Sat, 18 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা জোরদারে এগিয়ে আসতে হবে : প্রতিমন্ত্রী
১৬ মিনিট আগে
ডিবিতে মামুনুল হক
১৪ মিনিট আগে
ইঞ্জিনিয়ার নিচ্ছে ইজি ফ্যাশন, পদসংখ্যা অনির্ধারিত
৩৩ মিনিট আগে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে ভয়ংকর তথ্য
৪৯ মিনিট আগে
স্কুল ব্যাগে মিলল ৫২০০ পিস ইয়াবা, যুবক গ্রেপ্তার
৪২ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর, ১০ হাজার কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর। বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কোটা বাড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এবার ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে দেশটি। প্রথমবারের মতো দেশটিতে মৎস্যশিল্প ও জাহাজ নির্মাণকাজের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। সব মিলিয়ে এ বছর দেশটির বিভিন্ন খাতে যেতে পারবেন ১০ হাজার কর্মী। আর এই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি-বোয়েসেলের মাধ্যমে। এর আগে, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ৭ হাজার কোটা নির্ধারিত থাকলেও দেশটিতে যেতে পেরেছেন ৫ হাজার কর্মী। বোয়েসেল বলছে, দক্ষ কর্মীর অভাবে ফাঁকা থেকেছে দুই হাজার। দক্ষিণ কোরিয়া চলতি বছর কোটার সংখ্যা ৭ হাজার থেকে ১০ হাজারে বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো মৎস্যশিল্প ছাড়াও উৎপাদন ও জাহাজ নির্মাণকাজের জন্য দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা। বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন সতর্কবার্তা দিয়ে কোরিয়াগামী কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শ্রমিকরা যদি মালিকের অনুমতি নিয়ে অন্য কোম্পানিতে যায়, তবে মালিক আবার বাংলাদেশ থেকে লোক নেবে। কিন্তু কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, মামলা করে যদি যায়, সেক্ষেত্রে সেই মালিক আর বাংলাদেশ থেকে লোক নেবে না। আমাদের দেশের প্রতি একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হবে। এ জন্য আমরা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই কোটা পেয়েছি, সেটা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের কর্মীদেরই। এদিকে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশি কর্মীদের আরও দক্ষ বানানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বোয়েসেলে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা। আর যেতে উড়োজাহাজ ভাড়া ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। মাসে বেতন অন্তত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অতিরিক্ত সময় কাজ করলে কেউ কেউ তিন লাখ টাকাও আয় করতে পারেন। থাকা ও খাওয়ার খরচ চালায় কোম্পানি। এত সুযোগ থাকায় দেশটিতে যেতে আগ্রহী কর্মী অনেক। পাঁচটি ধাপে প্রক্রিয়াটি শেষ হয়। শুরুতে অনলাইন নিবন্ধন। এরপর লটারি করে বোয়েসেল। বিজয়ীদের কোরিয়ার ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। এটি পাস করলে দক্ষতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এরপর পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভিসার আবেদন করা যায়।
৩১ মার্চ, ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে ‘ময়না’
ঢালিউডের এই প্রজন্মের অভিনেত্রী রাজ রিপার সিনেমা ‘ময়না’ সিনেমাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছে। সেখানে আপোরিয়া আন্তর্জাতিক ভিলেজ চলচ্চিত্র উৎসবে এটি মনোনয়ন পেয়েছে। আগামী ৮ আগস্ট শুরু হবে এই উৎসব। চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে লন্ডনের ২৫তম ইএমএমএএস বিবিসি ফেস্টিভ্যাল অব মাল্টিকালচারাল ২০২৩-এ ময়না সেরা ফিল্ম প্রডাকশন পুরস্কার পেয়েছে। ইতালির কলিজিয়াম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩ এবং ভারতের মুম্বাইয়ে গোল্ডেন জুরি চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এ সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ছবিটি যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার ওই উৎসবে। ‘ময়না’ প্রসঙ্গে রাজ রিপা বলেন, আমি অনেক বেশি এক্সাইটেড নারীপ্রধান গল্প ‘ময়না’ নিয়ে। জাজের ব্যানারে নায়িকা হিসেবে আমার প্রথম সিনেমা এটি। চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। এক মেয়ের সংগ্রামের গল্প দর্শক পর্দায় দেখতে পাবেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গ ছবিটির সাফল্য আমাকে দারুণভাবে আনন্দিত করছে। সর্বশেষ আপোরিয়া আন্তর্জাতিক ভিলেজ চলচ্চিত্র উৎসব ছবিটি মনোনয়ন পাওয়ার খবর পেলাম। আশা করি ছটি সেখানে জয়ী হবে। বিশ্ব অঙ্গনে বাংলা ছবি এভাবেই ছড়িয়ে পড়বে। জাজের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ময়না। এটি পরিচালনা করেছেন মনজুরুল ইসলাম মেঘ। সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা কায়েস আরজু, আমান রেজা, আফ্ফান মিতুল, জিলানী, শিশির, মোমেনা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, সুব্রত, সুচনা, খলিলুর রহমান কাদরী, আনোয়ার, সীমান্ত, জারা, তাহমিনা মোনা, বিশেষ চরিত্রে আপন, শিশুশিল্পী জান্নাতুল ভোর।
২৮ মার্চ, ২০২৪
২০২৩ সালে বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া
