বন্ধুকে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার সুরুণ্ডী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার সদর থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী শনিবার বিকেলে বন্ধুর সঙ্গে বেউথা ব্রিজ এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুজাঘাট ব্রিজ এলাকায় বোয়ালিয়া গ্রামের মো. সাইদুরের ছেলে সাব্বির তার সহযোগীদের নিয়ে দুজনের পথরোধ করে। এ সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বন্ধুর কাছ থেকে মেয়েটিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাকি দুজন সুরুণ্ডী গ্রামের জোসন মিয়ার ছেলে জাহিদ মিয়া ও নয়াকান্দি এলাকার মামুন ইসলামের ছেলে মহিউদ্দিন ইসলাম ওই ছাত্রীর বন্ধুকে সেখানে আটকে রাখে। আর সাব্বির মেয়েটিকে শহরের জরিনা কলেজ মোড়ের পাশে কৃষি জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীকে তার বন্ধুর কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ সময় এলাকাবাসী ধর্ষক সাবিরসহ স্কুলছাত্রী ও তার বন্ধুকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর নানি বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার সাব্বির ও মহিউদ্দিনকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়।
০৬ মে, ২০২৪

ধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরের সিংড়ায় অপহরণের পর গণধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছাব্বির আহম্মেদ ওরফে আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তার ছাব্বির আহম্মেদ বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ এলাকার বাসিন্দা। এর আগে বৃহস্পতিবার ( ২ মে) রাতে ঢাকার বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, চান্দাই গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে ছাব্বির আহম্মেদ ওরফে আবু সাইদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাব্বির ওই ছাত্রীকে কৌশলে সিংড়া উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায়। সারাদিন ঘোরাঘুরির পর রাতে কলম মির্জাপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে নিয়ে সে ও তার বন্ধুরা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর সিংড়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করা হয়।  ক্যাম্প সূত্রে আরও জানা গেছে, তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নাটোরের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম গত বছরের ৫ এপ্রিল ছাব্বির আহম্মেদ ওরফে আবু সাইদসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে আবু সাইদ পলাতক ছিলেন। র‍্যাব-৫ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামিকে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।  বড়াইগ্রাম থানার ওসি শফিউর আজম খান বলেন, আসামি ছাব্বির আহম্মেদকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

প্রবাসে স্বামীদের জিম্মি করে দেশে স্ত্রীদের ধর্ষণ (ভিডিও)
সুন্দরী স্ত্রীদের টার্গেট করে প্রথমে তাদের স্বামীকে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেন দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। এরপর প্রবাসে স্বামীকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্ত্রীকে ভিডিও কলে নগ্ন হতে বাধ্য করেন। এক পর্যায়ে দেশে এসে স্ত্রীদের ধর্ষণ করেন। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। যখনই স্ত্রী বেঁকে বসে, তখনই বিদেশে স্বামীকে নির্যাতন করা হয়। এরপর স্ত্রীকে আবারও তার কাছে যেতে বাধ্য হয়। লোমহর্ষক এক ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদ পেতেছেন বরগুনার পাথরঘাটার দক্ষিণ চরদুয়ানি এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। এই ফাঁদ পেতে ওই এলাকার অনেক গৃহবধূকে বিছানায় নিতে বাধ্য করেন তিনি। কিন্তু মান সম্মানের ভয় এবং স্বামীকে বাঁচাতে মুখ খুলছেন না কোনো নারী। তবে মাসের পর মাস ধর্ষিত হওয়ার পর কালবেলার কাছে মুখ খুলেছেন এক নারী। জানিয়েছেন, ভয়ংঙ্কর সব অভিযোগ ও অভিজ্ঞতার কথা। জানা গেছে, প্রায় তিন দশক ধরে প্রবাসে থাকেন আল মামুন। সেখানে অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ার পর থেকেই এভাবে গৃহবধূদের টার্গেট করে আসছেন তিনি। গৃহবধূদের সঙ্গে তার অন্তত ডজন খানেক ভিডিও কালবেলার হাতে রয়েছে।  স্থানীয়রা জানান, নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাত দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। বিদেশে যাওয়ার পর এলাকার বেকার যুবকদের সেখানে নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন এই প্রতারক। এভাবে হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর টার্গেট করেন এলাকার গৃহবধূদের। এলাকাবাসী এসব ঘটনা জানলেও তারা কিছুই করতে পারছে না। শুধু প্রশাসনের কাছে মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।  স্বামীকে বাঁচাতে এবং মান-সম্মানের ভয়ে এসব ঘটনা মুখ বুজে সহ্য করছেন ভুক্তভোগীরা।  পাথরঘাটা থানা ওসি আল মামুন জানান, দ্রুতই তারা এসব ঘটনা তদন্ত করে দেখবেন। কোনো নারী অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সেই নারীকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
০৩ মে, ২০২৪

