নেত্রকোনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি, পদসংখ্যা ১৪৩
নেত্রকোনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের অধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি শূন্য পদে মোট ১৪৩ জনকে নিয়োগ দেবে। আবেদন ২ এপ্রিল থেকে শুরু চলবে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। শুধু নেত্রকোনা জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা এসব পদে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : সিভিল সার্জন কার্যালয়, নেত্রকোনা চাকরির ধরন : সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২৭ মার্চ ২০২৪ পদের সংখ্যা : ০৬টি  জনবল : ১৪৩ জন  কর্মস্থল : নেত্রকোণা চাকরির ধরন : স্থায়ী/অস্থায়ী  প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদন শুরুর তারিখ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১. পদের নাম : পরিসংখ্যানবিদ  পদসংখ্যা : ০৮টি  বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা : পরিসংখ্যান/ গণিত/অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। ২. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা : ১৪টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩. পদের নাম : স্টোর কিপার  পদসংখ্যা : ০৭টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪. পদের নাম : গাড়ি চালক  পদসংখ্যা : ০৪টি  বেতন :  ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তবে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। ৫. পদের নাম : স্বাস্থ্য সহকারী পদসংখ্যা : ১০৮টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬. পদের নাম :  ল্যাবরেটরি অ্যাটেন্ডেন্ট পদসংখ্যা : ০২টি  বেতন : ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনের বয়সসীমা : ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি : ১ থেকে ৫ নং পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ৬ নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা জমা দিতে হবে। যেভাবে আবেদন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে চাকরি, পদ সংখ্যা ৩০
পঞ্চগড় জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটি চারটি ক্যাটাগরিতে ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডভুক্ত মোট ৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। শুধু পঞ্চগড় জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা আবেদন করতে পারবে। ১. পদের নাম : কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা : ১টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২৫, ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিচিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। বেতন স্কেল : ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ২. পদের নাম : পরিসংখ্যানবিদ পদসংখ্যা : ২টি  শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান, গণিত অথবা অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। বেতন স্কেল : ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ৩. পদের নাম : স্বাস্থ্য সহকারী পদসংখ্যা : ২৫টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বেতন স্কেল : ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) ৪. পদের নাম : গাড়িচালক পদসংখ্যা : ২টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (অষ্টম শ্রেণি) পাশ বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ। হালকা/ভারী গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ যানবাহন চালনায় অন্তত তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বেতন স্কেল : ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫) ও ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) আবেদনের সময়সীমা : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

পঞ্চগড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে রাসেল মিঞা (৩২) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার চেংঠি হাজারাডঙ্গা ইউনিয়নের চেংঠি বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশের কাঁচা রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাসেল মিঞা (৩২) চেংঠি হাজারাডঙ্গা ইউনিয়নের নগর ডাঙ্গা পাড়া এলাকার মো. হাফিজুল ইসলামের ছেলে। রাসেল জন্মগতভাবে বাকপ্রতিবন্ধী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চেংঠি বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে স্থানীয়রা রাসেল মিঞাকে সড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাথা থেতলানো অবস্থায় রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কী ধরনের যানবাহনের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২২ মার্চ, ২০২৪

