সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও সড়কের নামকরণ করবে ডিএনসিসি
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। সোমবার (১৩ মে) গুলশান নগরভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র আতিক বলেন, এতদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নাম শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হতো। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের অনেক বড় বড় সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিক রয়েছেন। যারা অনেক গুণী ব্যক্তি। তাদের নামে সড়কের নামকরণ করলে, তারা যেমন সম্মানিত হবেন, তেমনি আমাদের সিটি করপোরেশনও গর্বিত হবে। তাই এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও সড়কের নামকরণ করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
১৩ ঘণ্টা আগে

বস্তিবাসীর জন্য ৯ ‘কুলিং জোন’ করা হবে : ডিএনসিসি মেয়র
তীব্র গরমে বস্তিবাসীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নয়টি কুলিং জোন করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় রিকশাচালকদের মধ্যে ছাতা, পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মেয়র আতিক বলেন, আমাদের ১১টি বস্তি আছে, চিফ হিট অফিসার আমাকে গতকাল বলেছেন, এই মুহূর্তে বস্তিবাসীদের আরাম দেওয়া দরকার। বস্তিবাসীরা কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষ। তারা যদি দিনে-রাতে বিশ্রাম না নিতে পারে তাহলে কর্মক্ষমতা অনেক হারিয়ে ফেলবে এবং তাদের উপার্জনে বিঘ্ন ঘটবে। আমার সমাজ উন্নয়ন বিভাগকে বলেছি, ৯টি জায়গায় বস্তিবাসীদের জন্য কুলিং জোন করে দিতে। কুলিং জোনে শেড থাকবে, ফ্যান থাকবে। এখানে যদি আমরা মিস্টের বন্দোবস্ত করতে পারি, সেটিও আমরা যেন করে ফেলতে পারি। সেই ডিজাইন রেডি করছি আমরা। গরমে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে করপোরেশনের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মিস্ট ছড়াচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তিনটি করে রিকশা-ভ্যান দেওয়া হয়েছে; বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছি আমরা। আমাদের ১০টি ব্রাউজার আছে, এই ব্রাউজার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা পানি ছিটাচ্ছি। মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন নিবন্ধিত যত রিকশা রয়েছে, সেগুলোর সব চালকের কাছে ধাপে ধাপে এই ছাতা পৌঁছে দেওয়া হবে। পানি পানের যে বোতল বিতরণ করা হচ্ছে সেটি আধা লিটারের। এর ফলে এটি সহজে বহনযোগ্য এবং প্রয়োজনে এতে স্যালাইন বানিয়ে চালকরা খেতে পারবেন। এ সময় বিত্তবানদের বাসার সামনে কল স্থাপনের আহ্বান জানান আতিক। তিনি বলেন, কল লাগিয়ে দিলে সবাই কিন্তু পানি খেতে পারে। পাশাপাশি দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের ড্রিংকিং ওয়াটার সরবরাহ করার অনুরোধ জানান মেয়র। নগরীর পার্কগুলোতে আর্টিফিশিয়াল মিস্ট তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আতিক বলেন, ইতোমধ্যে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১টি পার্কে মিস্টার দিয়ে একটি কর্নার করে দিচ্ছি, যাতে সবাই এসে বিশ্রাম নিতে পারে। এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান প্রমুখ।
০৩ মে, ২০২৪

রিকশাচালকদের ছাতা দিল ডিএনসিসি
টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে ৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা উপহার দিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি একটি করে পানির বোতল এবং ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইনও দেওয়া হয়েছে তাদের। গতকাল রোববার গুলশানে উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে এসব উপকরণ বিতরণ করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র আতিক বলেন, তীব্র গরমে রিকশাচালকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় চলাচলকারী নিবন্ধিত রিকশাচালকদের ছাতাসহ এসব উপকরণ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নিবন্ধন নেই—এমন রিকশাচালকদের ছাতা দেওয়া হবে। ঢাকার চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রচণ্ড গরমে রিকশাচালকরা ঠিকমতো রিকশা চালাতে পারছেন না। এতে তাদের আয় কমে যাচ্ছে, পরিবারের ওপর প্রভাব পড়ছে। আর রোদের মধ্যে দীর্ঘসময় রিকশা চালালে তারা অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এ ছাতা তাদের ছায়া দেবে। আধা লিটার পানির বোতল দেওয়া হয়েছে, তাতে পানি রাখবেন, তৃষ্ণা পেলে পানি খাবেন। গরমের এ সময় নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছে, লাগানো হবে আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ। আগামী দুই মাসে ৪৭ জন মালি নিয়োগ করতে যাচ্ছি আমরা। কারণ গাছ লাগানো সোজা; কিন্তু রক্ষা করা অনেক কঠিন। তাই ৪৭ জন মালি, তিনজন সুপারভাইজার ও একজন কালচারিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘হিট অফিসারের পরামর্শে’ ৩৫ হাজার রিক্সা চালককে ছাতা দেবে ডিএনসিসি
চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে ৩৫ হাজার রিক্সা চালককে বিনামূল্যে ছাতা ও খাবার স্যালাইন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।  রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এ কথা জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে রিক্সা চালকদের খুব কষ্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে তারা অসুস্থ হয়ে গেলে পুরো পরিবারের জন্য সমস্যা। রোদের কারণে তারা যদি রিক্সা চালাতে না পারেন, তাহলে তাদের পরিবার চলতে পারবে না। দৈনিক আয়ের ওপর অনেক রিক্সা চালকের পরিবার চলে। তাই তীব্র গরমে তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিক্সা চালককে বিনামূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন এবং হাফ লিটারের একটি পানির বোতল দেওয়া হবে। চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে ছাতা ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম প্রমুখ। এদিকে, রোববার (২৮ এপ্রিল) হিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়িয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। 
৩০ নভেম্বর, ০০০১

সড়কে প্রতিদিন ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
গ্রীষ্মের উত্তাপে পুড়ছে দেশ। তাপপ্রবাহে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাজধানীর প্রতিটি সড়ক যেন অগ্নিকুণ্ড। কেউ কেউ এমন উত্তপ্ত সড়কে ডিম ভেজেও দেখাচ্ছেন। এমন অবস্থায় তাপ কমাতে প্রতিদিন সড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা সম্ভব হয়। উত্তর সিটির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, প্রতিদিন ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার চার লাখ লিটার পানি ছিটিয়ে থাকে। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ছুটির দিনগুলোতেও পানি ছিটানো অব্যাহত থাকছে। পাশাপাশি ডিএনসিসির স্প্রে ক্যানন দিয়ে বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটানোর কাজ চলছে। এটি বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি উত্তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন সড়কে এসব বিশেষ যানের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। গত দুই দিনে দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে মিরপুর টেকনিক্যাল থেকে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়। পরে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১৪ নম্বর গোল চত্বর হয়ে আবার টেকনিক্যাল মোড়ে পানি ছিটানো হয়।  এছাড়া, বনানী নেভি গেট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১ এয়ারপোর্ট রোড ও উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড বা মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে। আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে জনসচেতনতা কার্যক্রম চালাতে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।  জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ৫৪ জন সাধারণ এবং ১৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাসব্যাপী এই প্রচারাভিযান পরিচালনা করবেন। আগামী ২২ এপ্রিল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে ডিএনসিসি মেয়রের সভাপতিত্বে সকল কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসব্যাপী প্রচারাভিযান পরিচালনা বিষয়ক এক সমন্বয় সভায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন তাদের সেবা করার জন্য। মশার যন্ত্রণায় যদি তারা অতিষ্ঠ থাকে তার কি জবাব দেব আমরা। তাই সব কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একযোগে কাজ করে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।’ এ কাজে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবাই যদি সচেতন থাকি এডিস মশা কখনই বংশ বিস্তার করতে পারবে না। নিজের নিরাপত্তার জন্যই অন্যকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।’  মেয়র বলেন, ‘আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রবাদি জনগণের নিকট হতে নগদ মূল্যে ক্রয় করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যেকেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।’  সভায় প্রত্যেক কাউন্সিলরকে নির্ধারিত দামে ময়লা কেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভিক্ষুকদের ধরে ধরে পুনর্বাসনে পাঠাচ্ছে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৬৭ জন ভিক্ষুককে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ও আজ বুধবার রাজধানীর গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, নতুন বাজার ও মিরপুর এলাকায় ভিক্ষুকমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণও।  বুধবার দুপুরের অভিযানে গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, নতুন বাজার ও মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৯৭ জন ভিক্ষুককে এবং এর আগে গতকাল মঙ্গলবারের অভিযানে ৭০ জন ভিক্ষুককে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে পাঠানো হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন বলেন, ঢাকার বিভিন্ন এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করার পরও সম্প্রতি ওইসব এলাকায় ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গুলশান বারিধারা এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের হয়রানি করতে দেখা যায়। আমরা অভিযান শুরু করেছি, এটি অব্যাহত থাকবে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

