জমির বিরোধের জেরে মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ, নিহত ১১
নাইজেরিয়ার একটি মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছেন এক দুর্বৃত্ত। এতে পুড়ে গিয়ে অন্তত ১১ মুসল্লি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। বুধবার (১৫ মে) বুধবার দেশটির ক্যানোর গেজাওয়ায় ফজরের নামাজের সময় এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি অনলাইনের।  বিবিসি জানিয়েছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় এক ব্যক্তি মসজিদের ভেতরে পেট্রোল ঢেলে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেন। পরে আগুন দেন। এ সময় প্রায় ৪০ জন মুসল্লি মসজিদটির ভেতর আটকা পড়েন। বাসিন্দাদের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিসংযোগের পরই মুহূর্তের মধ্যে মসজিদটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভেতরে আটকে পড়া মুসল্লিরা তালা খোলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আর্তচিৎকার করছিলেন। একই মসজিদে বিস্ফোরণও হয়। বিস্ফোরণের শব্দ শোনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। এক বিবৃতিতে দেশটির পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে ক্যানো শহর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বোম্ব বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়। পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছে এই হামলায় কোনো বোমা ব্যবহার করা হয়নি। ক্যানোর ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের খবর দেওয়া হয়নি। যদিও পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খুব দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ক্যানোর ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সামিনু ইউসুফ বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পর তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত মানুষ তাদের খবর দেয়। কিন্তু এবার আগুন নিভিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা আসার পর ঘটনাস্থল থেকে তাদের খবর দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আটক ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে তিনি এই ঘটনা ঘটান। তার দাবি, কয়েকটি পরিবারের কিছু সদস্য ভেতরে ছিলেন যাদের লক্ষ্য করে তিনি এই ঘটনা ঘটান। স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমার সান্দা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিসংযোগের এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আমরা আটক করেছি। ঘটনা সম্পর্কে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন। এদিকে হামলার পরপরই এক মুসল্লি নিহতের কথা বলা হয়েছিল। আর আহতদের উদ্ধার করে ক্যানোর মুরতালা মুহাম্মদ বিশেষায়িত হাসপাতলে নেওয় হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকিরা মারা যান। 
১৭ মে, ২০২৪

ধামরাইয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে তালা দিলেন আ.লীগ নেতা
ঢাকার ধামরাইয়ে আনারস মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোটরসাইকেল সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মেছের আলীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনী ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থীকে মোটরসাইকেল সমর্থিতরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের চরসুঙ্গর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরসুঙ্গর বাজারের পশ্চিম পাশে একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে আনারস মার্কার প্রার্থীর নেতাকর্মীরা নির্বাচনী ক্যাম্প করেন। সেই ক্যাম্প মোটরসাইকেল মার্কার নেতাকর্মীরা ও স্থানীয় কিছু লোকজন ভাঙচুর করে ঘরটি তালা দিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী আব্দুল লতিফ সেখানে যান। ভাঙচুর করা ক্যাম্প পরিদর্শন করে স্কুলের মাঠে বক্তব্য দেওয়ার সময় একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফকে ধাওয়া দিলে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফ বলেন, আজ দুপুরে চরসুঙ্গর বাজারে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন একই এলাকার মেছের আলী ও তার ভাই মো. আক্কাছ আলীসহ তাদের লোকজন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর কঠিন বিচার দাবি করছি। আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে ভাঙচুর করা নির্বাচনী ক্যাম্প পরিদর্শন করতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল প্রার্থীর নেতাকর্মীরা আমার গাড়িবহরে ধাওয়া করে। আমি আমার নেতাকর্মীদের কোনো রকম সংঘর্ষে জড়াতে মানা করে সেখান থেকে চলে যাই। মোটরসাইকেল প্রার্থীর কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মেছের আলী বলেন, আজ চরসুঙ্গর বাজারে আনারস মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আনারস মার্কার প্রার্থী আব্দুল লতিফ না জেনে আমাকে ও আমার ভাইকে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙার অপবাদ দেয়। সেই জন্য আমার লোকজন লতিফ ভাইকে এমন বক্তব্য দিতে মানা করে। কিন্তু সে তা না মেনে বক্তব্য দেয়। এই জন্য এলাকার লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়ে সেখান থেকে যেতে বলে। ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও আনারস প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল লতিফকে ধাওয়া হয়েছে এই ধরনের একটি ফোন পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। সঠিক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও প্রার্থীকে ধাওয়ার বিষয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফ আমাকে ফোন করে জানিয়েছে। আমি প্রার্থী লতিফকে লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মে, ২০২৪

