গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) নিরাপত্তা ব্যারাকের ভেতর ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল হাইকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত আব্দুল হাই শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রে থাকা বন্দিদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। অনুষ্ঠান চলাকালে দুপুরে নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল হাই শিশুটিকে চিপস ও চকলেট দেবার কথা বলে উন্নয়ন কেন্দ্রের দশ নাম্বার নিজ ব্যারাকে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অসুস্থ শিশুটিকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার পরদিন রোববার বিষয়টি নিয়ে শিশু উন্নয়নকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সোমবার শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শিশুটির বাবা বলেন, আমরা স্ত্রী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন। আমরা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আবাসিক ভবনে (কোয়ার্টার) বাস করি। আব্দুল হাই তাদের ব্যারাকে নিয়ে আমার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের কাছে জানালে তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার দুই দিন পর সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ সত্য নয়। পুলিশ এসেছিল আব্দুল হাইকে নিয়ে গেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম কালবেলাকে বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। নির্যাতিতা শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন