তৃতীয় দফায় গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকের পাওনা আরও ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।  টাকা ফেরত দেওয়া গ্রাহকদের একটি তালিকা পোস্ট করে রাসেল লিখেছেন, আমরা আমাদের ক্যাম্পেইন মার্জিন (আগের) থেকে বিভিন্ন লংকাবাংলার কার্ড হোল্ডারদের ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। নিম্নলিখিত গ্রাহকদের লংকাবাংলা দ্বারা নির্বাচিত করা হয়েছে। যদি তালিকায় আপনার নাম থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার ব্যাংক বা কার্ড চেক করুন। এর আগে গত ৫ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় ইভ্যালি ১০০ জন গ্রাহককে তাদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার মহাপরিচাক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে, ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।  তারও আগে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দিয়েছিল ইভ্যালি।  উল্লেখ্য, নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ‘বিগব্যাং’ নামে প্রথম ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। মাত্র ২০ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেয়ে শুরুতেই বাজিমাত করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন ‘বিগব্যাং-টু’ উন্মুক্ত করে ইভ্যালি। ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের।  তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
২৮ মার্চ, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মাহমুদপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে। পরে ‘ব্যবহারিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ’ শিরোনামে রোববার (১০ মার্চ) দৈনিক কালবেলা এবং একাধিক প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের ডেকে আদায়কৃত টাকা ফেরত দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) মাহমুদপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ডেকে আদায়কৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএইচ নূরুন্নবী চৌধুরী রতন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা শিক্ষা অফিসার আমান উদ্দিন মন্ডল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, আমরা কালবেলাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সাহসী সংবাদ প্রকাশ করার জন্য। আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলেই তারা বাধ্য হয়ে টাকা ফেরত দিয়েছে।  শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, তবে আবার ভয়ও হচ্ছে যদি স্যারেরা আমাদের ওপর রাগ করে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়। আমরা আশা করি, স্যারেরা আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এমনটা করবেন না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএইচ নূরুন্নবী চৌধুরী রতন কালবেলাকে বলেন, শুধু আমাদের স্কুলেই নয় প্রতিটি স্কুলেই প্রাকটিক্যালের জন্য ২শ/৩শ টাকা করে নেওয়া হয়। তবে আমাদের স্কুলে যা নেওয়া হয়েছে তার পরিমাণটা একটু বেশি হয়েছে। আমি স্কুলে গিয়ে সব শিক্ষককে রিমান্ডে নিয়েছি। যে শিক্ষক নিয়েছে তাকে শোকজ করতে চেয়েছি। পরে সকল শিক্ষার্থীর টাকা ফেরত দিতে বলেছি। তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা শিক্ষা অফিসার আমান উদ্দিন মন্ডল কালবেলাকে বলেন, টাকা নিয়েছিল বিষয়টি সঠিক। তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ডেকে তালিকা করে ওই ৬০০ টাকা ফেরত দিচ্ছে।  মাহমুদপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, তারা এবার মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৩৮ জন, মানবিক বিভাগের ৪২ জন এবং ভোকেশনাল বিভাগের ৪০ জন। ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে বিজ্ঞান বিভাগের প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬শ টাকা এবং মানবিক বিভাগের প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩শ টাকা করে আদায় করেছে। এর মধ্যে কয়েকজন টাকা না নিয়ে আসায় তারা পরে দিবে মর্মে সময় নেয়। পরীক্ষার্থীরা আরওে অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এইচএম নূরুন্নবী চৌধুরী রতনের নির্দেশে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মোল্লাসহ অন্য শিক্ষকরা প্রতি বিষয়ের ব্যবহারিক খাতা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ এসব টাকা আদায় করেছেন। এ সময় টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ওই দিন অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ অর্থ আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে আদায়কৃত অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে বাধ্য হন অভিযুক্ত শিক্ষকরা।
১৪ মার্চ, ২০২৪

