টাইগারদের কাঁদানো কামিন্দুই মাসসেরা
লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ভরাডুবির পেছনে যেমন টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতা দায়ী ছিল, তেমনি প্রভাব ছিল লঙ্কান ব্যাটারদেরও। তার মধ্যে বাংলাদেশকে সবচেয়ে ভুগিয়েছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার কামিন্দু মেন্ডিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই শতক হাঁকানো লঙ্কান ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস আইসিসির মার্চ মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। মার্চ মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরিকে। মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দাপুটে পারফরম্যান্সেই মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন কামিন্দু। আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া তৃতীয় লঙ্কান ক্রিকেটার তিনি। তার আগে প্রবাথ জয়সুরিয়া ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। আইসিসিরি তরফ থেকে সেরার স্বীকৃতি পেয়ে বেশ খুশি কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি বলেন, ‘আইসিসি মাসসেরা হতে পেরে আমি অনেক খুশি। এটাকে আমি আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য ইন্সপারেশন হিসেবে নিচ্ছি। এমন স্বীকৃতি আমাদের ক্রিকেটার হিসেবে আরও পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করে। দল, দেশ ও সমর্থকদের জন্য মাঠে পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করে।’   দীর্ঘদিন পর শ্রীলঙ্কার দলে ফিরেছিলেন কামিন্দু। দলে ফিরেই ছন্দে রয়েছেন তিনি। গত মাসটা স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রান করার পর টেস্ট সিরিজে দাপট দেখান। নারী ক্যাটাগরিতে মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের মায়া বোচার।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৫ টেস্ট সিরিজ পার্থে শুরু ২২ নভেম্বর
ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ২২ নভেম্বর পার্থে। শেষ টেস্ট শুরু হবে ৩ জানুয়ারি সিডনিতে। বক্সিংডে টেস্ট শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। সিরিজের একমাত্র দিবারাত্রির টেস্ট শুরু ৬ ডিসেম্বর অ্যাডিলেডে। গতকাল ৫ টেস্ট সিরিজের সূচি ঘোষণা করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ভারত-অস্ট্রেলিয়া এত দিন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে চারটি টেস্ট খেলত। সর্বশেষ তারা ৫ টেস্টের সিরিজ খেলেছে ১৯৯১-৯২ মৌসুমে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সেই টেস্ট সিরিজ মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনের নেতৃত্বে খেলেছিল ভারত। সেটা ছিল তরুণ শচীন টেন্ডুলকারের প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর। সেই সিরিজে খুব বাজেভাবে হেরেছিল ভারত। এখন অবশ্য টেস্টে অনেক শক্তিশালী রোহিত শর্মার দল। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছে। অন্যদিকে প্যাট কামিন্সের দল সবসময় ভয়ংকর। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দুই টেস্টের সিরিজ ১-১ ড্র করেছে তারা। যা হোক, ভারতের সঙ্গে ৫ টেস্টের সিরিজ যে আকর্ষণীয় হবে, তা বলা বাহুল্য। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সফরসূচি নির্ধারণী বিভাগের প্রধান পিটার রোচ বলেছেন, ‘আমাদের দলের পরিষ্কার চাওয়া ছিল এমন একটা ভেন্যু থেকে যেন সিরিজ শুরু হয় যেখানে তারা নিজেদের শক্তি ভালোভাবে কাজে লাগোতে পারবে। তাই আমরা প্রথম টেস্ট পার্থে আর পরের টেস্ট ব্রিসবেনে শুরু করছি।’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ৫ টেস্টের সিরিজ নিয়ে বলেছেন, ‘বিসিসিআই টেস্ট ক্রিকেটের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষ্য অবিচল। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ় পাঁচ টেস্টের করা হয়েছে, যা টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি দুই বোর্ডের যৌথ সমর্থনকে চিহ্নিত করে। আমরা ক্রিকেটের এই ফরম্যাটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
২৭ মার্চ, ২০২৪

টেস্ট সিরিজ শেষ মুশফিকের
আঙুলের চোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হচ্ছে না মুশফিকুর রহিমের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাওয়া চোটে ছিটকে গেছেন তিনি। জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম খান চোটের তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ম্যাচের পর ঢাকায় মুশফিকুর রহিমের একটি এক্স-রে পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেখানে তার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে অ্যাভালশন ফ্র্যাকচার ধরা পড়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘চোটে পড়ায় বর্তমানে তিনি রক্ষণশীল ব্যবস্থাপনার মধ্যে আছেন। প্রায় ৩-৪ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে অভিজ্ঞ এ কিপার-ব্যাটারকে। এতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলা হচ্ছে না তার।’ মুশফিক চোটে পড়ায় নতুন কাউকে নিয়ে ভাবছে বিসিবি। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ছুটিতে থাকলেও টেস্ট সিরিজে ফিরতে পারেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে পাওয়া গেলে মুশফিকের শূন্যস্থান কাটিয়ে উঠতে পারবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
