

আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়। একইসঙ্গে এ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায় বন্ধু দেশটি। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত 'দক্ষিণ কোরিয়া-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা: উন্নয়ন অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সম্ভাবনা অনুসন্ধান’ শীর্ষক সেমিনারে দুদেশের বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস, কোরিয়া ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটরা) ও কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫০ বছরে এ সম্পর্ক আমরা আরও এগিয়ে নিতে চাই। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। দেশটির সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়, উদ্ভাবন, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, অভিবাসনসহ বিভিন্ন খাতে যৌথভাবে কাজ করার আরও সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দক্ষিণ কোরিয়াকে এ দেশের সত্যিকার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের শুরু থেকেই নানা খাতে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং নরসিংদীতে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এ ছাড়া কোরিয়ান হুন্দাই কোম্পানি গাজীপুরে ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এ দুটি ফ্যাক্টরির মাধ্যমে এ দেশের শিল্প খাতে কোরিয়া বিশেষ অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও কোরিয়া পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চাই। যেমনটি আমরা অতীতে তৈরি পোশাকশিল্প খাতে হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া আজকের কোরিয়া সম্ভব হতো না। বন্ধুদের সহযোগিতায় মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে কোরিয়া শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। তাই আমরা উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে আমাদের ঋণ পরিশোধে আগ্রহী।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হেয়ক জেওং, কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডংসু কিম, বিডার মহাপরিচালক শাহ মুহম্মদ মাহবুব, এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যান হং, ড. আহসান এইচ মনসুর, অ্যাডওয়ার্ড কিম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন