তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
শর্ত মেনে নেওয়ায় বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুত ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কার পর্যালোচনা করে ঋণ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন সংস্থাটির ঢাকা সফররত কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে আইএমএফ কার্যালয়ে ইতিবাচক সুপারিশ পাঠিয়েছেন তারা। সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন পেলে শিগগির বাংলাদেশকে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়া হবে। ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ কর্মকর্তা পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আর্থিক খাতে কিছু সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে বিনিময় হারের পুনর্বিন্যাস, ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং খুচরা সুদের হারের সম্পূর্ণ উদারীকরণ পদক্ষেপ রয়েছে। দেশীয় প্রেক্ষাপটে এগুলো বেশ সমালোচনামূলক হলেও দীর্ঘমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে এই উদ্যোগগুলো সঠিক। তবে দ্রুত কার্যকর সুফল পেতে হলে এসব সংস্কার কর্মসূচির আরও গতি বৃদ্ধি এবং চলমান প্রচেষ্টা বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আইএমএফ আগের মতোই বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ক্রিস পাপাজর্জিও দাবি করেন, বাংলাদেশ আইএমএফ সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মধ্যে পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে জ্বালানি মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তা সত্ত্বেও, বৈশ্বিক সংকট, আর্থিক অবস্থার কঠোরতা এবং এখনো উচ্চতর আন্তর্জাতিক পণ্য এবং খাদ্যের দামবৃদ্ধির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নানা দুর্বলতা যোগ হয়েছে। এসবের প্রভাবে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত উচ্চহারে এবং নিম্নহারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি নিয়ে একটা শঙ্কা রয়েছে। তবে আইএমএফ আশা করছে, সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে এটা আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ শতাংশ এবং তার পরের অর্থবছর ৫.৫ শতাংশে নেমে আসবে; কিন্তু চলমান ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য সরকারকে ভিন্ন উপায়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজেটারি ব্যবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যকর পদক্ষেপ জোরদারে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ স্টাফ মিশন। আইএমএফ মিশন প্রধান আরও জানান, একইভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য ও খাদ্যমূল্যের বর্ধিত দাম এবং বাংলাদেশের চাহিদাযোগ্য বেশিরভাগ পণ্য আমদানিনির্ভর হওয়ায় বেশি করে ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চাপ পড়ছে। আইএমএফের পর্যবেক্ষণ বলছে, রিজার্ভে এই ঘাটতি পরিস্থিতি আগামী অর্থবছরও অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে কীভাবে রিজার্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারে, সেই পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনায় সেই লক্ষ্যে আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী নিট রিজার্ভের শর্তেও বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছুটা রিলাক্স দেওয়া হয়েছে। ব্রিফিংয়ে মিশন প্রধান ক্রিস জোর দিয়ে বলেন, আইএমএফের পলিসি অ্যাকশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বাস্তবতায় চলমান আমদানি সংকোচন এবং নীতি কঠোরকরণের কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.৪ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। একইভাবে যা ২০২৪-২৫ অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হতে পারে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আইএমএফ মনে বাংলাদেশের সামাজিক কল্যাণ ও উন্নয়ন উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর জন্য নিম্ন কর থেকে জিডিপি অনুপাত উচ্চতর স্তরে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা জরুরি। এই লক্ষ্যে কর রাজস্ব বাড়ানোর জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে বাস্তবসম্মত করনীতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। যাতে প্রতি বছর জিডিপির ০.৫ শতাংশ হারে কর জিডিপির বাড়ানো সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে কার্যকর একটি মাধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব কৌশল থাকতে হবে। ভর্তুকি হ্রাস করতে হবে। ব্যয় দক্ষতার উন্নতি ঘটাতে হবে। আর্থিক ঝুঁকিগুলোও চিহ্নিত করতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা হ্রাস উদ্যোগকে আইএমএফ সবসময় অগ্রাধিকার দেয়। এর জন্য নন-পারফর্মিং ঋণ হ্রাস কৌশল বাস্তবায়নের উদ্যোগকে আরও সুনির্দিষ্ট ও গতিশীল হওয়া উচিত। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত আর্থিক খাতকে উন্নত করার জন্য ঝুঁকিভিত্তিক কার্যক্রমে নজরদারি অব্যাহত রাখা। এর জন্য সুশাস, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোর উন্নতির জন্য আইনি সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে। একইভাবে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় পৌঁছাতে সরকার যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য করার রাখার সংস্কারের গতি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণ, আরও বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নতিরও কথাও বলছে আইএমএফ। উল্লেখ্য, আইএমএফ প্রতিনিধিদলটি ঢাকা সফরের পুরো সময় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির মূল্যায়ন করেছে। এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে।
১ ঘণ্টা আগে

বাড়তি খরচে নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ১২০০ ডলার
হজ আসন্ন হওয়ায় চলতি মাসেই বেড়ে যাবে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা। এ লক্ষ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটের ঢাকা ত্যাগ। তার আগেই হজযাত্রীরা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজের খরচ এককালীন পরিশোধ করে দিয়েছেন। এর বাইরেও আরও কিছু সম্ভাব্য খরচ রয়ে গেছে। বিদেশের মাটিতে সেই অর্থের জোগান নিশ্চিত করতেই হজে যাওয়ার সময় কিছু পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা নগদ অর্থ হিসেবে সঙ্গে করে নিয়ে যান। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে এ নগদ অর্থ নেওয়ার ক্ষেত্রেও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চাইলেই কেউ যত খুশি বিদেশি মুদ্রা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন না। এর জন্য দেশীয় রীতি অনুযায়ী একটা ধরাবাঁধা নিয়ম রয়েছে। সেটি নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীরা হজের খরচের বাইরে ১ হাজার ২০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশি টাকায় বর্তমানে প্রতি ডলারে ১১০ টাকা নির্ধারিত আছে। সেই হিসাবে একজন হজযাত্রী সর্বোচ্চ ১ লাখ ৩২ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাচ্ছেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ৪ হাজার ৩০৭ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
০৮ মে, ২০২৪

বে টার্মিনালে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনালে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও দেবে তারা। ১৬ মে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের আগে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ও বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণে আসবে একটি উচ্চপর্যায়ের দল। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া ডিজাইন অনুযায়ী বে টার্মিনালের ৩টি জেটিতে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে অবশিষ্ট বন্দরের অংশে সরাসরি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসে আবুধাবি পোর্ট অথরিটি। মূলত চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গেই যৌথভাবে কাজ করবে তারা। বিনিয়োগের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রথমেই চুক্তি স্বাক্ষর করে রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, আবুধাবি পোর্টের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। ১২ মে বাংলাদেশে আসবে আবুধাবি বন্দরের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি। সেসময় চট্টগ্রামে অবস্থান নিয়ে বন্দরের পাশাপাশি বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করবে তারা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আবুধাবি পোর্ট অথরিটি নিজেদের অর্থায়নে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন করবে, তেমনি টার্মিনাল পরিচালনার যন্ত্রপাতিও নিজেরাই আনবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের (বাংলাদেশ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাল্টিপারপাস টার্মিনালে বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছে আবুধাবি পোর্ট। এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে চায় দেশটি।
০৬ মে, ২০২৪

পতেঙ্গা বে টার্মিনালে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনালে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে আরব আমিরাত। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও দেবে তারা। ১৬ মে চুক্তি সইয়ের আগে চট্টগ্রামে বন্দরের কার্যক্রম ও বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণে আসবে একটি উচ্চ পর্যায়ের দল। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া ডিজাইন অনুযায়ী বে টার্মিনালের ৩টি জেটিতে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে অবশিষ্ট বন্দরের অংশে সরাসরি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসে আবুধাবী পোর্ট অথরিটি। মূলত চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গেই যৌথভাবে কাজ করবেন তারা। বিনিয়োগের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রথমেই চুক্তি স্বাক্ষর করে রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, আবুধাবি পোর্টের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পুরো আয়োজন রাজধানী ঢাকায় হলেও, তার আগে ১২ মে বাংলাদেশে আসবে আবুধাবী বন্দরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি। ৩ দিন চট্টগ্রামে অবস্থান নিয়ে বন্দরের পাশাপাশি বে টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আবুধাবী পোর্ট অথরিটি নিজেদের অর্থায়নে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন করবে, তেমনি টার্মিনাল পরিচালনার যন্ত্রপাতিও নিজেরাই আনবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের (বাংলাদেশ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাল্টিপারপাস টার্মিনালে বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছে আবুধাবি পোর্ট। এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একটি দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছে দেশটি। ১ হাজার ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের টার্মিনালের একেকটি অংশের জন্য সিঙ্গাপুর পোর্ট কর্তৃপক্ষ দেড় বিলিয়ন এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া ব্রেক ওয়াটার সিস্টেমের জন্য বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করবে আরও ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই বে টার্মিনাল ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং নতুন নতুন বাজার তৈরি হওয়ার কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। এ সময়ে ২০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।    রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আগের যে কোনো বছরের একই সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ভারত ও নেপালে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গবেষণায় দেখা গেছে, নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করলেও প্যাকেজিং পণ্যের বেশিরভাগই টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যার। বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, স্থানীয়ভাবে তৈরি প্লাস্টিক পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক দাম এ খাতের রপ্তানি বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছে। ডলার সংকট ও কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে অসুবিধার মধ্যেও এই খাত রপ্তানি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। শামীম আহমেদ আরও বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিশ্বমানের প্লাস্টিক তৈরি করছে। এটি বিদেশিদের বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী করছে। এ খাতের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে যা আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণে সহায়ক হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্প মূলত একটা এসএমই খাত। তাই এ খাতের উদ্যোক্তারা বিদেশে প্রয়োজনীয় মার্কেটিং করতে পারছে না। ঠিকঠাকমতো বিপণন করা গেলে রপ্তানি ১০০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিদেশে অবস্থিত মিশনের মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন বাজার খুঁজতে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শামীম আহমেদ বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পের তুলনায় প্লাস্টিক খাতে করপোরেট ট্যাক্সসহ অন্যান্য করহার বেশি। তিনি মনে করেন, পোশাক খাতের ন্যায় এই শিল্পে করহার কমালে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, গত অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আশাব্যঞ্জক ছিল না। ধারণা করছি, পশ্চিমা অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় এ বছর আরও উন্নতি হবে। ডলারের বেশি দামের কারণে উৎপাদন খরচ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা কমেছে বলে জানান তিনি। বিপিজিএমই এর মতে, দেশে পলিওলেফিন উৎপাদন সুবিধা না থাকলেও বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৪২টির বেশি পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশ প্রধানত ফিল্ম প্লাস্টিক, গৃহস্থালি সামগ্রী ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ রপ্তানি করে। এই খাতের ব্যবসায়ীরা আশা করছে এ বছর প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০ কোটি ৯ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর এ বছর এই খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক পণ্যের বাজারের আকার ৬শ’ বিলিয়ন ডলার।
০৪ মে, ২০২৪

সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১২ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২ কোটি ১৬ লাখ ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, বৈশ্বিক অর্থায়নকারীদের সহায়তায় নির্মিত দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি পর্যায়ের সৌর সুবিধা এটি। এতে আরও বলা হয়, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১২১.৫৫ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের পাবনায়। যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ১০০ মেগাওয়াট। এতে বছরে কার্বন নিঃসরণ কমবে ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন। ঋণ প্যাকেজটি সাজানো, কাঠামো প্রস্তুত এবং সিন্ডিকেট করার ক্ষেত্রে এডিবি কেবলমাত্র ম্যান্ডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার এবং বুকরানার। এ অর্থায়ন প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে এডিবি থেকে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ, আইএলএক্স ফান্ডের ১ থেকে ২ কোটি ৮০৫ লাখ ডলারের সিন্ডিকেটেড বি-ঋণ, আমস্টারডামভিত্তিক ইমার্জিং মার্কেট প্রাইভেট ক্রেডিট ফান্ড, যা রেকর্ড ঋণদাতা হিসেবে এডিবির সঙ্গে দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সিন্ডিকেটেড সমান্তরাল ঋণ। এডিবির বেসরকারি খাত পরিচালনা বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার সুযোগকে স্বাগত জানায়, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। এই অংশীদারত্ব ক্লিন এনার্জি সুবিধাগুলোর জন্য অর্থায়ন জোগাড় এবং যেখানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্বের ভূমিকার উদাহরণ। সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ১৯৩.৫ গিগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে। ডিএসই প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসির (পিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এডিবির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সহায়তায় বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এডিবির মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব এসডিজির প্রতি পিটির নিবেদনকে নিশ্চিত করে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে আমাদের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ডলার সংকট ঠেকাতে এবার অফশোরে জোর