২০ মার্চ, ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শরফুদৌল্লার স্বপ্নপূরণ
ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে সুনাম কুড়ান তিনি। বিশ্বকাপে ভালো করার পর আশাবাদী ছিলেন টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে দেশের বাইরের চ্যালেঞ্জের। অবশেষে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয়ে সেই স্বপ্নপূরণ হলো তার। আগেই খবর এসেছিল অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নামেন সৈকত। এর মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার স্বপ্নপূরণ হলো এই বাংলাদেশির। বাংলাদেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন সৈকত। বাংলাদেশি আম্পায়ারদের মধ্যে প্রথম হিসেবে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেন তিনি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচসহ মোট ৫টি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচসহ ৩টি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব ছাড়াও ৩টি ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন তিনি। সে সব ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সে বিশ্ব ক্রিকেটের নজরে আসেন তিনি। যার কারণে এবার সুযোগ পেলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আম্পায়ারিং করার। ব্রিসবেন টেস্ট ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে সৈকতের সঙ্গে আছেন ভারতের নিতিন মেনন। এ ছাড়া টিভি আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক এবং রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল গ্রাহাম-স্মিথ। দিবারাত্রির এই টেস্টে ম্যাচ রেফারি হিসেবে আছেন জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি পাইক্রফট। ৪৭ বছর বয়সী সৈকত বর্তমানে আইসিসির আম্পায়ারদের ইমার্জিং প্যানেলের সদস্য। তবে তিনি যেভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন তাতে দ্রুতই তিনি এলিট প্যানেলে প্রবেশ করবেন বলে আশাবাদী ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। ২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে অভিষেক হওয়া সৈকত পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ইতোমধ্যে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনার কীর্তি গড়েছেন। এ ছাড়া আইসিসির নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

কামিন্স নৈপুণ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
২০২৩ সালটি স্বপ্নের মতো কেটেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি দিয়ে বছর শুরু করার পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ ধরে রাখা তারপর নিজেদের ষষ্ঠ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় মনে হয় না প্যাট কামিন্সের নিজেও এই বছর থেকে আর কিছু চাওয়ার ছিল। তবে কামিন্সের তখনো ক্রিকেটকে দেওয়ার বাকি ছিল। আজ অজি ক্যাপ্টেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছে ৭৯ রানে। আর এই জয়ে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ইতিমধ্যে ২-০ তে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া জয় পেলেও বক্সিং ডে টেস্টের চতুর্থ দিনে মেলবোর্নে রোমাঞ্চ ছিল। চতুর্থ ইনিংসে ৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও সালমান–রিজওয়ানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে একসময় মনে হচ্ছিল পাকিস্তান ম্যাচটি জিতেই যাবে। জয়ের জন্য পাকিস্তানের যখন একশর কম রান দরকার তখন কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে রিজওয়ানের বিতর্কিত আউটের পর মুহূর্তেই যেন ম্যাচের চিত্রপট পাল্টে যায়। রিজওয়ানের বিদায়ের পর পাকিস্তান শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ১৮ রানের ব্যবধানে।   পার্থ টেস্টে ভরাডুবির পর মেলবোর্নেও ৭৯ রানের হারে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা সর্বশেষ ১৬ টেস্টে জয়হীন রইল পাকিস্তান। অন্যদিকে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন টেস্টের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দুই ইনিংস মিলিয়ে দশ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়াকে ৩১৮ রানে থামিয়ে দেওয়ার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ৫৪ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৮৭ রান। অবশ্য আজ চতুর্থ দিনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি স্বাগতিকরা। অজি উইকেট কিপার অ্যালেক্স ক্যারির ৫৩ রানে ভর করে ২৬২ রান পর্যন্ত যায় স্বাগতিকরা।   