) দেড়টায় রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর পরিচয় জানা যায়নি। হলটিতে অবস্থানকারী কয়েকজন ছাত্রী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়। ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
০৪ মে, ২০২৪

ঢাবিতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে জ্ঞান হারালেন ছাত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে উপস্থিত এক ছাত্রী জ্ঞান হারিয়েছেন। অতিরিক্ত গরমে এ অবস্থা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ডাস চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের রাজনৈতিক প্রোগাম চলছিল। অসুস্থ হওয়া ছাত্রী বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে থাকেন। এ হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ও সৈকতের অনুসারী সুমাইয়া জান্নাত সারা তাকে নিয়ে এসেছিলেন। জানা গেছে, প্রোগ্রাম চলাকালে অতিরিক্ত গরমে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। এরপর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কালবেলাকে বলেন, রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিনের মতো আজকেও টিএসসির ডাস চত্বরে সৈকতের প্রোগ্রাম চলছিল। এ সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ঘোষণা দেন। সেখানে লিখেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল থেকে ডাসের প্রোগ্রাম বন্ধ থাকবে।’ ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী সুমাইয়া জান্নাত সারার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বক্তৃতার মঞ্চেই জ্ঞান হারালেন মন্ত্রী
মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু আচমকাই ঘটে যায় এক বিচিত্র ঘটনা। হঠাৎই মঞ্চে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। পরে নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক তাকে ধরে ফেলেন। এরপর দেওয়া হয় চিকিৎসা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঞ্চে জ্ঞান হারানো ওই মন্ত্রীর নাম নিতিন গড়কড়ী। ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কমন্ত্রী তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের যুবমলে একটি নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে তিনি জ্ঞান হারান। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, যুবমলের পুসাদের একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন ওই মন্ত্রী। এ সময় হঠাৎ তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে দলের অন্যরা তাকে তাৎক্ষণিক ধরে ফেলেন। এরপর চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ করা হয়।  নিতিনি নামের ওই মন্ত্রী ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। দেশটির প্রথম ধাপের লোকসভা নির্বাচনে সেখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিতিন বুধবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্দের নেতৃত্বাধীন শিভ সেনার নেতা রাজশ্রী পাতিলের জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। রাজশ্রী পাতিলকে স্থানীয় ক্ষমতাসীন মহুতি জোটের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।  এনডিটিভি জানিয়েছে, অজ্ঞান হওয়ার পর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ায় ওই মন্ত্রী সুস্থ হন। এরপর আবার মঞ্চে উঠে পুনরায় বক্তৃতা করেন তিনি।  Union Minister Nitin Gadkari faints on stage while addressing an election rally in Yavatmal, Maharashtra. Gadkari is currently under observation of a medical team. Wishing @nitin_gadkari ji quick recovery. pic.twitter.com/32BUS3bRqd — Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) April 24, 2024 সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নিতিনের জ্ঞান হারানোর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, তিনি মঞ্চে অসাড়ের মতো হয়ে পড়ছেন। লোকজন তাকে ধরে সরিয়ে নিচ্ছে।  এ ঘটনার পর নিজের এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন নিতিন। সেখানে তিনি জানান, তীব্র গরমে তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তবে বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

জ্ঞান ফেরেনি মায়ের, ছেলের কবরের পাশে পায়চারি করছেন বাবা
রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ছাত্র তৌফিক হোসেনের শোকে বিহ্বল তাদের পুরো বাড়ি। কেউই কথা বলেছে না। পুরো বাড়িতে চলছে হাহাকার। দরজা বন্ধ করে কাঁদছেন মা। বাবা বারবার ছেলের কররের পাশে গিয়ে ঘুরে আসছেন নীরবে। শত চেষ্টা করেও একটু কথা বলেতে পারেননি ছেলের মায়ের সঙ্গে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চুয়েট ছাত্র তৌফিক হোসেনদের বাড়িতে গিয়ে এমন অবস্থা দেখা যায়। আগের দিন সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তৌফিকসহ নিহত হন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী। তৌফিকের মা বারবার বলছেন, দুর্ঘটনার পর পরই তাকে ফোন করে তৌফিক। সে বলেছে- মা, আমি গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েছি রাস্তায়। আমার বন্ধুরা গাড়ির নিচে পড়ে গেছে। মা, লোকজন আমাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তুমি আর আব্বা রওনা দাও। রওনা দেওয়ার পরেও ছেলের সঙ্গে কথা হয় মায়ের, মা তুমি তাড়াতড়ি আসো। পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেনি ছেলেটা। হাসপাতালে গিয়ে বাবা-মা দেখতে পান ছেলের নিথর দেহ।  বাবা প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, ছেলে যেতে চায়নি বাড়ি থেকে। তার শরীরে জ্বর ছিল। কিন্তু ক্লাস করতেই হবে তাই বাবার কাছে আবদার ছিল নিজেদের গাড়িতে করে চট্টগ্রাম পৌঁছে দেওয়ার জন্য। বাবা দেরি না করে পরদিনই গাড়িতে করে চুয়েটে নামিয়ে দিয়ে আসেন ছেলেকে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান আইজিপির