উত্তরবঙ্গের ট্রেনযাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় সৃষ্ট শিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজশাহী, পঞ্চগড় ও রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সারা দিনই এ শিডিউল বিপর্যয় থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় আজ সারা দিন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় থাকবে। তবে আগামীকাল বুধবার (২০ মার্চ) থেকে এ বিপর্যয় কেটে যাবে। বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌ন এলাকায় সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৯টার দি‌কে পঞ্চগড় থে‌কে ছে‌ড়ে আসা পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের এক‌টি বগির ৪টি চাকা লাইনচ‌্যুত হয়। ট্রেনের চাকার ত্রু‌‌টির কার‌ণে এই লাইনচ‌্যুত হওয়ার ঘটনা ঘ‌টে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে চাকা অপসারণ করলে রাত আড়াইটার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে শিডিউল বিপর্যয়ে কয়েক হাজার যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটির রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রাত সাড়ে ১১টায় ছাড়ার কথা ছিল। পরে সেই ট্রেন কমলাপুরে আসে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। ১০ ঘণ্টারও বেশি শিডিউল বিপর্যয়ের পর সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর ছেড়ে যায় ট্রেনটি। লাইনচ্যুতির ঘটনায় রেল চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করতে ৫ ঘণ্টা দেরি হওয়ায় এ শিডিউল বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। ফলে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ছাড়াও বেশ কয়েকটি উত্তরবঙ্গের ট্রেন শিডউল বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে। যেগুলো সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনও ঢাকায় এসেই পৌঁছাতে পারেনি। কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। সারা রাত স্টেশনে শুয়ে বসে পার করেছেন অনেকেই। রমজান মাস হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেশি। যাত্রীদের অভিযোগ, এ দীর্ঘ ভোগান্তির সময়ে কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়নি কোনো তথ্যই।
১৯ মার্চ, ২০২৪

এবার পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত
টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস নামের একটি ট্রেনের একটি বগি লাইনচ‌্যুতির ঘটনা ঘটেছে। আজ রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগির চারটি চাকা লাইনচ‌্যুত হ‌য়েছে। এতে ঢাকার সা‌থে উত্তরব‌ঙ্গের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ র‌য়ে‌ছে। স্থানীয়ভাবে বগি উদ্ধারের তৎপরতা চলছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল‌স্টেশ‌নের বুকিং মাস্টার রেজাউল ক‌রিম ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত ক‌রে‌ছেন।  বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর আশরাফ জানান, পঞ্চগড় থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেন‌টি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনে যাত্রা বিরতি শে‌ষে ঢাকার দি‌কে যাওয়ার সময় এক‌টি বগির চার‌টি চাকা লাইনচ‌্যুত হয়। প্রাথমিকভাবে ট্রেনের চাকায় ত্রুু‌টি থাকার কার‌ণে লাইনচ‌্যুতির ঘটনা ঘ‌টতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বুকিং স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এছাড়াও উদ্ধারকারী ট্রেনকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য উর্ধতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় গাজীপুরের থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়েছে। যাত্রীদের দ্রুত ভোগান্তি লাঘবের সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
১৮ মার্চ, ২০২৪

চা উৎপাদনে পঞ্চগড় ৩য় বারের মতো ২য়
চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে উত্তরাঞ্চলের সমতলভূমির জেলা পঞ্চগড়সহ ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং দিনাজপুর। এর মাধ্যমে দেশের এই পাঁচ জেলা টানা তৃতীয়বার চা উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থান দখলে রেখেছে। চলতি মৌসুম শেষে (২০২৩) এসব জেলার সমতলভূমিতে ৮ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৪ কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলনের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। গত ২০২২ মৌসুমে চা উৎপাদন হয় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৮ কেজি। এই হিসাবে ২০২২ সালের চেয়ে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬৫ হাজার কেজি বেশি উৎপাদন হয়েছে। এর আগের বছর (২০২১) মৌসুমে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলনের মাধ্যমে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়, যা বাংলাদেশে জাতীয় উৎপাদনের ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এদিকে চলতি মৌসুমে বেড়েছে চায়ের আবাদ। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় জেলায় চাষ হয়েছে ১০ হাজার ২৬৭.২ একর জমিতে, ঠাকুরগাঁওয়ে চা চাষ হয়েছে ১ হাজার ৪৫৭.২৯ একর, লালমনিরহাটে হয়েছে ২৪৮.০২ একর জমিতে, দিনাজপুরে চা চাষ হয়েছে ৮৯ একর এবং নীলফামারীতে ৭০.