ঢাবিতে কোড সামুরাই হ্যাকাথন ১০ মে শুরু, অংশ নেবে ৪৬ দল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'কোড সামুরাই-২০২৪' শীর্ষক এক আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। আগামী ১০-১১ মে অনুষ্ঠিতব্য এ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে নির্বাচিত দেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়রনত সিএসই শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ৪৬টি দল অংশ নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ, বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি) এবং গ্লোবালগিক্স যৌথভাবে এ হ্যাকাথনের আয়োজন করছে। বুধবার (৮ মে) ঢাবির সিএসই বিভাগ মিলনায়তনে হ্যাকাথন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।  এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোড-সামুরাই হ্যাকাথন ২০২৪-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং বিভাগীয় অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, হ্যাকাথন এক ধরনের প্রায়োগিক সমস্যা সমাধানের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। হ্যাকাথনে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের বৈশ্বিক কিংবা স্থানীয় সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান বের করার সুযোগ পায়। আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও মানুষের জীবনধারার উন্নতিতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখছে হ্যাকাথন। ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবোটিক্স-এগুলো এখন প্রযুক্তিনির্ভর সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আরও বলেন, কোড সামুরাই হ্যাকাথনের লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীদের আসন্ন শিল্প বিপ্লবের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তাদেরকে প্রস্তুত করা, যাতে তারা সমাজ ও অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ আয়োজন তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তিনি জানান, ১০ মে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মিলনায়তনে হ্যাকাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, উপাচার্য, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।  বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধনের পর দুপুর ১১ টায় সিএসই বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবরেটরীতে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও বিভাগীয় সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। টানা ২৪ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন পরের দিন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সম্মানিত ডিন ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। শনিবার বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান।  এ ছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা প্রধান মি ইচিগুচি তোমোহিদে, জেট্রো বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়ুজি আন্দো, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, এনবিপি, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি।  এতে আরও থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু ডীন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোড সামুরাই নির্বাহী কমিটি ২০২৪ এর সদস্য সচিব ড. মো. মামুনুর রশীদ, বিজেআইটি এর চিফ অফারেশন অফিসার ড. মেহেদী মাসুদ, কোড সামুরাই নির্বাহী কমিটি ২০২৪ এর সদস্য মো. মাহমুদুর রহমান এবং মো. ফাহিম আরেফিন। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় সেরা পারফরম্যান্সকারী দলগুলোর জন্য ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের পুরস্কার জিতে নেওয়ার আকর্ষণীয় সুযোগ রয়েছে। অংশগ্রহণকারী বাকিদের জন্যও থাকছে বিশেষ স্বীকৃতি। পাশাপাশি জাপানে ইন্টার্নশিপ এবং মর্যাদাপূর্ণ আইটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগিতার গত দুবারের বিজয়ীরা জাপানে ইন্টার্নশিপ করার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করার সুযোগের পাশাপাশি জাপানের সংস্কৃতির সাথের পরিচয় হতে পেরেছে। এ ছাড়া বিজয়ীরা বর্তমানে দেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখছে।
১৩ ঘণ্টা আগে

ঢাবিতে পাণ্ডুলিপিবিষয়ক কর্মশালা শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গ্রন্থাগারের উদ্যোগে পাণ্ডুলিপিবিষয়ক তিন দিনব্যাপী এক কর্মশালা ও সেমিনার শুরু হয়েছে।  বুধবার (০৮ মে) গ্রন্থাগারের ই-জোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কর্মশালা ও সেমিনারের উদ্বোধন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সীর সভাপতিত্বে এতে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে ‘ফারসি পাণ্ডুলিপির পরম্পরা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুমিত আল রশিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপগ্রন্থাগারিক (রিসার্চ) শাহীন সুলতানা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে পাণ্ডুলিপি জ্ঞানের আধার হিসেবে বিবেচিত হয়।  তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত প্রায় ৩৫ হাজার পাণ্ডুলিপি নিয়ে অধিকতর গবেষণা হলে প্রাচীন জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, অর্থনীতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে। পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ, যথাযথভাবে সংরক্ষণ, ব্যবহার ও এ বিষয়ে আরও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পান্ডুলিপিবিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, এই কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি বিভাগের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগে

ডিন পদ ফিরে পেলেন ঢাবি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে অব্যাহতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ তার ডিন পদ ফিরে পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভাপতিত্ব করেন।  বুধবার (৮ মে) নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর ব্যাপারে হাইকোর্টের একটা রায় ছিল। সেটা বাস্তবায়নেই সিন্ডিকেট ডিন পদ ফিরিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় আপিলও করেছিল, কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। এরপর তিনি দুবার উকিল নোটিশ দিয়েছিলেন।  এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরপরই বক্তব্য দিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সামাদ।  পরের দিন ১৮ এপ্রিল (সোমবার) সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এরপর ২০ এপ্রিল এক সিন্ডিকেট সভায় তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তবে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করলে তাকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন খন্দকার মোশতাক।
২০ ঘণ্টা আগে

অডিট অফিসার নেবে মধুমতি ব্যাংক, কর্মস্থল ঢাকা
দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক ব্যাংক মধুমতি ব্যাংক পিএলসি. নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘অডিট অফিসার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : মধুমতি ব্যাংক পিএলসি. পদের নাম : অডিট অফিসার (ইও-পিও) পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় বয়স : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে  অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৩ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৮ মে, ২০২৪ কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ৩১ মে, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক/সম্মান ডিগ্রি অন্যান্য সুবিধা : নির্বাচিত প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : মধুমতি ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, খন্দকার টাওয়ার (৭-৮ তলা), ৯৪ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২
১৯ ঘণ্টা আগে

