ডিন পদ ফিরে পেলেন ঢাবি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে অব্যাহতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ তার ডিন পদ ফিরে পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভাপতিত্ব করেন।  বুধবার (৮ মে) নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর ব্যাপারে হাইকোর্টের একটা রায় ছিল। সেটা বাস্তবায়নেই সিন্ডিকেট ডিন পদ ফিরিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় আপিলও করেছিল, কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। এরপর তিনি দুবার উকিল নোটিশ দিয়েছিলেন।  এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরপরই বক্তব্য দিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সামাদ।  পরের দিন ১৮ এপ্রিল (সোমবার) সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এরপর ২০ এপ্রিল এক সিন্ডিকেট সভায় তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তবে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করলে তাকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন খন্দকার মোশতাক।
১ ঘণ্টা আগে

যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এতে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য কালবেলাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  সূত্র জানায়, অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। এই তদন্তে শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলকে তদন্ত করতে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এদিকে, গত সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন দিনের সময় বেঁধে দেয়।  এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ড. নাদিরের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন বিভাগটির আরেক নারী শিক্ষার্থী। এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে রাজধানীর অন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা এবং দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চাইলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন একটি বিবৃতি প্রদান করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন। অবশেষে, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে

ঢাবি অধ্যাপক বাহাউদ্দিনের থিসিস জালিয়াতির তদন্তে কমিটি  
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা এমফিল ও পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, অধ্যাপক বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন-  মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে। এরপর গত বছরের আগস্টে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণকারী বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ বিল্লাহ তৎকালীন উপাচার্য, উপউপাচার্য (শিক্ষা), কলা অনুষদ ডিন এবং সব সিন্ডিকেট মেম্বারদের প্রমাণসহ এই অভিযোগ প্রদান করেন। দীর্ঘ ৪ বছরেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল ঢাবি উপাচার্য বরাবর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফের একটি আবেদনপত্র জমা দেন ড. আরিফ বিল্লাহ। আবেদনে অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির কিছু নমুনা ও এতদসম্পর্কিত তথ্যসংযুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নানাবিধ অনিয়ম বিবেচনা এবং মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন- এর এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট ভিসি বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অধ্যাবধি সে আবেদন আমলে নেওয়া হয়নি। এর ফলে বিভাগে অনিয়ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে

ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।  মঙ্গলবার (০৭ মে) বিকেলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।  হিরুর স্ত্রী ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতার অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে সাদা পোশাকে ঢাকা মেট্রো-চ (৫২-১৪৫০) নাম্বারের সিলভার কালারের একটি মাইক্রোবাসে করে মহিদুল হাসান হিরুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছেন না। নিশিতার বরাত দিয়ে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।  
১৬ ঘণ্টা আগে

ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে, দাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেন। এর কিছুদিন পরেই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটিকে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়ার পর দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।  তারা বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।   সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের নিচে বিভাগটির সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এসব মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগটির ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক প্রত্যেক ব্যাচে টার্গেট করে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করতেন। এমনকি বিভাগের সাবেক অনেক শিক্ষার্থীও বিভিন্ন সময়ে তার দ্বারা শিকার হওয়া বিভিন্ন হয়রানির ব্যাপারে মুখ খুলেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছেন। যার প্রেক্ষিতে আমরা বিভাগের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে এই অভিযোগের নিরপেক্ষ এবং নির্মোহ তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে আমাদের বিভাগীয় চেয়ারপারসনসহ তিনজন শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। উপাচার্য মহোদয় আমাদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও ডেকে নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাস্টার্স ব্যাচের ফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তকারী কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু, দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হলেও আজ দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে পারেনি। এর ফলে আমরা 'গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা' বিভাগের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা তদন্তপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা আরও আশঙ্কা করছি, বিশেষ কোনো মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই ঘটনায় অগ্রগতি আমাদেরকে জানাতে হবে। দৃশ্যমান কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে নিপীড়িত শিক্ষার্থীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আমরা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীকে কেবল পদাবনতি কিংবা পদোন্নতি বন্ধ করে লঘুদণ্ড দিলেই হবে না, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়ার সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়কেই বহন করতে হবে। এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে মৌখিক পুনঃগ্রহণ ও সম্পূর্ণ ফল পুনর্মূল্যায়ন এবং অধ্যাপক নাদির জুনাইদের কৃতকর্মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ড. নাদিরের বিরুদ্ধে মৌখিক যৌন হয়রানি ধামাচাপা দেওয়ার অন্য আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন বিভাগটির আরেক নারী শিক্ষার্থী। এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন রাজধানীর আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা এবং দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চাইলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন একটি বিবৃতি প্রদান করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন এবং ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হলে আবারও ক্লাস বর্জন করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। অবশেষে, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
০৬ মে, ২০২৪