জন্মহারে আবারও বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে অর্থনৈতিক খরচ ও ক্যারিয়ারে অগ্রগতির কারণে নারীদের সন্তান জন্মদানে অনীহা দেখা দিয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে জন্মহার কমেছে। ২০২২ সালে এ হার ছিল গড়ে ০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে এ হার কমে ০ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশটিতে ২০২৩ সালে জন্মহার কমেছে এমন নয়। ২০১৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার ১ শতাংশের নিচে রয়েছে। কোনো দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ স্থির রাখতে চাইলে নারীর ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের হার ২ দশমিক ১ শতাংশ হওয়া প্রয়োজন। এশিয়ার এ দেশটিতে এ সমস্যার পেছনে কারণও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নারীরা নিজের ক্যারিয়ার ও আর্থিক অবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান না। এজন্য এ সংকট তৈরি হয়েছে। ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে বাড়ি ভাড়া ও জীবনযাপনের খরচ অনেক বেশি। সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হলো দেশটির রাজধানী সিউল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল ২০২৩ সালে নয়, চলতি বছর ২০২৪ সালে এ হার আরও কমতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর এ হার কমে ০ দশমিক ৬৮ শতাংশ হতে পারে। আর সিউলে এ হার কমে ০ দশমিক ৫৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকতে পারে। জন্মহার কমার এ বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদদেরও অন্যতম হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী এপ্রিলের নির্বাচনকে সামনে রেখে জন্মহার বাড়াতে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এমনকি নির্বাচনী ইশতেহারে দেশব্যাপী আবাসন ও শিক্ষা খাতে খরচ কমানো এবং বিভিন্ন প্রণোদনার সুযোগ দেওয়ারও অঙ্গীকার করছে দলগুলো।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
বাংলাদেশকে অনুদান দেবে দক্ষিণ কোরিয়া
বাংলাদেশকে ৯.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। ‘প্লাটফর্ম ভিত্তিক পরিসংখ্যান পরিষেবা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অনুদান দেবে দেশটি। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকার এ বিষয়ে রেকর্ড অব ডিসকাশন (আরওডি) এবং টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) স্বাক্ষর করেছে। খবর বাসসের। চুক্তি স্বাক্ষরকালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক উপস্থিত ছিলেন। ইআরডি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ড. শাহনাজ আরেফিন, সচিব পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ এবং মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (এশিয়া, জেইসি ও এফঅ্যান্ডএফ) ইআরডি, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের পক্ষে কেওআইসিএ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিম আরওডি ও টিওআর স্বাক্ষর করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে কেওআইসিএ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের মতো উদ্যোগকে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রকল্পটির প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে- জাতীয় পরিসংখ্যান ডেটা ওয়্যারহাউসের (এনএসডিডব্লিউএইচ) জন্য পরিসংখ্যানগত পরিষেবা বৃদ্ধির প্রয়োজনে একটি সমন্বিত পরিসংখ্যান ডেটা ওয়্যারহাউস ও সফটওয়্যার টুলস স্থাপন এবং সরঞ্জাম সিস্টেম পরিবেশকে সহায়তা করা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও এর অংশীদারদের সক্ষমতা জোরদার করার পাশাপাশি এনএসডিএস ও ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য পরিসংখ্যানগত ডেটা ওয়্যারহাউস প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাও প্রকল্পটির লক্ষ্য। প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, শুমারি ও জরিপ ডেটার জন্য একটি সমন্বিত কেন্দ্রীয় স্টোরেজ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জাতীয় পরিসংখ্যানগত সক্ষমতা বাড়ানোর পথে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে জাতীয় পরিসংখ্যান ডেটার জন্য বিবিএসকে একটি এক জাতি প্ল্যাটফর্মে উন্নীত করবে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া
কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। বর্তমানে শত বছরের এই বিতর্কিত প্রথাটি দেশটিতে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ না হলেও অবৈধ নয়। রোববার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত শুক্রবার সরকারি কর্মকর্তা ও পশুঅধিকার কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির নীতিবিষয়ক প্রধান ইউ ইউই-ডং। বৈঠকে তিনি বলেন, কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব ও বিতর্কের অবসান ঘটাতে এটি নিষিদ্ধ করে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের সময় এসেছে। ক্ষমতাসীন দল এই বছর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য সংষদে একটি বিল উত্থাপন করবে। দ্বিদলীয় সমর্থনের ভিত্তিতেই বিলটি সংসদে পাস হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। কৃষিমন্ত্রী চুং হোয়াং-কেউন বৈঠকে বলেছেন, আইন পাস হলে সরকার দ্রুতই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে। আর কুকুরের মাংস ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসীয়দের সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে সরকার। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে কুকুরের মাংস বেচা ও খাওয়া নিষিদ্ধ করতে সংসদে একটি বিল উত্থাপন করেছিল দেশের প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। দেশের ফার্স্ট লেডির নামে প্রস্তাবিত আইনটির নাম কিম কিওন হি বিল দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস বেচা ও খাওয়া নিষিদ্ধ করার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন কিম কিওন হি। গত আগস্টে এক সংবাদ সম্মেলনে কিম কিওন বলেছিলেন, মানুষ ও প্রাণীদের পাশাপাশি বাস করা উচিত। কুকুরের অবৈধ মাংস সম্পর্কিত সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। কোরীয় উপদ্বীপে কুকুরের মাংস খাওয়া শতাব্দী প্রাচীন প্রথা। তবে গত কয়েক বছর ধরে পশু অধিকারবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কুকুরের মাংস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের খামারের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরপরও প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ কুকুর জবাই হচ্ছে।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩
কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। বর্তমানে শত বছরের এই বিতর্কিত প্রথাটি দেশটিতে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ না হলেও বৈধ নয়। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি। গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি সংসদে এই আইনটি প্রস্তাব করেছে। এরপরই ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি এই বিলে সমর্থন দেয়। ফলে সংসদে এ বিল পাসের পক্ষে যথেষ্ট ভোট পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের নীতিবিষয়ক কমিটির প্রধান পার্ক ডাই-চুল বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার এক কোটি পরিবার কুকুর পোষে। তাই এখনই সময় কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার। দেশের ফার্স্ট লেডির নামে প্রস্তাবিত আইনটির নাম কিম কিওন হি বিল দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস বেচা ও খাওয়া নিষিদ্ধ করার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন কিম কিওন হি। গত আগস্টে এক সংবাদ সম্মেলনে কিম কিওন বলেছিলেন, মানুষ ও প্রাণীদের পাশাপাশি বাস করা উচিত। কুকুরের অবৈধ মাংস সম্পর্কিত সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। কোরীয় উপদ্বীপে কুকুরের মাংস খাওয়া শতাব্দী প্রাচীন প্রথা। তবে গত কয়েক বছর ধরে পশু অধিকারবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কুকুরের মাংস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের খামারের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরপরও প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ কুকুর জবাই হচ্ছে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
দক্ষিণ কোরিয়া সফরে ঢাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল
সাত দিনের সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সেখানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ‘জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ঢাবির এই উপ-উপাচার্য। সফরকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, গ্রিন গ্রোথ, গ্রিন ট্রানজিশন, শিক্ষা ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর শিক্ষক ও গবেষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ ছাড়া ঢাবির উপ-উপাচার্য কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোরিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর সম্ভাব্যতা নিয়েও তিনি মতবিনিময় করবেন। তিনি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া
আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়। একইসঙ্গে এ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায় বন্ধু দেশটি। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত 'দক্ষিণ কোরিয়া-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা: উন্নয়ন অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সম্ভাবনা অনুসন্ধান’ শীর্ষক সেমিনারে দুদেশের বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস, কোরিয়া ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটরা) ও কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫০ বছরে এ সম্পর্ক আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। দেশটির সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়, উদ্ভাবন, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, অভিবাসনসহ বিভিন্ন খাতে যৌথভাবে কাজ করার আরও সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দক্ষিণ কোরিয়াকে এ দেশের সত্যিকার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের শুরু থেকেই নানা খাতে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং নরসিংদীতে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এ ছাড়া কোরিয়ান হুন্দাই কোম্পানি গাজীপুরে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এ দুটি ফ্যাক্টরির মাধ্যমে এ দেশের শিল্প খাতে কোরিয়া বিশেষ অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও কোরিয়া পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রতিমন্ত্রী। সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চাই। যেমনটি আমরা অতীতে তৈরি পোশাকশিল্প খাতে হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া আজকের কোরিয়া সম্ভব হতো না। বন্ধুদের সহযোগিতায় মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে কোরিয়া শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। তাই আমরা উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে আমাদের ঋণ পরিশোধে আগ্রহী। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হেয়ক জেওং, কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডংসু কিম, বিডার মহাপরিচালক শাহ মুহম্মদ মাহবুব, এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যান হং, ড. আহসান এইচ মনসুর, অ্যাডওয়ার্ড কিম প্রমুখ।
২৯ আগস্ট, ২০২৩
চীন মোকাবিলা /