কুবিতে উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রক্টরকে ২৪ ঘণ্টা আলটিমেটামের পর দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তিন কার্যালয়ে তালা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে এসব কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়। জানা যায়, শিক্ষকদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় ‘মদতদানকারী’ ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, গেস্টহাউস শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে শিক্ষকরা তিন দফায় ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। যার সঙ্গে সবশেষ যুক্ত হয় ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম।  দপ্তরে তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা উপাচার্য স্যারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সমাধানের জন্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী প্রক্টর, ট্রেজারার ও উপাচার্যকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আন্দোলন চললেও নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা হবে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক। কিন্তু যেভাবে শিক্ষকদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে, অবৈধ শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে আজকে আমাদের এই পদক্ষেপ। আমরা আশাবাদী উপাচার্য এই সংকট নিরসনে এগিয়ে আসবেন।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হুমায়ুন কবিরও এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

তালা ভেঙে পরীক্ষার ১০ বস্তা উত্তরপত্র চুরি, গ্রেপ্তার ১
গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্টোররুমের তালা ভেঙে ২০২২ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ১০ বস্তা উত্তরপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বাসন থানায় অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া খাতা। শুক্রবার (২২ মার্চ) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কলেজটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান পরীক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ইফফাত আরা। থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পাশের স্টোররুমে রাখা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১বর্ষ পরীক্ষা-২০২২ এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার ৩৯ বস্তা উত্তরপত্র তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। গত ২১ মার্চ বিকেলে স্টোররুমে তালা সঠিকভাবে লাগানো ছিল। শুক্রবার (২২মার্চ) দুপুরে ২টার দিকে কলেজের নিরাপত্তা প্রহরী সুশীল ও নিরঞ্জণ কলেজের অধ্যক্ষকে জানায়, স্টোর রুমের তালা ভেঙে কে বা কারা উত্তরপত্র চুরি করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ বস্তা পরীক্ষার উত্তরপত্র চুরি ঘটনা নিশ্চিত হন অধ্যক্ষ। মামলার বাদী কলেজটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান পরীক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ইফফাত আরা বলেন, শুক্রবার জুমার পর খবর পাই স্টোররুমের তালা ভেঙে কে বা কারা আমাদের খাতাগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে প্রিন্সিপাল স্যারসহ আমরা সবাই সেখানে যাই। পাশাপাশি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে আমরা দেখি ১০ বস্তা খাতা চুরি হয়ে গেছে। কোনো বস্তাতে ২৫০টি, কোনো বস্তাতে ২৮০টি, আবার কোনো বস্তাতে ৩০০ থেকে ৩৫০টি উত্তরপত্র ছিল। ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বিএম আব্দুল হান্নান জানান, গত শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বিজ্ঞান ভবনের নিচ তলায় একটি স্টোরের মতো আছে। সেখানকার তালা ভেঙে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা চুরি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে কলেজেরই এক ছাত্র একটি অটোরিকশা দিয়ে ১০ বস্তা খাতা নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে আসে। পরে ওই ছাত্রকে পুলিশ আটক করে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাসন থানার এসআই মো নাজমুল হক বলেন, খাতা চুরির ঘটনায় অনিক নামে অনার্স পড়ুয়া ওই কলেজের এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় তার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১০ বস্তা খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
২৩ মার্চ, ২০২৪

জেলের তালা ভাঙার পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতির প্রধান কারাগার থেকে প্রায় চার হাজার কয়েদি পালিয়ে গেছেন। এ সময় গ্যাং সদস্যদের হামলায় কারাগারে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭২ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার। তবে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও গ্যাং নেতারা প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগ দাবি করছেন। খবর বিবিসির। হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে সশস্ত্র গ্যাংগুলো। গত বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে নতুন করে সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এরপর শনিবার রাতে শহরের প্রধান কারাগারে হামলা চালায় গ্যাং সদস্যরা এবং রোববার নাগাদ হাজার হাজার কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মূলত গত বৃহস্পতিবার হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে নাইরোবি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। তিনি সফরের উদ্দেশে দেশ ছাড়া মাত্রই এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাং লিডার জিমি চেরিজিয়ার এরিয়েল হেনরিকে উৎখাতের জন্য সমন্বিত আক্রমণের ঘোষণা দেন। পুলিশ কর্মকর্তা থেকে গ্যাং লিডার বনে যাওয়া জিমি চেরিজিয়ারের বিরুদ্ধে পোর্ট-অ-প্রিন্সে বেশ কয়েকটি গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পোর্ট-অ-প্রিন্সের কারাগারে যারা বন্দি ছিলেন তাদের মধ্যে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিরাও ছিলেন। ২০২১ সালে মোয়েস নিহত হওয়ার পর হাইতিতে গ্যাং সংশ্লিষ্ট সহিংসতা আরও বেড়ে যায়। এমনকি ২০১৬ সালের পর দেশটিতে আর কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়নি। একটি একটি রাজনৈতিক চুক্তি অনুযায়ী, গত ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হেনরির পদত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোনো নির্বাচন আয়োজন না করে প্রধানমন্ত্রী পদে রয়ে যান। তবে কেনিয়া সফরের পর থেকে তার আর খোঁজ মিলছে না। সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি এবং ক্রোয়েক্স ডেস বুকেটের একটি কারাগারে রোববার হামলা হয়েছে। এই ধরনের বিদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ড দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এই কর্মকাণ্ডের জবাবে তাত্ক্ষণিক নৈশকালীন কারফিউ জারি করা হলো।
