ইতালির ভিচেন্সায় চাঁদপুর কমিউনিটির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ভিচেন্সার থিয়েনে বায়তুল মামুর জামে মসজিদে এই ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল হয়েছে।  রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় বুধবার (৩ এপ্রিল) ইফতারপূর্ব দোয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।  অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যতদিন দেশ পরিচালিত হবে, ততদিন বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। এ সময় তারা শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ কারার অঙ্গীকার করেন।  অনুষ্ঠানে শাবি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মোসলে উদ্দিন খুশবু, প্রথম কমিটির সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাবেক সভাপতি ও সাস্ট ক্লাবের বর্তমান সভাপতি জাকির হোসেন, ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান রিন্টু, পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি (ট্রাফিক, তেজগাঁও বিভাগ) মোস্তাক আহমেদ, বেসরকারি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান শিপন ও পলাশ আহমেদ, পাবনার ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলী আশরাফুল কবির, শাবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আফজাল হোসেন আকন্দ রনি, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও পিকেএসএফ কর্মকর্তা এইচএম আসাদুজ্জামান নোমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিআরডিবি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র, শাবির বঙ্গবন্ধু হল শাখার প্রথম সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা রনি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের, ট্যাক্স কমিশনার মেহেদী মাসুদ ফয়সাল, আইটি প্রতিষ্ঠান ব্রেইনক্রাফটের কর্নধার ও শাবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা ও শাবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান খান সুইট, আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিবুল ইসলাম মুকিত, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আতিকুল ইসলাম আতিক, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্মকর্তা চলন রায়, প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মঞ্জু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী কাওসার ও শাতিল ইভান, ব্যাংক কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, গোলাম সামদানী ও রাশিদ সুমন, বেসরকারি কর্মকর্তা রুম্মান হাসনাত, এসএমসি কর্মকর্তা জয়নাল হোসেন মিলন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর রুহুল আমিন, সাবেক ছাত্রনেতা গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক্সেন তোফাজ্জল হোসেন সৌরভ, ভলিউমেট্রিক ডিজাইনার্সের কর্নধার সাব্বির ও মামুন, অডিট কর্মকর্তা তুহিন, বেসরকারি কর্মকর্তা জুলকার নাইন রাদ, মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত আব্দুল্লাহ আল মনিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইকোনোমিক্স বিভাগের শিক্ষক শুভাশিস, আইটি ব্যবসায়ী রোহান ও সৌরভ, বিমসটেক কর্মকর্তা রিয়াসাত প্রতীক, সাবরেজিস্ট্রার মোশাররফ হোসেন, বেসরকারি কর্মকর্তা তানিম, হিমন, বাতেন, সম্পদ, রানা, আসাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দোয়া পরিচালনা করেন পরিচালনা করেন শাবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (১ নম্বর) ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাজিদুল ইসলাম সবুজ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শাবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ও আয়োজক আব্দুলাহ-আল-মামুন তালুকদার রাজীব। তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে শাবিপ্রবি সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করেছে জাতীয়তাবাদী রিকশা শ্রমিক আন্দোলন।  সোমবার (১১ মার্চ) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাদশা ভাসানীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি  ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।  আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা মহানগরের আহবায়ক সুমন ভূইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ প্রমুখ।  আব্দুস সালাম বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে সারা দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষকে আজ জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আজ দেশের কোথাও নিরাপত্তা নেই, বাকস্বাধীনতা নেই। এ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন ৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আর এর জন্য সকলকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। যে কোনো সময় ডাক আসবে, তখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।  বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, যখন জাতীয় কোনো দুর্যোগ নেমে আসে তখন পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তেমনি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের চক্রান্তে দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এর আগেও জনগণের ওপর অনেক অত্যাচার ও বাকস্বাধীনতা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, পারেনি। এ সরকারও পারবে না ইনশাআল্লাহ।  রিকশা শ্রমিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা অভাবে আছি, ঠিকমতো পেটভরে খেতে পারি না। কিন্তু এর চেয়েও বড় কষ্ট গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া আজ বন্দি। প্রয়োজনে আমরা এক মাস রিকশা চালাব না, না খেয়ে থাকব। তবু বিএনপি নেতাদের বলব-কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরে যাব না। 

