প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হানু শেখ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের হোসনাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মহাদান ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের মৃত মহর শেখের ছেলে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান কালবেলাকে জানান, সোমবার (৯ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হানু শেখকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-২০২০) এর ৯(১) ধারা মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।  ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মোছা. ঝর্না বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে তার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে প্রতিবেশী হানু শেখের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সময় হানু শেখের বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হানু শেখ। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ইশারায় ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তার মা বিষয়টি হানু শেখের বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে সে উল্টো গালাগালাসহ ঝর্না বেগমকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ঝর্না বেগম থানায় গিয়ে হানু শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতে (৮ এপ্রিল) পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামির বসতবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করে কিশোরীর মা। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হানু শেখকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।  
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রামপুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গ্রামপুলিশের এক নারী সদস্য আদালতে এ মামলা করেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে জামালপুর নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে হওয়া মামলার বিষয়টি ভুক্তভোগী নিজেই সাংবাদিকদের জানান।  তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও মাজালিয়া গ্রামের মো. কামাল হোসেনকেও আসামি করেছেন তিনি। মামলাটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক শহীদুল ইসলাম সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন।  মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের অনুসারী কামাল হোসেন ২০২৩ সালে ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে তাকে ভয় দেখিয়ে স্বামীকে তালাক দেওয়ান। এরপর কামাল ডোয়াইল বাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে নারীকে থাকতে দেন। সেখানে দীর্ঘদিন ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন কামাল।  এদিকে ভুক্তভোগী কামালকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কামাল বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন। একপর্যায়ে কামাল জানান, তার আরও দুই স্ত্রী রয়েছে। তাই নতুন বিয়ে করা সম্ভব না।  এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের কাছে অভিযোগ করেন। এ সুযোগে চেয়ারম্যান গত ২২ জানুয়ারি গ্রামপুলিশের ওই নারী সদস্যকে একটি স্কুলে আসতে বলেন। সেখানে গেলে পঞ্চম তলার একটি কক্ষে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকার পক্ষে কাজ করি। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এসব মামলার কোনো সত্যতা এবং ভিত্তি নেই। এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
২২ মার্চ, ২০২৪

ধর্ষণের অভিযোগ থানায় ‘মীমাংসার’ চেষ্টা, মামলা গ্রহণের নির্দেশ আদালতের
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় একটি ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ ‘মীমাংসার চেষ্টা’ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ভুক্তভোগীর চিকিৎসার ছাড়পত্র নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও থানার ওসি মামলা গ্রহণে ‘অনীহা’ প্রকাশ করে বলেও অভিযোগ তুলেন বাদী। তবে এ ঘটনায় রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদনের পর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে লংগদু থানাকে জিআর মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিউল আলম মিঞা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ভিকটিমের বাবা মামলার আবেদন করে। আবেদন শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত মামলার আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং থানাকে জিআর মামলা হিসেবে এন্ট্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক এ ই এম ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৪ বছরের ওই কিশোরী ভিকটিমের বাবা মামলার আবেদন করেন।  মামলার আবেদনে মো. জাহিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক ছাড়াও অজ্ঞাত আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। মো. জহিরুল ইসলাম (২৭) উপজেলার বগাচত্বর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়ার মো. রাজ্জাক আলীর ছেলে। মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যার দিকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কাগইজ্জ্যা ছড়া ঝর্ণার থেকে ভিকটিম খাবার পানি আনার সময় জাহিরুল ইসলাম ভিকটিমের পেছন থেকে এসে ভিকটিমের হাত, মুখ বেধে ঝর্ণার পূর্বে তামাক ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞাত এক লোক আসামির নাম ধরে ডাক দিলে আসামি ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ভিকটিম তার মাকে বিষয়টি জানালে ভিকটিমের বাবা স্থানীয় মেম্বারকে জানিয়ে লংগদু থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন এবং দ্বিতীয় দফায় মামলা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ করলে লিগ্যাল এইড অফিস ঘটনার পর্যালোচনা করে সরকারি খরচে বাদীকে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
২২ মার্চ, ২০২৪