ঢাকা আসছেন ডোনাল্ড লু
ফের দুদিনের সফরে ঢাকা আসছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (৭ মে) দেশের অন্যতম শীর্ষ গণমাধ্যম মানবজমিন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়- চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তার সফরটি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে শেষ পর্যন্ত সফরটির দিনক্ষণ এবং কর্মসূচিতে সংযোজন-বিয়োজনের সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকায় এখনই খোলাখুলি সব বলতে বারণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন সরকারি এক কর্মকর্তা। প্রায় অভিন্ন অবস্থান ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের। দায়িত্বশীলদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ  নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠনের পরপরই বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরের আলোচনা শুরু হয়। সরকার এরই মধ্যে ১০০ দিন পার করেছে, বিধায় প্রস্তাবিত সফরগুলো বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করছে ঢাকা। মানবজমিনের ওই প্রতিবেদনে পররাষ্ট্রদপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাতে আরও বলে, নানা কারণে সাউথ এশিয়ায় আলোচিত ডোনাল্ড লুর ঢাকায় এটি হবে ৪র্থ সফর। একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণাসহ নানামুখী তৎপরতার পার্ট হিসেবে গত জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন তিনি। ভোটপূর্ব রাজনৈতিক মাঠের বাড়তি উত্তাপের কারণে উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লুর  যুগল সফরটি দেশ ও দেশের বাইরে বেশ আলোচনায় ছিল। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু সেদিন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। নির্বাচন কোন ফর্মে হবে তা নিয়ে যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাওয়া নেই, সেটি তাদের সফরে স্পষ্ট করা হয়েছিল। মূলত বিষয়টি বাংলাদেশের নেতৃত্বের ওপর ছেড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাই তো শিরোনাম হয়েছিল- ‌‘বাংলাদেশের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে বিমানে উঠলেন উজরা’।  সঙ্গে ডোনাল্ড লু। আলোচিত সেই সফরে প্রভাবশালী ওই কর্মকর্তা খোলাসা করেই বলেছিলেন, ‘আসুন বাংলাদেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দিই। ‘জুলাইয়ের ঢাকা সফরের পরও উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লুর সঙ্গে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ গত মার্চে ডোনাল্ড লু  ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেছেন। সেই বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি-আমেরিকানদের কথা উল্লেখ করে লু বলেন, তাদের শক্তি ও অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম দুটি মহান জাতির মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে। বাংলাদেশি-আমেরিকানরা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা গর্বের বিষয়। ডোনাল্ড লু ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে যোগ দেন। এই পদে দায়িত্ব লাভের আগে লু কিরগজি প্রজাতন্ত্রে ২০১৮ থেকে ২০২১ এবং আলবেনিয়াতে ২০১৫ থেকে ২০১৮ মেয়াদকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। আলবেনিয়াতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগের আগে লু যুক্তরাষ্ট্রের ইবোলা রেসপন্সের ডেপুটি রেসপন্সের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর হিসাবে পশ্চিম আফ্রিকাতে দায়িত্ব পালন করেন। ফরেন সার্ভিস অফিসার হিসাবে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অধীনে কাজ করছেন। তিনি ভারতে ডেপুটি চিফ অব মিশন (ডিসিএম) (২০১০-২০১৩) ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (২০০৯-২০১০), আজারবাইজানে ডিসিএম (২০০৭-২০০৯) এবং কিরগজিস্তানে ডিসিএম (২০০৩-২০০৬) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কর্মজীবনের শুরুতে মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেসাস দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর, ইউরোপীয়বিষয়ক ব্যুরোর (২০০১-২০০৩), স্টেট সেক্রেটারি কার্যালয়ের অধীনে সদ্য স্বাধীন দেশগুলোবিষয়ক রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সহকারী (২০০০-২০০১), ভারতের নয়া দিল্লিতে পলিটিক্যাল অফিসার (১৯৯৭-২০০০), ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সহকারী (১৯৯৬-১৯৯৭), জর্জিয়ার তিবলিসিতে কনসুলার অফিসার (১৯৯৪-৯৬) এবং পাকিস্তানের পেশোয়ারে পলিটিক্যাল অফিসার (১৯৯২-১৯৯৪) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৮৮-১৯৯০ সময়কালে পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিয়নে পিস কর্পসের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে হাতে খনন করা পানির কূপ পুনরুদ্ধার এবং স্বাস্থ্য শিক্ষাদান ও লেট্রিন নির্মাণে সহায়তা করেছেন।    
০৭ মে, ২০২৪

অফিসার পদে উরি ব্যাংকে নিয়োগ, কর্মস্থল ঢাকা
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে উরি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ক্রেডিট বিভাগ ‘অফিসার/সিনিয়র অফিসার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ মে পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : উরি ব্যাংক পদ ও বিভাগের নাম : অফিসার/সিনিয়র অফিসার (ক্রেডিট) পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় বয়স : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৬ মে, ২০২৪ চাকরির ধরন : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ১৫ মে, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : ভালো একাডেমিক রেকর্ডসহ যে কোনো স্বনামধন্য পাবলিক/প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেসে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। অন্যান্য সুবিধা : ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধা দেওয়া হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : সুবাস্তু ইমাম স্কয়ার (১ম তলা), ৬৫ গুলশান এভিনিউ, গুলশান, ঢাকা- ১২১২
০৬ মে, ২০২৪

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্ত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সকল শ্রেণির কর্মচারীদের এই সংগঠনটি। মানববন্ধনে তারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সকল শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- 'সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভূক্ত' করবে উল্লেখ আছে। হঠাৎ করেই এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।  তারা বলেন, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এছাড়া, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়সহ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে শিক্ষা ও গবেষণাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন বেতনভূক্ত কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের সমর্থন করতে গিয়ে ১৯৪৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন ও কারাবরণ করেন। এছাড়া, কর্মচারীদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নত রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে। কেননা, এর ফলে যোগ্য ও দক্ষ জনবল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চাকরি করতে আগ্রহী হবেন না।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদের দাবি, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দুরভিসন্ধি রয়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার। যে মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় এসে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারী সমাজও তাঁর উন্নয়ন যাত্রায় বিপুল উৎসাহ নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছেন, ঠিক সেই মুহুর্তে বিদ্যমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আমাদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দেওয়ার পুরনো কৌশল শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারীরা অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা ও অসন্তুষ্টি লাঘবের এবং নবম জাতীয় বেতনস্কেলের দাবি জানাচ্ছে।  মানববন্ধন কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ সরোয়ার মোর্শেদ এবং কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোবারক হোসেনসহ অনেকেই অংশ নেন।
০৬ মে, ২০২৪

ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে, দাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেন। এর কিছুদিন পরেই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটিকে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়ার পর দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।  তারা বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।   সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের নিচে বিভাগটির সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এসব মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগটির ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক প্রত্যেক ব্যাচে টার্গেট করে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করতেন। এমনকি বিভাগের সাবেক অনেক শিক্ষার্থীও বিভিন্ন সময়ে তার দ্বারা শিকার হওয়া বিভিন্ন হয়রানির ব্যাপারে মুখ খুলেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছেন। যার প্রেক্ষিতে আমরা বিভাগের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে এই অভিযোগের নিরপেক্ষ এবং নির্মোহ তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে আমাদের বিভাগীয় চেয়ারপারসনসহ তিনজন শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। উপাচার্য মহোদয় আমাদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও ডেকে নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাস্টার্স ব্যাচের ফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তকারী কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু, দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হলেও আজ দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে পারেনি। এর ফলে আমরা 'গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা' বিভাগের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা তদন্তপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা আরও আশঙ্কা করছি, বিশেষ কোনো মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই ঘটনায় অগ্রগতি আমাদেরকে জানাতে হবে। দৃশ্যমান কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে নিপীড়িত শিক্ষার্থীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আমরা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীকে কেবল পদাবনতি কিংবা পদোন্নতি বন্ধ করে লঘুদণ্ড দিলেই হবে না, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়ার সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়কেই বহন করতে হবে। এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে মৌখিক পুনঃগ্রহণ ও সম্পূর্ণ ফল পুনর্মূল্যায়ন এবং অধ্যাপক নাদির জুনাইদের কৃতকর্মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ড. নাদিরের বিরুদ্ধে মৌখিক যৌন হয়রানি ধামাচাপা দেওয়ার অন্য আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন বিভাগটির আরেক নারী শিক্ষার্থী। এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন রাজধানীর আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা এবং দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চাইলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন একটি বিবৃতি প্রদান করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন এবং ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হলে আবারও ক্লাস বর্জন করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। অবশেষে, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
০৬ মে, ২০২৪

আবার সশরীরে ক্লাসে ফিরছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলছে অনলাইন ক্লাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসায় আগামী বুধবার (৮ মে) থেকে সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় আগামী বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ এ সিন্ধান্ত অনুমোদন করেন। এর আগে, গত ২১ এপ্রিল আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্তের কথা জানায় জনসংযোগ দপ্তর। এতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল, যেমন খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয়, যেমন চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
০৬ মে, ২০২৪

ঢাবি কুইজ সোসাইটির নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 
বৃক্ষরোপণ, নাচ, গান ও কুইজের মতো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির (ডিইউকিউএস) নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘প্রজ্ঞায় উৎকর্ষে নবমবর্ষে কুইজ সোসাইটি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি সকল সদস্যের অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. রায়হান সরকার।  এছাড়া, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির সভাপতি ইনজামামুল হক খান আলভী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোহতাসিন বিল্লাহ ইমন। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার পর পরিবেশ রক্ষায় সংগঠনটি টিএসসি প্রাঙ্গণে বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে নয়টি দেশীয় গাছের চারা রোপণ করে।
০৫ মে, ২০২৪
X