আরও ১০০ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় পাওনা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির আর ১০০ জন গ্রাহক।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে গ্রাহকদের টাকা হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে, ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।   গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পাওনা টাকা ফেরত প্রদান অনুষ্ঠানে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. রাসেল আসেননি বলেও জানান ভোক্তার ডিজি।   তিনি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।   অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের হাতে এসব পাওনা টাকার চেক তুলে দেন। এর আগে গত মাসে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ১৫০ গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছিলেন অধিদপ্তরের নিষ্পত্তির মাধ্যমে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় হামলা ও ভাঙচুর
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সদরের হোলোখানা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকান্ত ঠগের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফারুক হোসেনের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে লক্ষ্মীকান্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। পরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আজ সকালে দুর্বৃত্তরা ফারুকের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় মো. ফারুক হোসেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ আসার আগে দুর্বৃত্তরা রফিকুল ও ফারুকের বাড়ির আসবাবপত্রসহ নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করে পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি জানি না। আমি নামাজে যাচ্ছি। যার সঙ্গে এ ঘটনা তার সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে আজাদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন বলেন, আমি গত চার বছর আগে মিজানুর রহমান ও আজাদ স্যারকে চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা দিই। চাকরি তো দেননি, সেই টাকাও দিচ্ছেন না তারা। এ নিয়ে অনেক বিচার হয়েছে। টাকার জন্য চাপ দিলে আজ তারা লোকজন দিয়ে আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি। সদরের হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ব্যাপক পরিমাণে ভাঙচুর হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে আমার জানা নেই। কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ওসি মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তাহিরপুরে ভাতার টাকা ফেরত দিচ্ছেন ইউএনও
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের প্রাপ্য যাতায়াত ভাতার টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভিন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাহিরপুর ইউএনওর কার্যালয়ে ১০টি ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার মধ্যে যাতায়াত ভাতার দুই হাজার টাকা করে ফেরত দেন। এর আগে ৩১ জানুয়ারি আরও ১০টি কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। ৫৩টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০টি কেন্দ্রের টাকা দিয়েছেন ইউএনও। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৩৩টি কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতার টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। সংসদ নির্বাচনে তাহিরপুর উপজেলার ৫৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৬১ জন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সব কর্মকর্তার জন্য জনপ্রতি দুই হাজার টাকা যাতায়াত ভাতা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু নির্বাচনের দিন ইউএনও সালমা পারভিন সব কর্মকর্তার কাছ থেকে যাতায়াত ভাতার মাস্টাররোলে স্বাক্ষর নিলেও টাকা পরিশোধ করেননি। গত ৯ জানুয়ারি কালবেলা অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হলে ইউএনও কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১৫০ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকের পাওনা টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে। নতুন করে ১৫০ জন গ্রাহককে মোট ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। মোহাম্মদ রাসেল ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম শফিকুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নতুন করে ইভ্যালি শুরু করার পর আমাদের যে টাকা লাভ হয়েছে সে টাকা থেকেই পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ শুরু করেছি। এর মধ্যে আমরা প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি পণ্য ডেলিভারি সম্পন্ন করেছি। ইভ্যালি থেকে অনেকেই টাকা পাবে তা স্বীকার করে রাসেল বলেন, আমরা এখন যে পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি করছি এতে করে খুব দ্রুতই সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে। যারা অভিযোগ করেছে শুধু তাদের নয়, যারা টাকা পাবেন এমন সবার টাকাই পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিন বলেন, ইভ্যালির ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারে প্রায় ৭ হাজারের মতো অভিযোগ পড়েছে। এর মধ্যে আজ (রোববার) ১৫০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব গ্রাহকদের ১৫ লাখ টাকার ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর আগে কালবেলাকে রাসেল বলেন, ‘গ্রাহককে এখন আর বিশ্বাসের ওপর টাকা দিতে হচ্ছে না। পণ্য হাতে পেয়ে টাকা দেবে। এ জন্য ইভ্যালিতে গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আমরা খুব সামান্য লাভ করছি যেন কোম্পানির খরচ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর যেসব পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে সেটা বিক্রেতা নিজের পক্ষ থেকে দিচ্ছেন। এ জন্য ইভ্যালির আর লোকসানের সুযোগ নেই।’ এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর গত ২৬ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন ‘বিগব্যাং-টু’ উন্মুক্ত করে ইভ্যালি। এর মধ্যে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় রয়েছে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, স্মার্ট টেলিভিশন, ব্লেন্ডার, বেল্ট, জিন্স প্যান্ট, পাঞ্জাবি ও কম্পিউটার এক্সেসোরিজসহ বিভিন্ন পণ্যে।  এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ‘বিগব্যাং’ নামে প্রথম ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। মাত্র ২০ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেয়ে শুরুতেই বাজিমাত করে প্রতিষ্ঠানটি।  উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘ই-কমার্সে প্রতারিতরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন’
দেশের বিভিন্ন এমএলএম কোম্পানি ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়া গ্রাহকরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন, সে প্রশ্ন রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দুদক আইনজীবীর কাছে এ প্রশ্ন রাখেন। আপিল বিভাগ বলেন, এসব হায় হায় কোম্পানিতে প্রলুব্ধ হয়ে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহকরা প্রতারিত হয়েছেন। যেভাবেই হোক তারা তো বিনিয়োগ করেছেন। এখন সে টাকা কীভাবে পাবেন তারা। মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি (এমএলএম) ইউনিপে-টুর কয়েকজন গ্রাহকের টাকা ফেরত চেয়ে আপিল শুনানিতে আদালত এসব কথা বলেন। আদালতে গ্রাহকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। পরবর্তী শুনানির জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

কুড়িয়ে পাওয়া অর্ধলাখ টাকা ফেরত দিলেন দোকানি
রাঙামাটির বাঙ্গালহালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজে যাওয়ার পথে অসাবধানবশত ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে যায় এক ব্যক্তির। সেই টাকা কুড়িয়ে পেয়ে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছেন প্রবীর দত্ত নামের এক মুদি দোকানি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, বাঙ্গালহালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহমান, ব্যবসায়ী বিকাশ বিশ্বাস, আলম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে প্রকৃত মালিক ডা. মোহাম্মদ আজিজের কাছে টাকাগুলো ফেরত দেন প্রবীর দত্ত।  জানা যায়, রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিনের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ডাক্তার মোহাম্মদ আজিজুল হক। সকালে ঘর থেকে বের হয়ে বাঙ্গালহালিয়া বাজারে নিজ চেম্বারে যান তিনি। ঘড়ির কাঁটায় যখন ১টা বাজে ঠিক তখনই নামাজের জন্য বের হয়ে বাঙ্গালহালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত তার সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার টাকা পকেট থেকে পড়ে যায়। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে বাঙ্গালহালিয়া নাইট গার্ডকে দিয়ে বাজারে মাইকিং করেন। এর অল্প কিছুক্ষণ পর মাইকিংয়ের আওয়াজ শুনে বাঙ্গালহালিয়া বাজারের চৌধুরী মার্কেটের পূজা স্টোরের মালিক প্রবীর দত্ত ফোন করে চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, বাঙ্গালহালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহমানকে মং মেডিকেল হলে আসতে বলেন। কী বিষয় জানতে চাইলে প্রবীর দত্ত বলেন, কিছু টাকা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছি, টাকাগুলো প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর করতে হবে। সাথে সাথে ছুটে আসেন সবাই। পরে সবার উপস্থিতিতে প্রকৃত মালিককে টাকা ফিরিয়ে দেন তিনি।  টাকার মালিক ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, প্রবীর দত্ত দাদার সততা দেখে আমরা মুগ্ধ। আমরা চাই এ রকম মানবিক দৃষ্টান্ত সবার মাঝে অটুট থাকুক।  প্রবীর দত্ত বলেন, আমি রাস্তায় টাকাগুলো পড়ে থাকতে দেখি। পরে প্রকৃত মালিককে টাকাগুলো ফিরিয়ে দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশকে খবর দেই। তারা এসে প্রকৃত মালিকের কাছে টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন। 