সামরিক সম্পর্ক জোরদারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিপজ্জনক ও আগ্রাসী আচরণ ঠেকাতে সাগরপাড়ের দুই দেশ এবং ঘনিষ্ঠ এশীয় মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি সামরিক জোট গঠন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের অবকাশযাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এ-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে একটি সমঝোতা চুক্তিতে সই করেছেন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে তিন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা বলেন, আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান এই মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছে যে, জোটভুক্ত কোনো দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা যে কোনো চ্যালেঞ্জ, উসকানি এবং আচরণ একসঙ্গে মোকাবিলা করবে। এ ছাড়া প্রতিবছর দক্ষিণ চীন সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া এবং বছরে অন্তত একবার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বৈঠক শেষে উপস্থিত অতিথি ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, আমরা এই মর্মে ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের ওপর যদি কোনো ধরনের হুমকি আসে, সে ক্ষেত্রে আমরা যৌথভাবে তা মোকাবিলা করব। এই তিন দেশের মধ্যে তথ্য বিনিময়বিষয়ক একটি হটলাইন থাকবে এবং নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে। রাজনীতিতে কোনো নির্দিষ্ট শক্তির জবরদস্তির সময় শেষ হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক আইনের স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আজ আমি সত্যিই খুব খুশি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চীনের নাম উচ্চারণ না করে বলেন, শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে একতরফাভাবে পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে কোনো কোনো শক্তি লাগাতার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল বলেন, তিন দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া এই সমঝোতার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হলো। চীন ও উত্তর কোরিয়ার বাড়তে থাকা হুমকির মুখে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেন ইউন। এর ফলেই ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠক সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণও এ ক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। চীন অবশ্য নবগঠিত এই জোটের ব্যাপারে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ পেংগিউ বলেন, কারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রথমে অশান্তি সৃষ্টি করে তা সামরিক পদ্ধতিতে সমাধানের চেষ্টা করে, তা সবাই জানে। এশিয়া প্যাসিফিক ও দক্ষিণ চীন সাগরে এই প্রচেষ্টা চালালে ওই অঞ্চলের দেশগুলো তার উপযুক্ত জবাব দেবে। এদিকে তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইয়ের সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রতিবাদে দেশটিকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। বেইজিং জানিয়েছে, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী ফোর্সকে কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়ার অংশ এই মহড়া।
২০ আগস্ট, ২০২৩
সম্পর্কের নবযুগে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া
ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নবযুগে প্রবেশের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশ তিনটি। খবর আলজাজিরা। গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসির ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিডে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক থাকলেও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক আচরণ এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মুখে এই বৈঠক করেন তিন দেশের নেতা। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী ও অভিন্ন সমৃদ্ধির প্রচারে আমরা আমাদের অঙ্গীকারের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ এ সময় দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ‘বিপজ্জনক ও আক্রমণাত্মক আচরণ’ এবং পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কার্যক্রমের নিন্দা জানান তারা। যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান নিজেদের মধ্যকার জটিল সমস্য সমাধান করায় শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা ও ইউনের প্রশংসা করেন বাইডেন। এ সময় তারা বাইডেনের পাশেই ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠক শেষে তিন দেশের মধ্যে বেশকিছু কর্মসূচির কথা জানানো হয়। তারা বলছেন, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বার্ষিক সামরিক মহড়া, তিন দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো এবং আগাম সতর্কবার্তার জন্য সাপ্লাই-চেইন স্থাপন। তারা আরও জানান, আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলায় একটি হটলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে তিন দেশ। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে বার্ষিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন রয়েছে। তবে তিন দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল তিন দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। এবারের সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বৈরিতা নিরসনকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। কেননা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় তাদের এই বৈরিতাকে বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৯ আগস্ট, ২০২৩
আরও
X