আল আকসায় তাণ্ডব চালিয়ে ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন
ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। মঙ্গলবার (১৪ মে) মসজিদে কয়েক ডজন ইসরায়েলি ঢুকে পড়ে। এ সময় সেখানে এক ব্যক্তি ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক ডজন ইসরায়েলি নাগরিক আল আকসা প্রাঙ্গণে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় সেখানে এক উগ্রবাদী ইসরায়েলি পতাকা প্রদর্শন করেন।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, আল আকসা প্রাঙ্গণে এক ইহুদি ব্যক্তি ইসরায়েলের পতাকা বের করে মেলে ধরলে সেখানে ইসরায়েলি পুলিশের কয়েকজন সদস্য তার সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পতাকা প্রদর্শন করে তা গুটিয়ে নেন এবং মসজিদ প্রাঙ্গণের একদিকে চলে যান।  ইসরায়েলের এ পতাকাটি পবিত্র স্থানটির সঙ্গে ইহুদিদের সংযোগ বাড়াতে বেয়াদেনু র‌্যালির পর প্রদর্শন করা হয়েছে। বেয়াদেনু ইহুদির একটি গোষ্ঠী যারা আল আকসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলনের জন্য তারা ১৪ মে এ র‌্যালির আয়োজন করে।  অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা এ দিবসকে নাকাবা বা মহাবিপর্যয়ের দিন হিসেবে স্মরণ করে থাকেন। এ দিনের ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল।  উল্লেখ্য, আল আকসা কম্পাউন্ডে ইসরায়েলিদের তাণ্ডব নিয়মিত ঘটনা। যদিও ইহুদি ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী পবিত্রতার ধারণার কারণে আল আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।  অন্যদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জুমার নামাজেও বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের বাধার কারণে অনেকে পুরাতন এ নগরীর সড়কে নামাজ আদায় তরে থাকেন।  ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলিরা মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
১৪ মে, ২০২৪

গাজায় যাওয়া ট্রাকভর্তি ত্রাণ ফেলে দিচ্ছে ইসরায়েলিরা
গাজায় টানা যুদ্ধের কারণে খেয়ে না খেয়ে বহু ফিলিস্তিনিকে দিন কাটাতে হচ্ছে। নেতানিয়াহু প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে গাজায় ঠিকমতো ত্রাণও পাঠানো যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গাজায় যাওয়া ট্রাকভর্তি ত্রাণ ফেলে দিচ্ছে ইসরায়েলিরা। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীরা গতকাল সোমবার গাজার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক অবরোধ করেছে। তারা পশ্চিম তীরে ট্রাক থেকে ত্রাণের প্যাকেজগুলো রাস্তায় ফেলে দিয়েছে এবং শস্যের প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলেছে।  ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়া এ ত্রাণগুলো হেবরনের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে জর্ডান থেকে এসেছিল। এগুলো গাজা খাদ্য ও ত্রাণ সংকটে থাকা উপত্যকার হাজার হাজার মানুষের জন্য পাঠানো হচ্ছিল।  ইসরায়েলিদের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তারা এ ত্রাণের ট্রাক লুটের ঘটনাকে ইসরায়েলিদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে।  বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের জন্য মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা লরি থেকে ত্রাণের বাক্স ফেলে দিচ্ছে। এ ছাড়া এগুলো পড়ে যাওয়ার পর তারা তা আবার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ভিডিওতে সন্ধ্যার দিকে গাড়িতে আগুন দিতে দেখা গেছে। যদিও এগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।  ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এ বিক্ষোভের জন্য টিজাভ ৯ গোষ্ঠী দায়ী। এ গোষ্ঠীটিকে ডানপন্থি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা গাজায় ইসরায়েলি জিম্মি থাকায় সেখানে ত্রাণ সহায়তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।  বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি সোমবার চেকপয়েন্টে ছিলেন কারণ তিনি শুনেছেন যে হামাসের জন্য ত্রাণবাহী ট্রাক আসছে। তাদের হাতে ইসরায়েলি সেনাসহ নাগরিকরা হত্যার শিকার হয়ে আসছে।   হানা গিয়েত নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, জিম্মিরা সুস্থ ও জীবিত অবস্থায় ইসরায়েলে না ফেরা পর্যন্ত গাজায় কোনো ধরনের খাবার প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।  মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, বিক্ষোভকারীদের আচরণ ‘সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য’। হোয়াইট হাউস ইসরায়েল সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।  
১৪ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক ডজন টর্নেডোর তাণ্ডব
