রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ছাত্র তৌফিক হোসেনের শোকে বিহ্বল তাদের পুরো বাড়ি। কেউই কথা বলেছে না। পুরো বাড়িতে চলছে হাহাকার। দরজা বন্ধ করে কাঁদছেন মা। বাবা বারবার ছেলের কররের পাশে গিয়ে ঘুরে আসছেন নীরবে। শত চেষ্টা করেও একটু কথা বলেতে পারেননি ছেলের মায়ের সঙ্গে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চুয়েট ছাত্র তৌফিক হোসেনদের বাড়িতে গিয়ে এমন অবস্থা দেখা যায়। আগের দিন সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তৌফিকসহ নিহত হন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী।
তৌফিকের মা বারবার বলছেন, দুর্ঘটনার পর পরই তাকে ফোন করে তৌফিক। সে বলেছে- মা, আমি গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েছি রাস্তায়। আমার বন্ধুরা গাড়ির নিচে পড়ে গেছে। মা, লোকজন আমাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তুমি আর আব্বা রওনা দাও। রওনা দেওয়ার পরেও ছেলের সঙ্গে কথা হয় মায়ের, মা তুমি তাড়াতড়ি আসো।
পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেনি ছেলেটা। হাসপাতালে গিয়ে বাবা-মা দেখতে পান ছেলের নিথর দেহ।
বাবা প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, ছেলে যেতে চায়নি বাড়ি থেকে। তার শরীরে জ্বর ছিল। কিন্তু ক্লাস করতেই হবে তাই বাবার কাছে আবদার ছিল নিজেদের গাড়িতে করে চট্টগ্রাম পৌঁছে দেওয়ার জন্য। বাবা দেরি না করে পরদিনই গাড়িতে করে চুয়েটে নামিয়ে দিয়ে আসেন ছেলেকে।
মন্তব্য করুন