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ধারের টাকা ফেরত পেতে হালখাতার আয়োজন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ধারের টাকা ফেরত পেতে হালখাতার আয়োজন করেছেন এক শিক্ষক। টাকা ধার নেওয়া ব্যক্তিদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা স্মরণ করে দিতে এই হালখাতার আয়োজন। আগামী ১২ জানুয়ারি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের হোটেল আন্ধারীঝাড়ে এই ব্যতিক্রমী হালখাতা অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এ.এম.এ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল তার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের বিভিন্ন সময় প্রায় ৪ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও টাকা ধার নেওয়া ব্যক্তিরা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে তিনি হালখাতার আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আব্দুল আউয়াল মাস্টার বলেন, বিভিন্ন সময় পরিচিত ৩০ থেকে ৩৫ জন আমার নিকট থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। যারা টাকা ধার নিয়েছিলেন তাদের অনেককে বারবার বলার পরেও টাকা ফেরত দেননি। ধার নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছেন যাদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বারবার বলাও যায় না। তাই এই হালখাতার আয়োজন।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

মামলা হলেও মসজিদের টাকা ফেরত দেননি আ.লীগ নেতা
প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের আল হেলাল জামে মসজিদে বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় মসজিদের জন্য ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। বরাদ্দকৃত সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলটি স্থাপনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারীকে। কিন্তু তিনি মসজিদে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলটি স্থাপন না করে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার নামে একটি সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেছেন। মামলা হওয়ার পরেও মসজিদে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন বা টাকা ফেরত দেননি আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারী। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারী গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আল হেলাল জামে মসজিদ কমিটি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুচাইপট্টি ইউনিয়নের ভিমখিল বাজারের আল হেলাল জামে মসজিদের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের বরাদ্দ পাস হয়। সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলটি মসজিদে স্থাপনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি মসজিদে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলটি স্থাপন না করে বরাদ্ধের ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে ২০১৭ সালে রাজকীয় প্রাপ্য আদায় বিষয়ক ১৯১৩ সালের ৪/৬ ধারা মতে তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। মামলায় ৩০ দিনের মধ্যে প্রাপ্য সমুদয় অর্থ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়। টাকা পরিশোধ না করলে জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারীর স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ বিক্রয় বা বন্ধক রাখতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু এক মাসের স্থলে ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারী টাকা ফেরত দেয়নি। ২০১৭ সাল থেকে এখন অবধি নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ দিয়ে বারবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে টাকা জমা দিতে বললেও তিনি কোনো নোটিশের সাড়া দেননি। আল হেলাল জামে মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ রফিক বেপারী কালবেলা কে  বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় আমাদের মসজিদে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। মসজিদে একটি ব্যাটারি দিয়ে কোনো মতে আলো জ্বালিয়ে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। মসজিদের নামে এতগুলো টাকা মূল্যের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল বরাদ্দ হলো অথচ মসজিদ সেই সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল পেল না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার। সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলটি পেলে মুসল্লিরা আরামে নামাজ পড়তে পারত। মঞ্জু বেপারী মসজিদে কোনো ইটও কিনে দেন নাই। কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারী বলেন, মসজিদে আমি ওই সময় আড়াই হাজার ইট ক্রয় করে দিয়েছি। প্রতি হাজার ইটের মূল্য তখন ছিল সাড়ে ৬ হাজার টাকা করে। বিল ভাউচার জমা দেইনি বলে মামলা হয়েছে। শিগগিরই বিল ভাউচার জমা দিয়ে আসব পিআইও অফিসে। জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারীর কথা অনুযায়ী তৎকালীন আড়াই হাজার ইটের মূল্য ১৬ হাজার ২৫০ টাকা। গোসাইরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ইকবাল কবির কালবেলাকে বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আল হেলাল জামে মসজিদের নামে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল বরাদ্দ হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী জহির উদ্দিন মঞ্জু বেপারীকে প্যানেলটি স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলটি মসজিদে স্থাপন না করায় তার নামে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়। মামলার পরেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। এমনকি মামলার কোনো নোটিশেরও জবাব দেননি।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X