কঠোর পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শনিবার রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কমপ্লেক্স সেমিনার হলে মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মশিউল হক চৌধুরী। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তোমাদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার সর্বোপরি দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সমিতির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজমুল হক। সমিতির উদ্যোগে পুলিশ পরিচালিত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের আইজিপি শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৬ শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন আইজিপি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

শাকিবের সিনেমা দেখে জ্ঞান হারালেন দর্শক
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। একের পর এক সিনেমা দিয়ে বলা যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে এই চিত্রনায়ক। প্রত্যেক ঈদে সিনেমা দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।  এবার ঈদে দেশের সিনেমা হলগুলোতে চলছে সুপার হিট সিনেমা ‘রাজকুমার’। যা দেখতে দলে দলে ভিড় করেছেন ভক্তরা। আর হল থেকে বেরিয়ে প্রশংসা করছেন অনেকেই।  শাকিব খানের সিনেমা দেখে প্রশংসা করা নতুন কিছু না। অনেকে তার সিনেমা দেখে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়েছেন এমনও ঘটনা ঘটেছে। এবারের ঘটনা ভিন্ন, সিনেমা দেখতে গিয়ে হলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এক ভক্ত। এমন একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় একজন দর্শক হলের মেঝেতে পড়ে আছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায় সিনেমা হলের পর্দা, সেই পর্দায় রাজকুমার ছবিটির শেষাংশ। ভিডিওতে বলতে শোনা যাচ্ছে সিনেমার শেষ এক ঘণ্টা শুধু ওই ব্যক্তি কেঁদেই গেছেন। শাকিব খানের পরিণতি তিনি মেনে নিতে পারেননি, তাই কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে গেছেন তিনি। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, পানি এনে ওই ব্যক্তির চোখে মুখে ছেটানো হচ্ছে। পরে তার জ্ঞান ফিরে আসে এবং পুনরায় কাঁদতে শুরু করেন।   জানা গেছে দেশের ১২৬টির মতো সিনেমা হলে চলছে ‘রাজকুমার’। দেশের ২১২টি সিনেমা হলের মধ্যে এই সিনেমা রেকর্ড পরিমাণ রেন্টালে চারভাগের তিন ভাগ হল পেয়ে রেকর্ড কয়েক কোটি টাকা বুকিং মানি (টেবিল কালেকশন) তুলেছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে ভগবান জ্ঞান করে
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে ভগবান জ্ঞান করে রাজনীতি করছেন। গতকাল বিএনপি নেতাদের ‘মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের’ নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ অভিযোগ করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, তারা জনগণের ক্ষমতায়নেও বিশ্বাস করে না। তাদের নির্ভরতা কেবল বিদেশি শক্তির ওপর। এ কারণে বিএনপি বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী অপপ্রচার এবং প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে বিদ্যুৎ নিয়ে কথা মানায় না। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দেশের জনগণের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছিল; বিদ্যুৎ খাতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। তাদের দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে অর্থায়ন বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল। অথচ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার ১০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল। তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময় প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। বিদ্যুতের পরিবর্তে শুধু খাম্বা স্থাপন করে দেশবাসীর সঙ্গে তামাশা করা হয়েছিল। পাঁচ বছরে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল। সেখানে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কল্যাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, এবারের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ গ্রাহকদের ওপর এর চাপ পড়বে না। বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বড় গ্রাহক পর্যায়ে দাম কিছুটা বৃদ্ধি করা হবে।
০২ মার্চ, ২০২৪

ছাদ থেকে পড়ে জ্ঞান হারালেন কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার, অতঃপর..
কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস গ্রামের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। বেশ কয়েক মিনিট অচেতন থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা ভিডিও ও স্ট্যাটাসে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারানোর খবর জানান নকুল কুমার নিজেই। তার বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়ায়।  তার ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রামের বাড়িতে শিমুল গাছের ডাল কাটতে নিজ বাড়ির দোতলা ছাদে ওঠেন তিনি। এরপর র‌্যালিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে ডাল কাটার সময় অসাবধানবশত ছাদ থেকে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় শব্দ হলে বাড়ির লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নকুল কুমারের বন্ধু আসাদুজ্জামান লিটন জানান, আমাদের সবার প্রিয় কণ্ঠশিল্পী অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। তবে এখনো হাসপাতালে। নকুল কুমার বিশ্বাস জানান, গ্রামের বাড়ির দোতলার চারপাশ শিমুল গাছের ডালে ছেয়ে গেছে। সেই ডাল কাটতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্যের সাহায্য ছাড়া এখন চলতে পারছি না। পপুলার হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, রিপোর্ট হাতে পেলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী চিকিৎসা নেব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিমুলেশন ল্যাব চিকিৎসকদের জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে ভূমিকা রাখবে
বর্তমান বিশ্বের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল অ্যাডুকেশনের কারিকুলামের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি ফেইজ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট লক্ষে সক্ষমতা অর্জন এবং এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করা ও চিকিৎসা প্রদান করা। মেডিকেল অ্যাডুকেশনের নিয়ম অনুযায়ী সক্ষমতাগুলো হলো ‘করে দেখানো’ অথবা ‘কার্য সম্পাদন’ এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তালিকা গঠন পূর্বক শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, ২টি ডেন্টাল কলেজ ও ৮টি ডেন্টাল ইউনিট চলমান আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর ৪৮৯৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয় এবং সমসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ৫ বছরব্যাপী গ্রাজুয়েশন এবং ১ বছর ইন্টার্নশিপ শেষ করে চিকিৎসা পেশায় যোগদান করেন। চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞান এবং দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জ্ঞান পাঠ্য পুস্তকসহ বিভিন্ন উৎস থেকে আহরণ করা যায়। কিন্তু দক্ষতার বিষয়টি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অর্জন করতে হয়। বিশ্ব ব্যবস্থার মানদণ্ড বিবেচনায় চিকিৎসা শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রবর্তন করার লক্ষে সিমুলেশন ল্যাব একটি নতুন সংযোজন যা চিকিৎসকদের জ্ঞান, দক্ষতা ও বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষার যে ঘাটতি তা সিমুলেশন ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসা গবেষণা ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী মেডিকেল গ্রাজুয়েটদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য যেসব মানদণ্ড রয়েছে তার মধ্যে চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিমুলেশন ল্যাব থাকা অন্যতম। সিমুলেশন ল্যাবের ব্যবহার মূলত চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তরান্বিত করে। যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষ প্রশিক্ষক এবং আধুনিক স্বনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত সিমুলেশন ল্যাব চিকিৎসাশাস্ত্রে যুগান্তকারী পরির্বতনের সূচনা ইতোমধ্যে অনেক উন্নত বিশের চিকিৎসা শিক্ষায় পরিলক্ষিত হচ্ছে এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও মেডিকেল কাউন্সিল দ্বারা স্বীকৃত হয়ে শিক্ষাব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সিমুলেশন ল্যাব মেডিকেল কারিকুলামে যুক্ত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় সিমুলেশন ল্যাবের ব্যবহারকে শিক্ষার্থীরা খুবই যুক্তিসংগত বলে ধারণা করে। প্রায় দুই দশক ধরে কৃত্রিম শিক্ষা সহায়ক (সিমুলেশন ল্যাব) এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা হচ্ছে। যদিও দুই দশক আগে এই নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। এর ফলপ্রসূ প্রভাব পরিলক্ষিত হয় পাঁচ বছর আগে। প্রশিক্ষণদান, শিক্ষাদান এবং পরীক্ষা ব্যবস্থা (পারফর্মেন্স এসেসমেন্ট) এই পদ্ধতির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে মালয়েশিয়াতে। এসোসিয়েশন অব আমেরিকান মেডিকেল কলেজ (এএএমসি) ২০১০ সালের একটি গবেষণায় পেয়েছে যে, ১৩৩টি সদস্যভুক্ত মেডিকেল স্কুল এবং ২৬৩টি মেডিকেল কলেজ, যা মোট মেডিকেল স্কুল ও কলেজের ৮০ শতাংশ কৃত্রিম সহায়ক (সিমুলেশন ল্যাব) ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজসমূহে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি রোগীর মাধ্যমে ব্যবহারিক কার্য সম্পাদন করে জ্ঞানঅর্জন করেন। একজন রোগীকে ছাত্র-ছাত্রী/চিকিৎসক কর্তৃক পরীক্ষার পূর্বে তার অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক। বারবার কোনো পরীক্ষা রোগীর শরীরে করলে তা রোগীর জন্য কঠিন শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। উপরন্তু, একজন রোগীর ওপরে শারীরিক পরীক্ষা চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও রোগী সকলের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির সম্মুখীন করে। এসব বিবেচনায় সিমুলেশন ল্যাব রোগীর বারবার পর্যবেক্ষণ এবং তদুপরি তার ও চিকিৎসক/শিক্ষার্থীর ঝুঁকির পরিমাণ হ্রাস করে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শিক্ষার আহরিত জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সিমুলেশন ল্যাব বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিটি মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব স্থাপিত হলে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি রোগীর ওপর ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের পূর্বে বিভিন্ন সিমুলেটর এর মাধ্যমে তাদের অর্জিত তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে অনুধাবন, দর্শন ও পরীবিক্ষণের সুযোগ পাবে। শিক্ষা কার্যক্রমে সিমুলেশন ল্যাব ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক মূল্যায়ন (ফরমেটিভ এসেসমেন্ট) করা যাবে এবং শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ (পেসিমোটর স্কিল)আয়ত্ব করে কর্মজীবনে সুচিকিৎসা প্রদানের কৌশল শিখতে পারবে। শিক্ষার্থীদের পেশাদারিত্বে আস্থা সৃষ্টিসহ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দেশে চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা শিক্ষায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে। সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ও পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে চিকিৎসা শিক্ষার আধুনিক সুযোগসুবিধা সম্প্রসারণ করা আবশ্যক, চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে হাতে-কলমে শিক্ষা খুবই জরুরি হলেও যথাযথ সুযোগ না থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয় না। মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শিক্ষার বাস্তব জ্ঞান অর্জনে সহায়তাকারী হিসেবে সিমুলেশন ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীরা ১ম ও ২য় বর্ষে এনাটমি ব্যবচ্ছেদ (ডিসেকশন) অধ্যায়নের জন্য মৃত মানব শরীরের ব্যবহার করে থাকে। এনাটমি ব্যবচ্ছেদ এর জন্য বেওয়ারিশ লাশে ব্যবস্থা করা দুস্কর এবং মৃত্যুর পর শরীর দান করা এদেশে খুব সুপরিচিত নয়। সিমুলেশন ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা কৃত্রিমভাবে মানব শরীর ব্যবচ্ছেদ সহজেই শিখতে পারবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে চিকিৎসা শিক্ষার নব নব উদ্ভাবন প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দেশে জনসংখ্যা অধিক হলেও চিকিৎসা শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে বাস্তব পরীবেক্ষণে রোগীর স্বল্পতা রয়েছে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদেরকে চিকিৎসা শিক্ষার বাস্তবিক পরীবিক্ষণের ক্ষেত্রে সিমুলেশন ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। একই সময় সকল রোগের রোগী হাসপাতালগুলোতে অবস্থান না করায় মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষার্থী সমভাবে সকল রোগের বিষয়ে হাতে কলমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হয় না। সিমুলেশন ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীগণের সকল রোগের বিষয় বারবার পরীবিক্ষণ করার সুযোগ থাকায় অধিকতর দক্ষতার সাথে জ্ঞান অর্জন সম্ভব হয় যা পরবর্তীতে হাতে কলমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সিমুলেশন ল্যাব শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভর শিক্ষা, বার বার অনুশীলন, উদ্দেশ্যপূর্ণ অনুশীলন এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন অপারেশনাল প্লানের মাধ্যমে দেশের ১৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ১টি ডেন্টাল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থাপিত সিমুলেশন ল্যাব সমূহের মাধ্যমে স্ব-স্ব মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে বাকি সব মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট সমূহে সিমুলেশন ল্যাব স্থাপন করা খুব জরুরি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা ও চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়নের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মোশাররফ হোসেন খন্দকারের মতে, সিমুলেশন ল্যাবের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হবার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চিকিৎসকরা আরো বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারবেন। সিমুলেশন ল্যাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সরাসরি মানব দেহের চিকিৎসা প্রদানের আগে চিকিৎসকরা দক্ষ হয়ে উঠবেন। এতে করে চিকিৎসাকালীন ও চিকিৎসা পরবর্তী অনেক ঝুঁকি হ্রাস পাবে। তারা আশা প্রকাশ করেন দ্রুতই বাংলাদেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এই ল্যাব স্থাপন করা হবে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

চুল কাটতে বলায় মারধর, ১০ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি
ঠাট্টার ছলে বড় চুল কাটতে বলায় মানুদাকান্ত লাহিড়ী নামে এক বৃদ্ধকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে দুই বখাটে ও তাদের বাবা। আহত মানুদাকান্ত ঢাকার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে আইসিইউতে ১০ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে আছেন। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের জামিরতা গুদিবাড়ী গ্রামে। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে মানুদাকান্তকে মারধর করার ঘটনায় ফুঁসে উঠছে হিন্দু-মুসলমানসহ সচেতন সমাজ। পূজা উদযাপন পরিষদসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি জামিরতা গুদিবাড়ি গ্রামে একটি স্টলে চা পান করছিলেন মানুদাকান্ত লাহিড়ী। সেখানে এলাকার কয়েক তরুণ আড্ডা দিচ্ছিল এবং হাসি-তামাশা করছিল। এ সময় মানুদাকান্ত তামাশার ছলে তাদের বড় চুল কাটতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একই গ্রামের মশিউর রহমানের দুই ছেলে আবির রহমান ও নিবির রহমান তাদের বাবার কাছে নালিশ করে। এরপর ওইদিনই মশিউর রহমান মানুদাকান্তকে ফোনে বাড়িতে ডেকে নেন। মানুদাকান্ত আসার সঙ্গে সঙ্গে মশিউর ও তার দুই ছেলেসহ আরও কয়েকজন তাকে বেধড়ক পেটান এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে বগুড়া, পরে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মানুদাকান্ত লাহিড়ীকে। আহতের স্ত্রী সান্ত্বনা লাহিড়ী জানান, তুচ্ছ ঘটনায় তার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। এখন তিনি লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। গত ১০ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। হিন্দু হওয়ায় তার স্বামীর ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আসামিদের হুমকি-ধমকিতে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, আমাদের এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। কিন্তু কয়েক বখাটের কারণে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, যাকে মেরেছে তিনি অত্যন্ত নিরীহ ও ভালো লোক। তিনি বলেছিলেন, নাতি এত বড় চুল রাখিস কেন? এতেই ক্ষেপে গিয়ে ফোন দিয়ে ডেকে এনে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার শক্ত বিচার হওয়া উচিত। কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন বলেন, খবর পেয়ে আমি আহতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। এটা ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। শাহজাদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে বলেন, ১০ দিন পার হলেও এখনো আসামি ধরতে গড়িমসি করছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, আগামী দুদিনের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ভিকটিমের স্ত্রী সান্ত্বনা লাহিড়ী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X