৫৯ একর। বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে সারা দেশে মোট ১০ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ কেজি চা (মেড টি বা তৈরি চা) উৎপাদিত হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে পঞ্চগড় সফরে এসে সমতলভূমিতে চা চাষের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলেন। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় স্বল্প পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে সমতলভূমিতে শুরু হয় চা চাষ। সফলতা পাওয়ায় ২০০০ সালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রথম চায়ের বাগান গড়ে তোলা হয়। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এসে বাংলাদেশ চা বোর্ড ‘নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্প’ হাতে নেয়। উত্তরাঞ্চলে চায়ের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নেওয়া এ প্রকল্প ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত চলে। এ ছাড়া ২০০৭ সালে লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও এবং ২০১৪ সালে দিনাজপুর ও নীলফামারীতে চা চাষ শুরু হয়। উত্তরাঞ্চলের এই পাঁচ জেলায় বর্তমানে নিবন্ধিত ৯টি ও অনিবন্ধিত ২০টি বড় চা-বাগান রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ১৬৪টি নিবন্ধিত ও ৬ হাজার ২০৭টি অনিবন্ধিত ক্ষুদ্র আয়তনের চা-বাগান ২৫ একরের আছে। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার ১৩২ দশমিক ১৮ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের চা চাষের পরিধি ও উৎপাদন বিবেচনায় গত বছরের ২০২৩ সালে ২ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ে চায়ের তৃতীয় নিলাম কেন্দ্র চালু হয়েছে অনলাইনভিত্তিক, যেখানে এ পর্যন্ত মোট ৯টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, ‘পঞ্চগড় ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সমতল ভূমি চা চাষের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। সেজন্য তারা চাষিদের বিভিন্ন সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে চা চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। এতে দিন দিন উত্তরাঞ্চলে চা চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চগড় বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের সমতলভূমিতে ২০১৭ সালে ৫৪ লাখ ৪৬ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। আর সবশেষ ২০২৩ সালে উৎপাদন হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ কেজি চা। উত্তরাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৫৮টি চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা অনুমোদন নিয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে ২৭টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কারখানা চালু রয়েছে। এই কারখানাগুলো চা চাষিদের কাছ থেকে সবুজ চা পাতা কিনে তা থেকে চা তৈরি করে। এর আগে এসব উৎপাদিত চা চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গলের নিলাম বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হতো চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানার মালিকদের। তবে গত বছর অনলাইনভিত্তিক নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় উৎপাদিত চা এখন পঞ্চগড়েই বিক্রির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
০৮ মার্চ, ২০২৪

চারদিক / পর্যটন সম্ভাবনাময় জেলা পঞ্চগড়
হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এই জেলায় পাঁচটি গড়ের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে; ধারণা করা হয়, এই পাঁচ গড় থেকেই পঞ্চগড় নামকরণ করা হয়। রংপুর বিভাগের এই জেলাটি ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের চরম উত্তরে পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত এবং জেলাটির তিন দিকেই ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত দ্বারা আবদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই জেলার বর্তমান চার থানা পাকিস্তান হানাদার দখলে নেয়। কিন্তু পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী মহাসড়কে চাওয়াই নদীর ওপরের সেতু (অমরখানা ব্রিজ) উড়িয়ে দেওয়ায় তারা তেঁতুলিয়ায় ঢুকতে পারেনি। ফলে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তেঁতুলিয়া মুক্ত ছিল। অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তাঞ্চল হিসেবে সে সময় তেঁতুলিয়া সব কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাধীনতার তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। তাই ঐতিহাসিক ও কৌশলগতভাবে জেলাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং পঞ্চগড় একটি সম্ভাবনাময় ও উন্নয়নশীল জেলা। কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। কাঞ্চনজঙ্ঘার রাজকীয় চূড়া ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত, যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে হলেও শীতের শুরুতে যখন আকাশ মেঘ ও কুয়াশামুক্ত থাকে; তখন পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খালি চোখেই এ পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। প্রতিবছর নভেম্বরের শুরুর দিকে ভেসে ওঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার বাহারি রূপ। পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমীরা এটি দেখতে পঞ্চগড়ের মহানন্দা নদীর তীরে তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোতে ভিড় জমায়। বলা যায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা খুব কাছ থেকে দেখার জন্য এটাই উত্তম জায়গা। শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রঙের প্রতিচ্ছবি দেখার ইচ্ছা থেকেই সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। পঞ্চগড় জেলা একটি চিত্তাকর্ষক ও বৈচিত্র্যময় স্থান। এই জেলার মহানন্দা ও করতোয়াসহ প্রভৃতি নদী থেকে মানুষ দল বেঁধে বিশেষ উপায়ে মাছ ধরার মতো করে পানি ছেঁকে উন্নতমানের নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে। এই দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় হরেক রকমের পাথর পর্যটকদের এক অন্য জগতে নিয়ে যায়। আর বাংলাদেশের একমাত্র রকস মিউজিয়াম (পাথরের জাদুঘর) এ পঞ্চগড়েই অবস্থিত। প্রকৃতিপ্রেমীরা নিজ চোখ চা বাগান দেখতে মৌলভীবাজার বা সিলেট ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে তবে একমাত্র সমতল ভূমির চা-বাগান রয়েছে পঞ্চগড় জেলায়। আবার দেশের একমাত্র জেলা হিসেবে এটি অর্গানিক চা উৎপাদন করে। এখন বাণিজ্যিকভাবে পঞ্চগড়ের অনেক জায়গায় চা উৎপাদন করা হচ্ছে। বলা যায়, এই জেলা বনায়ন, নদী এবং হ্রদসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক আকর্ষণের আবাসস্থল। চাওয়াই ও করতোয়া নদীর তীরে রয়েছে সরকারি বন; এটি হাইকিং ও ক্যাম্পিং করার জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা। বাংলাবান্ধা দেশের সর্ব-উত্তরের জায়গা এবং দেশের অন্যতম স্থলবন্দর, যা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। এটিই দেশের একমাত্র স্থলবন্দর যেটি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান চারটি দেশকে পণ্যসামগ্রী আদান-প্রদানের সুবিধা দিয়ে থাকে। বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে সপ্তাহের ছয় দিন বিকেলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে জয়েন্ট রি ট্রিট সেরিমনি বা যৌথ বিরতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। বাংলাবান্ধা দেশের উত্তরের প্রবেশদার; তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্যের জন্যই এটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। পঞ্চগড়ের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও এই জেলা সমৃদ্ধ; জেলাটি একসময় কামরূপের প্রাচীন রাজ্যের অংশ ছিল। শুধু তাই নয়, পঞ্চগড় মুঘল সাম্রাজ্যেরও অংশ ছিল, যা ১৬ শতকে প্রথম নথিভুক্তি হয়। মুঘলরা সে সময় এই অঞ্চলে ভিতরগড়, হোসাইনগড় ও মিরগড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গ নির্মাণ করেছিল। পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮ শতকে পঞ্চগড় জয় করেছিল এবং রাজনগর ও দেবেনগরসহ এ অঞ্চলে দুর্গ নির্মাণ অব্যাহত রেখেছিল। এ ছাড়া তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, আটোয়ারী কেল্লাপুরাতন দুর্গ, বারো আউলিয়ার মাজার, মির্জাপুর শাহী মসজিদ এবং গোলোকধাম মন্দিরসহ অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা কালের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, যা পর্যটকদের অভিভূত করে। পরিশেষে বলা যায়, পঞ্চগড় জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৌশলগত অবস্থান এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় জেলা। এরই মধ্যে এ জেলাটি পর্যটকদের কাছে মুগ্ধতা ছড়িয়ে সুনাম কুড়িয়েছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে আরও নতুনভাবে পিকনিক স্পট, আবাসিক হোটেল, মোটল, পুরাতন স্থাপনার সংস্কার ও নতুন করে দৃষ্টিনন্দনের জন্য কাজ করতে হবে। পর্যটকদের নিরাপদে ঘোরাঘুরি করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। পঞ্চগড় জেলা পর্যটন কেন্দ্রে এগিয়ে গেলে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে জনসমাগম হবে, যা পঞ্চগড় জেলার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এ বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং কাজ করতে হবে। বরকত আলী, পঞ্চগড়; শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘হামার স্বপ্নের পঞ্চগড় হামরা গড়িমো’
