সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন শাহবাগ থানায় এ জিডি করেন। জিডি নম্বর-১৪২৭।  জিডিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই, সেহেতু মন্ত্রী মহোদয় ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।  জিডিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যাতে মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। ওনার এই মিথ্যাচারের বক্তব্য যমুনা টেলিভিশন, আরটিভি, অন্যান্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ওনার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। 
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কালবেলার সাংবাদিককে হত্যার হুমকি থানায় জিডি
বাগেরহাটের ফকিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার ও টাকা আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফকিরহাটের সাতবাড়িয়া গ্রামের মাহামুদুল হাসান (২৭) এ হত্যার হুমকি দেন। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। সাংবাদিক মনিরুজ্জামান কালবেলার প্রতিনিধি। এ ছাড়া ফকিরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। গত শনিবার রাতে হুমকির ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফকিরহাট থানায় তিনি জিডি করেন। গত ১১ মার্চ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং ফকিরহাট মডেল থানায় তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাহামুদুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লেখেন সাংবাদিক মনিরুজ্জামান। সেখানে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত সরকারি চাকরির নামে প্রতারণা করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারক মাহমুদুল কখনো কাস্টমস কর্মকর্তা আবার কখনো রাজনৈতিক নেতার সহযোগী পরিচয়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। কামরুজ্জামান সুজন নামে এক ব্যক্তি গত ৭ মার্চ তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, প্রতারণার সংবাদ প্রকাশ করায় মাহমুদুল প্রাইভেটকারে অফিসে এসে গালাগাল ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। নিম্নবিত্ত পরিবারের বেকার হয়েও মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যে তিনি কীভাবে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। ফকিরহাট মডেল থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম বলেন, মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। সবগুলোই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

হাসপাতালে সরকারি চাকরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তি থানায় জিডি
চাঁদপুর জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে প্রতারক চক্র। বিষয়টি নজরে আসামাত্র থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে লিখিত জিডি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে থানায় এই লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চাঁদপুরের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জবস ইন চাঁদপুর নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি প্রতারক চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করে অর্থ আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। এমতাবস্থায় বিষয়টি নজরে এলে আমরা থানায় লিখিতভাবে সাধারণ ডায়েরি করি। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুহসীন আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চাঁদপুরের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরপরই বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

সরকারি চাকরির ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি : থানায় জিডি
চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে প্রতারকচক্র। বিষয়টি নজরে আসামাত্র থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে লিখিত জিডি করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে থানায় এ লিখিত জিডি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রসঙ্গে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন যাবৎ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চাঁদপুরের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Jobs In Chandpur নামে একটি facebook page থেকে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি প্রতারক চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করে অর্থ আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। এমতাবস্থায় বিষয়টি নজরে এলে আমরা থানায় লিখিতভাবে সাধারণ ডায়রি করেছি। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ওসি শেখ মুহসীন আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চাঁদপুরের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি সাধারণ ডায়রি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরপরই বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

