নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকর্মী বহিষ্কার
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের আগামী ২৯ মে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বুধবার (১৫ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কার হওয়া দুই নেতাকর্মী হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির ১নং সদস্য আনারস মার্কার প্রার্থী আলহাজ আশরাফ আলী হাওলাদার এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও হাস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসিনা হাবিব। নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সব নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সব ধরনের নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান। কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।
১৬ মে, ২০২৪

জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী আটক
নাটোরের লালপুরে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ মে) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।  গ্রেপ্তার নেতাকর্মীরা হলেন, নাটোর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল ওহাব, উপজেলার সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, ঈশ্বরদী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির গোলাম রাব্বান, আসলাম হোসেন, সেন্টু খামার, মোশারফ হোসেন, নয়ন আলী, আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীর হোসেন। জহুরুল ইসলাম, আফতাব হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম, নাহিদ আলী, ফাদ্দেছ প্রামাণিক, লাল মোহাম্মদ লালু, সেন্টু প্রামাণিক, আইনুল হক, সজিব আহমেদ, আবু রায়হান। লালপুর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় আইনাল হকের বাড়িতে জামায়াত-শিবির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গোপনে বৈঠক করছে বলে জানতে পারি। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় নাশকতার মামলা করে নাটোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

বিএনপিতে যোগ দিলেন জাতীয় পার্টির ২ শতাধিক নেতাকর্মী
দলে যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের দেউতিরহাট স্কুল মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর হাতে ফুল দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। এদের মধ্যে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলামসহ ৫১ সদস্যের প্রায় পুরো কমিটি এবং অন্যান্য কর্মীসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব দুলু তাদের হাতে ধানের শিষ তুলে দিয়ে বরণ করে নেন। যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। দেশের মানুষের সামনে এখন দাবি একটাই, এই  সরকারের পদত্যাগ। তিনি বলেন, এই সরকারের ওপর আস্থা নেই বলেই জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা দলে দলে বিএনপিতে যোগদান করছেন। বিএনপিতে যোগ দেয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরউদ্দিন বলেন, জাতীয় পার্টিতে নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। নেতারা শুধু নিজের জন্যই রাজনীতি করেন। অপরদিকে বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করছে। তাই আমরা বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। বিএনপিতে যোগ দেয়া জাপা নেতা এরশাদুল হক মাস্টার বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো শৃঙ্খলা নেই। জাতীয় পার্টি সব সময় আওয়ামী লীগের বলির পাঠা হিসেবে ব্যবহার হয়। জাতীয় পার্টিকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় আসছে। আর  লাভবান হচ্ছেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম ফারুক সিদ্দিকীর, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু, মজমুল হোসেন প্রামানিক, পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম, জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিচ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও বড়বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লিমন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী কারাগারে
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের সাত নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে আসামিরা পার্বতীপুর আমলী আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন, পার্বতীপুর পৌর জামায়াতের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম (৫০), সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান (৪৫), পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন সাদো (৫০), যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন (৪২), স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম বাবু (৩০), উপজেলা যুবদলের সদস্য কাজী আল মামুন (৩২) ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহাবুবুর রশিদ সংগ্রাম (৪০)। জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে গত বছর আগে ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের হলদিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হামলার শিকার মোটরসাইকেলের মালিক পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামিরা চলতিবছর ১৪ মার্চ হাইকোর্ট থেকে ৪০ দিনের আগাম জামিনে মুক্ত হয়। জামিনের শেষ দিন শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পার্বতীপুর আমলী আদালত দিনাজপুরে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত সাত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ঘোড়াঘাটে পৌর মেয়রসহ বিএনপির চার নেতাকর্মী কারাগারে
দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের পৌর মেয়র, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলনসহ বিএনপির চার নেতাকর্মী নাশকতার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে দিনাজপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গিয়াস উদ্দিনের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহবুব চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদল নেতা সোহেল প্রধান। আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলায় গত বছর জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও এবং অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল রোববার তারা আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

জামিন চাইতে গিয়ে বিএনপির ৯ নেতাকর্মী কারাগারে
নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ।  আসামিরা সবাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। এদিন তারা পুনরায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবু মাসুম । তিনি বলেন, ‘আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা আবার জামিন চাইব।’ কারাগারে পাঠানো বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন- আত্রাই উপজেলা পাঁচুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিয়ামত আলী বাবু, আত্রাই উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান বুলেট, পাঁচুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পারভেস, আয়নুল, আত্রাই উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ, আত্রাই উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল, রায়হান, ওহাব ও লাবু। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ নভেম্বর আত্রাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি ভড়তেঁতুলিয়া আহসানগঞ্জ স্টেশন হইতে আত্রাই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস সামনে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শান্তি মিছিল নিয়ে উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া এলাকায় আমতলী সিএনজি স্ট্যান্ডে পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস আলী প্রামাণিক বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।  এ মামলায় ওই ৯ জন গত ২৮ফেব্রুয়ারি আট সপ্তাহের হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে মামলার এজহারভুক্ত বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নয় নেতাকর্মী পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষে জামিনের শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবু মাসুম। তবে জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুল খালেক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

যশোরে বিএনপির ৫১ নেতাকর্মী কারাগারে
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  রোববার (৩১ মার্চ) তারা যশোর জেলা দায়রা ও জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যশোরের বিভিন্ন থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় এসব নেতাকর্মীদের। আদালত ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জামিন নামঞ্জুর হওয়া ৫১ নেতাকর্মীর মধ্যে অমিত ছাড়াও রয়েছেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনীর আহমেদ সিদ্দীকি বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজামান বাপ্পিসহ প্রমুখ। এদিকে জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু ও আনিসুর রহমান মুকুল। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা রোববার যশোর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