আবার সশরীরে ক্লাসে ফিরছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলছে অনলাইন ক্লাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসায় আগামী বুধবার (৮ মে) থেকে সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় আগামী বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ এ সিন্ধান্ত অনুমোদন করেন। এর আগে, গত ২১ এপ্রিল আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্তের কথা জানায় জনসংযোগ দপ্তর। এতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল, যেমন খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয়, যেমন চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
০৬ মে, ২০২৪

ঢাবি কুইজ সোসাইটির নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 
বৃক্ষরোপণ, নাচ, গান ও কুইজের মতো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির (ডিইউকিউএস) নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘প্রজ্ঞায় উৎকর্ষে নবমবর্ষে কুইজ সোসাইটি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি সকল সদস্যের অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. রায়হান সরকার।  এছাড়া, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটির সভাপতি ইনজামামুল হক খান আলভী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোহতাসিন বিল্লাহ ইমন। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার পর পরিবেশ রক্ষায় সংগঠনটি টিএসসি প্রাঙ্গণে বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে নয়টি দেশীয় গাছের চারা রোপণ করে।
০৫ মে, ২০২৪

ঢাবি ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ আগামীকাল
প্রতিবারের মতো এবছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠন (ডিইউমুনা) আয়োজন করতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মলেন-২০২৪’। সংগঠনটির ১১তম এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে গত ১১ মার্চ থেকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন নিবন্ধন উন্মুক্ত হয়েছিল, যা আগামীকাল রোববার (৫ মে) শেষ হতে যাচ্ছে।  ‘সংঘর্ষের ঊর্ধ্বে সংহতি : ন্যায্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগ’- মূল প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সম্মেলনের এই আসরটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে ২ জুন (রোববার) পর্যন্ত এই সম্মলেন ১১টি কমিটিতে চলমান থাকবে, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিতে যাচ্ছে। ডিইউমুনার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন-২০২৪ এর মহাসচিব হলেন এস এম নাহিয়ান ইসলাম। বর্তমানে তিনি সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া সম্মেলনের উপমহাসচিব হিসেবে থাকবেন সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আজমল প্রান্ত এবং মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহসভাপতি মো. আসিফুজ্জামান। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিশ্বে সস্থান দৃঢ় করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা চর্চার বিকল্প নেই। ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন কূটনৈতিক দক্ষতা, পাবলিক স্পিকিং, আপস-আলোচনা, বিতর্ক, তথ্য অনুসন্ধান, কন্টেন্ট লিখন এবং সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক সামাজিকীকরণের জন্য অনন্য একটি ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত।  প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ডিইউমুনা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ যুব সম্মেলন হিসেবে নিয়মিত এই সম্মেলন সফলতার সঙ্গে আয়োজন করে আসছে। ২০১২ থেকে এ পর্যন্ত ১০ টি সংস্করণ এ সংগঠনের হাত ধরে রূপায়িত হয়েছে এবং সামগ্রিক আয়োজনে পারদর্শিতার জন্য দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। 
০৪ মে, ২০২৪

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড গেলেন ঢাবি প্রো-ভিসিসহ ৪ জন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ডে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।  শনিবার (৪ মে) ভোরে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন বলে প্রশাসনিক ভবনের একাধিক সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে। প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।  প্রশাসনিক ভবন সূত্র জানায়, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না। এতে আরও বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিফট সরবরাহের এই কাজের দায়িত্ব প্রদান করা হয় রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে (আরএমআইএল)। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের জন্য ১৭টি লিফট যাচাই-বাছাই করে অর্ডার করতে এবং তা যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমন করে।
০৪ মে, ২০২৪