নৌকার পক্ষে কাজ / সভাপতি-সম্পাদককে ছাড়াই যুবলীগের বিশেষ সভা, থানায় জিডি
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নৌকার পক্ষে কাজ করায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ছাড়াই স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের অনুসারীরা উপজেলা যুবলীগের বিশেষ সভার আয়োজন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান রিপনের সভাপতিত্বে ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইকরামুল শিকদারের সঞ্চলনায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা এগারোটায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড যুবলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইন্দুরকানীতে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পিরোজপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পিরোজপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও আ.লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়। এতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক শাহিন গাজী ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা অবস্থান নেন নৌকার প্রার্থীর পক্ষে। অপর দিকে উপজেলা যুবলীগ কমিটির বাকি অন্যসব নেতাকর্মী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের পক্ষে। এ নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং শুরু হয়।  এদিকে সাংগঠনিক বিধি না মেনে বিশেষ সভার আয়োজন করে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করার অভিযোগ এনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাতুব্বর উপজেলা যুবলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক ইকরামুল সিকদার ও সহসভাপতি মেহেদি হাসান রিপনের বিরুদ্ধে ১৭ জানুয়ারি ইন্দুরকানী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আ.লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের পক্ষে কাজ করায় ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীরা সভার আয়োজন করে আমাদের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযাগ তুলেছে। আমরা গোপনে যুবলীগের কোনো ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে কমিটি দেইনি। সভায় আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক শাহীন গাজীর নামে মানহানীকর বক্তব্য প্রদান করা হয়। যুবলীগের নামে সভা আহ্বান করা তাদের সাংগঠনিক অধিকার নাই। যা সাংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ। এতে করে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য আমি উপজেলা যুবলীগের দুই নেতাকে দায়ী করে ইদুরকানী থানায় সাধারণ ডায়রী করেছি। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন গাজী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য যুবলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি দেয়া হয়। এ কমিটি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত কার্যকর ছিল। তবে এটা কোনো সাংগঠনিক কমিটি নয়। কিন্তু যুবলীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দ এ বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।    উক্ত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক ইকরামুল সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা যুবলীগ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের না জানিয়ে সভাপতি ও সম্পাদক টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি দেওয়ায় তাদের ছাড়াই আমরা বিশেষ সভার আয়োজন করেছি। উপজেলা যুবলীগের কমিটি থেকে আমরা সভাপতি ও সম্পাদকের অব্যাহতি চাই। এ বিষয়ে সহসভাপতি মেহেদি হাসান রিপন বলেন, সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে না জানিয়ে অর্থের বিনিময়ে গোপনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি দেওয়ায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ সভার আয়াজন করেছি। ইদুরকানী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধের কারণে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মাহির গণসংযোগে বাধা হুমকি, থানায় জিডি
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির প্রচারে ঢুকে বাধা, হুমকি এবং হয়রানির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় এই জিডি করা হয়। গভীর রাতে মাহিয়া মাহি নিজের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভয়েস রেকর্ডে জানান, ভোটের মাঠে তাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন নৌকার সমর্থকরা। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুদিন আগে এক হাটে আমি গণসংযোগে যাই। অটোরিকশায় বসে থাকা এক নারী আমাকে ডাকেন। তিনি যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, আমি এলাকার জন্য কী করেছি? করোনার সময় কী করেছি। সেটি ভিডিও করে আবার ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আজকে (শুক্রবার রাতে) আবার গোদাগাড়ীর পালপুর এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। আমার বক্তব্যের মাঝখানে একজন এসে আবার একই কথা বলেন, করোনার সময় কী করেছেন? আমি তখন বুঝতে পেরেছি, এটা বলার নির্দেশনা আছে। এ কথা বলতে বলতে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি বলেন, এটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস। এ রাস্তায় আপনি গণসংযোগ করতে পারবেন না। আমি বলেছি, এটা সরকারি রাস্তা। কেন প্রচার করতে পারব না। আপনি আমাকে বাধা দিচ্ছেন। মাহি বলেন, আমি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলি। তখন উপস্থিত লোকজন তাকে সরি বলতে বলেন। আমি বললাম, ঠিক আছে সবার সামনে সরি বললে মাফ করে দেব। তিনি সরি বলবেনই না। ফাইনালি তিনি সরি বলেন। কিন্তু সবাই মিলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, রাতে মাহিয়া মাহির ফোন পেয়ে আমি ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সেখানে যাই। এরপর পরিস্থিতি শান্ত করে আসি। এ ঘটনায় রাতেই প্রার্থীর লোকজন মামলা করতে আসেন। তবে যে অভিযোগ, সেটা সরাসরি মামলা হয় না। এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