মাদ্রাসা ছাত্রীকে লঞ্চে নিয়ে ধর্ষণ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৮ম শ্রেণীর এক মাদ্রসাছাত্রীকে (১৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে (১ মে) রায়পুর থানায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত রাকিবসহ তার মা ও বোনকে আসামি করে ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে (২ মে) ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল এবং আদালতে হাজির করবেন পুলিশ।  মামলার এজাহারে জানা যায়, কিশোরীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তার মা মানুষের বাসায় গৃহকর্মী এবং বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। কিশোরী শহরের টিসি সড়কের স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে চর আবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে রং মেস্ত্রী রাকিব হোসেন (২৫) তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।  রোববার (২১ এপ্রিল) শহরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রামের বড় বোনের শশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে শহরের শহীদ মিনার এলাকা থেকে রাকিবসহ অজ্ঞত আরও ২ জন কিশোরীর মুখে কাপড় চেপে ধরে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে হায়দরগন্জ বাজার হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর লঞ্চ ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে আটক করে ওই দিন কিশোরীকে রাবিক কয়েকবার ধর্ষণ করে। ওই রাতে রাকিব কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু রাকিবের মা ও বাবা তাদের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রাকিব তাদের বাড়িতে কিশোরীকে রেখেই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে কিশোরীর পরিবারকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে সময় কালক্ষেপণ করায় বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করা হয়। কিশোরীর মা জানান, আমার অবুঝ কিশোরী মেয়ের সর্বনাশ করেছে বখাটে রাকিব। আমি সমাজের মানুষের কাছে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করেছি। আমি উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাকিব পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তার বাবা মিছির আলী ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করেন। রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, বুধবার রাতে (১ মে) ধর্ষণ আইনে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এরপর বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার জবানবন্দি নিতে লক্ষ্মীপুর বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর।
০৩ মে, ২০২৪

বগুড়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি লিমন সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ধুনট উপজেলার নাংলু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১ মে) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা। লিমন সিকদার (৩০) সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর উত্তরপাড়া এলাকার শাহাদুল সাকিদারের ছেলে। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার এক নারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে লিমনের পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ২১ অক্টোবর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে সারিয়াকান্দির কুতুবপুর বাজারে ডেকে নেয় লিমন। পরে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফসলের জমিতে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ সময় লিমনের সঙ্গে আরও তিন-চারজন যোগ দেয়। একপর্যায়ে সেখানে তারা ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তিনি জানান, এ ঘটনার পরের দিন ওই নারী সারিয়াকান্দি থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর থেকে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। তিনি আরও জানান, লিমন গ্রেপ্তার এড়াতে ও মামলার থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিমনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সারিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

