ভোট দেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করলেন ছাত্রলীগ নেতা
গোপন কক্ষে নিজের ভোট দিয়ে সেই ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। বুধবার (৮ মে) সকাল ১১টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের জরিনা মিয়ার উদ্দিন ও জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। স্থানীয় এক ভোটার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার ভিডিও করেন। পরে সেই ভিডিও এবং ছবি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এ বিষয়ে রাব্বি বলেন, আইডিটা আমার এডমিন চালায়। সে ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। আমি দেখার পর ভিডিওটা সরিয়ে নিয়েছি। জরিনা মিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, গোপন কক্ষের মধ্যে ফোন নিয়ে যাওয়া ও ছবি তোলা আইন বিরোধী কাজ। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ভোট কেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ছবি তোলা বেআইনি। এ বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩৫ মিনিট আগে

ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আ.লীগ নেতা আটক 
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।  বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের কাটপোল এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটক শাখাওয়াত হোসেন উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, কাটাপোল গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনকে দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। তিনি নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন এবং আজ সাধারণ ভোটারের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, শাখাওয়াত হোসেনকে জীবননগর থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে

বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন কারামুক্ত
দীর্ঘ ছয় মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। বুধবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। এসময় কারাফটকে খোকনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে এলাহী, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের গত ২৬ জানুয়ারি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহসভাপতি পদ দেওয়া হয়। এতে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেন এবং পরে ভাঙচুর করেন। এরপর কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন পদবঞ্চিতরা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মে বিকেলে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে শতাধিক মোটরসাইকেল বহন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা বিএনপির চিনিশপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ের সড়কে ঢোকার পর দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বহিষ্কৃত নেতা ছাদিকুর রহমান ও তার অনুসারী আশরাফুল হক (২২)। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। পরে ওই ঘটনায় নিহত ছাদিকুরের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ জেলা বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় খোকন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেয় তিনি। গত বছরের ২৭ জুলাই তার জামিনের মেয়াদ শেষে হয়ে যাওয়ার পর খোকন আদালত থেকে আর স্থায়ী জামিন নেয়নি। এই প্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। পর দিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। সেই থেকে কারাগারেই ছিলেন খায়রুল কবির খোকন।
৪ ঘণ্টা আগে

টেকনাফে বন্ধুর হাতে খুন ছাত্রলীগ নেতা
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতার ভাই আহত হয়েছেন। নিহত রাকিব শাহরিয়ার মুরাদ (২১) বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুরাদের চাচা মোহাম্মদ আরিফ বলেন, শামলাপুর এলাকার রফিক ও আদিল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মুরাদকে বাজারে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ভাইকে বাঁচাতে গেলে মামুনকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তিনি জানান, কোনো একটি বিষয় তাদের মধ্যে ঝামেলা ছিল। মীমাংসার কথা বলে মামুনকে বাজারে ডেকে নেয় তারা। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাশের একটি কর্মকারের দোকান থেকে ধারালো দা নিয়ে মুরাদকে কোপায় তারা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে রফিক দাবি করেন মুরাদের মোবাইলে তার একটি গোপন ছবি আছে। এটি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সোমবার বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, মুরাদ ও রফিক দুই বন্ধু। ছবি আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রফিকের ছুরিকাঘাতে নিহত হন মুরাদ। লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে

গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (৭ মে) সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকাও প্রকাশ করা হয়।  স্মরণসভায় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতিচারণা করে বলেন, সেদিন নির্মমভাবে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো। তখন হত্যাকারীদের বিচার হলো না! কী কারণে বিচার হলো না? হত্যাকারীদের রায় কেন হচ্ছে না? আমার বোধগম্য নয়! তবে আমাদের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ এ হত্যাকারীদের শাস্তি চায়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার বিএনপির জোট সরকারের দুঃশাসনের আমলে কখনো লড়াই সংগ্রামে পিছপা হননি। তিনি জনগণের নেতা ছিলেন। জনগণকে সাথে নিয়ে সবকিছু মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন। আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো ত্যাগী নেতাদের পুরো দেশজুড়ে প্রয়োজন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতেন প্রয়াত এমপি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার। আমরা এমন একজন মানুষকে হারিয়েছি যিনি একজন সৎ মানুষ ছিলেন সেই সাথে একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন। বর্তমানে এমন আদর্শবান নেতা পাওয়া কঠিন।  স্মরণসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার বাবার খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানান। তিনি বলেন, এ রায় কার্যকর হলে গাজীপুরবাসী কলঙ্কমুক্ত হবে। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের ভাত এবং ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেদিন ভাত এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াইয়ের ডাক দিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার সেদিন ভাত এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নিজেকে উজার করে দিলেন। দাঁড়ালেন শ্রমিক তথা এই অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষের পাশে।  বিশেষ অতিথি টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী অনেক রাজনীতিবিদ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান অঙ্গীকার সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার তার ব্যতিক্রম। জীবনভর শুধু মেহনতী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার তার কর্মের মাধ্যমেই চির জাগরূক থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।   আয়োজনে অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) মো. আব্দুল কাইয়্যূম বিপুল বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সততা, দেশপ্রেম বর্তমান যুব সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি তার অকৃত্রিম দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসা তাকে গাজীপুরের সর্বস্তরের মানুষের নেতায় পরিণত করেছিল। মানবসেবায় জীবনভর তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।   স্বরণসভায় অন্যদের মধ্যে গাজীপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্যাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মণ্ডল বক্তব্য দেন। এ সময় জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াছ, পূবাইল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জাহিদ আল মামুন, স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান সরকার বাবু, টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শরিফুল হাসান খান প্রমুখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।    এর আগে আমন্ত্রিত অতিথিরা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরবর্তীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।   
২০ ঘণ্টা আগে

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী / লাখ লাখ টাকাসহ আ.লীগ নেতা আটক
বিপুল পরিমাণ টাকাসহ পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। পাশাপাশি নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ও ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। শাহীনুজ্জামান শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার প্রতীক আনারস। আটক বাকি তার ১০ সহযোগীর নামপরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি র‌্যাব। তবে আটকদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছেন। র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমধাপে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে র‌্যাবের নিয়মিত টহল দল সুজানগরের চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন ও তার ১০ সহযোগীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তার গাড়িতে রাখা দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। মেজর মো. এহতেশামুল হক আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, টাকাগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে নির্বাচনে ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাবনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। বিধি মোতাবেক আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৭ মে, ২০২৪

প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার যুবলীগ নেতা
জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিজন কুমার চন্দের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী রিতুকে পিটিয়ে আহত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান স্বপনের কাপ পিরিচ প্রতীকের কর্মীরা। আহত রিতু উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঘটনায় কাপ পিরিচের কর্মী প্রধান অভিযুক্ত টনিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসোহেল খান বলেন, আজ (৬ মে) রাত ৮টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতে রিতুর উপর আক্রমণ চালায় কাপ পিরিচের কর্মী টনিসহ অন্যরা। তিনি জানান, টনি তার বাবার চা স্টলে পনের বিশ জন ওৎপেতে ছিলেন। তারা রিতুকে একা পেয়ে হামলা চালায়। তাদের আক্রমণে ধারালো কোন বস্তুর আঘাতে রিতুর মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। এ সময় বাজারের সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে টনিকে গণধোলাই দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়। খবর পেয়ে জামালপুর সদর থানা পুলিশ টনিকে আটক করে নিয়ে যায়। মোটর সাইকেল প্রতীকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন সমন্বয়ক সরোয়ার হোসেন শান্ত ঘটনার নিন্দা জানান। নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত এ ঘটনায় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। জামালপুর সদর থানার ওসি মহব্বত কবির কালবেলাকে জানান,  এ ঘটনায় একজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।  
০৭ মে, ২০২৪

ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন বিএনপির প্রবীণ দুই নেতা
বগুড়ার শেরপুরে শাহ আলম ওরফে পান্না ও আবদুল আজিজ নামে দুই নেতা বিএনপি ছেড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। রোববার (৫ মে) রাতে এক ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে দলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। শাহ আলম ওরফে পান্না শেরপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুল আজিজ শেরপুর পৌর বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর খেলার মাঠে ওয়াজ মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের বগুড়া কমিটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল হক আজাদ। মাহফিলে শেরপুর উপজেলার কয়েক হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দুজন বিএনপি ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম উপস্থিত ছিলেন।  জানা গেছে, শাহ আলম ওরফে পান্না উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। প্রায় ৪১ বছর ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। ১৯৮৩ সালে ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্রদলে যোগ দেন। ছাত্রজীবন শেষে বিএনপির শহর ও উপজেলা কমিটিতে ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবছর শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ উপজেলা বিএনপি কমিটির সদস্যপদে ছিলেন। শাহ আলমের বড় ভাই জানে আলম (খোকা) শেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র। অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে জানে আলম ছিলেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী। অপরদিকে আবদুল আজিজ বগুড়া-৫ আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) ছিলেন। অন্তত ৩০ বছর তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শেরপুর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি ইমরান খান কালবেলাকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দুজন আমাদের দলে যোগদানের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাদের হাতে দলীয় প্রতীক হাতপাখা তুলে দেন। এর আগে ওই দুজন দলীয় ঘোষণাপত্রে সই করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, আমরা মুসলমান, ইসলামের পথে থাকতে হবে। এ জন্য আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলে যোগদান করেছি। বিএনপির চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের আদর্শ ভালো। শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, শাহ আলম ওরফে পান্না সবসময় বিএনপিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করেছেন। এ দলবদল দলীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বরং স্থানীয়ভাবে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে।
০৬ মে, ২০২৪

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় আরও তিন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সোমবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. নুর সালাম সরকার (ভাইস চেয়ারম্যান), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া (ভাইস চেয়ারম্যান) এবং গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. তহিদুল আলম মন্ডল সুমন (চেয়ারম্যান)। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা ও পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ৫ মে দল ও অঙ্গ সংগঠনের ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
০৬ মে, ২০২৪

চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চাইলেন সেই আ.লীগ নেতা
রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে বেধড়ক পেটানো সেই আওয়ামী লীগ নেতা এলিম পাহাড় এবার পা ধরে মাফ চেয়েছেন। রোববার (৫ মে) শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর উপস্থিতিতে চিকিৎসকের পা ধরে মাফ চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মাফ চাওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। এলিম পাহাড় শরীয়তপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি। ভুক্তভোগীরা হলেন, চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন ও তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান।  ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবনে হামলার শিকার চিকিৎসকরাসহ কয়েকজন চিকিৎসক বসে আছেন।  এলিম পাহাড়কে তাদের পায়ে ধরে মাফ চাইতে বলছেন এমপি। তখন এলিম দুই চিকিৎসকের মধ্যে প্রথমে ডাক্তার শেহরিয়ারের পায়ে এবং পরে তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের কাছে পা ধরে ক্ষমা চান। এ সময় তাকে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর পায়ে ধরতেও দেখা যায়।  ভিডিওতে পালং মডেল থানার ওসি মেজবাউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ নেতা বাচ্চু বেপারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিক পাহাড় ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. মনিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখা যায়।  মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি। ঘটনাটি না বাড়িয়ে মীমাংসা করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। তাই তার উপস্থিতিতে ওই ব্যক্তি ক্ষমা চেয়েছেন। তাই তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুরোধ করায় আমি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি। আমার কানের পর্দা ও কণ্ঠনালিতে আঘাত লেগেছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এলিম পাহাড়, মোবাইল ফোনে বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের মুরব্বি। উনি বলেছেন, তাই মীমাংসা করেছি। আমার ছেলেরে অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছি। এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম (পিপিএম) বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই এলিম পাহাড়কে আটক করে পুলিশ। কিন্তু আসামি গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী তার অভিযোগপত্রটি তুলে নেন। যার কারণে কোনো মামলা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।  এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মারামারিতে আহত ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি করার অভিযোগে ডা. শেহরিয়ারকে বেধড়ক পেটান এলিম পাহাড়। এই সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে ডা. শাহরিয়ার বাদী হয়ে দুপুরে সদরের পালং মডেল থানায় একটি মামলার আবেদন করলে পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে।
০৬ মে, ২০২৪
X