০৫ মার্চ, ২০২৪

মাদারীপুরে মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর, আতঙ্ক
মাদারীপুরে শ্মশান কালীমন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও মন্দির কমিটির সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নে হিন্দু অধ্যুষিত চৌহদ্দি গ্রামে চৌহদ্দি সার্বজনীন শ্মশান কালীমন্দিরটি তিন বছর আগে নির্মাণ হয়। গ্রামের একটি রাস্তার পাশে টিনশেড মন্দিরটি স্থাপনের পর থেকে নির্দিষ্ট কোনো পুরোহিতের মাধ্যমে প্রতিদিন পূজা অর্চনা না করলেও, প্রতি বছর এই দিনে মন্দিরে জাঁকজমকভাবে কালী দেবীর পূজা অর্চনার আয়োজন করা হয়। পূজা শেষে সাধারণত মন্দিরটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত মন্দিরটির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা কালী দেবীর গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ও চারটি হাত ভেঙে ফেলে। এ ছাড়া মহাদেবের প্রতিমাটিও ভেঙে ফেলে তারা। পরদিন বুধবার সকালে লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে চৌহদ্দি সার্বজনীন শ্মশান কালীমন্দির কমিটির সভাপতি জগদীশ চন্দ্র বৈদ্য ও সাধারণ সম্পাদক অখিল বিশ্বাস কালবেলাকে বলেন, তিন বছর আগে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি বছর নির্দিষ্ট দিনে মন্দিরে পূজা হয়। দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। এদিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মাদারীপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রাণতোষ মণ্ডল কালবেলাকে বলেন, মন্দিরের প্রতিমা যারা ভেঙে ফেলেছে, তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি করছি। এই বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।’ এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা কঠিন হবে।
০১ মার্চ, ২০২৪

মাদারীপুরে মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর
মাদারীপুরে শ্মশান কালি মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও মন্দির কমিটির সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নে হিন্দু অধ্যুষিত চৌহদ্দি গ্রামে ‘চৌহদ্দি সার্বজনীন শ্মশান কালি মন্দির’টি গত তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয়। গ্রামের একটি রাস্তার পাশে টিনশেট মন্দিরটি স্থাপনের পর থেকে নির্দিষ্ট কোনো পুরোহিতের মাধ্যমে প্রতিদিন পূজা-অর্চনা না করলেও, প্রতি বছরই এইদিনে মন্দিরে কালি দেবীর জাঁকজমকভাবে পূজা অর্চনার আয়োজন করা হয়। পূজা শেষে সাধারণত মন্দিরটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।   স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত মন্দিরটির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কালি দেবীর গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ও চারটি হাত ভেঙে ফেলে। সেই সাথে মহাদেবের প্রতিমাটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরে বুধবার সকালে লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে চৌহদ্দি সার্বজনীন শ্মশান কালি মন্দির কমিটির সভাপতি জগদীশ চন্দ্র বৈদ্য ও সাধারণ সম্পাদক অখিল বিশ্বাস কালবেলাকে বলেন, তিন বছর আগে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি বছর নির্দিষ্ট দিনে মন্দিরে পূজা হয়। কে বা কারা তালা ভেঙে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে, প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। যারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।  এদিকে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মাদারীপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রাণতোষ মণ্ডল কালবেলাকে বলেন, মন্দিরটিরের প্রতিমা যারা ভেঙে ফেলেছে, তাদের চিহ্নিত করে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি করছি।  এই বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত এখন শনাক্ত না হলেও, অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কালবেলাকে বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা কঠিন হবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ.লীগ অফিসের তালা খুলল
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনুরোধে দুদিন পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শহরের ২ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গেটের তালা খুলে দেওয়া হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরীর উপস্থিতিতে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আলম সাগর মহানগর আওয়ামী লীগের তালা খুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ওমর খালেদ এপন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিমউদ্দিন জসু, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কাজী শহীদ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সুজু ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সিরাজুল মজিদ। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আলম সাগর বলেন, এমপি শামীম ওসমান এক মিটিংয়ে অনুরোধ করেছেন তালা খুলে দেওয়ার জন্য। মেয়র আইভী তালা খুলে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের দিয়ে আমাকে জানিয়েছেন। তাদের অনুরোধে সন্ধ্যার দিকে আমি নিজে গিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসের তালা খুলে দিয়েছি। তবে কমিটির বিষয়ে কেউ কোনো আশ্বাস দেননি। শুধু তাদের অনুরোধে আমি তালা খুলে দিয়েছি। এ বিষয়ে পরে দল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নীতিনির্ধারকরা এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাসের ফলে তালা খোলা হয়েছে। কমিটিতে যোগ্যরা স্থান না পেলে আমরা পাল্টা কমিটি দেব। প্রতিবাদ করে যাব। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা তালা লাগিয়েছে, তারা খুলে দিয়েছে। আমি তো আগেই বলেছি, আমি একা আওয়ামী লীগের সবকিছু নই। দল ও দলের কার্যালয় সবার। আমরা যে কমিটি করেছি, তার কাগজ কেন্দ্রে জমা দিয়েছি। কেন্দ্র এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। সেদিন রাতে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের ১১ থেকে ২৭ নম্বর পর্যন্ত ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা মহানগর আওয়ামী লীগের এ কমিটি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাইনাস করে বিতর্কিতদের কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে এখনো ঝুলছে তালা