স্কুল থেকে ফেরার পথে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাজরিন সুলতানা ঝুমু নামে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  সোমবার বিকেলে শিশুটির বিবস্ত্র লাশ রাস্তার পাশের ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।  ঝুমু উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে সোনালি শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঝুমুর মা রাজিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও আমার মেয়েকে নিজ হাতে ভাত খাইয়ে স্কুলে দিয়ে আসি। কিন্তু স্কুল ছুটির অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও ঝুমু বাড়িতে না আসায় চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। একপর্যায়ে আমি সদর দক্ষিণ থানায় জিডি করতে রওনা দেই। অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পর খবর পাই আমার মেয়ে রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিব বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এমন ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারছি না। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমি এর বিচার দাবি করছি। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ৯ বছরের একটি মেয়েকে এভাবে হত্যা করবে এটা অভাবনীয়। এ ঘটনায় শক্ত মামলা হচ্ছে। শিশুটির মরদেহ থানায় রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠানো হবে। এরপর জানা যাবে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক আলামত দেখে মনে হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন সেই মুশতাক
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এ আদেশ দেন। আগামী ২ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।  পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ তথ্য জানান, মুশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।  তিনি বলেন, আজ আসামিদের স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করি। আদালত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। ২০২৩ সালের ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন। মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় ফাওজিয়া রাশেদীকে। পরে মামলায় তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। গত ৩ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেন মামলার বাদী। মামলার অভিযোগে বাদী মো. সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং তার মেয়েকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজখবর নেওয়ার নামে খন্দকার মুশতাক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন মুশতাক।  এ রকম আচরণের বিষয়ে পরে মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী, মুশতাককে তার কক্ষে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটিকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং মুশতাক আহমেদকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। মামলার বিররণে বলা হয়, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি ফাওজিয়া রাশেদী, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করেন। এ পরিস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু মুশতাক আহমেদ তার লোকজন দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর সাইফুল ইসলাম জানতে পারেন, তার মেয়েকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে খন্দকার মুশতাক আহমেদ অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন। 
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ
পিরোজপুরের নেছারাবাদে খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের ঘরের পেছনের জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবকের নাম মো. মেহেদী হাসান বাপ্পি (২১)। সে উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জুলুহার গ্রামের মো. মজিবুর শেখের ছেলে। একই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন বেপারির আপন ভাগ্নে সে। ভুক্তভোগীর মা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটি প্রকৃতির ডাকে পেছনের দরজা খুলে রান্নাঘরে গেলে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাপ্পি। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায় সে। ওই সময় শিশুটির মা ছোট বোনের জন্ম নিবন্ধন করার জন্য সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করছিলেন। নেছারাবাদ থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ফের কারাগারে আ.লীগ নেতা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমানের জামিন বাতিল করে ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মৌলভীবাজার নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সোলায়মান ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি জামিনে থাকা মুহিবুর আদালতে গেলে তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তোফায়েল ইসলাম সবুজ।  মামলা ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ হিঙ্গাজিয়া (তামারপাড়) গ্রামের মৃত. সাজিদ মিয়ার ছেলে কুলাউড়া উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মুহিবুর রহমান একই এলাকার এক কলেজছাত্রীকে (২৬) প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করতেন। কিন্তু মুহিবুর ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও তার স্ত্রী-সন্তান থাকায় ওই ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। পরে মুহিবুর ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।  একপর্যায়ে কলেজছাত্রী তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে মুহিবুর নানা টালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী গত বছরের ২৯ মে দুপুরে আসামিকে স্থানীয় বাজারে পেয়ে তাকে বিয়ের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জোর দাবি জানায়। এ সময় মুহিবুর ও তার পরিবারের লোকজন কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ভুক্তভোগী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসা নেন। গত বছরের ৩১ মে কুলাউড়া থানায় মুহিবুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ১ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে গত বছরের ১৩ জুন মৌলভীবাজার আদালতে জামিন নিতে গেলে গ্রেপ্তার হন আ.লীগ নেতা মুহিবুর। এ নিয়ে এই মামলায় দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নুরনবী হোসেন রাব্বি (২১) নামে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে এনায়েতপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, পার্শ্ববর্তী শাহজাদপুর থানার কৈজুরী ইউনিয়নের গুপিয়াখালী গ্রামের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজছাত্রী তার অসুস্থ চাচিকে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। ওই সময় ওয়ার্ড বয় রাব্বির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় ফোনে ওই কলেজছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ৭ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে রাব্বি কৌশলে ডেকে এনে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ইউরিন বুথের টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রাব্বি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নির্যাতিত মেয়েটির মামা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানায় রাব্বিকে আসামি করে মামলার পর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
X