জয়ের জন্য ৩১৭ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আব্দুল্লাহ শফিককে হারায় শান মাসুদের দল। এরপর ৪৯ রানের মাথায় আরেক ওপেনার ইমাম উল হক আউটের পর দলের হাল ধরেন শান মাসুদ ও বাবর আজম। দুইজন মিলে দ্রুতগতিতে গড়েন ৫১ রানের জুটি। তবে ৬০ রান করে কামিন্সের শিকার হন পাক অধিনায়ক মাসুদ। এরপর ব্যক্তিগত পঞ্চাশের দোড়গোড়ায় গিয়ে বিদায় নেন বাবর আজমও। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আগা সালমানকে নিয়ে ভালোই ছন্দে ছিলেন রিজওয়ান। একসময় পাকিস্তানের জয়টাও মনে হচ্ছিল হাতের নাগালে। জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন মাত্র ৯৮ রান, রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন কামিন্স। শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন রিজওয়ান। অস্ট্রেলিয়ানদের আবেদনে ফিল্ড আম্পায়ার এটিকে আউট দেননি, ব্যাট বা গ্লাভসে লাগেনি বলে আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল রিজওয়ানকেও। তবে অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিলে তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ তাকে আউট দেন। রিভিউতে দেখা যায়, বল রিজওয়ানের রিস্ট ব্যান্ডের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্নিকোতে স্পাইক ধরা পড়ে। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট দেখা গেছে পাকিস্তানি উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানকে। আউট হওয়ার পরও ক্রিজে বেশকিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন রিজওয়ান। রিজওয়ানের বিদায়ের পর আগা সালমান ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করতে পারলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। স্টার্ক আর কামিন্স ঝড়ে উড়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ। শেষ দিকে মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস অধিনায়ক শান মাসুদের ৬০। ৫ উইকেট নেন কামিন্স, টানা দুই বলে শেষ দুই উইকেট তোলা মিচেল স্টার্কের শিকার ৪ উইকেট।  
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফর / টেস্ট সিরিজ খেলতে আবারও টালবাহানা অজিদের
২০০০ সালের নভেম্বরে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ। এরপর মাত্র একবারই ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ দল। সাকিব-তামিম-মুশফিকদের বলা হয় দেশের ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্ম। এই প্রজন্মের সৌভাগ্য হয়নি অজিদের মাটিতে টেস্ট খেলার। তবে ২৪ বছর পর সেই খরা কাটতে যাচ্ছে। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান-এফটিপির সূচি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মার্চে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু সেই সূচি নিয়ে কিছুটা টালবাহানা শুরু করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ সালে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষবারের মতো অজিদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। সেবার ডারউইন ও কেয়ার্নসে দুই টেস্ট হয়েছিল গ্রীষ্মের বাইরে। এবারও সেই পথে হাঁটতে চাইছে অজিরা। এফটিপি অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মে সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজটি এগিয়ে আনতে চাইছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির সূচি অনুযায়ী দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল, ২০২৭ সালের মার্চে। কিন্তু ২০২৬ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সিরিজটা খেলতে চায় অস্ট্রেলিয়া। যা তাদের গ্রীষ্মকালীন সূচির বাইরে। সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা নিউজিলল্যান্ড ও ভারতীয় দলের। মূলত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টির পরিবর্তে ৪টি টেস্ট খেলতে চায় অজিরা। এ ছাড়া ইল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট ম্যাচের ১৫০ বছরপূর্তি হবে এই গ্রীষ্মেই। সেই বড়সড়ভাবে আয়োজন করতে চায় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটিকে বাড়তি চাপ বলে মনে হচ্ছে অজিদের। তাই সিরিজটি এগিয়ে আনতে চাইছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম। এর সত্যতা পাওয়া যায়, গণমাধ্যমে দেওয়া বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বক্ত্যবে। তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়া এমন প্রস্তাব দিলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এর আগে ২০১৮ সালে দুটি টেস্ট এবং তিন ওয়ানডে খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু টিভি স্বত্ব না পাওয়ার কথা জানিয়ে সিরিজটি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ২০১৫ সালে টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বলে আসেনি অজিরা। পড়ে অবশ্য ২০১৭ সালে মাঠে গড়ায় সিরিজটি। ২০২০ সালে করোনার কারণেও বাংলাদেশে আসে পারেনি তারা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬টি টেস্ট খেলেছে অজিরা। যার ৪টিই হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। সবশেষ ২০১৭ সালে টেস্ট সিরিজ খেলেছে দুদল।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
X