প্রতিবেশী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফুল চাঁন মিয়া নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান র‍্যাব-১১-এর মিডিয়া অফিসার মেজর অনাবিল ইমাম। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর দাদা মঙ্গলবার সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই থানায় বৃদ্ধকে হস্তান্তর করা হয়েছে।  সোনারগাঁ থানা পুলিশ ফুল চাঁন মিয়াকে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। মামলায় বলা হয়, সোনারগাঁ পৌর এলাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই ছাত্রী ৮ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক প্রয়োজনে প্রতিবেশী ফুল চাঁন মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে আরও দুই দফায় ধর্ষণ করা হয়। গত সোমবার বিকেলে ফের ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিলে ভুক্তভোগী আত্মহত্যার হুমকি দেয় এবং পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। এতে এলাকায় ঘটনা জানাজানি হলে ফুল চাঁন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। সোনারগাঁ থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধকে র‍্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জাবিতে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত যুবক মামুন (৪৫)। মোস্তাফিজুর মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। জানা যায়, ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত মামুন। তার প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন তিনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসলে তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের 'এ' ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। এরপর তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। তার প্রেক্ষিতে মামুনের জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী নারী। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন হলের ভেতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর তার স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে ওই নারীকে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। ভুক্তভোগী নারী বলেন, মামুন ভাই আমাদের বাসায় ভাড়া থাকত। তিনি আমার স্বামীর মাধ্যমে ফোন দিয়ে আমাকে তার রেখে যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলেন। আমি তার জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। তখন তিনি আমাদের বাসায় থাকবেন না বলে জানান। এছাড়া তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের মোস্তাফিজ ভাইয়ের কাছে থাকবেন বলেও জানান। এরপর মামুন আমার কাছ থেকে তার জিনিসপত্রগুলো নিয়ে হলে রেখে আসেন। পরে আমার স্বামী অন্যদিকে থেকে আসবে বলে আমাকে হলের সামনে থেকে পাশের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে মোস্তাফিজ ভাইও ছিল। তখন তারা আমাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম বলেন, ঘটনা শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ঘটনা শুনেছি, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের নিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলে এসেছি। এ ঘটনায় পুলিশ আমাদের কাছে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা চাইলে, আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। হলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, আমরা শাস্তির ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি আব্দুর রাসিক বলেন, ভুক্তভোগী থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনা জানিয়েছেন। আমরা প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে (২২) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহাদাত নামে আরেক যুবক ওই নেতাকে সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে ওই গৃহবধূ।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জানিয়েছেন, উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামের এ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।   ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বলেন, ২০ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে শাহাদাত আমার মেয়ের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে শাহাদাত তাকে জোবায়েরের হাতে তুলে দেয়। পরে জোবায়ের তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে মেয়ের সর্বনাশ করে। এ সময় শাহাদাত পাহারারত অবস্থায় ছিল। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। তার মেয়ের এক বছর আগে বিয়ে হয়েছে বলেও জানান তিনি।  অভিযুক্ত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। শাহাদাত একই এলাকার সাহাবুদ্দিনের ছেলে।  ওই গৃহবধুর মা আরও বলেন, আমি চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে কাজ করি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমি গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি।  অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। পুলিশ শনিবার রাতে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।  লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি।   রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূকে দেখে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার কার্যক্রম শেষ করেই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা জানান, উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে শাহাদাত আমার মেয়ের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে শাহাদাত তাকে জোবায়েরের হাতে তুলে দেয়। পরে জোবায়ের তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় শাহাদাত পাহাররত অবস্থায় ছিল। তিনি আরও বলেন, আমি চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে কাজ করি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমি গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত না। পুলিশ শনিবার রাতে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি। রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূকে দেখে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার কার্যক্রম শেষ করেই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে 
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হয়েছেন তিনি।  ওসিসির কর্মকর্তারা জানান, ডুমুরিয়ার এক তরুণী গতকাল শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ভর্তি হয়েছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।  রাতেই তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) তার ডিএনএ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে। ওই তরুণীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শনিবার রাতে মোবাইল করে তার বোনকে শাহপুর এলাকায় তার ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকদিন ধরে আমার বোনের সঙ্গে এসব করছিলেন তিনি। ঘটনার দিন তার বোন চেয়ারম্যানকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমি ডুমুরিয়া থানায় যাব। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডুমুরয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি পুরোপুরি একটি ষড়যন্ত্র। তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান। ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, এখনও কেউ থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

চলন্ত ইজিবাইকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে চলন্ত ইজিবাইকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের দাবিতে ধর্ষকের বাড়িতে অবস্থান করছে ভুক্তভোগী।  ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) উপজেলার জলিল পাড় ইউনিয়নের ফুলকুমারী গ্রামে।  এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নবম শ্রেণির ছাত্রী জানান, ইতালি প্রবাসী জলিলপার ইউনিয়নের ফুলকুমারী গ্রামের নিখিল তালুকদারের ছেলে তুষার তালুকদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ ১৭ জানুয়ারি তুষার আমাকে বেলা ১১টার দিকে দেখা করার কথা বলে। আমি তার সঙ্গে নির্ধারিত স্থান কাশিয়ানী উপজেলার উজানী ইউনিয়নের উজানী গ্রামে দেখা করতে গেলে সে আমাকে একটা ইজিবাইকে ওঠায়। কথা বলার একপর্যায়ে সে আমাকে চলন্ত ইজিবাইকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এখন আমি বিবাহের দাবিতে তুষারদের বাড়িতে এসে উঠেছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। ভুক্তভোগী আরও বলেন, তুষারের চাচা মিহির তালুকদার, ভাই লিটন তালুকদার, মা, মিনা তালুদার ও তার ভাবি বিপাশা তালুদার ধর্ষক তুষারকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তার পরিবারের লোকজন আমার সঙ্গে  প্রতারণা করছে।  ইউপি সদস্য সুমন মন্ডল জানান, বিষয়টি নিয়ে রাতে সালিশ বৈঠক হয়েছিল। তবে কোনো সমাধান করতে পারিনি।  অভিযুক্তসহ তার পরিবারের সবাই পলাতক থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ অনন্ত বাইন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর পাহারায় রাখা হয়েছে। তবে ধর্ষক তুষার তালুকদার পলাতক রয়েছেন।    এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার ওসি জানান, বিষয়টা আমি জানার পর স্কুল ছাত্রীর পাহারায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে রাখা হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) নিরাপত্তা ব্যারাকের ভেতর ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল হাইকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত আব্দুল হাই শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রে থাকা বন্দিদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। অনুষ্ঠান চলাকালে দুপুরে নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল হাই শিশুটিকে চিপস ও চকলেট দেবার কথা বলে উন্নয়ন কেন্দ্রের দশ নাম্বার নিজ ব্যারাকে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অসুস্থ শিশুটিকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন রোববার বিষয়টি নিয়ে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সোমবার শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিশুটির বাবা বলেন, আমরা স্ত্রী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন। আমরা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আবাসিক ভবনে (কোয়ার্টার) বাস করি। আব্দুল হাই তাদের ব্যারাকে নিয়ে আমার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের কাছে জানালে তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার দুই দিন পর সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ সত্য নয়। পুলিশ এসেছিল আব্দুল হাইকে নিয়ে গেছে। টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম কালবেলাকে বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। নির্যাতিতা শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
X