থানায় জিডি করলেন জিএম কাদের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সপরিবারে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জিএম কাদেরের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল হান্নান রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত ১৪ ডিসেম্বর জিডি করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান। জিএম কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল হান্নান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্যারের (জিএম কাদের) নম্বরে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মেসেজ প্রদান করে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে না আসলে তাকে ও দেশ বিদেশে অবস্থান করা তার পরিবার-পরিজনকে হত্যা করা হতে পারে। স্যার আইনে বিশ্বাসী। তাই তিনি বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখতে আমাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। জিডিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ফোন নম্বর +৩৫১****** থেকে গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত ৪টা ৩ ঘটিকায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র ফোন নম্বর ০১৬১১****** তে মেসেজ প্রদানের মাধ্যমে মাননীয় চেয়ারম্যানকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে সফল করার প্রয়াস থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করা হয়। উক্ত ব্যক্তির কথামতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত না থাকলে মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়সহ তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদেরকে প্রাণনাশ করা হবে। এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, তার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজন জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

সাতকানিয়ায় মোতালেবের সমর্থকদের হুমকির অভিযোগে দুই থানায় জিডি
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মোতালেব সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় দুই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।   শনিবার (২ ডিসেম্বর) সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় জিডি করেন এম মোতালেব। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার ও লোহাগাড়া থানার (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম। সাতকানিয়া থানার জিডি নম্বর-৮২ ও লোহাগাড়া থানার জিডি নম্বর-৭৬।  জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলকালে নিয়মানুযায়ী আমাকে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত একটি তালিকা সংযুক্ত করতে হয়। উক্ত তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার যখন যাচাই করতে যায় তখন আমার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া ব্যক্তিদের স্বস্থানে পাওয়া যায়নি কেউ কেউ স্বাক্ষর অস্বীকার করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খবর নিয়ে জানতে পারি আমার প্রতিপক্ষ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর লোকজন আমার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া লোকদের হুমকি-ধমকি দিয়েছে। এই হুমকির কারণে অনেকেই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছে। এমতাবস্থায়, ভবিষ্যতে আমার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে ক্ষতির আশঙ্কা বিবেচনায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এইরূপ কোনো ঘটনা ঘটলে আমি অবশ্যই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

মোতালেবের সমর্থকদের হুমকি-ধমকি, দুই থানায় জিডি
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মোতালেব সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় দুই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় জিডি করেন এম মোতালেব। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার ও লোহাগাড়া থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম। সাতকানিয়া থানার জিডি নম্বর-৮২ ও লোহাগাড়া থানার জিডি নম্বর-৭৬। জিডিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলকালে নিয়মানুযায়ী আমাকে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি তালিকা সংযুক্ত করতে হয়। ওই তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার যখন যাচাই করতে যায় তখন আমার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া ব্যক্তিদের স্বস্থানে পাওয়া যায়নি বলে কেউ কেউ স্বাক্ষর অস্বীকার করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে খবর নিয়ে জানতে পারি, আমার প্রতিপক্ষ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর লোকজন আমার পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া লোকদের হুমকি-ধমকি দিয়েছে। এই হুমকির কারণে অনেকেই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছে। এমতাবস্থায় ভবিষ্যতে আমার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে ক্ষতির আশঙ্কা বিবেচনায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এইরূপ কোনো ঘটনা ঘটলে আমি অবশ্যই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

টঙ্গীতে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
জাতীয় দৈনিক কালবেলার টঙ্গী প্রতিনিধি মহিন উদ্দিন রিপনকে মোবাইল ফোনে গালাগাল ও হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ছাড়া সাংবাদিক রিপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিকর ছবি ও মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে মহিন উদ্দিন রিপনের মোবাইল ফোনে এ হুমকি প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্তরা হলেন মো. আওলাদ হোসেন (৪৭) ও তার সহদর মাসুম (৩৫)। তারা গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। অপর আরেক অভিযুক্ত হলেন টঙ্গী পূর্ব থানাধীন হিমারদিঘি এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক ওরফে সুমন (৩৯)। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন পন্থায় শ্রদ্ধাভাজন লোকদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা এবং তাদের হেয়প্রতিপন্ন করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে মহিন উদ্দিন রিপন বলেন, আমি সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করে যাচ্ছি। কতিপয় কিছু সন্ত্রাসীরা আজ মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। অতি দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০১ অক্টোবর, ২০২৩
X