ডলার সংকট ঠেকাতে এবার অফশোর ব্যাংকিংয়ে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল রোববার এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন বিদেশি মুদ্রা বাংলাদেশে এনে সার্ভ করে। আমরাও ভালো সুদ দেব। এটা ভালো উদ্যোগ। গত ৫-৭ বছরে ভারত এ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশ এতে সফল হয়েছে। আমরাও শুরু করেছি। এখন ব্যাংকগুলোর উচিত এটা ভালোভাবে বুঝে পণ্য তৈরি করে মার্কেটিং ও বিভিন্নভাবে প্রমোশন করা। সেটা কীভাবে কী হবে, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচটা ব্যাংক নিজেরাই মার্জারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা সময়মতো কাজ করতে থাকবে। আমার মনে হয় না এটা নিয়ে এত হইচই করার প্রয়োজন আছে। এটা ধীরে ধীরে হবে। ব্যাংক একীভূত পৃথিবীজুড়ে হয়। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমাদের দেশেও ধীরে ধীরে হবে। এটা নিয়ে এত চিন্তার কিছু নেই। গত ২২ এপ্রিল অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের অর্জিত মুনাফা বা সুদের ওপর কোনো কর দিতে হবে না বলে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। আয়কর আইন ২০২৩-এর ধারা ৭৬-এর উপধারার (১) ক্ষমতাবলে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো আইনে কোনো প্রকার কর অব্যাহতি দেওয়া হলে সেই কর অব্যাহতি ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না এনবিআর সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারও আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ অফশোর ব্যাংকিং আইন ২০২৪-এর খসড়া প্রস্তুত করে। তবে খসড়া বিধানে স্টেকহোল্ডার হিসেবে এনবিআরের মতামত অগ্রাহ্য করা হয়েছিল। অফশোর ব্যাংকিংয়ের খসড়া আইনের দফা ১৩(ক) তে বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট কর্তৃক অর্জিত সুদ বা মুনাফার ওপর আয়কর বা অন্য কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর আরোপ করা যাবে না।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে অনুমোদন করে সিনেট। বিলটি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।  আলোচিত এই সামরিক সহায়তা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম অনুমোদন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কিয়েভকে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এছাড়া এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের জন্য রয়েছে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা।  এর আগেও গত ফেব্রুয়ারিতে একই সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছিল সিনেট। কিন্তু একদল কনজারভেটিভস ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এই বিল ভোটাভুটিতে আসতে বাধা পায়। গত সপ্তাহে, নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানেরা একজোট হয়ে এই বিরোধিতাকে পাশ কাটিয়ে সহায়তা প্যাকেজের পক্ষে ভোট দেন।  বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, দ্বিদলীয় ৭৯–১৮ ভোটে বিলটি পাস হয়।   সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শ্যুমার বলেছেন, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন তাঁর চেম্বারে বৈদেশিক সহায়তা বিলটি পাসের জন্য চাপ দেওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শী থাকা সত্ত্বেও আমাদের দ্বিদলীয় মনোভাব হাত মেলানোর কারণে কংগ্রেসে এই বড় ও কঠিন বিলটি পাস করানো সম্ভব হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পাস হওয়া বৈদেশিক সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আরও রয়েছে: •    ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা। •    ইসরায়েলের জন্য ২৬.৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা, এর মধ্যে ৯.১ বিলিয়ন ডলার গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে । •    ‘কমিউনিস্ট চীন মোকাবিলায়’ তাইওয়ানসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিত্রদের জন্য ৮.১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল বরাদ্দ। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যেই ইসরায়েলকে এই সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক, নির্বিচার হামলার প্রায় সাত মাস হতে চলেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এই হামলায় ৩৪ হাজার ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।  ১৩ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা বরাদ্দের জন্য ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ মার্কিন সিনেটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইসরায়েলের শত্রুদের 'কড়া বার্তা' দেওয়া হয়েছে।    
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

রেমিট্যান্স এলো ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার
চলতি এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার। আর বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগে মার্চ মাসে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি আওতায় চুক্তি করেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি হয়। চুক্তি সই করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। ইআরডি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ইআরডি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে। ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইন্টিগ্রেটেড সাউথ ওয়েস্ট প্রজেক্ট ফর ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানিসম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ঋণের সুদহার ২ শতাংশ এবং পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। অন্য কোনো চার্জ নেই। এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৩ সালে সদস্য লাভের পর এডিবি থেকে অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
X