নারায়ণগঞ্জে মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয়ে এখনো তালা ঝুলছে। সদ্য ঘোষিত ওয়ার্ড কমিটির পদবঞ্চিতরা এই তালা ঝুলিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত শহরের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালাবদ্ধ দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় খোলা অবস্থায় ছিল। তবে সেখানে কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। আর ভবনটির দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মূল ফটকে ঝুলছিল তালা। এর আগে, গত শুক্রবার বিকেলে নাসিক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মহানগর সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ওই সভায় বক্তব্যের এক অংশে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র আইভী বলেন, এই ওয়ার্ডে আমাদের ছোট ভাই এপন আর চঞ্চলকে নেতা বানিয়ে দিল। ওরা যদিও নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু আনোয়ার কাকা (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি) প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে এই কমিটি দিয়েছেন। তিনি দেওভোগকে বুঝিয়েছেন, উনি যা চাইবেন, তা হবে এখানে। যে দেওভোগে পূর্বপুরুষেরা নেতৃত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের, তাদের অসম্মানিত করেছেন তিনি। আজকে এখানে দাঁড়িয়ে দেওভোগের মানুষ হিসেবে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম আমি। ওই দিন সন্ধ্যায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগরের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এসে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তারা ঘোষিত ওয়ার্ড কমিটি ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছাব্বির আলম সাগর বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাপে আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসে তালা দিয়েছি। যে পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না আসবে, সে পর্যন্ত এই তালা খুলব না। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, কমিটি পছন্দ না হলে দলীয় মিটিংয়ে তারা বলতে পারত। এটা গঠনতন্ত্রবিরোধী। তারা এমন করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ডের জন্য কেন্দ্র থেকে বারবার চাপ দেওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণা করার আগে আমরা বেশ কয়েকবার মিটিং করেছি। সেখানে নেতাকর্মীরা বলেছেন, দলের সভাপতি-সেক্রেটারির প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তারা যেভাবে দলের কমিটি করবে, আমরা সেটা মেনে নেব। পরে সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করেছি। তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আওয়ামী লীগ অফিস, আমার ব্যক্তিগত অফিস নয়। এই বিষয়টি দল দেখবে। আওয়ামী লীগ তো আর আমি একা করি না। দল ব্যবস্থা নেবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ.লীগ কার্যালয়ে পদবঞ্চিতদের তালা
নারায়ণগঞ্জে ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতরা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় অবস্থিত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন পদবঞ্চিতরা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগরের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা এসে কার্যালয়ে তালা ঝোলানোর পর ঘোষিত ওয়ার্ড কমিটি ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেন। যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। এ সময় তারা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনা বলেন, ওই ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মহানগরের সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। একই দিন বিকেলে শহরের দেওভোগে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ক্ষুব্ধ হয়ে আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। সভায় আইভী বলেন, ‘আনোয়ার কাকা (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি) প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে এই কমিটি দিয়েছেন। তিনি দেওভোগকে বুঝিয়েছেন, উনি যা চাইবেন তাই হবে এখানে। দেওভোগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়া পূর্বপুরুষদের তিনি অসম্মানিত করেছেন। তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।’ এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা বলেন, ওয়ার্ড কমিটিতে ত্যাগীদের বঞ্চিত করে রাজাকারপুত্র, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীর পুত্রসহ বিতর্কিতদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। আমরা এ কমিটি মানি না। এ বিষয়ে জানতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, ‘সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তালা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। অনুরোধ করব, যারা তালা দিয়েছেন তারা সেটি খুলে দেবেন।’ গত ১২ ফেব্রুয়ারি মহানগর আওয়ামী লীগের ১১ থেকে ২৭ নম্বর পর্যন্ত ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হয়। মহানগর সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা এ কমিটি ঘোষণা করেন। এর পরই থেকে কমিটি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন পদবঞ্চিতরা।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X