সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুৎসেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অচলাবস্থা কাটছেই না। বুধবার (৮ মে) ৪র্থ দিনেও কর্মবিরতি পালন করছে সারা দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছে তারা।
তবে রবিবার থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরিভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছেন তাঁরা। বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ ও সকল ধরণের গ্রাহক সেবা ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সারাদেশেই ভোগান্তিতে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য গ্রাহক।
অপরদিকে সমস্যা সমাধানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কোন ফলপ্রসূ উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টো গতকাল আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় আরো ক্ষুব্ধ হয়েছে আন্দোলনকারীরা।
জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে সমিতির এজিএম (আইটি) সাকিল আহম্মেদ, এজিএম(অর্থ) সুখদেবকে সাময়িক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, ২ জন এজিএম (ওএন্ডএম)কে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়, ২জন ডিজিএম, ৪জন এজিএম এবং ১জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) এ সংযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদেও কর্মবিরতিতে অনঢ় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈত্ব নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দুর করে বাপবিবো এবং পবিসএকই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫% প্রণোদনা জুলাই -২৩ হতে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে- জুলাই -১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ২দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ ডিষ্টারবেন্স অ্যালাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির বাস্তবায়ন চান তারা।
মন্তব্য করুন