কমিটি গঠনের দুই মাসেও ক্যাম্পাসমুখী হতে পারেনি ঢাবি ছাত্রদল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণার দুই মাস পার হতে চলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংগঠনটি ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেনি, এমনকি ক্যাম্পাসে প্রবেশই করতে পারছে না। কোনো কর্মসূচিতে না গিয়ে ক্যাম্পাসভিত্তিক কয়েকটি ঘটনায় শুধু প্রেস রিলিজ দিয়ে নিজেদের দায়মুক্ত রাখতে চাইলেও বিষয়টিকে কর্মীরা নতুন কমিটির দুর্বলতা হিসেবেই দেখছেন। তবে কমিটি বলছে, ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের দখলদারি ও আগ্রাসী মনোভাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসহযোগিতা, ঈদের ছুটি এবং তাপদাহের কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নেতাকর্মীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে গঠিত এই কমিটি ক্যাম্পাসমুখী না হয়ে দলের পার্টি অফিসমুখী হয়েছে। দুই মাস পার হতে চললেও কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কোনো দৃশ্যমান ও কার্যকরী কর্মসূচিই এখন পর্যন্ত হাতে নিতে পারেনি, এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎই করতে পারেনি।  এর আগে, গত ১ মার্চ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণেশ চন্দ্র রায় সাহসকে সভাপতি ও নাহিদুজ্জামান শিপনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত শাখাটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাবি ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক মাত্র দুটি ঘটনায় শুধু প্রেস রিলিজ দিয়েছে সংগঠনটি।  সেগুলো হলো- রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনসমূহে খাবারের মূল্যবৃদ্ধি ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের প্রতিবাদ এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান। এছাড়া, গত ২৯ মার্চ ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছিলো সংগঠনটি।  এর বাইরে, বিভিন্ন সময়ে দলীয় পার্টি অফিসে দৌড়াদৌড়ির পাশাপাশি রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত এক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নতুন কমিটি উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান, সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুতে ৪টি শোক বিজ্ঞপ্তি এবং বিভিন্ন সময়ে বিএনপির কয়েকজন নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নিন্দা ও প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করতে দেখা গেছে এই শাখার নতুন কমিটিকে। যেগুলো ঢাবি ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট কোন কর্মসূচি ছিল না। অভিযোগ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক কর্মী কালবেলাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কাজ না হওয়াটা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুর্বলতা এবং আমাদের জন্য অবশ্যই হতাশাজনক বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ে না যেতে পারাটা আমাদের মতো কর্মীদের মনোবলকে দুর্বল করে তুলছে বারবার।  তিনি বলেন, সংগঠন চালাতে হলে সেটার মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং ক্ষেত্র সব কিছুর প্রতি দৃষ্টি দিতে হয়। আমাদের মূল ক্ষেত্র হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেই যদি আমরা নিষ্ক্রিয় থাকি, তাহলে সংগঠন এগোবে না, এটাই বাস্তবতা। এ নিয়ে আমরা হতাশ। নতুন কমিটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা বাড়ানো উচিত। এই মুহূর্তে পার্টি অফিসে গিয়ে পড়ে থাকলে শাখা সংগঠন বাঁচবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে বসে বসে প্রেস দিলে সংগঠনের কার্যকারিতা থাকেনা। সংগঠনের নতুন কমিটিতে যারা দায়িত্বশীল আছেন এই ব্যাপারে তারা একটি কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে অতি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশা করছি। এক্ষেত্রে সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ, এমনকি অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পরামর্শ নিয়েও কাজ করা যেতে পারে।  আরেক কর্মী বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের জন্য যা করা প্রয়োজন, সংগঠন বা নতুন কমিটিকে তাই করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চটা দিয়ে দাবী জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছেন তাদেরকে পরিবেশ সংসদের মিটিং আহবান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মিছিল আয়োজন, একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করার জন্য সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে, সেটা হোক ঘোষিত বা অঘোষিত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন কালবেলাকে বলেন, ঢাবি ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার পরেই রমজান মাস শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রমজান মাসে রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম থাকে না। রোজার ঈদের পর তাপদাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে গিয়েছে। সুতরাং কমিটি পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার সুযোগ আমাদের এখনো তৈরি হয়নি। তারপরও আমরা রমজানে ক্যাম্পাসে খাবারের দাম কমানো ও মান বৃদ্ধি করার দাবি জানানো, ইফতার মাহফিল আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা, এবং শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা কথা বলেছি।  তিনি বলেন, রমজানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে আমরা ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম এবং তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে সহাবস্থানমূলক ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে সেহেতু উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আমরা আবার যোগাযোগ করব, যেন আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হয়।  ঢাবি শাখার সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নানা ঘটনায় আমরা সশরীরে ও বিবৃতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দায়িত্বটা পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে রমজান মাস চলে আসায় সে মাসের আলাদা পরিবেশ ও ভাবগাম্ভীর্য অনুযায়ীই আমাদের কার্যক্রম কিছুটা ধীরস্থিরভাবে চালাতে হয়েছে। আবার ঈদের ছুটির পর ক্যাম্পাস খুলতে না খুলতেই হিটওয়েভের কারণে ক্যাম্পাস ছুটি দিয়ে অনলাইন ক্লাসে চলে যাওয়ায় ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টাও খানিক ব্যহত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে- সেটা এখন সকলেরই জানা। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে সে ত্রাসকে গণতান্ত্রিক উপায়ে মোকাবেলা করে ক্যাম্পাসে নিজেদের স্বাভাবিক উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য, যাতে করে গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তভাবে রাজনৈতিক চর্চার পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরে পেতে পারে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কালবেলাকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্রদলের যে পথচলা সেটিকে আমরা ত্বরান্বিত করার পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছি। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাংগঠনিক অনেক কাজ করেছে, ক্যাম্পাসে না যাওয়ার কারণে হয়তো সেটি দৃশ্যমান হয়নি। ক্যাম্পাসে যাওয়াসহ যাবতীয় সাংগঠনিক কাজ দৃশ্যমান করার জন্য আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি।   কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং তাদের ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক কার্যক্রম কেমন হতে পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর আমরা শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবো এবং উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করবো। তারপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা যেভাবে প্রয়োজন, সেভাবেই কাজ করবে।
০১ মে, ২০২৪
X