নৌকার পক্ষে কাজ করায় শত শত নেতাকর্মী ঘরছাড়া : নদভী 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করায় ২৫ জন নেতাকর্মীর ওপর গুরুতর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।  তিনি বলেছেন, নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় শত শত নেতাকর্মী এখন এলাকায় যেতে পারছেন না। সবাই ঘর ছাড়া। নির্বাচন পরবর্তী গেল ২ মাসে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় প্রায় ৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বোর্ডেরও চেয়ারম্যান।  সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে মন্তব্য করে নদভী বলেন, প্রতিদিনই খুন-মারামারি, চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যা আমার সময় ছিল না। আমি যখন সংসদ সদস্য ছিলাম তখন মানুষ রাতে ২-৩টা পর্যন্তও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারত। আর এখন দিনের বেলাও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আজকের এই অরাজকতার মূল নায়ক হচ্ছে একজন সন্ত্রাসী গডফাদার। তার নাম ড. মিনহাজ। তার কাজ হলো, কেউ এমপি হলে তার কাঁধে ভর করে সুযোগ-সুবিধা আদায় করা। অন্যের জমি-দখল করা। টিআর, কাবিখা প্রকল্পের অর্থ লুটে খাওয়া।  সাতকানিয়ায় বিভিন্ন মার্ডারের ঘটনায় পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে ড. মিনহাজের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যখন এমপি নির্বাচিত হই, সে আমার কাছেও আসে। দলীয় নেতাকর্মীদের কথা বলে বলে বিভিন্ন প্রকল্প ভাগিয়ে নিতে চায়। পরে জানতে পারি, এসব সে নিজে খেয়ে ফেলছে। কেরানীহাট এলাকায় খাতুনগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিন ও ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের জমি দখলের অপচেষ্টা চালায় সে। দেওদিঘী এলাকায়ও বিভিন্নজনের জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। তার এইসব অপকর্ম এলাকাবাসী তথ্য প্রমাণসহ আমার সামনে হাজির করলে আমি তাকে আর কাছে ঘেঁষতে দিইনি। এরপর সে আদাজল খেয়ে আমার বিরুদ্ধে মাঠে নামে।  নদভী বলেন, কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে সরকারি কোনো প্রকল্পের এক টাকারও অনিয়ম আমার হাত দিয়ে হয়েছে, আমি রাজনীতি করা ছেড়ে দেব। অপপ্রচারে লিপ্ত কুচক্রী মহল বিমানের টিকিটের ভুয়া ছবি বানিয়ে ফেসবুকে প্রচার করেছে। বলেছে, আমরা নাকি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছি। আমি জনগণের খেদমত করছি ৩০ বছর। আমৃত্যু পর্যন্ত খেদতম করে যাব। আমি এই রমজানে ২০ হাজার প্যাকেট খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। কিছু কিছু এলাকায় এসব সহায়তা পৌঁছে যাওয়ায় তারা (প্রতিপক্ষ) ভয় পেয়ে গেছে। আমি ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করতে কিছুদিন আগে সেমাই, চিনি দেবে বলে লোক ডেকে এনে মানববন্ধনে দাঁড় করিয়েছে। তারা নিজেদের আওয়ামী লীগ দাবি করলেও ওরা নৌকা প্রতীক তথা আওয়ামী লীগকে ডুবানোর ষড়যন্ত্রকারী। জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই তারা এসব করছে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা প্রমাণ করতে না পারলে আমি মানহানির মামলা করব।  সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠিত এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গত ২৬ বছর ধরে সাতকানিয়া-লোহাগাড়াসহ দেশব্যাপী হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এক হাজারের অধিক মসজিদ, ওজুখানা, মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ২০ হাজার শেল্টারসহ ৩০ হাজারের মতো ঘরবাড়ি নির্মাণ ও সংস্কার করেছি আরব বিশ্বসহ পৃথিবীর নানা দেশের সহায়তায়। বিভিন্ন দুর্যোগে এ পর্যন্ত ৫ লাখ মানুষের হাতে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। কোরবানি উপলক্ষে হাজার হাজার গরু-ছাগল বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিয়েছি। ২০২২ সালে সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর ৬ হাজার ৫০০ পরিবারকে ঘর সংস্কারের কাজ করে দিয়েছি। আর তারা বলে বেড়ায় আমি আমার এলাকার মানুষ থেকে টাকা নিয়েছি। 
২২ মার্চ, ২০২৪

শেরপুরে জেলা বিএনপির ২১ নেতাকর্মী কারাগারে
নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় শেরপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলার শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী জিআর আমলী আদালতে হাজির হয়ে পৃথকভাবে জামিনের জন্য আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান ভুঁইয়া ও নুর-ই-জাহিদ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার মো. শহীদুল হক। জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানায় নাশকতা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি এবং দণ্ডবিধি আইনে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেলকে প্রধান আসামি করে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে অন্তত ১২টি মামলা করে পুলিশ। ওইসব মামলায় অন্তত আটটিকে উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে আছেন রুবেলসহ অনেকেই।  অপর চার মামলায় আজ হাজিরা দিতে এসেছিলেন ওই দুই উপজেলার নেতাকর্মীসহ রুবেল। চার মামলার মধ্যে আদালত আজ দুটি মামলার জামিন দিয়েছে অপর দুই মামলায় রুবেলসহ ২১ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর শ্রীবরদী উপজেলায় ও ২৮ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতি উপজেলাতে হওয়া নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আদালতের নির্দেশে ওই নেতাকর্মীরা এখন কারাবাস করছেন।
২০ মার্চ, ২০২৪
X