টর্নেডো আঘাতে তছনছ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চল। কয়েক দিন ধরে সেখানে কয়েক ডজন টর্নেডো আঘাত হেনেছে। এতে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসির। জানা গেছে, টেক্সাস থেকে মিজৌরি পর্যন্ত ঝর-বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার সালফার শহরের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়িয়ে নিয়ে গেছে অনেক গাড়ি। প্রবল বাতাসে উপড়ে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। টর্নেডোর তাণ্ডবে অন্যান্য শহরেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে টর্নেডো শুরু হয়। এর সঙ্গে ছিল বৃষ্টি। গত শনিবারও টর্নেডোর তাণ্ডব ছিল ভয়াবহ। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১৮ কিলোমিটারের বেশি। এ ছাড়া কোথাও কোথায় ঘণ্টায় ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে বিবিসি জানায়, ওকলাহোমার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এখানকার চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর ব্যক্তি আইওয়া অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আরও ১০০ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে অঞ্চলগুলোতে জরুরিভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে বিভিন্ন পরিষেবা সংস্থা। ধ্বংস্তূপ পরিষ্কারের কাজ চলছে। নতুন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহরের পরিষেবা যথাযথভাবে চালু করতে কর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন। রোববার সালফারে এক সংবাদ সম্মেলনে ওকলাহোমা রাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার চার্লস ম্যাককল জোর দিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে। আমরা কাজ করছি। আবার সব পরিষ্কার করব, পুনর্নির্মাণ করব এবং এ ক্ষতি ভুলে আমরা এগিয়ে যাব।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির তাণ্ডব সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পিডিবি এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডবে আবারও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিউবো বক্স হাউস এলাকায় ছয়-সাতটি বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে আনসার ব্যারাক ও অফিসার্স কোয়ার্টার ভাঙচুর করে। এ সময় বন্যহাতির দল অফিসার্স কোয়ার্টারের ওয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং পাশে থাকা নিরাপত্তা আনাসার ব্যারাক, অফিসারদের কোয়ার্টারের দরজা, জানালা, আসবাব ও গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড করে। পরে স্থানীয়দের চিৎকারে খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সাইরেন বাজিয়ে বন্যহাতি তাড়াতে সক্ষম হন। এ বিষয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল স্টেশনের অফিসার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী জানান, প্রায়ই হাতি এসে লোকালয়ে ভাঙচুর করে। পরে সাইরেন বাজিয়ে হাতিদের তাড়াতে হয়। গত রাতেও একইভাবে আমরা বন্যহাতিদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। কর্ণফুলী সদর রেঞ্জ অফিসার মো. মামুনুর রহমান হাতির আক্রমণের কথা স্বীকার করে জানান, বনের মধ্যে খাদ্য না থাকায় হাতি লোকালয়ে এসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে হাতিকে আক্রমণ করা যাবে না, হাতির আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতি হলে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। শুক্রবার দুপুরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও কাপ্তাই সহকারী বন সংরক্ষক মো. মাসুম আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
৩০ মার্চ, ২০২৪

১০ লাখ বাসিন্দাকে মেরে ধ্বংস করা হয় যে প্রাচীন শহর
প্রশাসন, ধর্ম, অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ ছোট্ট শহর মার্ভ সিটি। তবে একের পর এক সম্রাজ্যের পতনের প্রভাব পড়েছিল শহরটিতে। তুর্কমেনিস্তানের মেরি শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের এ শহরটি ধীরে ধীরে ধীরে মুসলিম সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেঠিল। এমনকি চার হাজার বছর আগে শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরের তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে নেয়।   রোমান সাহিত্যিক প্লিনির মতে, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট  মার্ভ শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর তিনি আলেকজান্দ্রিয়া নামে নতুন করে নামকরণ করেন। তবে খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে আলেকজান্ডারের পর শহরের শাসক বদলে যায়।  বাকট্রীয়, পার্‌থ এবং কুষাণ বংশের শাসকেরাও  শহরটিতে আধিপত্য বিস্তার করেন।  কালের পরিক্রমায় শহরটিতে বৌদ্ধ মঠ ও মন্দির গড়ে ওঠে। দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহরে পরিণত হয় মার্ভ সিটি।  ওই সময়ে শগরটিতে মোট পাঁচ লাখ জনসংখ্যা ছিল। পারস্য, তুরস্ক এবং আরবের অধিবাসীরা মার্ভ সিটিকেই তাদের কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছিলেন। বিশালাকার দুর্গে ঘিরে থাকা মার্ভ সিটিতে একাধিক গ্রন্থাগারও ছিল। দেশ বিদেশের বহু জ্ঞান পিপাসু শহরটিতে ভ্রমণে যেতেন। জীবনযাত্রার মানের কারণে শহরটিতে ক্রমাগত জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে শহরটিতে নজর পড়ে মোঙ্গলীয়দের।  চেঙ্গিস খানের  চতুর্থ পুত্র তোলুই খান মার্ভ সিটিতে পৌঁছে যান। ১২২১ সালে তিনি শহরটিকে ধ্বংস করে ফেলেন। দুর্গ, মঠ থেকে শুরু করে সমস্ত গ্রন্থাগারও ধ্বংস করেন এ মঙ্গল শাসক।  ঐতিহাসিকদের তথ্যমতে, মার্ভ সিটিতে আক্রমণের সময়ে সাত থেকে ১০ লাখ মানুষকে হত্যা করেন তোলুই ও তার সেনারা। ওই সময়ে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে পুরো মার্ভ সিটি। তবে কয়েকজন শিল্পীকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তারা। প্রায় ৪০০ জন শিল্পীকে তোলুই বন্দি করেছিলেন বলে দাবি করেছে ঐতিহাসিকেরা।  কথিত আছে যে, ৪০০ শিল্পী ছাড়া শহরটির কোনো বাসিন্দা বেঁছে থাকলে তাদের হত্যার নির্দেশ দেন তোলুই। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এক সময় কেন্দ্রে থাকা মার্ভ সিটি মোঙ্গলীয়দের আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।  হাজার হাজার বছর পর এ ধ্বংস্তুপের উপর নজর দেয় তুরস্ক সরকার। ১৯৯৯ সালে প্রাচীন এ শহরটিকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো। বর্তমানে এটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে পরিণত হয়েছে। তুর্কমেনিস্তানের মেরি শহর থেকে মার্ভ সিটি পৌঁছতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তবে শহরটিতে যাতায়াতের জন্য বিশেষ পরিহনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যক্তিগত গাড়িতে করেই প্রত্নতাত্মিক এ স্থানটি পরিদর্শন করে থাকেন পর্যটকেরা। 
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

মালিকদের দাবি রেস্তোরাঁয় তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রশাসন
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ঢাকাজুড়ে রেস্তোরাঁয় প্রশাসন তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। গত ২৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে ৪২টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়াসহ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। এর প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা না পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন। পরিস্থিতি শান্ত না হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেস্তোরাঁর চাবি জমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সমিতির নেতারা। মহাসচিব দাবি করেন, দেশের রেস্তোরাঁ খাত ধ্বংস করতে এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে নিতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এর আগে একই প্রক্রিয়ায় বেকারি শিল্পকে ধ্বংস করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল রাজি কমপ্লেক্সে সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সমিতির পক্ষ থেকে ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) প্রতিটি রেস্তোরাঁয় কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর সৃষ্ট সংকট থেকে উত্তরণে কার্যকরী টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছে রেস্তোরাঁ সমিতি। প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সটি আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে রেস্তোরাঁ খাতে নিয়মশৃঙ্খলা আনতে উদ্যোগ নেবে। এ ছাড়া আগামীতে রেস্তোরাঁ করার আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে এর অনুমোদন দেওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি জানানো হয়। এ সময় সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটি ছিল অনিয়মে ভরা। তবে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাধানের পথ বের করতে হবে। আমরা চাই নিয়ম ও নিরাপদ রেস্তোরাঁ গড়ে তুলতে। তিনি বলেন, দেশে এ খাতে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ এবং ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এ খাতের ৯৫ ভাগ কর্মী অদক্ষ। বহু বছর থেকে রেস্তোরাঁ খাতের সমস্যা নিয়ে সরকারি দপ্তর, সংস্থা, কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়েও কোনো সহযোগিতা পাইনি। মনিটরিংয়ের নামে শুধু হয়রানি চলছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স গঠন করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হলে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। সঙ্গে সঙ্গে রেস্তোরাঁ খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি হবে।
০৬ মার্চ, ২০২৪

রেস্তোরাঁয় তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রশাসন : মালিক সমিতি
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ঢাকা জুড়ে রেস্তোরাঁয় প্রশাসন তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। গত ২৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে ৪২টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়াসহ বুল ডুজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সমিতির মহাসচিব ও মুখপাত্র ইমরান হাসান। এর প্রতিকারে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো সহযোগিতা না পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন। পরিস্থিতি শান্ত না হলে প্রধানমন্ত্রীর কোছে রেস্তোরাঁর ছবি জমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সমিতির নেতারা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টন আল রাজি কমপ্লেক্সে সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানীর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সমিতির পক্ষ থেকে আগামী ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রতিটি রেস্তোরাঁয় কালো পতাকা উত্তলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। রেস্তোরাঁ মালিকরা দাবি করছেন, দেশের রেস্তোরাঁ খাতকে ধ্বংস করতে এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে নিতে একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। এর আগে একই প্রক্রিয়া বেকারি শিল্পকে ধ্বংস করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট সংকট থেকে উত্তরণে একটি কার্যকরি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছে রেস্তোরাঁ সমিতি। দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সটি আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে রেস্তোরাঁ খাতে নিয়ম শৃঙ্খলা (কমপ্লায়েন্স) আনতে উদ্যোগ নিবে। এ ছাড়া সামনের দিনে রেস্তোরাঁ করার পূর্বেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাচাইবাছাই করে রেস্তোরাঁর অনুমোদন দেওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি জানানো হয়েছে। এসময় সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খেকন, ১ম যুগ্মমহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটি ছিল অনিয়মে ভরা। তবে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাধানের পথ বের করতে হবে। আমরা দেখেছি, তৈরি পোশাক খাতে রানা প্লাজার ঘটনার পর সারা বিশ্ব ও ক্রেতারা নড়েচড়ে বসেছিল। পোশাক খাতের সেই দুর্দিন এখন আর নেই। তারা একর্ড ও এলায়েন্সসহ দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান করেছে। আজ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশ্বে নিরপদ কর্মক্ষেত্রের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। আমরা চাই সে রকম একটি নিয়ম ও নিরাপদ রেস্তোরাঁ গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিয়তার স্বার্থে সরকার হোটেল রেস্তোরাঁ খাতের সবাইকে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সদস্যপদ বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করার জন্য গেজেট প্রকাশ করেছে। যা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেই। সরকারের গেজেট নির্দেশনা ও প্রজ্ঞাপন মোতাবেক হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, নবায়নসহ ব্যবসায় সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যাতে রেস্তোরাঁ ভবন, ক্রেতার জীবন নিরাপদ থাকে এবং নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়ন সহজ হয়। ইমরান হাসান বলেন, দেশের রেস্তোরাঁ খাতে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ এবং ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। এ খাতের ৯৫ ভাগ কর্মী অদক্ষ। দেশের ৪৯৫টি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে সেখানে হোটেল ব্যবস্থাপনা বিষয় চালু করে দক্ষ জনবল তৈরি করা জরুরি। বহু বছর থেকে রেস্তোরাঁ খাতে সমস্যা নিয়ে সরকারি দপ্তর, সংস্থা, কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়েও কোনো সহযোগিতা পাইনি। মনিটরিংয়ের নামে শুধু হয়রানি চলছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন  একটি টাস্কফোর্স গঠন করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। সঙ্গে সঙ্গে রেস্তোরাঁ খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি হবে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে সাবেক এমপির তাণ্ডব
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার অনুসারীরা তাণ্ডব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেও অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।জাফর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছেন। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অনুষ্ঠান সঞ্চালক রাজিবের কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন জাফর আলম। এতে শ্রদ্ধা জানানোর নিয়ন্ত্রণ তার কাছে চলে যায়। এ ঘটনায় শহীদ মিনার ও মাঠে উপস্থিত সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে চকরিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। এর আগে থেকে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব উর রাজা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে দলবল নিয়ে সেখানে যান জাফর আলম। এরপরই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এদিকে শহীদ মিনারে  বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের  বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এতে বক্তব্য দেন।  তারা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম শহীদ বেদীতে বিশৃঙ্খলা করেছেন। শহীদ বেদী এলাকায় তারা দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও কালো রংয়ের গাড়িতে করে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গেছেন। বর্তমান এমপি সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমকে গালাগাল এবং হুমকি দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে ঘটনার সময় জাফর আলমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরেও তার পক্ষে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে সাবেক এমপি ও তার অনুসারীরা এ ধরনের আচরণ না করলেও পারতেন। শহীদ মিনারে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া উচিত হয়নি। কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, অস্ত্র নিয়ে কেউ গিয়েছে কি না আমার জানা নেই, নজরেও পড়েনি। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের এমপি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, তারা হঠাৎ এসে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে পড়েন। সঞ্চালকের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে মঞ্চ দখলে নেন। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা। প্রথম প্রহরে ঘটা বিস্তারিত ঘটনা আমি রাতেই কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তাণ্ডব চালায় বিএনপির কর্মীরা : ডিবি হারুন
রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নেতাকর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে জনমনের ভীতির সৃষ্টি হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিএনপি কর্মী ইসমাঈল পাটওয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং বিএনপি-যুবদলের কর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিন (২৯)। আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, বিএনপির সমাবেশে শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটওয়ারী দুটি সবুজ রঙের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে। গ্রেপ্তার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমনকি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি। এ ছাড়া নিহত পুলিশ সদস্যের শিশুকন্যা ‘বাবা, বাবা বলে কাঁদছে’ এমন এক ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছে ‘উই আর নট আনহ্যাপি’। গ্রেপ্তারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে। পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল আমিন এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  ডিবি প্রধান বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়িতে বংশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের  ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামলে যাত্রীবেশে কয়েকজন মিলে গাড়িতে উঠে। পরে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেমে যায়। এই ঘটনায় জড়িত আল আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতা ও আগুনের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেপ্তারের পর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। পাশাপাশি তারা বলেছে, এই নাশকতা তাদের পূর্বপরিকল্পিত।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

গাজার হাসপাতালে ঢুকে ইসরায়েলি সেনাদের নজিরবিহীন তাণ্ডব
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা কয়েকদিন আগে চারদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। যে কোনো মুহূর্তে ভেতরে ঢুকে অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছিল। তাদের দাবি এ হাসপাতালের নিচে হামাস যোদ্ধাদের গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে। আর এখান থেকে রোগী ও সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস যোদ্ধারা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এ দাবিকে নাকচ করে দেওয়া হয়। গতকাল ইসরায়েলি সেনারা আকস্মিকভাবে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় হাসপাতালে থাকা রোগী ও তাদের স্বজনরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ভেতরে ঢুকেই তারা সবখানে হামাস যোদ্ধাদের খুঁজতে থাকে। বিশেষ করে গোপন সুড়ঙ্গ আছে কি না তার অনুসন্ধান করতে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে কোনো গোপন সুড়ঙ্গ বা হামাসের কোনো যোদ্ধার সন্ধান পায়নি ইসরায়েলি সেনারা। হামাসের হাতে আটক কোনো জিম্মিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি আল শিফা হাসপাতালে। উদ্দেশ্য ব্যর্থ হওয়ায় হাসপাতালের ভেতরে ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে থাকে ইসরায়েলি সেনারা। হাসপাতালের বিশেষায়িত সার্জারি বিভাগের ভেতর ইসরায়েলি কমান্ডোরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তারা সব দেয়াল ও পার্টিশন ভেঙে ফেলে। আরও বেশ কিছু কক্ষ গুঁড়িয়ে দেয়। হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে এক এক করে অনেক মানুষকে বাইরে বের করে এনে জেরা করা হয়। তাদের অনেককে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে জেরা করা হয় বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। উত্তর গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় গতকাল আকস্মিকভাবে ঢুকে ব্যাপক অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক। ইসরায়েলের দাবি, হামাস কর্মীরা আল শিফা হাসপাতালে লুকিয়ে আছে এবং এ হাসপাতালটির নিচেই ফিলিস্তিনি এ সংগঠনটির ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র। অভিযানের শুরুতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ভেতরে ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি সেনারা। এ সময় এক সেনা লাউডস্পিকারে বলে, ‘১৬ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী পুরুষ মাথার ওপর দুই হাত তুলে দাঁড়ান। ভবন থেকে বের হয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে আত্মসমর্পণ করুন।’ এ সময় রোগী ও তাদের স্বজনরা মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেনারা এক কক্ষ থেকে আরেক কক্ষে হামাস যোদ্ধাদের খোঁজার সময় ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। কিন্তু অভিযানে কোনো গোপন সুড়ঙ্গ বা হামাস যোদ্ধার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদেরও খোঁজ পায়নি তারা। এ রকম অবস্থায় হাসপাতালে ভেতরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি সেনারা। বিশেষায়িত সার্জারি বিভাগের ভেতর ইসরায়েলি কমান্ডোরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তারা সব দেয়াল ও পার্টিশন ভেঙে ফেলে। প্রতিটি কক্ষের মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলার পর সেনারা বেসমেন্টে নামে। শেষে এক এক করে প্রাপ্ত বয়স্ক সব পুরুষকে হাসপাতাল চত্বরে নিয়ে এসে জেরা করতে থাকে। এ সময় অনেককে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র অবস্থায় জেরা করা হয়। জেরা করার সময় তাদের চারদিকে ছিল ট্যাঙ্কের বহর। এদিকে আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেন, গাজার আল শিফা হাসপাতালে সামরিক অভিযান চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘মানবতাবিরোধী নতুন অপরাধ’ করছে। এক বিবৃতিতে কাইলা বলেন, আল শিফার চিকিৎসা কর্মী, রোগী ও সেখানে থাকা উদ্বাস্তুদের জীবনের জন্য দখলদার বাহিনী সম্পূর্ণ দায়ী বলে ধরব আমরা।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩
X