রাজধানীর মিরপুর দরবার শরিফে ৯ মার্চ শনিবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মহান আউলিয়া দিবস উপলক্ষে মিরপুর দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবীর আহ্বানে এর আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেবেন মিরপুর দরবার শরিফের মহিলা বিভাগের প্রধান কুতুবুল আকতাব ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ এফ এম বরকত-এ-খোদা, মিরপুর দরবার শরিফের উপমহাপরিচালক সৈয়দ এ এফ এম রহমত-এ-খোদাসহ ইসলামী চিন্তাবিদরা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাজধানীতে আলোচনা সভা, ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ফুটবল টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানীর বাড্ডায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন। একটি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে থানা আমির ডা. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এ ছাড়া ভাটারা, কাফরুল, হাতিরঝিল পূর্ব, গুলশান, মিরপুর, পল্লবী, তেজগাঁওয়ে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মগবাজারে শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ হয়। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে হাজারীবাগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন। মাহ্ফুজ আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নূরুন্নবী মানিক, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এ ছাড়া বিভিন্ন থানায় কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ এবং ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিহত বাংলাদেশিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা পাবনা দারুস সালাম জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  এতে অংশ নেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইটসহ পাবনা সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সব অঙ্গসংগঠনের নেতারা।  চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করসহ বিপুল সংখ্যক নেতারা।  নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা।  ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, সিনিয়র সহসভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল মাখন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।  বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের নির্দেশনায় জামালপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মাবুদ, সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুর সওদাগর, খুরুশকুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা।  পিরোজপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এ ছাড়াও বগুড়া, চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মসজিদে মসজিদে বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল হয়েছে বলে জানা গেছে।

জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।  পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং হামদ ও নাত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শোকসভা শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান শোক প্রস্তাব পাঠ করেন। বুধবার (১৫ নভেম্বর) এসব আয়োজন করা হয়। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক একজন আত্নমর্যাদা সম্পন্ন এবং একাধারে দক্ষ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। সহকর্মীদের প্রতি তার সম্মানবোধ অনুকরণীয় ছিল। অনেক বিষয়েই দ্বিমতের মধ্যদিয়ে শুরু হলেও উপাচার্যের দক্ষতায় সমঝোতায় তা শেষ হতো।’ শোকসভায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের, বাংলাদশে ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। সভাটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হেদায়েত উল্লাহ। এ ছাড়াও শোক সভার প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের একমাত্র সন্তান তাসলিম হক মোনা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় উপাচার্যের সহধর্মিনী নুরুন নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক গত ১১ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। উপচাার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত তিনদিন ধরে শোক পালন করছে। এ ছাড়াও সদ্য প্রয়াত উপাচার্যের স্মারণে আগামীকাল পর্যন্ত সবার জন্য শোক বই উন্মুক্ত রাখা হবে।

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিশমাইর জামে মসজিদে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হয়।  এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ফোরামের নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সৈয়দ কামরুল আহছান, অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক কামরুজ্জামান, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, মো. রেজাউল রকিব প্রমুখ।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী চলা অবরোধে পুলিশের গুলিতে নিহত নেতাকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকার মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাতে শরিক হন। একই কর্মসূচি পালন করেছে শরিক দল ও জোটগুলো। আলাদাভাবে একই কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টিও। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত ৯ জনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় শুক্রবার সারা দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারা দেশে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএম নাজমুল হক, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম, আলতাফ হোসাইন, সাঈদ নোমান, শাহ আব্দুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বাদ আসর গায়েবানা জানাজা ও মোনাজাতে অংশ নেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, মুহাম্মদ রাশেদ খান, আবু হানিফ, যুব জাগপার মীর আমির হোসেন আমুসহ জোটের নেতারা। এ ছাড়া লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের উদ্যোগে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অবিলম্বে সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে শুরু করে অবরোধ চলাকালে পুলিশের গুলিতে যেসব নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জুমার নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল হয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জুমার নামাজের পর যার যার এলাকায় মসজিদে অনুষ্ঠিত বিশেষ এই মুনাজাতে শরিক হন। একই কর্মসূচি পালন করেছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল, জোটগুলো। পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টি। সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বাদ জুমা মুনাজাতে শরিক ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর ও অদ্যাবধি পুলিশের গুলিতে ৯ জন নিহত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনায় শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশের সকল মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মোতাবেক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ, ২৯ তারিখ দেশব্যাপী হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর ও ১ এবং ২ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি সফলভাবে পালন করতে গিয়ে দলীয় যেসকল নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক আওয়ামী পুলিশ বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বাদ জুমা সারা দেশে প্রায় সকল মসজিদে মুনাজাত করা হয়েছে। তন্মধ্যে বগুড়ায় দোয়া হয়েছে। ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের তত্ত্বাবধায়নে দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়েছে। বিকেল ৪টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএম নাজমুল হক, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম, আলতাফ হোসাইন, সাঈদ নোমান, শাহ আব্দুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। বাদ আসর বিজয়নগরে গায়েবানা জানাজা ও মুনাজাতে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, মুহাম্মদ রাশেদ খান, আবু হানিফ, যুব জাগপার মীর আমির হোসেন আমুসহ জোটের নেতারা। এ ছাড়া লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের উদ্যোগে বিশেষ মুনাজাত করা হয়েছে।