অগ্নি রোধে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে : ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর সাততলা বস্তি এলাকায় আমরা ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করেছি। বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সকল বস্তি, মার্কেট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে যেন অগ্নিকাণ্ড হলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তি পরিদর্শনে এসে এ ঘোষণা দেন।  তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস আসতেও বেশকিছু সময় লাগে। প্রশিক্ষণ জানা থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হবে। এ সময় তিনি তেজগাঁও এলাকায় মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা (পাচঁ হাজার টাকা) করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তাদের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি। মেয়র বলেন, এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন বস্তি। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। সরেজমিনে এসে দেখলাম প্রায় সব ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এই তীব্র শীতে যেন তাদের কষ্ট না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত কম্বল সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুকনো খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ সময় মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন মেয়র। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনের মোল্লাবাড়ি বস্তিতে গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে আগুনে বস্তির অনেকটি টিন-শেডের ঘর পুড়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন দুজন। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুজন।  
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

মশা মারতে খাল-জলাশয় পরিষ্কারে নামল ডিএনসিসি
কিউলেক্স মশা মারতে একযোগে খাল ও জলাশয় পরিষ্কার শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুষ্ক মৌসুমে নালা-নর্দমা, ডোবা, খাল ও জলাশয়ের জলজ আগাছা এবং ময়লা-আবর্জনা মশার উর্বর প্রজননস্থল হিসেবে কাজ করে। তাই কিউলেক্স মশার উপদ্রবের কারণে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় যেন ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে সেই লক্ষ্যে একযোগে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার নালা-নর্দমা, ডোবা, খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের মশক ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা একযোগে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে অনেক নালা, ডোবা, খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করা হয়েছে। বড় খাল- বিশেষ করে লাউতলা খাল, রুপনগর খাল, সূতিভোলা খালের কচুরিপানা; দুটি ফ্লোটিং মেশিন দিয়ে অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের ছোট ও মাঝারি আকারের ডোবা ও জলাশয়ে মশক কর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পরিষ্কার কার্যক্রম করছে। সব জলাশয় পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।  এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, শুষ্ক মৌসুমে কিউলেক্স মশার উৎপাত বেড়ে যায়। মশার যেহেতু নির্দিষ্ট বাউন্ডারি নেই তাই শুধু ডিএনসিসির মালিকানাধীন খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করলে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে মেয়রের নির্দেশে খাল, ডোবা ও জলাশয়ের মালিক সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি হলেও আমরা ডিএনসিসি থেকে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে। জলাশয়গুলোতে প্রচুর কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি করপোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। তাই কচুরিপানা পরিষ্কার করার বিশেষ এই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেও এখনো ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। তাই শুধু কিউলেক্স মশা নয়, এডিস মশা নিধনেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বাসাবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ কোথাও যেন পানি জমে না থাকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিতে চিঠি
নিজেদের সব কর্মকর্তাকে সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯ যথাযথভাবে অনুসরণ করে অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য চিঠি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ বিষয়ে নির্দেশনাসহ একটি অফিস আদেশ জারি করেন। তিনি জানান, জারি করা নির্দেশনা পালনে অবহেলা প্রদর্শিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রত্যেক মাসে দুটি আঞ্চলিক অফিস পরিদর্শন করে এ বিষয়ে মেয়র বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে কর্মকর্তাদের অফিসে নিয়মিত উপস্থিতির পাশাপাশি বাকি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, সব কার্যালয়ে নথিপত্র, আসবাবপত্র ইত্যাদি সর্বদা পরিপাটি করে রাখা নিশ্চিত করতে হবে। কার্যালয়ের চারপাশের এলাকা অবাঞ্ছিত বা পরিত্যক্ত দ্রব্য ফেলা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সব কার্যালয়ে উন্মুক্ত স্থানগুলো যথাসম্ভব সবুজায়ন করতে হবে। জীর্ণ, ভাঙা, আসবাবপত্র, বিনষ্টযোগ্য নথির তালিকা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কর্মচারীদের নিজ কর্মপরিবেশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার’ বা এ সংক্রান্ত কোনো স্লোগান প্রত্যেক কার্যালয়ে ব্যবহার করতে হবে। সব কার্যালয় ধূমপানমুক্ত রাখা নিশ্চিত করতে হবে। সব কার্যালয়, আবাসিক কোয়ার্টার ইত্যাদির ছাদ, কমন স্পেস, সিঁড়ি, সানসেট, পানির ট্যাংক ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। অফিসে আসা নাগরিক, সেবা গ্রহণকারীদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩
X