‘হামার স্বপ্নের পঞ্চগড় হামরা গড়িমো’ স্বপ্নের পঞ্চগড়-১ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রণীত আঞ্চলিক ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা আনুষ্ঠানিকভাবে আঞ্চলিক ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহারে পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বন্ধ চিনিকল চালু ও চা চাষিদের সমস্যার সমাধানের ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগের ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দিনবদলের হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষা, কৃষি ও কৃষিপণ্যের বহুমুখীকরণ, গ্রামকেন্দ্রিক অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন, আমার গ্রাম, আমার শহর, তারুণ্যের শক্তি, পঞ্চগড়ের সমৃদ্ধি এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন—এই পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আঞ্চলিক ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। এই পাঁচটি লক্ষ্যের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জ্ঞান, দক্ষতা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান এবং ব্যক্তির শক্তি বিকাশ উপযোগী শিক্ষা, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ক্রীড়া শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ল্যাব স্থাপন, একটি হাই-টেক পার্ক, আইটি ভিলেজ স্থাপন, পঞ্চগড়কে বহুমাত্রিক পর্যটন হাব হিসেবে গড়ে তোলা, পরিকল্পিত এবং কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ডিজিটাল পঞ্চগড় থেকে স্মার্ট পঞ্চগড়ের পথে যাত্রা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ, আগামীর পঞ্চগড়কে তারুণ্য নির্ভর করে গড়ে তোলা, অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক পঞ্চগড় বিনির্মাণ, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে উদার ও অসাম্প্রদায়িক প্রজন্ম গড়ে তোলার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ’৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতি অনুযায়ী দেশ ও পঞ্চগড় গড়ার ঘোষণা করেন। সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, সন্তানের ভবিষ্যৎ, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে চাইলে ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, তাই সবার জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দারিদ্র্যের হার কমেছে। নৌকা প্রতীকের সরকার জনগণের কাজ করে। নৌকা প্রতীকের সরকার সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য বিনামূল্যে দুই কাঠা জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের এই বাংলায় একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে, কেউ যেন খাদ্যের জন্য কষ্ট না পায় সেজন্য নৌকা প্রতীকের সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন সাদ্দাম হোসাইন। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান, মনিরা পারভীন, শিবেন শর্মা, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ সেলিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, আহসানুল হক লিটন ও অ্যাডভোকেট এমএন হুদা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা কমলেও টানা পাঁচদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে পর দিন সকাল পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে দুর্ভোগে পড়ছেন সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষরা। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা। পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানিয়েছে, কুয়াশার দাপট কমলেও দিনভর রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাস থাকায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান দিন দিন কমছে। পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। একইসঙ্গে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠানামা করছে ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সর্বশেষ গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাস। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের আলো ছড়ালে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমে আসে। কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। রাতভর বইছে হিমেল বাতাস, টিপটপ বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, টানা পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আকাশে কুয়াশা ও মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাসে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

হিমালয়ের হিমবায়ুতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়
হিমালয়ের কাছাকাছি জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় হিমেল বাতাসে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে দেশের সর্ব উত্তরের এ জনপদের মানুষ। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিকে, পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় গত কয়েক দিন থেকে শীতের মাত্রা বাড়ছে। একইসঙ্গে রাতে ও সকালে প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে। শীত নেমে আশায় গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। প্রায় ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা বের করেছে। তবে গত কয়েক দিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যায়। এ ছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। সারাদিন ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিকেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হয়। আজ সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
X