শখের ভ্রমণেই প্রাণ গেল ঢাবি শিক্ষার্থী জয়নবের 
বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের জয়নবের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।  রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে রৌমারী উপজেলার মন্ডল পাড়ার বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসলে পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের মাতম দেখা যায়।  জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভ্রমণ করা ছিল তার শখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসুদের সংগঠন ভ্রমণকন্যা’র সদস্য তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট সাইটে কাজ করতেন তিনি। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শহরের মন্ডলপাড়ার আব্দুল জলিল মিয়ার তিন সন্তানের সবার ছোট জয়নব।  অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে জয়নব কোনো প্রকার কোচিং, টিউশনি ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পড়ার খরচ চালাত সে।  জয়নবের বাবা পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। মেয়েকে উৎসাহ ও সাহস দিতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া মেয়ের মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা জুলেখা বেগম। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ৫৮ জন ভ্রমণকন্যার একটি দল ৫টি জিপ গাড়ি করে রুমা উপজেলায় যায়। ঘোরাফেরা শেষে শনিবার দুপুরে বান্দরবান উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র কেওক্রাডং থেকে বান্দরবান সদরে ফেরার পথে বগালেক-কেওক্রাডং সড়কের দার্জিলিং পাড়া এলাকায় তাদের বহন করা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জয়নবসহ দু’জন। এ সময় আহত হয় ৮ জন। নিহত জয়নবের মরদেহ জানাজা শেষে রৌমারী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্থানীয় শিহাব খান নামের একজন বলেন, জয়নব খুবই মেধাবী ছিলেন। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। তার পরিবার তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনার তার মৃত্যুতে তার পরিবার খুবই ভেঙে পড়েছে।  রৌমারী থানার ওসি আব্দুল্লাহ হীল জামান জানান, রৌমারীর মন্ডল পাড়া এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী জয়নবের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।  কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ জানান, আমি পরিবারটির খোঁজখবর নিয়েছি। পরবর্তীতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে দুই ঢাবি শিক্ষার্থী আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর রমনা কালীমন্দির এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের মারধরও করা হয়।  এ ঘটনায় আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কারুশিল্প বিভাগের সৌরভ সরকার ও ভাস্কর্য বিভাগের সুমিত। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।  জানা যায়, রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে সৌরভ, সুমিতসহ বেশ কয়েকজন ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তখন রমনা কালীমন্দির ও লেকপাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সৌরভ ও সুমিতকে মারধর করে তারা। সৌরভের পেটে ছুরিকাঘাতও করা হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) নিয়ে যাওয়া হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া কালবেলাকে বলেন, ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। কোন কারণে ঘটেছে সেটা বলতে পারব না। সৌরভ নামের শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। জগন্নাথ হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা কালবেলাকে বলেন, আহতদের আমরা ঢাকা মেডিকেলে দেখতে গিয়েছি। একজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। ওদের খোঁজখবর নিচ্ছি। 
২২ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাবি শিক্ষার্থী ফিরোজের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় ৭১ হলের যমুনা ব্লকের সাততলা থেকে নিচে পড়ে ফিরোজ কাজী নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ ঢাবির চায়নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে থাকতেন। এ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ফিরোজ নামের এক ছাত্রকে মেডিকেলে আনার কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়। তিনি ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন বলে জেনেছি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিজয় ৭১ হলের সাততলা থেকে রিডিংরুমের পাশে মাঠে পড়েন ফিরোজ। শব্দ শুনে রিডিংরুমের শিক্ষার্থীরা বাইরে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পান। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা—এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সহপাঠীরা বলছেন, আত্মহত্যা করেছেন ফিরোজ। তবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার পড়ার টেবিলে আত্মহত্যা-সংক্রান্ত একটি চিরকুট পাওয়া গেলেও সেই লেখা ফিরোজের নয় বলে দাবি তার বড় ভাইয়ের। ওই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই। আমার এই মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ। আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন বলেন, মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়া এই চিরকুট সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়, এটি তার কি না। এ নিয়ে একটি মামলাও হয়েছে। যেহেতু বিজয় ৭১ হলে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই হলেও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আত্মহত্যা কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

‘মা আমি দুঃখিত, কথা রাখতে পারিনি’, সুইসাইড নোটে ঢাবি শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় ৭১ হলের যমুনা ভবন থেকে লাফ দিয়ে জিয়াউর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই শিক্ষার্থীর টেবিল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটটির উপরের অংশে লেখা ছিল, 'মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই। আমার মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’  ওই চিরকুটের নিচের অংশে লেখা ছিল, ‘আমার কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইলো মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড....। ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমার লাশের পোস্টমোর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’ নিহত কাজী ফিরোজ (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের চীনা ভাষার শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ফিরোজের রুমমেট বিন ইয়ামিন বলেন, ‘ফিরোজ কিছুদিন ধরে হতাশ ছিল। আমরা সবসময় তাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে কক্ষে এসে নামাজ পড়ে এবং জিজ্ঞেস করে, আমাদের কাছে টাকা পাওনা আছে কিনা। যখন সে ঘর থেকে বের হচ্ছিল, তখন তাকে বেশ বিষণ্ণ মনে হচ্ছিল। আমি তার ফিরে আসার পরে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর শুনলাম বিজয় একাত্তর হল থেকে কেউ আত্মহত্যা করেছে।’ ইয়ামিন আরও বলেন, ‘আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে যাই এবং দেখি ওই শিক্ষার্থী ফিরোজ। তখন ফিরোজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ কাজী ফিরোজের মৃত্যু প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা যাচ্ছে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যতটুকু এভিডেন্স আমাদের কাছে আছে, তা হলো একটি সুইসাইড (আত্মহত্যা) নোট। সে যখন রুম থেকে বের হয়েছে, তার মোবাইলফোন, মানিব্যাগ ও সুইসাইড নোট রুমে রেখে গেছে।’
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাজেকে ঢাবি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় আটক ১
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার পথে দ্বীপিতা চাকমা (২৫) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।  বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অপহৃত দ্বীপিতা চাকমাকে উদ্ধারের পর রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তির নাম দানপ্রিয় চাকমা (২৫)। তিনি সাজেক ইউনিয়নের দাড়িপাড়া গ্রামের অনিল কুমার চাকমার ছেলে। দ্বীপিতা চাকমাকে অপহরণের পর মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় এই দানপ্রিয়।  প্রাথমিকভাবে সেই ঘটনার সঙ্গে দানপ্রিয় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ জানান, বুধবার দ্বীপিতাকে উদ্ধারের পর রাতে দানপ্রিয় নামে একজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। দানপ্রিয় অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার তদন্ত চলছে। অপহরণে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আটক দানপ্রিয় চাকমাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার। এর আগে বুধবার রাতে দ্বীপিতা চাকমার বাবা স্মৃতেন্দু বিকাশ চাকমা দুই থেকে তিনজন তার মেয়ে দ্বীপিতা চাকমাকে বুধবার দুপুরে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সাজেক থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ৬ সেপ্টেম্বর সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণের উদ্দেশে ঢাবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মারুফ হাসান রুমীর নেতৃত্বে বিভাগের ৩৪ জন শিক্ষার্থী সাজেকের পথে রওনা দেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সাজেকে শিজকছড়া নামক স্থানে শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়ি (চাঁদের গাড়ি) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থামলে হঠাৎ সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে গাড়িতে কোনো পাহাড়ি শিক্ষার্থী আছে কি না, তা জিজ্ঞাসা করে ও নিরীক্ষণ করে। এ সময় পাহাড়ি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি টের পেয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তারা দ্বীপিতা চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে রাঙামাটি জেলা পুলিশের একাধিক টিম। অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর দ্বীপিতাকে সাজেক থানার দাড়িপাড়া বুনো আদম নামক স্থান থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সাজেক থানা পুলিশ। দ্বীপিতা চাকমা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বাসিন্দা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি একই বিভাগের স্নাতকোত্তরে (মাস্টার্স) অধ্যয়নরত আছেন।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাজেকে অপহৃত সেই ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার পথে অপহৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে সাজেক থানা পুলিশ। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইউনিয়নের দাড়িপাড়া বুনো আদাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ। পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ বলেন, ‘সাজেক থানাধীন সাজেক ইউনিয়নের দাড়িপাড়া বুনো আদাম এলাকা থেকে সাজেক থানা পুলিশ অপহৃত ঢাবি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বেলা সোয়া ১২টার দিকে সাজেকে যাওয়ার পথে শিজকছড়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী গাড়ির গতিরোধ করে তাকে অপহরণ করে।’ এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ওই ছাত্রীকে অপহরণের খবর পাওয়া যায়। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, যতটুকু শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলিয়ে ৩২ জনের টিম সাজেক যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অস্ত্রের মুখে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। উল্লেখ্য, অপহরণের শিকার ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাজেকের পথে ঢাবি শিক্ষার্থী অপহরণ
রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতকোত্তরের দ্বীপিতা চাকমা (২৪) নামে এক ছাত্রীকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা আনুমানিক ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের শিকার ছাত্রীর নাম দ্বীপিতা চাকমা (২৪)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, যতটুকু শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী মিলিয়ে ৩২ জনের টিম সাজেক যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অস্ত্রের মুখে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই ছাত্রী সাজেকে যাওয়ার পথে শিজকছড়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী গাড়ির গতিরোধ করে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। শিগগিরই ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাঁচতে চান ঢাবি শিক্ষার্থী মুশফিক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিমের দুটি কিডনিই নষ্ট। পিতৃহীন মুশফিকের পরিবার অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। এ কারণে মানুষের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন মেধাবী মুশফিক ও তার পরিবারের সদস্যরা। অসুস্থ মুশফিকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায়। জন্মের আগে তিনি বাবাকে হারিয়েছেন। গত ইদুল ফিতরের পর তিনি ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অসুস্থ মুশফিকের কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা বাবদ দরকার প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। অসুস্থ মুশফিক অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা বিভাগে সপ্তম স্থান অর্জন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিট থেকে ২৮৫তম মেধাক্রম অর্জন করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা—ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: হিসাব: মুশফিকুর রহিম, হিসাব নম্বর: ১২৬১৫৮০০১২২৫৬, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এলিফ্যান্ট রোড শাখা। বিকাশ: ০১৭৬৪৪১২৬৬৬/ ০১৭৩৫৪৩৬০৪৫/ ০১৯৮৪৩৬৩৯০১। নগদ: ০১৭৩৫৪৩৬০৪৫/ ০১৯৮৪৩৬৩৯০১। রকেট: ০১৭৬৪৪১২৬৬৬৪/ ০১৯৮৪৩৬৩৯০১৭
২৩ জুলাই, ২০২৩

বাঁচতে চান ঢাবি শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিমের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।  পিতৃহীন মুশফিকের পরিবার অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এ কারণে মানুষের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে মেধাবী মুশফিক ও তার পরিবারের সদস্যরা।  অসুস্থ মুশফিকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায়। জন্মের আগে তিনি বাবাকে হারিয়েছেন। থাকতেন ঢাবির কবি জসীমউদদীন হলে। গত ঈদুল ফিতরের পর তিনি ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারেন তার দুটো কিডনি বিকল হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনিরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অসুস্থ মুশফিকের কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা বাবদ দরকার প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এ ব্যয় বহন করা মুশফিকের পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মুশফিকের পরিবার ও বন্ধুরা। অসুস্থ  মুশফিক একজন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে এইএচসি (আলিম) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা বিভাগে ৭ম ‌স্থান অর্জন করে। পরে সময়ে ২০১৯-২০ সেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিট থেকে ২৮৫তম মেধাক্রম অর্জন করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমেও ছিল মুশফিকের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ব্যাপী সেরা চিত্রপ্রদর্শনীতে মুশফিকের দুটি ছবি স্থান পায়। এ ছাড়া মুশফিক তার ব্যাচের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট টিমের বর্তমান ক্যাপ্টেন। দেশবাসীর কাছে বাঁচার আকুতি করে মুশফিকুর রহিম কালবেলাকে বলেন, আমার শরীরে কিছু সমস্যা বেড়ে  গেছে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারছি না। আগে সপ্তাহে দুদিন ডায়ালাইসিস করাতাম এখন তিন দিন করানো লাগছে। আমার চিকিৎসার খরচ অনেক। এ খরচ বহন করা আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সাহায্য চাই।  সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : ব্যাংক অ্যাকাউন্ট :  হিসাব : মুশফিকুর রহিম হিসাব নাম্বার : ১২৬১৫৮০০১২২৫৬ ডাচ বাংলা ব্যাংক  এলিফ্যান্ট রোড শাখা বিকাশ :  ০১৭৬৪ ৪১২ ৬৬৬ ০১৭৩৫ ৪৩৬ ০৪৫ ০১৯৮৪ ৩৬৩ ৯০১ নগদ :  ০১৭৩৫ ৪৩৬ ০৪৫ ০১৯৮৪ ৩৬৩ ৯০১ রকেট : ০১৭৬৪ ৪১২ ৬৬৬৪ ০১৯৮৪ ৩৬৩ ৯০১৭
২২ জুলাই, ২০২৩
X